পত্রপত্রিকার পাতা
'কমিশন নয়, নির্বাচনকালীন সরকারই মূল বিষয়'
একনজরে ঢাকা ও কোলকাতার পত্রপত্রিকার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ১৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- কমিশন নয়, নির্বাচনকালীন সরকারই মূল বিষয়-প্রথম আলো
- বাংলাদেশসহ ৯ দেশের গুম খতিয়ে দেখেছে জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ-মানবজমিন
- বিএনপির বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের অর্থপাচারের অভিযোগ জয়ের-ইত্তেফাক
- রেমিট্যান্স নির্ভরতায় ঝুঁকি বাড়ছে অর্থনীতিতে-যুগান্তর
- পায়ে লিখে চারবার জিপিএ-৫, তামান্নাকে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানার ফোন-কালের কণ্ঠ
ভারতের শিরোনাম:
- জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে কংগ্রেস! ৪৬ বছর পর ‘হাত’ ছাড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী– সংবাদ প্রতিদিন
- পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে নতুন করে দোষী সাব্যস্ত লালুপ্রসাদ যাদব, ফিরতে পারেন জেলে -আজকাল
- সর্বস্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এই বাজেট’, বললেন প্রধানমন্ত্রী-আনন্দবাজার পত্রিকা
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. বিএনপিই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের উদ্ধৃতি দিয়ে এই শিরোনাম করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। কী বলবেন আপনি?
২. মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন নাটকীয়ভাবে বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কিয়েভ থেকে পোল্যান্ড সীমান্তবর্তী লাভিভ শহরে দূতাবাস সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। বাস্তবতা আসলে কী?জনাব সিরাজুল ইসলাম আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:
কমিশন নয়, নির্বাচনকালীন সরকারই মূল বিষয়-প্রথম আলো
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর, আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো এবং আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট আলী রীয়াজ তার মতামত কলামে লিখেছেন, কমিশন নয়, নির্বাচনকালীন সরকারই মূল বিষয়। কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। গত রোববার একটি অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেছেন, তিনি সফল হয়েছেন। তাঁর এ সাফল্যের মাপকাঠি কী, সেটা তিনি নিশ্চয় একসময় আমাদের জানাবেন। কিন্তু ইতিমধ্যে আমাদের সামনে গত পাঁচ বছরে কমিশনের কার্যকলাপের ফিরিস্তি আছে। সেদিকে তাকালে সাফল্যের ইঙ্গিত দেখতে পাই না; উপরন্তু দেখতে পাই যে সাংবিধানিক একটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালনে তিনি এবং তাঁর সহযোগীরা কেবল ব্যর্থ হয়েছেন তা-ই নয়, দিনের ভোটকে রাতের কাজে পরিণত করছেন। তদুপরি তাঁরা এই পাঁচ বছরে গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থার ব্যাপারে নাগরিকদের মধ্যে অনাস্থা তৈরি করতে পেরেছেন। নির্বাচন বিষয়ে এসব অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার অন্যতম বিষয় হচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে অচিরেই একটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানকে শূন্য রেখে দেশ চালানো যাবে না। সংবিধানে একটি নির্বাচন কমিশন রাখার বিধান আছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং ভবিষ্যতে সময়মতো নির্বাচন করা ক্ষমতাসীনদের কেবল সাংবিধানিক দায়িত্ব নয়, রাজনৈতিক প্রয়োজনও। যেসব দেশে হাইব্রিড রেজিম বা গণতন্ত্র ও কর্তৃত্ববাদের মিশেলে একধরনের দো–আঁশলা ব্যবস্থা চালু আছে, সেখানকার শাসকদের নির্বাচন করা খুবই জরুরি। কেননা নির্বাচনই হচ্ছে তাঁদের ক্ষমতার বৈধতা দেওয়ার উপায়। সব হাইব্রিড রেজিম এক ধরনের নয়—এ ধরনের শাসনের দুটি রূপ আছে। একটি হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনী কর্তৃত্ববাদ, আরেকটি হচ্ছে একচেটিয়া নির্বাচনী কর্তৃত্ববাদ।
