সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ ১৬:৫২ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠকবন্ধুরা!কথাবার্তার প্রাত্যহিক আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আজ ২২ সেপ্টেম্বর বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। তারপর দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

ঢাকার কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • ৮০ কোটি টাকা পাচার: পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিচার শুরু -যুগান্তর
  • 'বিপজ্জনক হয়ে উঠছেন পুতিন', যুদ্ধ তীব্র হওয়ার শঙ্কা –ইত্তেফাক
  • রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুদিনে ৩ খুন -মানবজমিন
  • মতামত-গুম না হয়ে থাকলে স্বাধীন তদন্তে আপত্তি কেন-প্রথম আলো
  • বিশ্বে অতিধনীর সংখ্যা বেড়েছে ৪৬ হাজার, সম্পদ বেড়েছে শীর্ষ ধনীদেরও -বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • কৃষ্ণাদের চুরি হওয়া টাকা না পাওয়া গেলে দেবে বাফুফে -কালের কণ্ঠ

কোলকাতার শিরোনাম:

  • থারুর-গেহলটের পর কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে দিগ্বিজয়, ধর্মসংকটে গান্ধী পরিবার-সংবাদ প্রতিদিন
  • দেশজুড়ে অভিযান এনআইএ-র, গ্রেপ্তার ১০০-র বেশি ইসলামিক সংগঠনের সদস্য-আজকাল
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার অধিকার, রায় সংরক্ষিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট -আনন্দবাজার পত্রিকা

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবারে বিশ্লেষণে যাচ্ছি। 

বিশ্লেষণের বিষয়:

১.রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুদিনে ৩ খুন। কেন এই হত্যাকাণ্ড বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দিচ্ছেন?

২.পরমাণু যুদ্ধে রাশিয়া জিততে পারবে না-একথা বলেছেন ন্যাটো মহাসচিব। কেন এমন কথা বলছেন? আসলে কি পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে?

বিশ্লেষণের বাইরের কয়েকটি খবর:

সাংবাদিক কামাল আহমেদ তাঁর মতামত কলামের শিরোনাম করেছেন এমন-

গুম না হয়ে থাকলে স্বাধীন তদন্তে আপত্তি কেন? প্রথম আলোতে প্রকাশিত  মতামত কলামে লেখা হয়েছে, গুমের অভিযোগ নিয়ে জোর আলোচনার মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে সরকারের একটা আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া গেছে। ‘গুম’ শব্দটি ব্যবহার না করে সরকার বলেছে, কোনো ব্যক্তি নিখোঁজ বলে জানানো হলে স্বজনদের দেওয়া তথ্য যথাযথ আইন অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে সরকার বদ্ধপরিকর। সরকারের এ বক্তব্যে কি কিছুটা নতুনত্ব আছে? যদিও একই সঙ্গে বলা হয়েছে, গুমের শিকার বলে ধারণা করা ব্যক্তি অনেক ক্ষেত্রেই ফেরত এসে প্রমাণ করেছেন, গুমের অভিযোগ ঠিক নয়। সরকার যাঁদের ‘নিখোঁজ’ বলছে, তাঁদের উদ্ধারের জন্য তদন্ত, অর্থাৎ অভিযোগে পাওয়া তথ্যগুলো যাচাইয়ের প্রয়োজনের কথাটা আগে শোনা যায়নি, বরং একে ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রীরা দেশের ভেতর রাজনৈতিক বক্তৃতায় এখনো একই কথা বলে চলেছেন।

এ তদন্তই সবার চাওয়া। তবে তদন্তটা বিশ্বাসযোগ্য ও সবার কাছে গ্রহণীয় হওয়ার জন্য তা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ব্যবস্থায় হওয়া চাই। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি সেটাই। গুমের শিকার পরিবারগুলোও তা-ই চায়।

জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার সদ্য বিদায় নেওয়া প্রধান মিশেল ব্যাশেলেতও স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের সুপারিশ করে তাতে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব করে গেছেন। শুধু গুম তো নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে যেকোনো অভিযোগ, তা সে হোক নির্যাতন-নিপীড়ন, হেফাজতে মৃত্যু কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যা—এসব অভিযোগের তদন্তে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি নতুন কিছু নয়।

পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালায় এ সুপারিশ রয়েছে। কিন্তু পুলিশ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও আনুগত্যের সুবাদে ওই সুপারিশ বাস্তবায়ন ঠেকিয়ে রেখেছে প্রায় দেড় দশক ধরে। নিজেদের অপরাধের তদন্ত নিজেরা করার নামে এক অদ্ভুত সুবিধা ভোগ করে চলেছে।

ঠিক সে সময়েই গুমের শিকার পরিবারগুলোর সদস্যদের হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠছে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ কমিটিকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করাকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ ও ‘সরকারবিরোধী’ অভিহিত করে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন অধিকারের রেজিস্ট্রেশন নবায়নের আবেদনও প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এগুলো কি সহযোগিতার ঠিক উল্টো বার্তাই দেয় না?

গুমের অভিযোগ সম্পর্কেও এক অদ্ভুত যুক্তি হাজির করা হচ্ছে। অভিযোগ করলেই হবে না, সেটা প্রমাণের দায়িত্বও অভিযোগকারীর। অভিযোগ যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে, তখন একজন সাধারণ নাগরিক তা প্রমাণ করবে কীভাবে? গুমের জন্য অপহরণের সময় যেসব কৌশল অনুসরণের অভিযোগ আছে, তা প্রায় একই রকম।

কৃষ্ণাদের চুরি হওয়া টাকা না পাওয়া গেলে দেবে বাফুফে-কালের কণ্ঠ

সাফের ট্রফি নিয়ে বুধবার নেপাল থেকে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। তাঁদেরকে বরণ করতে ছিল ব্যাপক আয়োজন। তবে এই আনন্দের মাঝেও ঘটে গেছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ফাইনালে জোড়া গোল করা কৃষ্ণা রানি সরকারের ব্যাগ থেকে টাকা চুরি হয়েছে। চুরি হওয়া সেই টাকা না পাওয়া গেলে বাফুফের পক্ষ থেকে সেই টাকা দেওয়া হবে কৃষ্ণাদের।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নারী ফুটবল উইংয়ের চেয়ারম্যান ও বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহফুজা খানম কিরণ আজ বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। কিরণ জানান, লাগেজে কৃষ্ণা রানীর ৯০০ ও সামসুন্নাহার সিনিয়রের ৪০০ ডলার ছিল। এ সময় তিনি বলেন, ‘ওরা বাচ্ছা মেয়ে। এটা ওদের কাছে অনেক বেশি টাকা। এই টাকাটা যদি না পাওয়া যায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে অবশ্যই আমরা উদ্যেগ নিব এটা ওদেরকে দেওয়ার জন্য। ’

এর আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে কৃষ্ণা জানিয়েছিলেন, ‘যেহেতু দেশে আসার পর আমাদের জন্য বড় ধরনের আয়োজন ছিল।   তাই আমরা আমাদের হ্যান্ডব্যাগটাও লাগেজের ভেতরে রেখেছিলাম। পরে যখন লাগেজ খুলি তখন দেখি ভেতরের ছোট ব্যাগের চেইন খোলা। ব্যাগের ভেতরে আমার ৯০০ ডলার, শামসুন্নাহার সিনিয়রের ৪০০ ডলারসহ আরো অনেকের কিছু ডলার ছিল। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য আড়াই লাখ টাকার মতো। সেগুলোর কিছুই নেই ব্যাগের ভেতর। ’

৮০ কোটি টাকা পাচার: পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিচার শুরু-যুগান্তর

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার এবং আরও ১৩ জনের বিরুদ্ধে কানাডায় ৮০ কোটি টাকা পাচার এবং অবৈধভাবে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার বিচার শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ ১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী জবানবন্দি দেবেন। আগামী ১৩ অক্টোবর তাকে জেরার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। গত ৮ সেপ্টেম্বর আদালত এ মামলায় চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

