আগস্ট ১৯, ২০২২ ১৫:৪৩ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ১৯ আগস্ট শুক্রবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি রেজওয়ান হোসেন। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ খবরের বিশ্লেষণে যাবো।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • ভারতকে বলেছি হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী-মানবজমিন
  • সিরিজ বোমা হামলা ও ছাত্রলীগের কর্মসূচির সমালোচনার পর ঢাবি ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ-প্রথম আলো
  • বেহেশত থেকে সত্যটাই বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: রিজভী–যুগান্তর।
  • দেশে কমে গেছে ডিজেল, পেট্রল, অকটেনের বিক্রি-কালের কণ্ঠ
  • ভোটের নীরব প্রস্তুতি ইসির -বাংলাদেশ প্রতিদিন

 

  • ভারতের শিরোনাম:
  • মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ কেএলও নেতার - দৈনিক আজকাল
  • ‘অন্যায়ের শেষের অপেক্ষায়’, বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির প্রতিবাদে সরব তৃণমূলের মহিলা সাংসদরা - সংবাদ প্রতিদিন  
  • খুনি কে, বলে দিন! গুনিনের শরণাপন্ন পুলিশ অফিসার, ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সাসপেন্ড -আনন্দবাজার পত্রিকা

শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে গুরুত্বপুর্ণ খবরের বিশ্লেষণে যাওয়া যাক।

ভারতকে বলেছি হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী - শীর্ষক খবরে দৈনিক মানবজমিন লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জেএম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাকে টিকিয়ে রাখতে পারলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে এবং সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক একটা দেশ হবে। শেখ হাসিনার সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।’

সিরিজ বোমা হামলা ও ছাত্রলীগের কর্মসূচির সমালোচনার পর ঢাবি ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ শীর্ষক খবরে দৈনিক প্রথম আলো লিখেছে, সিরিজ বোমা হামলা ও এর প্রতিবাদে ছাত্রলীগের কর্মসূচি নিয়ে ফেসবুকের মেসেঞ্জার গ্রুপে সমালোচনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে গত বুধবার ছাত্রলীগের কর্মসূচি পালিত হয়। সিরিজ হামলা ও কর্মসূচি নিয়ে সমালোচনা করে চৌদ্দশিখা নামের গ্রুপটিতে কিছু কথা লিখেছিলেন মেফতাহুল মারুফ। সেখানে তিনি ছাত্রলীগের কর্মসূচির কারণে জনগণের ভোগান্তি হয়েছে বলে সমালোচনা করেন। তিনি লেখেন, ‘সিরিজ বোমা হামলা চালাইছে জামায়াতুল মুজাহিদিন নামে একটা জঙ্গি সংগঠন বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে, সেই সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত।’ মেফতাহুল ওই লেখায় আরও উল্লেখ করেন ক্ষমতায় থাকায় ওই হামলার জন্য বিএনপি-জামায়াত দায়ী হলে ২০০৮ সালের পরের সব জঙ্গি হামলার জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী।

বেহেশত থেকে সত্যটাই বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: রিজভী - শীর্ষক খবরে দৈনিক যুগান্তর লিখেছে, 'পার্শ্ববর্তী দেশকে বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখতে বলেছি'-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, এ কথাটা কিন্তু আজকে দেশের প্রত্যেকটি গণমাধ্যমে এসেছে। তার মানে কী সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন নেই। শেখ হাসিনার পায়ের নিচে মাটি নেই- এ কথাটাই তো সত্য প্রমাণিত হয়েছে।

রিজভী বলেন, এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনেক সময় তার অজান্তেই অনেক সত্য কথা বলে বসেন। এই সরকার সম্পর্কে বিএনপি এবং দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের যে ধারণা, সেটিই এ সরকারের মন্ত্রীরা প্রমাণ করছেন। বেহেশত থেকে তো আর মিথ্যা কথা বলা যায় না। তাই সত্যটাই বলে দিচ্ছেন অবৈধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রিজভী বলেন, আমাদের নেত্রী এ সরকারপ্রধানকে লেন্দুপ দর্জির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এটি কি প্রমাণিত হয় না আজকে মোমেন সাহেবের এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে যে খালেদা জিয়ার বক্তব্যই ছিল সঠিক।