সারা বিশ্বের অভিজ্ঞতা বলে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনী কর্তৃত্ববাদী শাসনে পুরো ব্যবস্থাটি দমন-পীড়নমূলক হলেও এবং গণমাধ্যমের ওপরে বিভিন্ন ধরনের নিয়ন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে একধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করে। ক্ষমতাসীনেরা চান এ অনিশ্চয়তা দূর করতে নির্বাচনে কারচুপি করতে। তাঁরা চান প্রত্যক্ষ কারচুপি এড়িয়ে যেন নির্বাচনে জিতে আসা যায়। আর সেই লক্ষ্যে তাঁদের চেষ্টা হয় নির্বাচন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানের ওপরে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। পক্ষান্তরে আধিপত্যবাদী নির্বাচনী কর্তৃত্ববাদের ক্ষেত্রে নির্বাচনের কারচুপি এমনভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করা হয়, যাতে প্রতিযোগিতা অকেজো হয়ে পড়ে এবং কাঠামোগতভাবেই অনিশ্চয়তা দূর হয়।
পরপর দুটি একচেটিয়া নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনেরা নির্বাচনী ব্যবস্থাটি এমন এক জায়গায় নিয়ে গেছেন, যেকোনো ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ থাকলেও তা নির্বাচনী ফলাফলের ওপরে তার প্রভাব পড়বে না। নূরুল হুদা কমিশনের সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে এ প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ। ২০১৮ সালের নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, বেসামরিক প্রশাসন, সরকারি দলকে একত্রে কাজ করতে সহযোগিতা করার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে এ রূপ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের হাতে ক্ষমতার ঘাটতি ছিল না, তারা চাইলে তা ঠেকাতে পারত। কিন্তু তাদের লক্ষ্যই ছিল নির্বাচনী ব্যবস্থাকে এ ধরনের রূপ দেওয়ার। এর একটি অন্যতম দিক হচ্ছে নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা ধ্বংস করে দেওয়া। যার প্রমাণ হচ্ছে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণের হার। এ বিবেচনায় নূরুল হুদা কমিশন আগের যেকোনো নির্বাচন কমিশনের তুলনায় নির্বাচনী ব্যবস্থার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পেরেছে। রকিবউদ্দীন কমিশন ২০১৪ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এ পথ প্রশস্ত করেছিল, কিন্তু হুদা কমিশনের হাতেই এ অবস্থার বাস্তবায়ন হয়েছে।
বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই নির্বাচন কমিশন গঠিত হচ্ছে। সেই কমিশন বিরোধীদের আস্থা অর্জন করতে পারবে—এমন মনে করার কারণ নেই, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি তা বলে না। নির্বাচন কমিশনের কাছে আইনিভাবে ক্ষমতার অভাব নেই। কিন্তু তার প্রয়োগ করার জন্য যে দৃঢ়তার প্রয়োজন, সেটা দেখার মতো ব্যক্তিরা কমিশনের প্রধান বা সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য হবেন না, সেটা বোঝার জন্য রকেটবিজ্ঞানী হতে হয় না।
বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনদের জন্য এখন দরকার নির্বাচন করার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে পারে, এমন একটি কমিশন। সেই কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতার নিশ্চয়তা বিধান করা। এ পটভূমিকাতেই দেশের ত্রয়োদশ নির্বাচন কমিশন গঠনের আয়োজন। এ নিয়ে আলাপ-আলোচনার দিকে তাকালেই বোঝা যায়, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও বেশি করে এ আলোচনা হোক, সেটাই হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে ক্ষমতাসীনেরা অনেকটাই সফল হয়েছে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এটাও আলোচিত হচ্ছে যে নির্বাচন কমিশন ভালো হওয়া না-হওয়ায় আদৌ কোনো লাভ হবে কি না।
