মার্চ ০১, ২০২২ ১৪:৫৯ Asia/Dhaka
  • কিয়েভের পথে রাশিয়ার ৪০ মাইল দীর্ঘ সেনা বহর

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১ মার্চ মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম:

  • রুশ হামলায় ৭০ সেনা নিহতের দাবি ইউক্রেনের -প্রথম আলো
  • কিয়েভের পথে রাশিয়ার ৪০ মাইল দীর্ঘ সেনা বহর-কালের কণ্ঠ
  • ডা. জাফরুল্লাহ বিএনপির কেউ নয়: মির্জা ফখরুল-যুগান্তর
  • রাশিয়ায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি ঝুঁকিতে-মানবজমিন
  • পুরুষদের রেখে ইউক্রেন ছাড়ছে নারী ও শিশুরা-ইত্তেফাক
  • ইউক্রেনে ৬ষ্ঠ দিনের যুদ্ধ নিয়ে যা জানাল ‍ব্রিটিশ গোয়েন্দারা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে ভারত, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়া ও ইউক্রেনকে হিংসা থামানোর বার্তা নয়াদিল্লির-সংবাদ প্রতিদিন
  • পুতিনকে সমর্থন করলে ‘ফল ভুগতে হবে’ বেলারুশকে, হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • চক্রব্যূহ করে এগোচ্ছে রুশ সেনা, নাগরিকদের আজই কিয়েভ ছাড়ার নির্দেশ ভারতের -আজকাল

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

রুশ হামলায় ৭০ সেনা নিহতের দাবি ইউক্রেনের -প্রথম আলো-

ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সুমি অঞ্চলের ওখতিরকা শহরে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি দলের ওপর হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। গত রোববারের ওই হামলায় ৭০ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন। খবর বিবিসির। সুমি অঞ্চলের স্থানীয় প্রশাসনের প্রধান দিমিত্র ঝিভিৎস্কি বলেন, ইউক্রেনীয় সেনাদলের ওপর রাশিয়া গোলা হামলা চালিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ইতিমধ্যে ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে ঢুকে পড়েছে তারা। বিভিন্ন শহরের রাস্তায় দুই পক্ষের মধ্যে লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। দিমিত্র ঝিভিৎস্কি বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে ইউক্রেনের সেনাদের মৃতদেহ বের করে আনতে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা। ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারকাজের একটি ছবি ইউক্রেনের যোগাযোগবিষয়ক অ্যাপ টেলিগ্রামে প্রকাশ করেছেন তিনি।

অ্যাপ টেলিগ্রামে ঝিভিৎস্কি লিখেছেন, ‘৭০ জন ইউক্রেনীয় সেনাকে সমাহিত করার জন্য সমাধিস্থল প্রস্তুত করা হচ্ছে।’ শত্রুপক্ষও কর্মফল ভোগ করছে উল্লেখ করে ঝিভিৎস্কি আরও বলেন, শহরের রাস্তায় রুশ সেনাদের অনেক মরদেহ পড়ে ছিল। মরদেহগুলো রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।

তবে দিমিত্র ঝিভিৎস্কির বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি।

কিয়েভের পথে রাশিয়ার ৪০ মাইল দীর্ঘ সেনা বহর-কালের কণ্ঠ

ইউক্রেনে রুশ হামলা বন্ধ নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও যুদ্ধ থেমে নেই। বরং স্যাটেলাইট চিত্রে রাজধানী কিয়েভের পথে রাশিয়ার ৪০ মাইল দীর্ঘ এক সেনা বহর দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শত শত ট্যাংক ও কামান। সোমবার বিকেলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা বেলারুশের এক সীমান্ত শহরে আলোচনায় বসেন।

তাদের আলোচনা বিষয়ে বিশদ জানানো হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আবার সংলাপে বসবে দুই পক্ষ। আলোচনা চলার সময়ও কিয়েভ ও খারকিভ শহরে যুদ্ধ তৎপরতা চলছিল। এর মধ্যে রবিবার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রকেট হামলায় বেশ কিছুসংখ্যক বেসামরিক লোকের প্রাণহানি হয়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এ ধরনের হামলার জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তোলার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।

রাজধানী কিয়েভের মানুষ দুইদিনের কারফিউ শেষ হওয়ার পর কেনাকাটাসহ বিভিন্ন কাজে বাইরে বের হয়। তবে রাতেই আবার গোলা এসে পড়তে থাকায় তাদের আবার পাতাল রেলস্টেশনসহ ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে ছুটতে হয়। সূত্র: বিবিসি।