তিনি বলেন, সরকার গঠনের প্রশ্নে আমরা সবসময় জনগণের শক্তির ওপর সাহস করেই কথা বলি। সে জন্য স্বচ্ছ নির্বাচন ইম্প্রেসিভ নির্বাচন সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন আমরা চাই। আমরা কারও কাছে ধর্ণা দিই না যে, আমাদের ক্ষমতায় বসাতে হবে। রিজভী বলেন, আমাদের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করে অন্যের শক্তির ওপর দিয়ে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।

দেশে কমে গেছে ডিজেল, পেট্রল, অকটেনের বিক্রিশীর্ষক খবরে দৈনিক কালের কণ্ঠ লিখেছে, দেশে জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় কমেছে বিক্রি। বিশেষ করে অকটেন ও পেট্রলের বিক্রি বেশ কমেছে। বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ভোক্তাদের কেউ কেউ সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) ও তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বা অটোগ্যাসের ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে বলে পেট্রল ও অকটেনের বিক্রি কমছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

ভোটের নীরব প্রস্তুতি ইসির -শীর্ষক খবরে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন লিখেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে নীরবে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা হতে পারে। তবে সংসদ নির্বাচনের আগেই আগামী বছরের মাঝামাঝি পাঁচ সিটি তথা গাজীপুর, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন করতে হবে কমিশনকে।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দুই ধরনের পরিকল্পনা থাকবে ইসির। প্রথমত, আগামী বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি তফসিল দিয়ে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ভোট গ্রহণ। দ্বিতীয়ত, আগামী বছর নভেম্বরের শুরুতে তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের শেষ দিকে ভোট অনুষ্ঠান।

 

শ্রোতাবন্ধুরা এবারে চলুন কোলকাতার বাংলা দৈনিকগুলোর দিকে নজর দেয়া যাক।

মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ কেএলও নেতার শীর্ষক খবরে দৈনিক আজকাল লিখেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ডাকে সাড়া দিয়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরলেন কেএলও নেতা কৈলাস কোচ। তিনি কেএলও'র সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ভবানী ভবনে কৈলাসকে সঙ্গে নিয়েই বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয়। সম্মেলনে ছিলেন কৈলাসের স্ত্রী ও তাঁদের শিশুসন্তান।

ডিজি জানিয়েছেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন কৈলাস। স্ত্রী'কে নিয়ে নিজে এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। সমর্পণ করেছেন একটি একে ৪৭ রাইফেল। কৈলাস বলেন, 'আমি কৈলাস কোচ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছি।

অন্যায়ের শেষের অপেক্ষায়, বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির প্রতিবাদে সরব তৃণমূলের মহিলা সাংসদরা -শীর্ষক খবরে দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে, বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষীদের জেল থেকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছে ৬ হাজারেরও বেশি আবেদন। তাঁদের দাবি, ওই ধর্ষকদের সময়ের আগে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক। এহেন পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ নুসরত জাহান ও মিমি চক্রবর্তী ক্ষোভ উগরে দিলেন টুইটারে। ওই গণধর্ষণকারীদের মুক্তির নিন্দার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোঁচাও দিয়েছেন তাঁরা। মিমি লিখেছেন, ‘১১ জন মানুষ যারা গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত তাদের কেন মুক্তি দেওয়া হল? করুন।’

খুনি কে, বলে দিন! গুনিনের শরণাপন্ন পুলিশ অফিসার, ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সাসপেন্ড শীর্ষক খবরে আনন্দবাজার লিখেছে, মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পড়ে এএসআই অনিল শর্মার উপর। তদন্তে নেমে কোনও সূত্র খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। তার পরই গুনিনের শরণাপন্ন হন।

খুনি কে তা জানতে গুনিনের শরণাপন্ন হলেন এক পুলিশ আধিকারিক। এক কিশোরীকে খুনের ঘটনা তদন্তের ভার পড়ে ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েক জনকে আটক করলেও, আসল খুনি কে, তার সূত্র কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। সেই সূত্র খুঁজতেই শেষমেশ তাঁর পরিচিত এক গুনিনের দ্বারস্থ হন তিনি।

শ্রোতাবন্ধুরা কথাবার্তার আজকের আসর এখানেই শেষ করছি। আমাদের সঙ্গ দেয়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।