কথাবার্তা
‘জীবনযুদ্ধে আর পারছি না’: 'চরম আতঙ্কজনক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ৯ অক্টোবর রোববারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
- বিশেষ সাক্ষাৎকার: ইলিয়াস কাঞ্চন ক্ষমতাবানেরা আইন মানেন না বলেই সড়কে বিশৃঙ্খলা-প্রথম আলো
- সংসদ থেকে নিজ এমপিদের পদত্যাগ চায় বিএনপি-কালের কণ্ঠ
- ‘জীবনযুদ্ধে আর পারছি না’গরীবের আহাজারি- মানবজমিন
- সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত-ইত্তেফাক
- গুমের তথ্য জাতিসংঘের যাচাই করা উচিত-সুলতানা কামাল- যুগান্তর
- রাজধানীতে বেড়েছে ছিনতাই-বাসের জানালা দিয়ে চেইন ধরে টান, অল্পতে রক্ষা গৃহবধূর প্রাণ-বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- ভারতে মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশি কন্ডোম ব্যবহার করে’, ভাগবতকে তোপ ওয়েইসির-সংবাদ প্রতিদিন
- অন্তসত্ত্বা মহিলাকে ধর্ষণ করে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, গ্রেপ্তার তিন-আজকাল
- সোনালি খুনে যুক্ত বিজেপি নেতারাই! ১০ কোটি টাকার লেনদেন, চিঠি পেয়ে হতভম্ব বাড়ির লোক–আনন্দবাজার পত্রিকা
জনাব সিরাজুল ইসলাম কথাবার্তার বিশ্লেষণে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. ডিসি-এসপিদের মেসেজ পরিষ্কার, কী করবে ইসি? দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার এই শিরোনাম নিশ্চয় আপনার নজরে পড়েছে। কী বলবেন এই শিরোনাম নিয়ে?
২. ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, শত্রুরা ইরানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দাঙ্গা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির যে পরিকল্পনা নিয়েছে তা কোনোদিন বাস্তব রূপ লাভ করবে না। প্রশ্ন হচ্ছে- কেন এই নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চলছে?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত-ইত্তেফাকের এ খবরে লেখা হয়েছে, সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত যুবকের নাম হাসানুর রহমান (২৫)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপেজলার কুশখালী গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে।রোববার ভোর ৪টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খৈতলা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের কৈজুরী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ডা. জাহেদ উর রহমান তার নির্বাচিত কলামের শিরোনাম করেছেন এরকম, চরম আতঙ্কজনক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি
এতে তিনি লিখেছেন, একটার পর একটা ইস্যু এসে আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়, আমরা ভেসে যাই। কিন্তু আমরা অনেকেই খেয়াল করছি না অর্থনৈতিকভাবে এক চরম অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে আমরা যাচ্ছি। একটা মন্দা মানেই অনিশ্চয়তা। দীর্ঘ সময় সঠিক অর্থনৈতিক নীতির মাধ্যমে পরিচালিত দেশের ক্ষেত্রেও এটা সত্য। কিন্তু যদি দেশটি হয় বাংলাদেশের মতো একটি দেশ, যেখানে বছরের পর বছর ধরে ক্ষমতাসীনরা যাচ্ছেতাই লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিটাকে ভেঙে ফেলেছে, তাহলে সেই দেশের ক্ষেত্রে এই মন্দাজনিত অনিশ্চয়তা কোথায় গিয়ে ঠেকতে পারে কল্পনা করতে পারছি কি আমরা? আতঙ্কে কি শিউরে না উঠছি আমরা?

