বাংলাদেশ ও ভারতের পত্রপত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ খবর
রেকর্ড ৯০০ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি, আরও তিন জনের মৃত্যু
শ্রোতা/পাঠকবন্ধুরা!কথাবার্তার প্রাত্যহিক আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আজ ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। তারপর দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
ঢাকার কয়েকটি খবরের শিরোনাম
- শেখ রাসেলকে যারা হত্যা করেছে, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না: ওবায়দুল-প্রথম আলো
-
প্রধানমন্ত্রী বললেন-আমাদের দুর্ভাগ্য যে বিএনপির মুখ থেকেও গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়-কালের কণ্ঠ
- রেকর্ড ৯০০ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি, আরও তিন জনের মৃত্যু-মানবজমিন
- ৩৭০০ কোটি টাকা লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট -যুগান্তর
- ফের রুশ হামলা, বিদ্যুৎ-পানি নেই ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে-বাংলাদেশ প্রতিদিন
- জিয়ার আমলে সামরিক আদালতে সাজা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট–ইত্তেফাক
কোলকাতার শিরোনাম:
- বাইডেন ‘বিপজ্জনক দেশ’ বললেও পাকিস্তানেই ভরসা আমেরিকার! মার্কিন মুখপাত্রের মন্তব্যে অন্য সুর-সংবাদ প্রতিদিন
- পুলিশের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে আমরণ অনশনে টেট চাকরিপ্রার্থীরা, দাবি অনায্য ঘোষণা পর্ষদের -আজকাল
- অপসারণে স্থগিতাদেশ পেলেও পর্ষদের সভাপতিত্বে ফিরবেন না! রায়ের পরেও মানিক আঁধারেই-আনন্দবাজার পত্রিকা
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবারে বিশ্লেষণে যাচ্ছি।
বিশ্লেষণের বিষয়:
১. এই সরকারের অধীনে ইসিতে ফেরেশতা বসালেও ভোট সুষ্ঠু হবে না। -কথাটি বলেছেন বিএনপি নেতা সৈয়দ মুয়াজ্জেম হোসেন আলাল। আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
২. সৌদির আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অন্যদিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন চায় রিয়াদ। কীভাবে দেখছেন ঘটনাকে?
বিশ্লেষণের বাইরের কয়েকটি খবর:
শেখ রাসেলকে যারা হত্যা করেছে, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না: ওবায়দুল-প্রথম আলো
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ রাসেলকে যারা হত্যা করেছে এবং ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই হত্যাকাণ্ড ক্ষমার অযোগ্য। যারা ইনডেমনিটি দিয়েছিল, তাদের উত্তরাধিকার বহন করছে বিএনপি। বিএনপির হাতে বাংলাদেশ ও দেশের শাসন নিরাপদ নয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এ দেশের রাজনীতির জন্য বিষফোড়া। দেশের নিরাপত্তা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়। এর আগে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিনে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদের স্মৃতির প্রতিও শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাঁদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন ও ফাতিহা পাঠ করেন নেতা-কর্মীরা। পরে আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সহযোগী সংগঠনগুলোও তাঁর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত বছর থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। শেখ রাসেল জাতীয় দিবসের এবারের মূল প্রতিপাদ্য, ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেলও। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বললেন-আমাদের দুর্ভাগ্য যে বিএনপির মুখ থেকেও গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়-কালের কণ্ঠ
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিচারহীনতার কালচার থেকে জাতি মুক্তি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যারা ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার চেতনাকে হত্যা করেছে আজ তাদের মুখে ভোট, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়। অথচ যার কারণে আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি সেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বাধাগ্রস্ত করতে আইন করা হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
১৫ আগস্টের কালরাতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন, আজকে তো অনেক মানবাধিকারের কথা বলা হয়। কেউ মারা গেলে বিচার চাওয়া হয়। আমরা কী অপরাধ করেছিলাম? ১৫ আগস্ট আমরা যারা অপনজন হারিয়েছি আমাদের অপরাধটা কোথায় ছিল?
