ইমপিচমেন্ট: সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও চাপে ট্রাম্প
-
ট্রাম্প
মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের বিচার শুরু হচ্ছে আজ (মঙ্গলবার)। বিশ্বাস ভঙ্গ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হতে যাচ্ছে।
মার্কিন সিনেটে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এ আশায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিনেটের প্রতি তার ইমপিচমেন্টের বিচার প্রক্রিয়া বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে সিনেট এখনো তার আবেদনে সাড়া দেয় নি। ফলে তিনি এক রকমের চাপেই রয়েছেন।
এর আগে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পকে ইমপিচ করার প্রস্তাব পাস হয়। সেই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে সিনেটে পাঠিয়েছে প্রতিনিধি পরিষদ। কংগ্রেসের নিম্মকক্ষ প্রতিনিধি পরষদে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করে আসছেন- তিনি কোনো বেআইনি কিছু করেন নি বরং তার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ডেমোক্রেটদের শত্রুতার কারণে।

সিনেটে রিপাবলিকান দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় চূড়ান্তভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ইমপিচ করা হবে বলে মনে হয় না। সেখানে ন্যায্যতার চেয়ে দলীয় স্বার্থ প্রাধান্য পেতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আনা হয়েছে। প্রথমত, তিনি আমেরিকার বৈদেশিক সহায়তাকে ব্যবহার করে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজে নির্বাচিত হওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি এক্ষেত্রে ইউক্রেন সরকারের সহায়তা চেয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি যেন মার্কিন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করেন, এ জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিলেন।
জেলেনস্কি যাতে এই তদন্তে বাধ্য হন তাই তাকে দেয়া আমেরিকার অন্তত ৩৫ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তিনি এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সস্তা দর কষাকষি করতে জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
এছাড়া, ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের শুনানিতে গত বছর প্রথমে তিনি হোয়াইট হাউজের স্টাফদের সাক্ষ্য দেয়ার ক্ষেত্রে অস্বীকৃতি জানান। ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ, এর মধ্যদিয়ে সিনেটে বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করেছেন ট্রাম্প।#
পার্সটুডে/এসআইবি/২১