ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ:
বিক্ষোভ দমনে ট্রাম্পের শক্তি প্রয়োগের হুমকিতে উদ্বিগ্ন পেন্টাগন
-
ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ
আমেরিকায় বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে বিশেষ করে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গকে শেতাঙ্গ পুলিশ যেরকম নির্মমভাবে হত্যা করেছে তার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বিক্ষোভ চলছে। ওই বিক্ষোভের ঘটনা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সংকটে ফেলে দিয়েছে।
তিনি বিক্ষোভ দমনে শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়েছেন এমনকি সেনা মোতায়েনেরও হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন। শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিশেষ করে সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে বিক্ষোভ দমনের বিষয়ে পেন্টাগন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ট্রাম্প গত সোমবার বলেছেন, নগর কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রাদেশিক কর্মকর্তারা যদি জনগণের জান মাল রক্ষায় পদক্ষেপ না নেয় তাহলে তিনি ১৮০৭ সালে গৃহীত আইন অনুযায়ী বিক্ষোভ দমনে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ব্যবহার করবেন। এর মানে হলো তিনি বিক্ষোভ দমনে আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশ ও শহরে সেনা মোতায়েন করবেন। গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে আমেরিকার জন্য এটা হবে নজিরবিহীন একটি ঘটনা।

প্রাদেশিক গভর্নরদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন: আমরা প্রবল শক্তিমত্তার সঙ্গে বিশৃঙ্ক্ষলা দমন করতে চাই। পেন্টাগনের কোনো কোনো কর্মকর্তার মাঝে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে গভীর অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা বলার চেষ্টা করছেন যে বিক্ষোভ দমনের সর্বশেষ কৌশল হলো সেনা মোতায়েন করা। সে রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে প্রাদেশিক গভর্নরদের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য-প্রমাণ এখনও পাওয়া যায় নি। আমেরিকার প্রাদেশিক গভর্নররা সাধারণত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, প্রশিক্ষিত বেসামরিক বাহিনী এবং ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীকেই বিক্ষোভ দমনের কাজে ব্যবহার করেন। সেনা ব্যবহারের অনুমতি তাদের নেই। কেবল প্রেসিডেন্টই তার ক্ষমতা ব্যবহার করে সেনা মোতায়েন করতে পারেন।

দেশের অভ্যন্তরে সেনা মোতায়েনের বিরোধী এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা স্থানীয় আইন প্রয়োগ করেই এই সমস্যা মোকাবেলার ওপর জোর দিয়েছেন। এদিকে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীর অনেক কর্মকর্তাও বিক্ষোভ দমনে তাদের নিয়োগ দেওয়ায় অসন্তুষ্ট। এরকম পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ দমনে ট্রাম্পের পদক্ষেপের সমালোচনা করছে স্বয়ং তার দল রিপাবলিকান পার্টির বহু গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এমনকি অনেক সিনেট সদস্যও। সিনেট মেম্বার বেন সাসি বলেছেন: বিক্ষোভ করা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। আমি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার বিরোধী। ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর চেক শুমারও বলেছেন: হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভকালীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্লাস্টিক বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করার ঘটনা নিন্দনীয়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বল প্রয়োগের মাধ্যমে বিক্ষোভ দমনের পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও জটিলতরো করে তুলবে।#
পার্সটুডে/এনএম/
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।