ডা. জাফরুল্লাহ বিএনপির কেউ নয়: মির্জা ফখরুল-যুগান্তর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য বিএনপির নয়। তিনি বিএনপির কেউ নয়।

তিনি বলেছেন, অনেকেই বলাবলি করছেন ডা. জাফরুল্লাহ এ নির্বাচন কমিশনকে অনেক ভালো বলেছেন, আপনারাও মেনে নেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল সাফ জানিয়ে দেন, ডা. জাফরুল্লাহর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। এটা তার নিজস্ব মন্তব্য। ডা. জাফরুল্লাহ সবার শ্রদ্ধার মানুষ, জ্ঞানী মানুষ। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি বিএনপির পক্ষে কথা বলার কেউ নন।

সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর নতুন বাজারের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে সর্বত্র পণ্য সরবরাহের দাবিতে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন যেটাই হোক আমরা তাতে বিশ্বাস করি না। কারণ আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনের সময় সরকারে থাকে, তাহলে কোনো নির্বাচন কমিশনই সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। আওয়ামী লীগ একটি প্রতারক দল, মিথ্যাবাদী ও অত্যাচারী দল। নির্বাচন কমিশনের তালবাহানা আর মুলা দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। 

ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ এবং যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলীর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, শরীফুল আলম প্রমুখ।

বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান জাফরি তুহিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা, মাহবুবুর রহমান লিটন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার, শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুর রহমান রুবেল, নেত্রকোনা বিএনপির আহবায়ক ডা. আনোয়ার হোসেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক কাজী রানা, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু, আলমগীর মাহমুদ আলম, ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, মহানগর যুগ্ম-আহবায়ক শাহ শিব্বির আহমেদ বুলু, একেএম মাহবুবুল আলম, কায়কোবাদ মামুন, অ্যাডভোকেট এমএ হান্নান।

বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে আওয়ামী লীগ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেন, এরা নির্বাচন করবে কিন্তু মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারে তাও নিশ্চিত করতে। তারা তাদের মতো করে সিল মেরে কিংবা ইভিএম দিয়ে ভোট নিয়ে তাদের সরকার তৈরি করবে। অর্থাৎ তারা ক্ষমতায় থাকবে ঠিকই, শুধু তারা দেখাবে যে নির্বাচন করেছি।

বিচার ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করা হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার যা হুকুম দেয় তাদের তাই করতে হয়। বেগম খালেদা জিয়ার মামলা একটি মিথ্যা মামলা। যার কোনো সত্যতা নাই। অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা, সেখানে একটা মামলাও হয় না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দলের এবং অঙ্গ সংগঠনের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওয়ার্ড থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত , এমন কোনো নেতা নাই যার বিরুদ্ধে ১০ থেকে ১৫টা করে মামলা নেই। পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য তারা এলাকা ছেড়ে ঢাকায় গিয়ে রিকশা-ভ্যান চালায়, হকারি আর নৈশ্যপ্রহরীর কাজ করে।

সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো সময় আছে চাল-ডাল-তেল, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কমান। জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে জনগণের হাতে ক্ষমতা দিন। এই দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। সরকারে থেকে একটি ইলেকশন দিয়ে ভোট নিয়ে চলে যাবেন সেই কাজ এবার আর হবে না। তিনি আগামী দিনের লড়াই-সংগ্রামে রাজপথে থেকে নেতাকর্মীদের আন্দোলনে থাকার আহবান জানান।

পুরুষদের রেখে ইউক্রেন ছাড়ছে নারী ও শিশুরা-ইত্তেফাক

ইউক্রেনের প্রতিবেধী রাষ্ট্র হাঙ্গেরির একটি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে গাদাগাদি করে আশ্রয় নিয়েছে দুই ডজন পরিবার। সেখানে থাকা শিশুরা খেলা করছে স্থানীয়দের দেওয়া খেলনা দিয়ে। কয়েক মুহূর্তের জন্য হলেও ইউক্রেনে চলা যুদ্ধ যেন ভুলে গেছে তারা।

