ইমাম খোমেনির বক্তব্য:
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে সমাজ গঠনে নারীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
-
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের মহান প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী (রহ.)
পার্স টুডে - ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের মহান প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী (রহ.) বলেছেন: "ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলামী সমাজ গঠনে নারীদের একটি সংবেদনশীল ভূমিকা রয়েছে।"
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের মহান প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী (রহ.) ৯ নভেম্বর, ১৯৭৮ তারিখে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একজন প্রতিনিধির সাথে এক সাক্ষাৎকারে নারীর বিষয়ে ইরানের ভবিষ্যৎ এবং ইসলামী সমাজ গঠন সম্পর্কে কথা বলেছিলেন।
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে, নারীরা একটি ইসলামী সমাজ গঠনে একটি সংবেদনশীল ভূমিকা পালন করে এবং ইসলাম নারীদের এমন এক পর্যায়ে উন্নীত করে যেখানে তারা সমাজে তাদের মানবিক মর্যাদা ফিরে পেতে পারেন এবং বস্তু হওয়ার সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে, তারা একটি ইসলামী সরকার -কামাঠোর নানা ক্ষেত্রে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন।
নারীরা মানুষ গড়ার কারিগর
ইরানের ইসলামী প্রজাতন্ত্রের মহান প্রতিষ্ঠাতা ১৩ মার্চ, ১৯৭৮ সালে কোমের নারীদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে আরও বলেছিলেন: পুরুষদের জাতিসমূহের উপর অধিকার রয়েছে এবং নারীদের আরও বেশি অধিকার রয়েছে।
নারীরা সাহসী পুরুষদের নিজ আঁচলের ছায়াতলে গড়ে তুলেন বা বড় করেন। পবিত্র কুরআন মানব-গঠন করে, এবং নারীরাও মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেন। নারীর কর্তব্য হলো মানুষকে মানুষ করা।
নবীদের কর্তব্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মায়েদের কর্তব্য
এই বিষয়ে, ইমাম খোমেনী (রহ.) ১৬ জুলাই, ১৯৭৯ তারিখে ইসলামিক হেলথ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে জোর দিয়ে বলেছিলেন, নবীগণ এসেছেন মানুষকে সংশোধন করতে; পরিশুদ্ধ করতে, পবিত্র করতে; সংস্কার করতে। এটাই নবীদের কাজ, আর এটাই মায়েদের কাজ হওয়া উচিত তাদের কোলের শিশুদের প্রতি।
ইসলামী আন্দোলনে ইরানি নারীদের ব্যাপক অবদান
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের মহান প্রতিষ্ঠাতা ১৩৫৮ হিজরির ২১শে এপ্রিল কাশানের নারীদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে বলেছিলেন: আপনারা ইরানের নারীরা প্রমাণ করেছন যে এই আন্দোলনের অগ্রযাত্রায় আপনারা শরিক হয়েছিলেন। আমাদের ইসলামী আন্দোলনে আপনাদের বিরাট অবদান রয়েছে। আপনারা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ ভরসা বা পৃষ্ঠপোষক। আপনারাই গড়ে তোলেন মহান পুরুষ ও নারী। আপনাদের কোলেই বড় হয় তথা সুশিক্ষিত হয় মহান পুরুষ ও নারী। আপনারা জাতির প্রিয়জন; আপনারা জাতির পৃষ্ঠপোষক। আপনাদেরকে পড়াশোনার মাধ্যমে নৈতিক ও ব্যবহারিক নানা গুণাবলীতে সুসজ্জিত হতে হবে। আমাদের দেশের ভবিষ্যতের জন্য আপনাদের উচিত শক্তিশালী যুব সমাজকে গড়ে দোলা ও তাদের শিক্ষিত করা। আপনাদের কোল এমন একটি স্কুল যেখানে মহান যুবকরা গড়ে ওঠে বা প্রশিক্ষিত হয়। তাই আপনাদের উচিত এমন গুণাবলী চর্চা করা বা অর্জন করা যাতে ভবিষ্যত সন্তানরা আপনাদের তত্ত্বাবধানে সুশিক্ষিত হতে পারে। #
পার্স টুডে/এমএএইচ/১৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।