‘জীবনযুদ্ধে আর পারছি না’-একথা বলেছেন মিলন। আগারগাঁওয়ের একটি বেসরকারি স্কুলের দারোয়ান। বেতন ১৪ হাজার টাকা। স্কুল শেষে একটি দোকানে কাজ করেন। সেখান থেকে পান ৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ১৯ হাজার টাকা দিয়ে চালাতে হয় সংসার নামক পাহাড়। গত কয়েক বছর ধরে নিত্যপণ্যের দাম দফায় দফায় বাড়লেও আয় বাড়েনি তার।জীবনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হচ্ছে তার।
আসিফ আলী। শ্যামলী এলাকার ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রাইভেটকার চালান। বেতন পান ১৮ হাজার টাকা। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মেলাতে না পেরে সংসার খরচ কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ছেলের পড়ার শিক্ষক বন্ধ করেছে, দুধ কেনা বন্ধ করেছে,মাংশ খাওয়া বন্ধ করেছে, ফল তো না ই, মাছও খুব কম খেতে পারে।
রাইড শেয়ারিং করে প্রতি মাসে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকার মতো আয় করেন রিপন। স্ত্রী ও মা’কে নিয়ে থাকেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায়। রিপন বলেন, মাসে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা আয় করি। এই টাকা দিয়েই অনেক কষ্টে সংসার চালাতে হচ্ছে। মানিয়ে চলা ছাড়া তো কোনো উপায় নেই।
সিএনজি চালক তুহিন ইসলামের মাসিক আয় ২০ হাজার টাকা। তার স্ত্রী-সন্তান থাকেন গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটে। তিনি থাকেন কল্যাণপুরের একটি ভবনের দারোয়ানের কক্ষে সিট ভাগাভাগি করে। জিনিসের অস্বাভাবিক দর বেশ ভোগাচ্ছে তাকে। খরচ কমাতে প্রিয় খাবার বর্জন করেছেন। ডিম ও শাক-সবজি খেয়েই দিন পার করছেন। তবুও প্রতি মাসে স্ত্রীকে টাকা পাঠানোর সময় লাগছে টানাটানি। কারণ, তিনি যে টাকা পাঠান, তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তার স্ত্রীর।
ঢাকায় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকারও কম বেতনে জীবন চালাতে হচ্ছে অধিকাংশ মানুষকে। কম খেয়ে ও পরে মানিয়ে নিচ্ছে এসব মানুষ।
এই প্রতিবেদনে একটি মন্তব্য করেছেন মুজাহারুল। মন্তব্যটি এরকম, ভাই সাংবাদিক, আপনি, যে রিপোর্ট করেছেন, সেখান থেকে মাত্র দু’জনের জীবন জীবিকা পড়লাম । এই গরীব- অথচ লুট হওয়া দেশের বাস্তব চিত্র তো এর চেয়েও ভয়াবহ!! যাদের কথা উল্লেখ করলেন, তাদের তো নূন্যতম একটি চাকুরী আছে, চাকুরী বিহীন বেকার অথবা নাম মাত্র ৭০০০/৮০০০ বেতনের চাকুরীর লোকের সংখ্যাও তো জনগণের বিশাল একটা অংশ। নূন্যতম এই টাকা দিয়ে বিদ্যুত বিল এবং গ্যাস সিলিন্ডার ক্রয় করলেই তো পুরোটা চলে যায়। বাকী যে সমস্ত ফর্দ উল্লেখ করেছেন, তা হিসেবে না আনলেও চলে। জনগণের আসল সমস্য হচ্ছে, তারা না খেয়ে থাকতে রাজী আছে, তবে লুটেরাদের বিরোদ্ধে তাদের ক্ষুভ জানিয়ে গুলি খাওয়ার সাহস নেই!!!! জনগণের এই ভীতিই আজ তাদের জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে।

সংসদ থেকে নিজ এমপিদের পদত্যাগ চায় বিএনপি-কালের কণ্ঠের এ খবরে লেখা হয়েছে, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের আগে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সিদ্ধান্ত নিতে চায় বিএনপি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দলীয় সংসদ সদস্যদের জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ। বাকি দুটি সিদ্ধান্ত হলো যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করা এবং নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা তৈরি করে তা জাতির সামনে তুলে ধরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে এই তিনটি বিষয় চূড়ান্ত করতে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।

দৈনিকটির অপর একটি খবরের শিরোনাম-অভ্যন্তরীণ কোন্দল বাড়ছে আওয়ামী লীগে।অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে ভুগছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলের তৃণমূলের সম্মেলন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন সামনে রেখে অনেক এলাকায় গৃহবিবাদ সংঘর্ষে রূপ নিচ্ছে। একই অবস্থা দলটির সহযোগী সংগঠনগুলোতেও। আলোচনায় আছে দলটির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগও।চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের ৭৩টি সংঘর্ষে আটজন নিহত এবং ৮৯৫ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে চারটি সংঘর্ষে তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে ও ছয়জন আহত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার মতে, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি রাজপথে নামার চেষ্টা করছে। সামনে এ চেষ্টা kalerkanthoআরো বাড়বে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের মধ্যে বিবাদ, হানাহানি বন্ধ করতে না পারলে বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন সামাল দেওয়া কঠিন হবে।
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
ভারতে মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশি কন্ডোম ব্যবহার করে’, ভাগবতকে তোপ ওয়েইসির-সংবাদ প্রতিদিন