বিবিসির প্রতিবেদনে, ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনের মধ্যেই গত শুক্রবার থেকে এভাবে প্রায় ৮৪ হাজার ৫৭১ জন ইউক্রেনীয় হাঙ্গেরিতে আশ্রয় নিয়েছে। ৭ বছর আগে হাজার হাজার আশ্রয়প্রার্থীর জন্য খুব কম কিছু করতে পারা হাঙ্গেরির বাসিন্দারা এবার হৃদয় উজাড় করে দিয়েছে। আশ্রয় নেওয়া বহু নারীর মধ্যে কেবল জুলিয়াই তার স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পেরেছেন। কারণ তার বেলারুশের নাগরিকত্ব রয়েছে।

এই যুগল সীমান্ত অতিক্রম করতে গিয়ে ভয়ে ছিলেন যে, তাদের হয়তো ফেরত পাঠানো হবে। কারণ, তাদের ঠিক সামনেই ইউক্রেনীয় এক পুরুষকে দেশ ছাড়তে দেওয়া হয়নি। যদিও তার সঙ্গে ১৩ বছরের মেয়ে ছিল। জুলিয়া জানান, ‘তাদের সঙ্গে কি হয়েছিল তা জানা নেই।’ জুলিয়া এবং তার স্বামীর পালা যখন আসে তখন শুল্ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সামান্য বিবাদে হয় তাদের। পরে শুল্ক কর্মকর্তারা অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের যেতে দিয়েছেন। তারা তাদের বিড়ালটাকেও সঙ্গে নিতে পেরেছেন।

জুলিয়া বলেন, ‘জীবনটাকে একটু স্যুটকেসে ভরে ফেলা আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল।’ খারকিভের আরেক বাসিন্দা আন্না জানান, তিনি বিশ্বাস করেন তার দেশ আবারও সুখী হবে। তবে ত্রাণকর্মীদের আশঙ্কা পরিস্থিতি ভালো হয়ে ওঠার আগে আরও বেশি খারাপ হবে।

রাশিয়ায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি ঝুঁকিতে-মানবজমিন

ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের জন্য রাশিয়াকে শাস্তি দিতে দেশটির উপরে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। এমন প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার উপরে দেয়া নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক লেনদেনের মাধ্যম সুইফট থেকে রুশ ক্রেতাদের বহিস্কার করা হলে বাংলাদেশ তার পোশাক রপ্তানির অন্যতম প্রধান একটি গন্তব্য হারাবে।ডেইলি স্টারের এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনে হামলা করায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠিনতম নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। এরমধ্যে আছে দেশটির কয়েকটি ব্যাংককে সুইফট সিস্টেম থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া।

এই ব্যবস্থাটি দ্রুত আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের রুশ আমদানিকারকদের থেকে পেমেন্ট পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যাবে।রাশিয়ায় বাংলাদেশি পোশাকের বাজার ক্রমশ বড় হচ্ছে।রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাবে, এই অর্থ বছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে রাশিয়ায় ৪১৫.৪৭ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।এর আগের বছরের তুলনায় যা ৩৬.৪৭ শতাংশ বেশি। গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ ৫৯৩.৫৫ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে রাশিয়ায়। এরমধ্যে নিটওয়্যার পণ্য ছিল ৩৭৩.২৫ মিলিয়ন ডলারের এবং ওভেন পণ্য। কিন্তু সুইফট সিস্টেম থেকে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করে দিলে বাংলাদেশের এই বাজার ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।ইয়ংফরেভার টেক্সটাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব চৌধুরি জানান, তিনি রাশিয়ার এক ক্রেতার কাছে হুডি জ্যাকেট বিক্রি করেছেন। রাশিয়া একটি সম্ভাবনাময় বাজার। তুরস্কভিত্তিক ওই রুশ ক্রেতার কাছে তিনি প্রথম চালান পাঠিয়েছেন।

