অক্টোবর ২৩, ২০২২ ১৬:১৬ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠকবন্ধুরা!কথাবার্তার প্রাত্যহিক আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আজ ২৩ অক্টোবর রোববারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। তারপর দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

ঢাকার কয়েকটি খবরের শিরোনাম

  • পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরতে পাহাড়ে অভিযান চলছে: র‍্যাব-প্রথম আলো
  • ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশিদের ৫ বছরের কারাদণ্ড-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • উস্কানি দিয়ে লাশ ফেলতে চায় বিএনপি-ওবায়দুল কাদের-মানবজমিন
  • বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতির ঊর্ধ্বগতি উদ্বেগজনক-যুগান্তর
  • ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা কেন, ব্যাখা দিল ইসি–ইত্তেফাক
  • টাকা না পেয়ে বাবার বুকে ছুরি চালাল ছেলে!-কালের কণ্ঠ

কোলকাতার শিরোনাম:

  • আইন ভেঙে বিদেশি অনুদান! রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের-সংবাদ প্রতিদিন
  • নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়, শুক্রবার থেকে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল পর্ষদ-আজকাল
  • দুর্ঘটনার কবলে অমিতাভ বচ্চন!আনন্দবাজার পত্রিকা

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবারে বিশ্লেষণে যাচ্ছি। 

বিশ্লেষণের বিষয়:

১. তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের চিহ্ন থাকবে না। বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কী বলবেন আপনি?

২. ‘ন্যাটো ছাড়াই রাশিয়ার সাথে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে আমেরিকা’। আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

জনাব সিরাজুল ইসলাম আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

বিশ্লেষণের বাইরের কয়েকটি খবর:

অর্থনীতির খবরে মানবজমিনে লিখেছে, ব্যয় কমিয়েও পেরে উঠছে না মানুষ

ক্রমাগত বাড়তে থাকা নিত্যপণ্যের দামে জেরবার মানুষ। নিত্যপণ্যের সঙ্গে বাড়ছে অন্যান্য সেবাপণ্যের দামও। সঙ্গে যোগ হয়েছে জ্বালানির উচ্চ মূল্য ও বাড়তি পরিবহন ব্যয়। এই অবস্থায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা ছোট করছে মানুষ। কমিয়ে দিচ্ছে চিকিৎসার মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যয়। কাটছাঁট করতে হচ্ছে সন্তানের চিকিৎসার খরচ। খরচ কমিয়ে টিকে থাকার  এই কৌশলও এখন আর কাজে আসছে না। কারণ ব্যয়ের লাগাম টানা যাচ্ছে না কিছুতেই। প্রতিদিনই বাড়ছে কোনো না কোনো খরচ।

অপর এক খবরের শিরোনাম এরকম-গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে ৬০% বস্ত্রকল ঝুঁকিতে- বিটিএমএ।

গ্যাস-সংকটের কারণে বস্ত্রখাত মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, গাজীপুর ও নরসিংদীর শিল্পাঞ্চলে প্রতিদিন গড়ে ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকছে না। গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের কারণে ৬০ শতাংশ বস্ত্রকল ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দ্রুত সংকট সমাধান করে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করা না হলে অনেক শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। চাকরি হারাবেন শ্রমিকরা। ব্যাংকও তাদের পুঁজি হারাবে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিটিএমএ সহ-সভাপতি ফজলুল হক ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক মোশাররফ হোসেন, আবদুল্লাহ জোবায়ের, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, মোনালিসা মান্নান প্রমুখ। বিটিএমএ’র সভাপতি বলেন, গত মার্চে গ্যাসের সংকট শুরু হয়। জুলাইয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।

এতে করে কারখানাগুলো উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ৩০-৪০ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গ্যাস সংকটে উৎপাদন এখন তলানীতে গিয়ে পৌঁছেছে। হুমকির মুখে পড়েছে ১ কোটি ৬০ হাজার ডলারের বিনিয়োগ। ১০ লাখ মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। উৎপাদন করা না গেলে শ্রমিক ছাঁটায়ের শঙ্কাও তীব্র হবে।

বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতির ঊর্ধ্বগতি উদ্বেগজনক-যুগান্তর

দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতি বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণে। আমদানি যেভাবে বাড়ছে, সেই ভাবে রপ্তানি বাড়ছে না। ফলে ঘাটতির মাত্রাও প্রায় সব বছরেই রেকর্ড গড়ছে। অতীতের সব রেকর্ডকে ভঙ্গ করে গত অর্থবছরেই রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। গত ১৪ বছরে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ৭ গুণের বেশি। বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতি অব্যাহতভাবে ও রেকর্ড পরিমাণে বাড়তে থাকায় অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে। বর্তমান ডলার সংকটের অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে বৈদেশিক বাণিজ্যের বিশাল ঘাটতি। এ ঘাটতি আরও বাড়তে থাকলে ঝুঁকিও বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন অর্থনীতিবিদরা। বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) থেকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। তারা বাণিজ্য ঘাটতিতে লাগাম টানার পরামর্শও দিয়েছেন।

সূত্র জানায়, বৈশ্বিক মন্দা ও দেশীয় পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সার্বিক অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে রেকর্ড বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।

অতিমাত্রায় ভেজালে ভরা প্রশাসন-যুগান্তর

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে। শুরু ২০০৯। পার হতে চলেছে ১৪ বছর। একেবারে কম সময় নয়। ক্ষমতা গ্রহণের পর ১৫ বছর শেষে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। কিন্তু সরকারের এই সময়কালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকে নিজেকে শুধু সেরা আওয়ামী লীগার বানাতেই ব্যস্ত। আওয়ামীপন্থি প্রমাণ করার জন্য সুযোগসন্ধানীরা সম্ভব সবই করেছে। বসে থাকেনি ক্যারিয়ারিস্টরাও। বঙ্গবন্ধু আর জয় বাংলা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছেন। কেউ কেউ ব্যস্ত নকল করে বই আর কবিতা লেখায়। যাদের খাওয়া শেষ হয়নি, তাদের তোষামোদীর তোষণ নীতি এখনো বিরতিহীন। বিনিময়ে যে যেভাবে পেরেছেন দিনশেষে নিজের সুবিধা বাগিয়ে নিয়েছেন। আর বদনাম যা হওয়ার সব সরকারের। সরকারি দল আওয়ামী লীগের। কিন্তু সত্যিকারার্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে পারেননি অনেকে। বঙ্গবন্ধু তার জীবদ্দশায় সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় যে ঐতিহাসিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, তা কেউ মানেন না। আর মানবেন কীভাবে? জানলে কিংবা শুনলে তো মানার চেষ্টা করবেন। অনেকে তো ওই দুর্লভ বক্তব্যটি শোনার চেষ্টাও করেননি। শুধু আমলা নন, এ সমাজের বহু পেশার অনেক ধড়িবাজও একই পথ অনুসরণ করে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করেছেন। অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর এসব চাটুকার কিংবা ওনাদের পূর্বপুরুষদের প্রায় সবাই নিশ্চুপ ছিলেন। এখন সুসময়ে আম-দুধ মাখিয়ে ক্ষমতার পুরো স্বাদ পেতে চেতনায় সব অজ্ঞান অবস্থা। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এদের চরম আঘাত করতেন। যে আঘাতের কথা তিনি তার অসীম সাহসের বক্তৃতায় বলে গেছেন।

প্রশাসনের নব্য চেতনাবাজদের এ রকম বীভৎস চেহারা দেখে বড়ই আক্ষেপ করে ভেজালবিরোধী অভিযানে বিশেষ সাফল্য অর্জনকারী একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ‘শুধু ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের অভিযান চালালে হবে না। প্রশাসনের মধ্যেও যে অতিমাত্রায় ভেজাল ঢুকে পড়েছে, সেখানেও অভিযান চালাতে হবে।’ অপর একজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে তার ফেসবুক পেজে বিস্তর লিখেছেন। কিন্তু এখানে সেটি লিখলে তার ক্ষতি করে দিতে পারে বলে সেদিকে আর গেলাম না।

গত ১৬ অক্টোবর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন এবং ১৮ অক্টোবর পুলিশের এসপি পদমর্যাদার ৩ কর্মকর্তা সিআইডিতে কর্মরত মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী ও দেলোয়ার হোসেন মিয়া এবং পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (টিআর) মুহম্মদ শহীদুল্লাহ চৌধুরীকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর পর এখন প্রশাসনের সদর অন্দরের নানা খবর চাউর হচ্ছে। আকাশে-বাতাসে ঘুরছে অনেক প্রশ্ন এবং নানা শঙ্কার কথা। পেশাদার ও ত্যাগী আওয়ামী কর্মকর্তাদের অনেকে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। নিজের আমলনামা দেখে অনেকে এখন খুবই বিচলিত। বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়ার শঙ্কা নিয়েও বড্ড উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছেন তারা।

