এবার এশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
https://parstoday.ir/bn/news/world-i72508
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার বলেছেন, এশিয়া মহাদেশে মধ্যম-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পক্ষে তার সমর্থন রয়েছে। আমেরিকা শীতল যুদ্ধের সময় মস্কোর সঙ্গে স্বাক্ষরিত আইএনএফ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার একদিন পর এ অর্থপূর্ণ বক্তব্য দিলেন এসপার।
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
আগস্ট ০৪, ২০১৯ ০৬:৪৬ Asia/Dhaka
  • মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার
    মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার বলেছেন, এশিয়া মহাদেশে মধ্যম-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পক্ষে তার সমর্থন রয়েছে। আমেরিকা শীতল যুদ্ধের সময় মস্কোর সঙ্গে স্বাক্ষরিত আইএনএফ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার একদিন পর এ অর্থপূর্ণ বক্তব্য দিলেন এসপার।

তিনি শনিবার এক সাক্ষাৎকারে এ বক্তব্য দিলেও একথা স্পষ্ট করেননি যে, মার্কিন সরকার এখনই এশিয়ায় এ ধরনের অস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে কিনা। সিডনি সফরে যাওয়ার জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বিমানে আরোহনকারী সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি এশিয়ায় এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবেন কিনা। জবাবে মার্ক এসপার বলেন, হ্যা তিনি তা করতে চান।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু তিনি কয়েক মাসের মধ্যে এ কাজ করতে চান বলে এশিয়ায় মোতায়েনের জন্য মধ্যম-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রই উপযোগী।

এর আগে শুক্রবার আমেরিকা আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটি বা আইএনএফ চুক্তি থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে যায়। ওয়াশিংটন ওই চুক্তি ভঙ্গের জন্য মস্কোকে দায়ী করলেও রাশিয়া বারবার সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে মধ্যে যে স্নায়ুযুদ্ধ বাঁধে সেটার সমাপ্তি টানতে অস্ত্র প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ১৯৮৭ সালে ঐতিহাসিক আইএনএফ চুক্তি হয়েছিল। চুক্তিতে ইউরোপে পরমাণু অস্ত্রবাহী ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা থেকে বিরত থাকতে সম্মত হয়েছিল দু’পক্ষ। কিন্তু চুক্তিটি বাতিল হয়ে যাওয়ার পর এখন গণবিধ্বংসী অস্ত্র প্রতিযোগিতা আবার ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।#

পার্সটুডে/এমএমআই/৪