অর্থ পাচার ও ডলার সংকট

নজরদারিতে শতাধিক মানি চেঞ্জার-যুগান্তর

নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে মানি চেঞ্জারগুলো। দেশে ডলার সংকটের পর থেকে একের পর এক উঠে আসছে তাদের অবৈধ কার্যক্রম। ডলারের মূল্য বাড়াতে কারসাজি, বিদেশে অর্থ পাচার, নগদ অর্থ লেনদেনের হিসাবে কারচুপি, অনুমোদন ছাড়া একাধিক শাখা পরিচালনাসহ নানা অভিযোগ আসছে তাদের বিরুদ্ধে। কেবল অবৈধ প্রতিষ্ঠানই নয়, বৈধ অনেক মানি চেঞ্জারও অতিরিক্ত মুনাফার লোভে এসব কার্যক্রমে জড়িয়েছে।

এ অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শতাধিক মানি চেঞ্জারের অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সপ্তাহ গেলেই এই তালিকায় যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে সিআইডি এই নজরদারি করছে।

বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত মানি চেঞ্জারগুলোর মধ্যে বর্তমানে ২৩৫টি প্রতিষ্ঠানের বৈধ লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বর্তমানে বৈধ-অবৈধ, বেআইনি শাখা মিলে মানি চেঞ্জারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০০টির মতো। এ হিসাবে অবৈধ মানি চেঞ্জার বা শাখা রয়েছে ৯৬৫টি। বৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২০২টি প্রতিষ্ঠান ঢাকার মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য।

এই সবকটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়েই তদারক সংস্থাগুলো খোঁজখবর রাখছে। প্রাথমিকভাবে অনিয়মের খবর পেলেই শুরু হচ্ছে তদন্ত। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, বৈধগুলোর মধ্যে নানা অভিযোগে নয়টির লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। একটির লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি। এদিকে অর্থ পাচারে জড়িত সন্দেহে ২৮টি মানি চেঞ্জারের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বিএফআইইউ। ২০টি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম তদন্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিআইডিকে চিঠি দিয়েছে।

আর লাইসেন্স ছাড়াই বিদেশি মুদ্রা লেনদেন করায় ১১টি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ৪৫টিকে শোকজ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে যে শতাধিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিআইডির তদন্ত চলছে, তার প্রায় ৮০ ভাগই ঢাকার মতিঝিল, গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরা ও পল্টন এলাকার। এই এলাকাগুলোয়ই মানি চেঞ্জারগুলোর সবচেয়ে বেশি অবৈধ কারবার হয়। এছাড়া বিএফআইইউ-এর তদন্তে ১৩টি মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে হুন্ডির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের বিষয়ে আরও ব্যাপক তদন্ত হচ্ছে।

'বিপজ্জনক হয়ে উঠছেন পুতিন', যুদ্ধ তীব্র হওয়ার শঙ্কা- ইত্তেফাক

চলতি বছরের গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত টানা দেশ দুইটির মধ্যে চলছে সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। শিগগিরই কিয়েভ দখল ও সেখানে পুতুল সরকার বসানোর প্রয়াস নিয়ে পুতিন ইউক্রেনে যে আগ্রাসন শুরু করেছিলেন তা এখন পর্যন্ত অধরা। ইউক্রেনের বেশ কিছু দখল করে নিলেও সম্প্রতি ইউক্রেনের বাহিনীর তীব্র পাল্টা আক্রমণে পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে রুশ বাহিনী। এছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া প্রবল সেনা সংকটে ভুগছে বলে দাবি পশ্চিমা বিশ্বের।

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া দেশটির কয়েদিদের পাঠানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। রিপোর্ট, রাশিয়ার কারাগারগুলোতে আটক অপরাধীদের ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠনোর বিষয়টিকে সমর্থন করেছেন দেশটির একটি ভাড়াটে গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। রাশিয়ায় ওয়াগনার গ্রুপ নামে একটি ভাড়াটে সৈন্য দলের প্রধান হচ্ছে ইয়েভগেনি প্রিগোজিন।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

থারুর-গেহলটের পর কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে দিগ্বিজয়, ধর্মসংকটে গান্ধী পরিবার-সংবাদ প্রতিদিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, থারুর নাকি গেহলট? নাকি তৃতীয় কোনও ব্যক্তি? দলের সভাপতি পদের উত্তরাধিকারী কে হবেন সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে ধর্ম সংকটে গান্ধী পরিবার। থারুর এবং গেহলটকে নিয়ে আলোচনার মধ্যেই তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে দিগ্বিজয় সিং আসরে নেমে পড়েছেন। দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনী লড়াইয়ে সোনিয়া বা রাহুল গান্ধী না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা ত্রিমুখী হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশই প্রবল হচ্ছে। গান্ধী পরিবারের অনুপস্থিতিতে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রাস্তায় নেমে আসতে পারে। আর কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সুযোগ নিতে মুখিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির। দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন শেষ হলেই গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপির কাছে কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল তুরুপের তাস হবে। তাই শেষ পর্যন্ত সোনিয়া ও রাহুলরা তৃতীয় কোনও পথ বেছে নিতে পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

