মুরসির মৃত্যুর দায় মিশরের অভ্যুত্থানকারী সরকারের: এইচআরডাব্লিউ
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা এইচআরডাব্লিউ বলেছে, আদালতের শুনানির সময় মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মুরসির মৃত্যুর জন্য সেদেশের ‘অভ্যুত্থানকারী’ সরকার দায়ী। সংগঠনটি সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেছে, মিশরের বর্তমান সরকার কারাগারে সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসির চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি।
এইচআরডাব্লিউ মুরসি’র মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বলেছে, বিশ্ববাসী মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোহাম্মাদ মুরসিকে মনে রাখবে।
গতকাল (সোমবার) মিশরের একটি আদালতে ‘বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য গুপ্তচরবৃত্তি’র দায়ে বিচারের শুনানি চলার সময় হঠাৎ বেহুশ হয়ে পড়েন মুরসি এবং তাৎক্ষণিকভাবে মারা যান। তার মৃত্যুর পর মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে।
কাতার-ভিত্তিক আল-জাজিরা নিউজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসি গত ৭ মে সর্বশেষ শুনানির দিন কারাগারে তার অপর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যাপারে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, চিকিৎসার অভাবে তার জীবন বিপদাপন্ন।
গত ২৩ এপ্রিল মিশরের অ্যাটর্নি জেনারেল ‘বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য গুপ্তচরবৃত্তি’র দায়ে মুরসিসহ অপর ২৩ আসামীর জন্য মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেন। ওই আবেদনের ব্যাপারে সোমবারের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
মিশরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আস-সিসি ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুরসির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। সে সময় সিসি মিশরের সেনাপ্রধান ও মুরসি সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত এক প্রদর্শনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে ‘বৈধ’ প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন জেনারেল সিসি। তখন থেকে পাশ্চাত্যের সহযোগিতায় তিনি সরকার বিরোধীদের কঠোর হাতে দমন করে আসছেন। #
পার্সটুডে/মো. মুজাহিদুল ইসলাম/১৮