৪ লাখ ডলারের পণ্য পাঠিয়ে তিনি ২ লাখ ডলার পেমেন্ট পেয়েছেন। রাজিব চৌধুরি বলেন, আমাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, ওই রুশ ক্রেতার তুরস্কে অফিস থাকায় তিনি সেখান থেকেই আমাকে বাকি পেমেন্ট করে দেবেন। তাই আমি হয়ত এই দফায় কোনো চ্যালেঞ্জ ছাড়াই রুশ ক্রেতার থেকে পেমেন্ট পেয়ে যাব। তবে তিনি নতুন করে রাশিয়ায় কোনো পণ্য পাঠাবেন না বলেও জানান। সুইফট নিয়ে যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে তা শেষ হওয়ার পর আবার রাশিয়ায় পণ্য পাঠাবেন তিনি। নইলে পেমেন্ট পেতে জটিলতায় পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা এই উদ্যোক্তার।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান বলেন, যুদ্ধ এবং সম্ভাব্য সুইফট নিষেধাজ্ঞার কারণে আমাদের সদস্যদের রাশিয়ায় পণ্য না পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা রাশিয়া ও ইউক্রেনের বাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই যুদ্ধের কারণে চালান পাঠানো ও পেমেন্ট পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। বিজিএমইএ সকল সদস্যদের নির্দেশনা দিয়ে জানিয়েছে যাতে নতুন করে রাশিয়া থেকে কোনো অর্ডার গ্রহণ করা না হয়।২০০৯-১০ অর্থবছর থেকেই রাশিয়ায় বাংলাদেশের বাজার বড় হচ্ছে। এই বাজার অনিশ্চয়তায় পড়লেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজার স্থিতিশীল আছে বলে জানান ফারুক হাসান। তিনি বলেন, ইউরোপীয় বাজার কোনো ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখে নেই, এখন পর্যন্ত সেখানে ব্যবসা আগের মতোই চলছে। বাংলাদেশ থেকে ২২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের পোশাক রপ্তানি হয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোতে, যা বার্ষিক পোশাক রপ্তানির ৬৪ শতাংশ।

ইউক্রেনে ৬ষ্ঠ দিনের যুদ্ধ নিয়ে যা জানাল ‍ব্রিটিশ গোয়েন্দারা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ইউক্রেনে রুশ হামলার আজ ৬ষ্ঠ দিন। পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো মিত্র দেশটিতে হামলা নিয়ে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা প্রতিনিয়ত তথ্য প্রকাশ করছে।  সর্বশেষ তথ্যে ব্রিটিশ গোয়েন্দারা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পথে রুশ বাহিনী সামান্যই অগ্রসর হতে পেরেছে। লজিস্টিক সমস্যা ফলে রুশ সেনারা অগ্রসরে ব্যর্থ হয়ে উত্তর দিক থেকে গোলাবর্ষণ করছে। 

গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খারকিভ এবং চেরনেহিভের আশপাশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভারি গোলাবর্ষণ করছে। এর ফলে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।  ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, রাশিয়ার বিমানবাহিনী ইউক্রেনের আকাশে শক্ত নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়নি। এ কারণে তারা ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে রাত্রীকালীন অভিযানে জোর দিচ্ছে। 

চক্রব্যূহ করে এগোচ্ছে রুশ সেনা, নাগরিকদের আজই কিয়েভ ছাড়ার নির্দেশ ভারতের -আজকাল

কিয়েভের দিকে এগিয়ে চলেছে রুশ সেনা।

উপগ্রহচিত্রে স্পষ্ট। নিজের নাগরিকদের জীবন নিয়ে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। পড়ুয়া সহ নাগরিকদের নির্দেশ দিল, আজকের মধ্যেই ছাড়তে হবে কিয়েভ। ট্রেনে হোক, ট্রেন না পেলে যেভাবেই হোক ছাড়তে হবে ইউক্রেনের রাজধানী। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আজই কিয়েভ দখল করে নিতে পারে রুশ বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ধ্বংস করে দিতে পারে জনবসতি। এই আশঙ্কা থেকেই নাগরিকদের দ্রুত কিয়েভ ছাড়ার নির্দেশ ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। ট্রেন না পেলে, যা পাবে, তাতেই চেপে রওনা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার হামলা শুরু করে রাশিয়া। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কিয়েভে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়েছেন বহু পড়ুয়া ও নাগরিক। দেশে ফেরার সাহায্য চেয়ে দূতাবাসের দরজায় তাঁরা। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক টুইটারে জানিয়েছে, কিয়েভ থেকে ৪০০ পড়ুয়াকে ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়েছে। আরও হাজার জন কিয়েভ থেকে ইউক্রেনের পশ্চিমে রওনা হয়েছেন।