দেশজুড়ে অভিযান এনআইএ-র, গ্রেপ্তার ১০০-র বেশি ইসলামিক সংগঠনের সদস্য-দৈনিক আজকাল

দেশজুড়ে ১০০-র বেশি পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএফআই) সদস্যকে গ্রেপ্তার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) এবং ইডি। অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গেও তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি এবং সিবিআই। দেশবিরোধী কার্যকলাপ, সন্ত্রাসে মদত সহ একাধিক অভিযোগ ছিল চরমপন্থী ইসলামিক সংগঠনটির বিরুদ্ধে। ১০টিরও বেশি রাজ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও এই অভিযানের ওপর কড়া নজর রাখছে। সূত্রের খবর, লখনউ থেকেও দুই পিএফআই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এখনও পর্যন্ত সবথেকে বড় অনুসন্ধানে যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তারা সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়া, ট্রেনিং ক্যাম্পের আয়োজন করা এবং মানুষকে চরমপন্থায় অনুপ্রাণিত করায় অভিযুক্ত

মমতার উপর কী জাদু করেছেন? ধনকড়কে প্রশ্ন গেহলটের, খোঁচার জবাব দিল তৃণমূল-সংবাদ প্রতিদিন

উপলক্ষ ছিল উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়কে সমানজ্ঞাপন অনুষ্ঠান। তাতে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, বিরোধী নেত্রী বসুন্ধরা রাজে এবং অন্যান্য কংগ্রেস এবং বিজেপি নেতারা।রাজস্থানের ওই অনুষ্ঠান থেকে সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট ধনকড়কে প্রশ্ন করলেন, কোন জাদুতে তিনি মমতাকে ‘বশ’ করলেন? আসলে ধনকড় এরাজ্যের রাজ্যপাল থাকাকালীন মমতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তলানিতে নেমে গিয়েছিল।তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে ‘পদ্মপাল’তকমাও সেঁটে দিয়েছিলেন। অথচ এ হেন তৃণমূল কংগ্রেস শেষপর্যন্ত উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীকে ভোট দেয়নি। সরাসরি ধনকড়কে সমর্থন না করলেও ভোটদানে বিরত থাকে তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গ তুলেই অশোক গেহলট তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে ধনকড়কে প্রশ্ন করেছিল।উপরাষ্ট্রপতি ধনকড় অবশ্য সরাসরি এ প্রশ্নের জবাব দেননি।উপরাষ্ট্রপতি এবং কংগ্রেস দুই শিবিরের কটাক্ষে ফুঁসে ওঠে তৃণমূল। সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের বক্তব্য,”মৃত্যুর পথে চলে যাওয়া কংগ্রেসকে কী ভাবে বাঁচানো যায় তা নিয়ে বরং ভাবা উচিত অশোক গেহলটের। অন্য দল কী করছে, সেসব না ভাবলেও চলবে।”

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার অধিকার, রায় সংরক্ষিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট-আনন্দবাজার পত্রিকা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অধিকার সংক্রান্ত মামলার রায় সংরক্ষিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। কর্নাটক হাই কোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে আবেদনের ১০ দিন শুনানির পর বৃহস্পতিবার বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।পাশাপাশি, হিজাব পরার অধিকার চেয়ে আবেদনকারী ছাত্রীদের পিছনে কট্টরপন্থী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া’ (পিএফআই)-র ভূমিকা রয়েছে বলে শীর্ষ আদালতে কর্নাটক সরকারের তরফে বুধবার যে অভিযোগ জানানো হয়েছিল, সে বিষয়ে কোনও পর্যবেক্ষণের কথা জানায়নি দুই বিচারপতির বেঞ্চ।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২২

 

ট্যাগ