তিনি বলেন, একজন সেনাপ্রধান হিসেবে সে (জিয়াউর রহমান) দায়িত্ব নিল। কখন? যখন রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করা হলো এবং অবৈধভাবে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেওয়া হলো। তাদের মুখে আমাদের গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়, ভোটের কথা শুনতে হয়, মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়! সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের দল বিএনপির কাছ থেকে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারের ধারণা শেখার কিছু নেই। তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্র, ভোট ও মানবাধিকারের কথা শোনা দুর্ভাগ্যজনক।
সরকার প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ শেখ রাসেল এবং যারা যারা নির্মম হত্যার শিকার হয়েছিলেন তাদের খুনিদের বিচার করতে পেরেছি। এর মাধ্যমে দেশ অভিশাপমুক্ত হয়েছে।
শেখ রাসেলের ছেলেবেলার স্মৃতিচারণা করে শেখ হাসিনা বলেন, যখন সেনা সদস্যদের দেখত, তখন সেও বড় হয়ে সেনা সদস্য হতে চাইত। টুঙ্গিপাড়ায় গেলে সে সমবয়সী শিশুদের জড়ো করত। তাদের প্যারেড করাত। তারপর চাচার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শিশুদের হাতে ১ টাকা করে দিত। মা ওইসব শিশুর জন্য চকোলেট-বিস্কুট নিয়ে যেতেন। এ ছাড়া নতুন জামা-কাপড় নিয়ে যেতেন। রাসেল সেগুলো ওই শিশুদের দিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পর পর তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছে বলেই বাংলাদেশকে এতদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা গেছে। দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। আপনাদের সবার সহযোগিতায় আরো এগিয়ে যাবে।
রেকর্ড ৯০০ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি, আরও তিন জনের মৃত্যু-মানবজমিন
ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দেশে প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্তের নয়া রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড ৯০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এটা এবছর সর্বোচ্চ শনাক্ত। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৮৫৭ জন। এ নিয়ে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২২৭ জনে। ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এবছর ডেঙ্গু জ্বরে এখন পর্যন্ত ৯৯ জনের মৃত্যু হলো। চলতি বছরে ২৬ হাজার ৯৩৮ ডেঙ্গু রোগী সারা দেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে ১৯ হাজার ৪৯৮ জন রাজধানী ঢাকায় এবং ৭ হাজার ৪৪০ জন রোগী ঢাকার বাইরের।
চলতি মাসের ১৮ দিনে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১০ হাজার ৮৪৬ জন এবং মারা গেছেন ৪৪ জন। যা সেপ্টেরের চেয়েও বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু। সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হয়েছিল ৯ হাজার ৯১১ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন।
আজ সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯০০ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৫২৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ৩৭২ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ৯০০ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২২৭ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২ হাজার ১৪৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৭৯ জন। এতে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে ১৮ই অক্টোবর পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি ছিলেন ২৬ হাজার ৯৩৮ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছিলেন ২৩ হাজার ৬১২ জন। এই বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জিয়ার আমলে সামরিক আদালতে সাজা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট–ইত্তেফাক
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সামরিক আদালতে সাজা কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে জিয়ার আমলে সামরিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্তদের কেন দেশপ্রেমিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে না এবং দণ্ডপ্রাপ্তদের পরিবারকে কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া রুলে দণ্ডিতদের সন্তানদের যোগ্যতা অনুয়ায়ী সরকারি চাকরি দেওয়ার বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব রুল জারি করেন।
সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বিমান বাহিনীর এক বিদ্রোহের ঘটনায় সামরিক আদালতে দণ্ডের ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিট আবেদনে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সামরিক আদালতে দণ্ডিতদের চাকরির স্বাভাবিক অবসর গ্রহণ পর্যন্ত বেতন, অন্যসব সুবিধা, পেনশন পাওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
ওই সামরিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর সার্জেন্ট সাইদুর রহমানের ছেলে মো. কামরুজ্জামান মিঞা লেলিনসহ বিমান বাহিনীর ১৪ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত সেনা ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের সন্তানসহ ৮৮ জনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মতিউর রহমান রিট আবেদনটি দায়ের করেন। রিটে প্রতিরক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিমান বাহিনীর প্রধানকে বিবাদী করা হয়।