প্রশাসনে কর্মরত পেশাদার আমলাদের অনেকে যুগান্তরকে জানিয়েছেন, আসলে প্রশাসনসহ পুরো সমাজের মধ্যে যে ভেজাল অবস্থা বিরাজ করছে, সেটাকে আগে ভেজালমুক্ত করতে হবে। তাহলে খাদ্যপণ্যসহ সবকিছুই রাতারাতি ঠিক হয়ে যাবে। তা না হলে সুবিধাবাদীরা মূলত তিনটি লক্ষ্য সামনে নিয়ে স্বার্থের বৈতরণি পার হতেই থাকবে। প্রথমত, যেভাবে হোক সময়মতো পদোন্নতিসহ বেতনের বাইরে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কামানো যাবে-এমন সব গুরুত্বপূর্ণ পদে পোস্টিং তাদের চাই-ই। দ্বিতীয়ত, চাকরি থাকাবস্থায় পুরো পরিবারের পাসপোর্টে নিদেনপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার ভিসা লাগানো। আর কত দ্রুত স্ত্রী-সন্তানদের বিদেশে পাঠানো যায়, সেই চেষ্টা করা। ওনাদের সন্তানের যেন বিদেশে পড়তেই হবে। না হলে খুবই গুনাহের কাজ হবে। এরপর বিভিন্ন ফর্মুলায় ঘুসের টাকা সেখানে পাচার করা। নামে-বেনামে বিদেশে সম্পদ গড়ে তোলা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে গোপনে পিআর নেওয়া। এছাড়া আমলারা যে অর্থ পাচারে এগিয়ে, সেটি আমার বানানো কোনো কথা নয়। ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ধারণা ছিল কানাডায় অর্থ পাচার করা রাজনীতিবিদের সংখ্যা বেশি হবে; কিন্তু আমার কাছে যে তথ্য এসেছে, যদিও সামগ্রিক তথ্য নয়, তবু সেটিতে আমি অবাক হয়েছি। সংখ্যার দিক থেকে আমাদের সরকারি কর্মচারীর বাড়িঘর সেখানে বেশি আছে এবং তাদের ছেলেমেয়েরা সেখানে থাকে।’ এরপর কী হয়েছে? কিছুই হয়নি। বিবিসি দুদক চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করেছিল-এখন কী করবেন? উত্তর দিয়েছিলেন, ‘মন্ত্রী তথ্য দিলে ব্যবস্থা নেব।’ বাকিটা আর বললাম না।

এদিকে দেশে সব খাওয়া শেষ হলে সরকারি কর্মকর্তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের স্বাদ নেওয়া কেন বাকি থাকবে? ব্যাচমেট কিংবা জুনিয়রদের হক নষ্ট করে ওটাও তাদের চাই। তাও আবার এক, দুবার না। সম্ভব হলে অনন্তকালের জন্য লিখে দেওয়া হোক মধুর হাঁড়ির মালিকানা। তৃতীয়ত, সরকারের বিপদ আঁচ করতে পারলে কিন্তু খবর আছে। গোপনে বিপরীত মেরুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে এক মিনিটও সময় নেবে না। আর পরিস্থিতি বেশি খারাপ মনে হলে সমস্যা নেই, পাসপোর্টে তো ভিসা লাগানো আছে। কে আর নাগাল পায়। চিকিৎসার কথা বলে হলেও দ্রুত সটকে পড়বে। অনেকে এসব ব্যবস্থা আগে থেকে পাকাপোক্ত করে রেখেছেন। এই হলো প্রশাসনের আসল চেহারা। এটা গল্প নয়। কঠিন সত্য। প্রশাসনে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পেশাগত চোখে ২৩ বছর ধরে এ ধরনের বিচিত্র চরিত্রগুলো দেখে আসছি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এই ত্রিচরিত্রের বর্ণচোরা কর্মকর্তায় গোটা প্রশাসন এখন ঠাসা। কিন্তু অবস্থা এমন যে, তাদের ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না, বলা যাবে না কিছু। কারণ, তারাই নাকি সরকারকে টিকিয়ে রাখে। এরকম মেকি প্রভাব বিস্তারের খড়্গ শুধু প্রশাসনে নয়, সর্বত্র। একসময় রাজনীতি দ্বারা সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হতো। এখন উলটো চিত্র। আর মন্ত্রীর মেরুদণ্ড যদি শক্ত না হয়, তাহলে তো কেল্লাফতে।

