ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হলেন ‘ব্রিটেনের ট্রাম্প’ খ্যাত বরিস জনসন
(last modified Tue, 23 Jul 2019 12:16:44 GMT )
জুলাই ২৩, ২০১৯ ১৮:১৬ Asia/Dhaka
  • বরিস জনসন
    বরিস জনসন

ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ‘ব্রিটেনের ট্রাম্প’ হিসেবে পরিচিত বরিস জনসন। থেরেসা মে’র উত্তরসূরী হিসেবে কনজারভেটিভ দলের প্রধান হওয়ার লড়াইয়ে সদস্যদের সরাসরি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী জেরেমি হান্টকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি। এতে ক্ষমতাসীন দলটির পরবর্তী প্রধান এবং একই সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হচ্ছেন জনসন।

দলের সদস্যদের ভোটের প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, বরিস জনসন পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৫৩ ভোট। অন্যদিকে জেরেমি হান্ট পেয়েছেন মাত্র ৪৬ হাজার ৬৫৬ ভোট। কনজারভেটিভ পার্টির এক লাখ ৬০ হাজার সদস্য আজকের নির্বাচনে ভোটার ছিলেন এবং তাদের শতকরা ৮৭.৪ ভাগ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

ভোটের ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পর জনসন এক বক্তৃতায় বলেছেন, তিনি ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে সফল হবেন, দেশকে ঐক্যবদ্ধ করবেন এবং লেবার পাটির প্রধান ও বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি কোরবিনকে পরাস্ত করবেন।

পদত্যাগ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বরিস জনসনের প্রতিদ্বন্দ্বী জেরেমি হান্ট

এর আগে বরিস জনসনের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে নানা বিতর্ক ওঠে। সমালোচকরা তাকে ব্রিটেনের ট্রাম্প হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।  নির্বাচনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরিস জনসনকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ব্রেক্সিটে নিয়ে অচলাবস্থার সময় বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। থেরেসা মে সংকট সমাধানে ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বায়িত্ব এখন তার কাধে। সেটি পালনে তিনি কতটা সাফল্য দেখাতে পারেন তাই এখন দেখার বিষয়।

বরিস জনসন দলের প্রধান হওয়ায় তার নীতির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন এমন ব্রিটিশ মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন। এদের মধ্যে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ও শিক্ষামন্ত্রী ড্যামিয়ান হিন্ডস।#

পার্সটুডে/এমএমআই/২৩

ট্যাগ