ফের রুশ হামলা, বিদ্যুৎ-পানি নেই ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে-বাংলাদেশ প্রতিদিন
আবারও ইউক্রেনের বিভিন্ন জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সেনারা। ফলে রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহর ও এলাকায় বিদ্যুৎ-পানি নেই।
ইউক্রেনের প্রসেকিউটর জানিয়েছে, এই হামলায় কিয়েভে দুই জন নিহত হয়েছে। দানিপ্রো নদীর পাড়ের পাওয়ার স্টেশন বা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
ঝিতোমির এলাকায় পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আর দানিপ্রোতে এই দুই পরিষেবা চরম আকারে ক্ষতিগ্রস্ত। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি টুইটে বলেছেন, গত ৮ দিনে ইউক্রেনের ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে ইউক্রেন জুড়ে তীব্র বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দিয়েছে।’
অপসারণে স্থগিতাদেশ পেলেও পর্ষদের সভাপতিত্বে ফিরবেন না! রায়ের পরেও মানিক আঁধারেই-আনন্দবাজার পত্রিকা
হারানো পদ ফিরে পাবেন না বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে তাঁর অপসারণে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছে মঙ্গলবার। তার পরেই মানিককে ওই পদে ফিরিয়ে আনা হবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল সর্বত্র। উত্তর খুঁজতে দেখা গেল সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আপাতত স্বস্তি পেলেও তাঁর হারানো পদ নিয়ে মানিক থেকে গিয়েছেন অন্ধকারেই। কারণ শুনানি চলাকালীন মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আগেভাগেই জানিয়ে রেখেছে, অপসারণে স্থগিতাদেশ জারি হলেও মানিককে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে পুনর্বহাল করা যাবে না।
টেট দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিকের অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। টেট মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে হাই কোর্টের রায়ের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনির্বাণ বসু এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চ। দুই বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘হাই কোর্ট ওই নির্দেশ দেওয়ার আগে রাজ্যের মতামত জানতে চায়নি। মানিককে অপসারণের ব্যাপারে আদালতের ওই সিদ্ধান্ত সঠিক প্রক্রিয়ায় হয়নি
পুলিশের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে আমরণ অনশনে টেট চাকরিপ্রার্থীরা, দাবি অনায্য ঘোষণা পর্ষদের -আজকাল
পুলিশের হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে আরও বাড়ল ২০১৪ সালে পাস করা টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের তীব্রতা। সোমবার দুপর দেড়টা থেকে সল্টলেকের করুণাময়ী মোড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়। রাতভর করুণাময়ীর মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ চলে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি দু’ বার ইন্টারভিউ দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছিলেন তাদের নিয়োগ করা হবে। সে কারণে ফের একবার ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের সঙ্গে ইন্টারভিউ দিতে রাজি নন তাঁরা। পুলিশের তরফ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। রাস্তায় শুয়ে পডেছেন আন্দোলনকারীরা। জলের বোতল, খাবার ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে আমরণ অনশনের কথা ঘোষণা করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল মঙ্গলবার ঘোষণা করে জানান, চাকরিপ্রার্থীদের দাবি অনায্য। দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েও এই প্রার্থীদের নাম ওঠেনি প্যানেলে। এখন তাঁরা আর ইন্টারভিউ দিতে রাজি হচ্ছেন না। পর্ষদ কোনোভাবেই নিয়ম ভাঙতে রাজি নয়। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের বয়সের উর্ধ্বসীমা নিয়েও তাদের কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি।
বাইডেন ‘বিপজ্জনক দেশ’ বললেও পাকিস্তানেই ভরসা আমেরিকার! মার্কিন মুখপাত্রের মন্তব্যে অন্য সুর-সংবাদ প্রতিদিন
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনজক দেশ পাকিস্তান, এমনটাই বলেছিলেন মার্কিন (US) প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। জানিয়েছিলেন, পারমাণবিক অস্ত্র থাকলেও সেগুলি ভুল জায়গায় ব্যবহার করে পাকিস্তান। কিন্তু তারপরই আমেরিকার মুখে শোনা গেল অন্য কথা। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলের দাবি, আমেরিকা নিশ্চিত পাকিস্তান কথা রাখবে এবং নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রগুলিকে ঠিকই রক্ষা করবে। এমন পরস্পরবিরোধী মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবেই অবাক ওয়াকিবহাল মহল।
ঠিক কী বলেছিলেন বেদান্ত? মার্কিন মুখপাত্র বলেন, ”পাকিস্তানের (Pakistan) পারমাণবিক সম্পদ সুরক্ষিত করার ক্ষমতা এবং তার প্রতিশ্রুতিতে আমেরিকা বিশ্বাস করে। আমেরিকা পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতাকে মূল্য দেয়।”
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বাইডেন যা বলেছেন সেকথার তাহলে কী তাৎপর্য? এই প্রসঙ্গে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে সম্মত হয়নি মার্কিন বিদেশ দপ্তর। বরং প্যাটেল পরিষ্কার করে দিয়েছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ককে বরাবরই গুরুত্ব সহকারে দেখে আমেরিকা। এবং ভবিষ্যতেও গভীর ভাবে সেই সম্পর্ককে রক্ষা করতে চায় ওয়াশিংটন।
পার্সটুডে/বাবুল আখতার/১৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।