এর বাইরে আরেকটি রোগ এখন প্রশাসনে মহামারিতে রূপ নিয়েছে। সেটি হলো-নিজের একটা বিশেষ অবস্থান জানান দেওয়ার অপসংস্কৃতি। সেবাপ্রার্থী কিংবা দর্শনার্থী সামনে গেলে প্রথমেই তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, তার দাদা আওয়ামী লীগ করতেন। নানা তো আওয়ামী লীগ করে জীবনই দিয়েছেন। কিংবা শ্বশুর, ভাই এমনকি নিজের সম্পর্কে একটা ফিরিস্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয় তাকে কিছুতেই কিছু করা যাবে না। তার অনেক ক্ষমতা।

রাজনীতির খবর- মানবজমিনের শিরোনাম-খুলনায় বিএনপি’র গণসমাবেশ/ ট্রলার বহরে হামলা, অর্ধশতাধিক আহত, অনেকেই নিখোঁজ। 

এদিকে, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি  তাদের আন্দোলন জমাতে উস্কানি দিয়ে লাশ ফেলতে চায়। গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। তারা উস্কানি দিয়ে লাশ ফেলতে চাইলে সরকার দায়ী থাকবে না। তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে দেবো না। তিনি বলেন, ২০১৩-১৪’র মতো সহিংসতা করতে চাইলে তার সমুচিত জবাব দেয়া হবে। দেশের সকল ক্ষমতা এখন এক ব্যক্তির হাতে বলেছেন-জাপা মহাসচিব।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

ট্রেনের মধ্যে কেন চলছে নমাজ পড়া? প্রশ্ন তুলে রেলে অভিযোগ দায়ের বিজেপি নেতার

Image Caption

 

ফের নমাজ বিতর্ক। সেই উত্তরপ্রদেশেই। যোগীরাজ্যের খদ্দা স্টেশনে ট্রেনের কামরায় যাতায়াতের জায়গায় বসে নমাজ পড়ছিলেন কয়েকজন। এবার তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন জনৈক বিজেপি নেতা। কী তাঁর অভিযোগ? শুনে নিই। যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশের খদ্দা স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল সত্যাগ্রহ এক্সপ্রেস। আর সেই অবসরেই চারজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী নমাজ পড়তে শুরু করেন। কোচের মধ্যে সরু জায়গায়, অর্থাৎ যেখান দিয়ে যাত্রীরা যাতায়াত করেন, সেখানেই বসে তাঁরা প্রার্থনা শুরু করেন। আর এই ঘটনাতেই বেজায় চটেছেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা দীপলাল ভারতী। পুরো ঘটনাটিকে তিনি ক্যামেরাবন্দি করেন। ট্রেনের মধ্যে কেন নমাজ পড়া হল, সে-প্রশ্ন তোলেন। তাতেও অবশ্য ক্ষান্ত হননি, এ বিষয়ে অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি।

আইন ভেঙে বিদেশি অনুদান! রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের-সংবাদ প্রতিদিন

‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার মধ্যেই গান্ধী পরিবারকে বড় ধাক্কা কেন্দ্রের। বাতিল করে দেওয়া হল গান্ধী পরিবার পরিচালিত রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন ও রাজীব গান্ধী চ্যারিটিবল ট্রাস্টের FCRA লাইসেন্স। অভিযোগ, ইউপিএ আমলে বেআইনিভাবে বিদেশি সংস্থার কাছে অনুদান নিয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নামে তৈরি এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। FCRA লাইসেন্স বাতিল হওয়ার অর্থ, আর কোনও বিদেশি সংস্থার থেকে অনুদান গ্রহণ করতে পারবে না রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন এবং রাজীব গান্ধী চ্যারিটিবল ট্রাস্ট।

নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়, শুক্রবার থেকে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল পর্ষদ-আজকাল

নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে শুক্রবার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল পর্ষদ। ১১ হাজার ৭৬৫ টি শূন্যপদের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পর্ষদ।  শুক্রবার বিকেল চারটে থেকে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। আবেদন করা যাবে ১৪ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত।

আবেদন করার বয়স সীমা চল্লিশ বছর। টেট উত্তীর্ণ হলেই আবেদন করা যাবে।  ২০১৪ সালে টেট পাস করা প্রার্থীরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা টেট পাস করে দুবার ইন্টারভিউ দিয়েছেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে তাঁরা রাজি নন। করুণাময়ীতে আমরণ অনশনেও বসেছিলেন তাঁরা। অন্যদিকে, পর্ষদের তরফে জানানো হয় নিয়ম ভেঙে নিয়োগ করা হবে না। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতেই হবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আরও একবার নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকার বার্তা দিল পর্ষদ।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৩