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সম্প্রতি এক মন্তব্য করেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। জনসংখ্যায় ‘ধর্মীয় ভারসাম্যের’ বিষয়ে উল্লেখ করেন তিনি। রবিবার তার পালটা দিলেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। নিজের বক্তব্যে এআইএমআইএম (AIMIM) প্রধান দাবি করলেন, ভারতে মুসলিমরাই (Muslim) সবথেকে বেশি কন্ডোম (Condom) ব্যবহার করেন। ফলে ভারতে মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে না, বরং তা কমছে।
সম্প্রতি দশেরার এক শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন আরএসএস সুপ্রিমো ভাগবত। সেখানেই তিনি বলেন, ”জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা ভৌগলিক সীমানা পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যায়। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্য এমন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যাকে আর উপেক্ষা করা যাবে না। আর সেই কারণেই একটি সামগ্রিক জনসংখ্যা নীতি আনা উচিত। এবং সকলের জন্যই এটা সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত।”
এই বক্তব্যের বিরোধিতায় ওয়াইসি জানিয়ে দেন, ভারতে মুসলিমদের জন্মহার কমছে। বলেন, “আতঙ্কিত হবেন না। কারা সবচেয়ে বেশি কন্ডোম ব্যবহার করেন? আমরা। ভারতে মুসলিমদের জন্মহার বৃদ্ধি পাচ্ছে না। বরং কমছে।” ওয়েইসির দাবি, একথা জানা থাকলেও এই বিষয়ে মুখ খুলবেন না ভাগবত।

এক এক দেশে পাসপোর্টের রং এক এক রকম? কেন এমনটা হয়?-আনন্দবাজার পত্রিকার এ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে হলে পরিচয়পত্র হিসাবে পাসপোর্ট দেখাতেই হয়। পাসপোর্টই হল সকলের আন্তর্জাতিক পরিচয়পত্র।জানেন কি, বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের রং কেন ভিন্ন ভিন্ন হয়? গোটা বিশ্বে মোট চারটি রঙের পাসপোর্ট রয়েছে। লাল, সবুজ, নীল এবং কালো। আর প্রত্যেকটি রঙের পাসপোর্টের রয়েছে নিজস্ব গুরুত্ব।
বিশ্বজুড়ে যত পাসপোর্ট রযেছে, সেগুলির স্ট্যান্ডার্ড রং এই চারটিই। তবে রঙের শেডের তারতম্য রয়েছে। লাল, সবুজ, নীল এবং কালোর কয়েক হাজার শেডের পাসপোর্ট বিশ্বজুড়ে প্রচলিত। এমন অনেক দেশ রয়েছে, যেখানে আবার এই চার রঙের পাসপোর্টই দেওয়া হয়ে থাকে।
লাল পাসপোর্ট
যে সব দেশে সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থা রয়েছে বা সাম্যবাদের ইতিহাস রয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সে সব দেশের পাসপোর্টের রং লাল। লাল রঙের পাসপোর্ট বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পাসপোর্ট।
ক্রোয়েশিয়া ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় সব দেশের পাসপোর্টের রং লালচে ধরনের। স্লোভেনিয়া, সার্বিয়া, রাশিয়া, লাতভিয়া, রোমানিয়া, পোল্যান্ড এবং জর্জিয়ার নাগরিকদেরও লাল রঙের পাসপোর্ট রয়েছে। তুরস্ক, মাসিডোনিয়া এবং আলবেনিয়ার মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে ইচ্ছুক দেশগুলিও কয়েক বছর আগে লাল রঙের পাসপোর্ট গ্রহণ করা শুরু করেছে। এ ছাড়া বলিভিয়া, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর এবং পেরুর নাগরিকদেরও লাল রঙের পাসপোর্ট রয়েছে। আর চিনের পাসপোর্টের রংও লালচে।
সবুজ পাসপোর্ট
ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী বেশির ভাগ রাষ্ট্রের পাসপোর্টের রং সবুজ। সবুজ রং মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজনের কাছে অত্যন্ত পবিত্র।সবুজ রং মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজনের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। সবুজ পাসপোর্টধারী রাষ্ট্রগুলির তালিকায় রয়েছে মরক্কো, সৌদি আরব এবং পাকিস্তানের মতো দেশের নাম। ইসলাম ধর্মে সবুজ হল প্রকৃতি এবং জীবনের প্রতীক।
নীল পাসপোর্ট
নীল রঙের আন্তর্জাতিক পরিচয়পত্রটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসপোর্ট। নীল রং ‘নতুন বিশ্বের’ প্রতিনিধিত্ব করে।
আমেরিকা, আর্জেন্টিনা, কোস্টারিকা, এল সালভাদোর, ব্রাজিল, কানাডা, ভেনেজুয়েলা, গুয়াতেমালা, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ের মতো দেশে পাসপোর্টের রং নীল। এ প্রসঙ্গে জানা দরকার, ১৫টি ক্যারিবিয়ান দেশে নীল রঙের পাসপোর্ট রয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশেও নীল রঙের পাসপোর্টের প্রচলন রয়েছে।
কালো পাসপোর্ট
খুব কম দেশেই কালো রঙের পাসপোর্টের প্রচলন।
মালাউই, তাজিকিস্তান প্রজাতন্ত্র, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর পাসপোর্টের রং কালো। কিছু আফ্রিকান দেশেও কালো পাসপোর্টের চল রয়েছে। যেমন বতসোয়ানা, জাম্বিয়া, বুরুন্ডি, গ্যাবন, অ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো, মালাউই দেশে কালো পাসপোর্ট রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের কাছেও কালো পাসপোর্ট দেখা যায়, কারণ এটি তাদের জাতীয় রং।
ভারতে কিন্তু চারটি রঙের পাসপোর্টেরই প্রচলন রয়েছে। ভারতীয় নাগরিকদের মূলত নীল, সাদা, মেরুন আর কমলা এই চারটি রঙের পাসপোর্ট দেওয়া হয়। সাধারণ নাগরিকদের জন্য নীল রঙের পাসপোর্ট জারি হয়।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৯