সবার কাছে এটাই প্রশ্ন যে কমিশনের অধীন নির্বাচন হবে, তা কি প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন হবে, নাকি ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে যে ধরনের ‘নির্বাচন’ হয়েছে, তারই পুনরাবৃত্তি হবে। যে কমিশন গঠন হবে, তার পক্ষে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য যা দরকার, সেই অবস্থা তৈরি হবে কি না, সেটাই হচ্ছে বড় প্রশ্ন। নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। কেবল ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ দলগুলোর মনোনয়ন তালিকা হাতে নিয়ে অনুসন্ধান কমিটি কতটা নিরপেক্ষ হতে পারবে, সেটা সহজেই বোধগম্য। বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনায় যেসব বিষয় উত্থাপিত হয়েছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে কমিশন গঠনের ব্যাপারে অতীতে অভিজ্ঞতা তাঁদের আশাবাদী করে না। তাঁরা তাঁদের প্রত্যাশার কথা বলেছেন। কিন্তু অনুসন্ধান কমিটি যদি তা বিবেচনায়ও নেয়, তবু ফলোদয় হবে না। কেননা তাঁদের হাতের তালিকা থেকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে, আর সেই তালিকার উৎস কোথায়, কীভাবে তা জানার উপায় নেই। যে বিশিষ্টজনেরা এসব পরামর্শ দিচ্ছেন, তাঁরা নিজেরাও এ বিষয়ে সম্যকভাবে অবহিত। নাগরিক সমাজের অংশ হিসেবে তাঁদের দায়িত্ব হিসেবে তাঁরা এই কথাগুলো বলছেন।
বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এ কমিশন গঠিত হচ্ছে। সেই কমিশন বিরোধীদের আস্থা অর্জন করতে পারবে—এমন মনে করার কারণ নেই, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি তা বলে না। নির্বাচন কমিশনের কাছে আইনিভাবে ক্ষমতার অভাব নেই। কিন্তু তার প্রয়োগ করার জন্য যে দৃঢ়তার প্রয়োজন, সেটা দেখার মতো ব্যক্তিরা কমিশনের প্রধান বা সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য হবেন না, সেটা বোঝার জন্য রকেটবিজ্ঞানী হতে হয় না। নির্বাচন কমিশনের অনুসন্ধান কমিটি গঠন থেকে এ কমিটির সঙ্গে আলোচনার সময় যেটা আরও বেশি স্পষ্ট হয়েছে, তা হচ্ছে এসব প্রক্রিয়া তখনই অর্থবহ হবে, যখন নির্বাচনের সময় এমন সরকার থাকবে, যারা নির্বাচনকে ক্ষমতায় থাকা বা ক্ষমতায় যাওয়ার বিষয় হিসেবে দেখছে না।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে এখন যে আলোচনা হচ্ছে, সেখানে এ আলোচনাই মুখ্য হওয়া দরকার যে হুদা কমিশনের হাতে নির্বাচনী ব্যবস্থার যে ভয়াবহ ক্ষতি সাধিত হয়েছে, সেটি আরেকটি নির্বাচন কমিশন করলেই সমাধান হবে না। সেই সমাধান করার উপায় হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে আলোচনা করা। নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়কে পাশ কাটিয়ে নির্বাচন কমিশনের আলোচনা বেশি দূর অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ক্ষমতাসীনেরা সেই আলোচনা করতে আগ্রহী নয়, সেটার কারণ বোধগম্য; কিন্তু বিরোধী দলগুলো সে বিষয়ে নিজেদের ভেতরে ঐকমত্য তৈরি করতে পারছে কি না, সেটাই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যতে কোন ধরনের নির্বাচন হবে, নির্বাচন কমিশন কী ভূমিকা রাখবে।
নিরাপদ রুট কক্সবাজার: অভিনব কায়দায় ঢুকছে ইয়াবা-মানবজমিন
ইয়াবার নিরাপদ রুট কক্সবাজার সীমান্ত। নানা কৌশলে অভিনব কায়দায় বানের মতো ঢুকছে ইয়াবা। কক্সবাজারে মোটরসাইকেলের ট্যাংকে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে ইয়াবা পাচারকালে ১৯ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন রামু বাইপাস মোড় হতে তাকে আটক ও ইয়াবাগুলো জব্দ করা হয়। জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দেশে ভয়ংকর মাদক ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ইয়াবার প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে অত্যাধুনিক সেন্সর ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদর দপ্তরে ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
