করোনাভাইরাস: বিশ্বব্যাপী মৃত বেড়ে ৫৭৪৬, ইউরোপের ৪ দেশে মৃত্যুর মিছিল
বিশ্বের ১৪৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ হাজার ৭৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ জন। এছাড়া, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান কেন্দ্রস্থল ইউরোপের পরিস্থিতি দিন দিন আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন ও ব্রিটেনে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮০৯ জনে। এছাড়া দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৭৪৭ জনে পৌঁছেছে।
ইতালির পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে স্পেন। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯২ জনে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ৮৪৭ জনে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে স্পেনে ১৫ দিনের জন্য ওষুধসহ জরুরি কেনাকাটা বা জরুরি কাজ ছাড়া মানুষকে ঘরের বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের স্ত্রী বোগোনা গোমেজও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে, ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৪২৩ জনে। দেশটিতে ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, সিনেমা হল, শপিংমলসহ বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে রাতে সব ধরনের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ব্রিটেনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মারা গেছে ১৪ জন। এছাড়া, আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ৩৭২ জনে পৌঁছেছে। দেশটিতে ৭০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ইউরোপের সরকারগুলো নাগরিকদের চলাচল সীমিত করেছে এবং সীমান্তেও কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
সোমবার সকাল থেকে ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক এবং লুক্সেমবার্গের সাথে সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে জার্মানি। স্পেনের সাথে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দিয়েছে পর্তুগাল।
চেক প্রজাতন্ত্র ঘোষণা দিয়েছে যে, জনগণ কাজে যাওয়া ও ফেরা, খাবার বা ওষুধ কেনা এবং জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে আত্মীয়দের বাড়িতে যেতে পারবে। এছাড়া অন্য যেকোনো ধরণের চলাচলে স্থানীয় সময় রোববার মধ্যরাত থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
সোমবার থেকে এক সাথে ৫ জনের বেশি মানুষের সমাগম নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রিয়া। ২৯শে মার্চ পর্যন্ত পাব বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে আয়ারল্যান্ড।
ইউরোপের সব দেশ থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ৬ মে পর্যন্ত আমেরিকান এয়ারলাইনসের ৭৫ ভাগ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্তও নিয়েছে মার্কিন সরকার। এছাড়া ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ইউরোপের ২৬ দেশের সঙ্গে নতুন করে ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডকে যুক্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।