সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভেদ ক্রমেই বাড়ছে: ট্রাম্প-বাইডেন বাদানুবাদ চরমে
আর কিছুক্ষণ পরেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় শেষ হয়ে আসছে। শেষ মুহূর্তেও প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ এবং তাদের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একদল সমর্থক টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে অপর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের নির্বাচন প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত একটি বাস অবরুদ্ধ করলে দু'পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। নিজ সমর্থকদের অনাকাঙ্ক্ষিত এ আচরণের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক টুইটবার্তায় তাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে লিখেছেন, আমি টেক্সাসকে ভালবাসি।
এদিকে, অ্যাক্সিওস সাময়িকী এক নিবন্ধে লিখেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ মঙ্গলবার রাতে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তার বিজয়ের ঘোষণা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদি তিনি পরাজিত হন তাহলে ডেমোক্রেট দলের নেতা জো বাইডেনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ তুলবেন। মার্কিন নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ও বেশিরভাগ গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত কয়েক দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র নজিরবিহীন রাজনৈতিক উত্তেজনার কবলে পড়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদনে নির্বাচনী উত্তেজনার কারণে মার্কিন সমাজে গভীর সংকট ও বিভেদ সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে লিখেছে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সংঘাতের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি ভোট গণনার আগেই নিজের বিজয় দাবি করেন এবং তার সমর্থকদের যদি রাজপথে নেমে আসতে বলেন তাহলে পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
অবশ্য দুই দলের সমর্থকদের মুখোমুখি অবস্থান গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলে আসছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জো বাইডেন ও তার সমর্থকদেরকে সমাজতান্ত্রিক, পুঁজিবাদ বিরোধী, অভিবাসীদের সমর্থক এবং দুর্নীতিবাজ বলে অভিহিত করে বলেছেন, বাইডেন যদি ক্ষমতায় যেতে পারে তাহলে শুধু যে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে তাই নয় একইসঙ্গে মার্কিন জাতীয় পরিচিতি ও ধর্মও হুমকির মুখে পড়বে।
অন্যদিকে, জো বাইডেনের সমর্থকরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার সমর্থকদেরকে ফ্যাসিস্ট, বর্ণবাদী এবং সাম্প্রদায়িক বলে অভিহিত করেছেন। তারা এও বলেছেন, ট্রাম্প যদি ফের ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশটি গৃহযুদ্ধে পতিত হবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দু'পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাদানুবাদের মাত্রা এতটাই বেশি যে, ধারণা করা হচ্ছে নির্বাচনী ফলাফল শেষ পর্যন্ত সামাজিক সহিংসতা বা সংকটে রূপ নিতে পারে। নির্বাচনী বিবাদ মার্কিন সমাজে তীব্র রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটের জন্ম দিতে পারে। #
পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/২