পায়ে লিখে চারবার জিপিএ-৫, তামান্নাকে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানার ফোন-কালের কণ্ঠ
যশোরের ঝিকরগাছায় পা দিয়ে লিখে পরীক্ষায় টানা চতুর্থবার জিপিএ-৫ পাওয়া অদম্য তামান্না আক্তার নূরার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। গত ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাসহ দুটি স্বপ্নের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি লিখেছিলেন তামান্না। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে গত সোমবার সন্ধ্যায় ও বিকেলে পৃথক দুটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে কল দিয়ে তামান্নাকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। একই সঙ্গে তামান্নার স্বপ্নপূরণে সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বিএনপির বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের অর্থপাচারের অভিযোগ জয়ের-ইত্তেফাক
বিএনপি’র বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের অর্থপাচারের অভিযোগ উত্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বৈশ্বিক বেশ কিছু সংস্থার প্রকাশিত তথ্যকে ভিত্তি করে তৈরি এক ভিডিও পোস্ট করে এই দাবি জানান তিনি।
‘কে, কিভাবে, কখন এবং কোথায় অর্থপাচার করেছে বাংলাদেশ থেকে’ এমন প্রশ্ন করে তিনি বিএনপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ২০০১-৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি বড় অঙ্কের অর্থপাচার করেছে।
সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক জিয়া তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকা প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় এফবিআই’র এক কর্মকর্তা তারেক জিয়ার অর্থ পাচার মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান (কোকো) ২০০১-৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সিঙ্গাপুরে বড় অঙ্কের অর্থ পাচার করেছেন। তার মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থের মধ্য থেকে তিন ধাপে ৩০ লাখ সিঙ্গাপুর ডলার ফেরত আনতে সক্ষম হয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার দুর্নীতির তথ্য এফবিআই ওয়েব সাইটেও রয়েছে বলে মন্তব্য করেন সজীব ওয়াজেদ।
প্যারাডাইজ পেপারেও অসংখ্য বিএনপি নেতার নাম এসেছে। তাদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা আব্দুল আওয়াল মিন্টু এবং তার স্ত্রীসহ তিন ছেলের নাম রয়েছে। সজীব ওয়াজেদ বলেন, বিশ্বের যেখানেই দুর্নীতি নিয়ে কোন তদন্ত হয়েছে সেখানেই বিএনপি নেতাদের নাম উঠে এসেছে।
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে কংগ্রেস! ৪৬ বছর পর ‘হাত’ ছাড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সংবাদ প্রতিদিন
জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের রক্তক্ষয় অব্যাহত। এবার হাত শিবির ছাড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অশ্বিনী কুমার (Ashwani Kumar)। পাঞ্জাব ভোটের আগে অশ্বিনীর এই দলত্যাগ কংগ্রেসের জন্য বড়সড় ধাক্কা হতে পারে।জননেতা না হলেও অশ্বিনী কুমার কংগ্রেসের তাত্ত্বিক নেতাদের মধ্যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ৪৬ বছর ধরে তিনি যুক্ত ছিলেন হাত শিবিরের সঙ্গে। পাঞ্জাব থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন অশ্বিনী। বেশ কিছুদিন ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। কংগ্রেসের (Congress) জাতীয় মুখপাত্র হিসাবেও কাজ করেছেন। কিন্তু মঙ্গলবার দলের সঙ্গে ৪৬ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা।ঘনিষ্ঠমহলে অশ্বিনী জানিয়েছেন, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে। গত কয়েকটি নির্বাচনে লাগাতার হাত শিবিরের ভোটের হার কমাটাই তার প্রমাণ। কিন্তু কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সেটা স্বীকার না করে মানুষের থেকে আরও দূরে চলে যাচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশে কঠিন যুদ্ধ বিজেপি-র, তবে পদ্ম ফিরলেও যোগী ফিরবেন তো? জল্পনা চলছে সর্বত্র-আনন্দবাজার পত্রিকা
বিজেপি উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় না ফিরলে আদিত্যনাথ লখনউয়ের তখ্তে ফিরবেন না, এটা তো সহজই। কিন্তু মোচড়টা হল, বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলেও আদিত্যনাথ না-ও ফিরতে পারেন। এর কারণ হিসেবে মোটামুটি তিনটি কথা শোনা যাচ্ছে। প্রথমত, আদিত্যনাথের উপর ইদানীং বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব খুব সন্তুষ্ট নন। কারণ, আদিত্যনাথের কারণে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ উত্তরপ্রদেশে প্রচুর সমস্যায় পড়েছেন। রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরলেও আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হলে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে আগামী দু’বছর উত্তরপ্রদেশে আদিত্যনাথ আরও বড় ‘বোঝা’ হয়ে উঠতে পারেন। দ্বিতীয়ত, আদিত্যনাথ তাঁর পাঁচ বছরের শাসনকালে দলিতদের দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের জনতার একাংশ প্রকাশ্যেই বলতে শুরু করেছে যে, এটা ঠাকুরদের সরকার হয়ে গিয়েছে। এ বার ‘ঠাকুররাজ’ হটাতে হবে। তৃতীয়ত, যোগী যে ঠাকুর এবং ক্ষত্রিয়দের পছন্দ করেন, তা তিনি খোলাখুলিই বলেন। যে কারণে যোগীকে সমাজে একটা বড় অংশ অপছন্দও করে। সেই কারণেই, বিজেপি ফিরলেও আদিত্যনাথ ফিরবেন এমনটা নাকি এখনই বলে দেওয়া যাচ্ছে না।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে নতুন করে দোষী সাব্যস্ত লালুপ্রসাদ যাদব, ফিরতে পারেন জেলে -আজকাল
পঞ্চম পশুখাদ্য মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হলেন লালুপ্রসাদ যাদব।
আরজেডি-র প্রতিষ্ঠাতা এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দোরান্দা ট্রেজারি থেকে বেআইনিভাবে ১৩৯.৩৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছিলেন। এর আগের চারটে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন লালু। আজ ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত পাঁচ নম্বর মামলাতেও একই ঘটনা ঘটল।
আজ সকালে আদালতে বিচারপতি সিকে শশী রায় পড়ে শোনানোর সময় উপস্থিত ছিলেন লালুপ্রসাদ। এর আগের চারটে মামলাতেও প্রচুর অর্থ লোপাটের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তাতে প্রায় ৯৫০ কোটি টাকা কেলেঙ্কারির কথা জানা গেছিল। চাইবাসা ট্রেজারি থেকে ৩৭.৭ কোটি এবং ৩৩.১৩ কোটি, দেওঘর ট্রেজারি থেকে ৮৯.২৭ কোটি এবং দুমকা ট্রেজারি থেকে ৩.৭৬ কোটি টাকা বেআইনিভাবে তোলা হয়েছিল। দুমকার কেসে দোষী সাব্যস্ত হয়ে লালুপ্রসাদকে ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
এর আগের চারবার আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন লালু, এবারও সেই পথেই হাঁটবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে জেল খেটেছেন ৭৩ বছর বয়সি নেতাটি। তবে তার বেশিরভাগ সময়টাই অসুস্থ হয়ে রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স কেটেছে। গত জানুয়ারিতে শরীর আরও খারাপ হওয়ায় দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। তবে নতুন মামলায় যদি ৩ বছরের বেশি কারাবাস হয় তবে ফের জেলে ফিরতে হবে লালুকে। #
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৫