রোহিঙ্গা গণহত্যা: মিয়ানমারের সেনাদের পক্ষে সাফাই গাইলেন সুচি
https://parstoday.ir/bn/news/world-i75864-রোহিঙ্গা_গণহত্যা_মিয়ানমারের_সেনাদের_পক্ষে_সাফাই_গাইলেন_সুচি
মিয়ানমারের কার্যত শাসক এবং দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সাং সুচি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বর গণহত্যার বিষয়ে তার দেশের সেনাবাহিনীর পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ডিসেম্বর ১১, ২০১৯ ১৮:০৮ Asia/Dhaka
  • অং সাং সু চি
    অং সাং সু চি

মিয়ানমারের কার্যত শাসক এবং দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সাং সুচি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বর গণহত্যার বিষয়ে তার দেশের সেনাবাহিনীর পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।

হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তিনি আজ (বুধবার) ৩০ মিনিট বক্তব্য রাখেন এবং এসময় তার দেশের সামরিক বাহিনীকে সমর্থন করে তিনি বলেন, “আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা ভুল। রাখাইন রাজ্যে যে অভিযান চালানো হয়েছে তা ছিল ক্লিয়ারেন্স অপারেশন।” তিনি দাবি করেন, রাখাইন রাজ্যের পুলিশ ফাঁড়িতে গেরিলাদের হামলার জবাবে ওই অভিযান চালানো হয়।

হেগের আদালতে সুচি তার ভাষায় ‘ভুল এবং বিভ্রান্তিকর’ কর্মকাণ্ডের জন্য গাম্বিয়াকে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, “এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এটি হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে উঠতে পারে না।”

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা মুসলমান

অং সাং সুচি দাবি করেন, যদিও অনেক বেশি মাত্রায় সামরিক শক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এবং বেসামরিক লোকজন মারা গেছে তবে তাকে গণহত্যা বলা যায় না। তিনি দাবি করেন, “অযৌক্তিকভাবে যেসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করা এবং শাস্তি দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে এসব ঘটনাকে কী গণহত্যা বলা যায়?”

২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং উগ্র বৌদ্ধরা রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর বর্বর গণহত্যা চালায়। হত্যাকাণ্ডের মুখে টিকতে না পেরে সেখান থেকে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান কোনমতে জীবন নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। জাতিসংঘ বিষয়টি তদন্ত করেছে এবং এরইমধ্যে ওই ঘটনাকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে। তারপরও অং সাং সুচি একে গণহত্যা বলতে নারাজ। অথচ মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন তাকে গৃহবন্দী করে রেখেছিল।#

পার্সটুডে/এসআইবি/১১