তাঁরা দেশের পশ্চিমে যাবেন। সেখান থেকে পড়শি দেশ হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, পোল্যান্ড, স্লোভাকে যাচ্ছে ভারতীয় পড়ুয়ারে। এর পরেই ‘‌মিশন গঙ্গা’‌ অভিযানের মাধ্যমে তাঁদের দেশে ফেরানো হবে। সোমবারই ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক দ্বিতীয় নির্দেশিকা জারি করে ইউক্রেনে আটক পড়ুয়াদের উদ্দেশে। তাতে বলে, ‘‌স্টেশনে দাঁড়িয়ে ঝামেলা করবেন না’‌।সোমবার ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক টুইটারে আরও লেখে, ‘‌আমরা সব ভারতীয় নাগরিক এবং পড়ুয়াদের শান্ত, শান্তিপূর্ণ এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ করছি। স্টেশনে খুব ভিড় হবে, তাই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, যে সব ভারতীয় পড়ুয়া যাতে ধৈর্যশীল, স্থির থাকেন এবং ঝামেলায় না জড়িয়ে পড়েন।’‌ 

শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে ভারত, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়া ও ইউক্রেনকে হিংসা থামানোর বার্তা নয়াদিল্লির-সংবাদ প্রতিদিন

কিছুতেই থামছে না ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ। সোমবার বেলারুশের উদ্যোগে দুই যুযুধান পক্ষ আলোচনায় বসলেও কিয়েভ ও খারকভে  রাত বাড়তেই আছড়ে পড়ে একের পর এক রুশ মিসাইল। এহেন পরিস্থিতিতে ইউক্রেন ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় জরুরি অধিবেশন ডাকা হয়। সেখানে আবার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে সওয়াল করে ভারত।

রবিবার ইউক্রেন ইস্যুতে বৈঠকে বসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সেখানে সাধারণ সভার একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকার জন্য প্রস্তাব পেশ হয়। সেই প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত থাকে নয়াদিল্লি ও বেজিং। স্বভাবিকভাবেই বিপক্ষে ভোট দেয় রাশিয়া। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১টি। যেহেতু এই প্রস্তাব বা রেজোলিউশন পদ্ধতিগত তাই নিয়ম মতো এই প্রস্তাব আটকাতে ভেটো প্রয়োগ করতে পারেনি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাশিয়া। ফলে সাধারণ সভার জরুরি বৈঠক ডাকার প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। সোমবার ওই বৈঠকেই কিয়েভ ও মস্কোর কাছে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানায় নয়াদিল্লি।

পুতিনকে সমর্থন করলে ‘ফল ভুগতে হবে’ বেলারুশকে, হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা-আনন্দবাজার পত্রিকা

ইউক্রেনে রুশ ফৌজের হামলার ঘাঁটি হয়েছিল বেলারুশ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন, বেলারুশেই।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসানে রাশিয়াকে সমর্থন নিয়ে বেলারুশকে সতর্ক করল আমেরিকা।

খুব হুঁশিয়ার! বেলারুশকে বলল আমেরিকা। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে ওয়াশিংটনের বার্তা—ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনে যদি এখনও তারা রাশিয়াকেই সমর্থন করতে থাকে তবে সেই সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হবে দেশের সরকারকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বেলারুশ যে অবস্থান নিয়েছে, তার প্রসঙ্গ টেনেই এই হুঁশিয়ারি, প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো সরাসরিই সতর্ক করেছে বাইডেন প্রশান।

ইউক্রেনে রুশ ফৌজের হামলার ঘাঁটি হয়েছিল বেলারুশ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন, বেলারুশেই। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি আপত্তি করলেও তাতে আমল দেওয়া হয়নি। এমনকি, ইউক্রেন লাগোয়া রাশিয়ার সমর্থক এই দেশটি সোমবার নিজের অ-পরমাণু অবস্থানও বেমালুম বদলে ফেলেছে। কেন? যাতে রাশিয়া তার পারমাণবিক অস্ত্র শস্ত্র বেলারুশে এনে রাখতে পারে (এবং সম্ভবত ইউক্রেনে আঘাতও হানতে পারে)।

বেলারুশের এই পুতিন সমর্থন প্রকাশ্যে ‘মাত্রাছাড়া’ বলে মন্তব্য না করলেও বাইডেন প্রশাসন আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছে বিষয়টি আদতে সেই জায়গাতেই পৌঁছেছে। তাই এ ব্যাপারে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেন্ককে সাবধান করে আমেরিকা জানিয়ে দিল, লুকাশেঙ্কো যদি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনে এ ভাবে মদত দিতে থাকে তবে বেলারুশকে তার গুণগার দিতে হবে।

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