ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধির জন্য নারীর অশালীন পোশাকও দায়ী: ইমরান খান
সমাজে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধির পেছনে নারীর অশালীন পোশাকও দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
তিনি এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘সমাজে ধর্ষণের ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়ে চলেছে। আর যেকোনো সমাজেই ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি ইঙ্গিত দেয় যে সেখানে অশ্লীলতা বেড়ে গেছে।’ এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নারীদের শালীন পোশাক পরার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘পর্দা করার সারবস্তুই হলো আকর্ষণ করা থেকে বিরত থাকা। নিজেকে বিরত রাখার ইচ্ছাশক্তি সবার নেই।’ তার মতে, কেবল আইন দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
পাকিস্তানের কোনো কোনো মহল এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানালেও ইসলামী চিন্তাবিদেরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে তারা একমত। ইসলাম নির্দেশিত পোশাক কোড মেনে চললে ধর্ষণের ঘটনা হয়তো এভাবে বাড়ত না।
পাকিস্তানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আলেম বলেছেন, ইমরান খান শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ। দেশের সার্বিক অবস্থা বিশ্লেষনের পরই তিনি এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ইমরান খান ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ব্রিটেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরও ছিলেন। ক্রিকেট খেলতে গিয়ে গোটা বিশ্ব সফর করেছেন। এখনও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইউরোপ-আমেরিকাসহ গোটা বিশ্ব সফর করছেন। পাশ্চাত্যে অশালীনতার ফলে যেসব সংকট দেখা দিয়েছে তা তিনি সাধারণ মানুষের চেয়ে ভালো বুঝেন, জানেন।
মুসলিম সমাজেও পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির প্রভাব ও পশ্চিমা ঢঙের পোশাক যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তা সত্যিই উদ্বেগজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন। তার মতে, ইমরান খান রোগের কারণ নির্ণয় করতে পেরেছেন।
এই আলেমের মতে, হিজাব বা পর্দা মেনে চলার পাশাপাশি যদি সমাজের মানুষে অশ্লীল চলচ্চিত্রসহ নানা উপাদান থেকে দূরে থাকে তাহলে ধর্ষণের মতো অন্যায় কর্মকাণ্ড কমে আসতে বাধ্য। তিনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।#
পার্সটুডে/এসএ/৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।