৩৭ বছর ধরে একটি হাসপাতালে ‘চুরি’ করা হয় ১০ হাজার মস্তিষ্ক!
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ১৭ নভেম্বর বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- বাড়লো সয়াবিন তেল-চিনির দাম-ইত্তেফাক
- ‘প্রত্যাখ্যাত বিএনপি প্রতিশোধের নেশায় সন্ত্রাসের উত্তাপ ছড়িয়েছে’-যুগান্তর
- বিএফআইইউর উদ্যোগ-হুন্ডির দায়ে বিকাশ, রকেট, নগদের ২৩০ হিসাব জব্দ-প্রথম আলো
- জানুয়ারি থেকে ডলার সংকট থাকবে না : গভর্নর-কালের কণ্ঠ
- হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক-মানবজমিন
- সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক- বাংলাদেশ প্রতিদিন
কোলকাতার শিরোনাম:
- দিল্লি হত্যাকাণ্ড: মৃত্যুর পর শ্রদ্ধার অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকা হাতায় আফতাব, বেচে দেয় মোবাইলও -সংবাদ প্রতিদিন
- রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পরই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র-আজকাল
- মাথা কেটে বার করে নেওয়া হত ঘিলু! ৩৭ বছর ধরে এই হাসপাতালে ‘চুরি’ করা হয় ১০ হাজার মস্তিষ্ক-আনন্দবাজার পত্রিকা
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. আগামী সপ্তাহে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বাংলাদেশ সফরে আসছেন। বাংলাদেশের জন্য তার এই সফরের গুরুত্ব কী?
২. পরস্পরের তেল ট্যাংকার ছেড়ে দিল ইরান ও গ্রিস। খবরটিকে কীভাবে দেখবেন আপনি?
জনাব সিরাজুল ইসলাম আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর
বিএফআইইউর উদ্যোগ হুন্ডির দায়ে বিকাশ, রকেট, নগদের ২৩০ হিসাব জব্দ-প্রথম আলো
বিদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসায় বিকাশ, রকেট ও নগদের ২৩০ গ্রাহকের হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। ফলে এসব হিসাবে জমা টাকা এখনই তুলতে পারবেন না গ্রাহকেরা। ভবিষ্যতে বৈধপথে আয় পাঠানোর শর্ত মানলে হিসাবগুলো খুলে দেওয়া হবে। তখন জমা টাকাও তুলতে পারবেন সংশ্লিষ্ট গ্রাহকেরা।
এ বিষয়ে একাধিক এমএফএস প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিএফআইইউ গতকাল বুধবার এই ব্যবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্ট এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়েছে। পাশাপাশি কয়েকজন এমএফএস এজেন্টের হিসাবও জব্দ করা হয়েছে। এর আগে একই অপরাধে জড়িত থাকায় ৫ হাজার ৪১৮ এমএফএস এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। যার মধ্যে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রথম আলোর অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, বাজারে সয়াবিন তেল ও চিনির সংকট চলছে। এমন পরিস্থিতিতে একসঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দুটির দাম বাড়ল। বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১২ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৯০ টাকা। আর প্যাকেটজাত প্রতি কেজি চিনির দাম ১৩ টাকা বেড়ে হয়েছে ১০৮ টাকা। নতুন এই দাম আজ বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর।
অপরাধ-রাত সোয়া দুইটায় যাত্রাবাড়ী মোড়ে ছিলেন ফারদিন: ডিবিপ্রধান- প্রথম আলো
বুয়েট ছাত্র ফারদিনকে খুন হওয়ার আগে দিবাগত রাত সোয়া দুইটার (৩ নভেম্বর) দিকে যাত্রাবাড়ী মোড়ে দেখা গিয়েছে। সাদা গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় এক যুবক তাঁকে একটি লেগুনায় তুলে দেন। ওই লেগুনায় আরও চারজন ছিলেন। লেগুনাটি তারাবের দিকে যায়। ওই লেগুনার চালক ও সহযোগীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

৪ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রামপুরা থানায় তাঁর বাবার করা মামলায় আয়াতুল্লাহ বুশরা নামের এক বন্ধুকে রিমান্ডের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ফারদিনের মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। তাঁকে কোথায় হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু পাওয়া যায়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর (২৪) হত্যার ঘটনায় অকাট্য কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।
জানুয়ারি থেকে ডলার সংকট থাকবে না : গভর্নর-কালের কণ্ঠ
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেছেন, ‘চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে অস্বাভাবিকভাবে এলসি খোলা হয়েছে। এটি আমরা কমিয়েছি। আগামী জানুয়ারি থেকে ডলার সংকট আর থাকবে না বলে আশা করছি। ’
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এক সেমিনারে গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এসব কথা বলেন।
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ নিয়ে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে জাতীয় সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ আয়োজিত সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর বলেন, ‘আগামী জানুয়ারি মাস থেকে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট আর থাকবে না। এখনো কোনো সংকট নেই, তবে দেশে আন্ডার ইনভয়েসিং (কম মূল্য দেখানো) ঠেকাতে আমরা সতর্ক অবস্থান নিয়েছি। ’
গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার আরো বলেন, হুন্ডি প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ওভার ইনভয়েসিং (বেশি মূল্য দেখানো) এবং আন্ডার ইনভয়েসিং শূন্যতে নামিয়ে রাখা গেছে।
‘প্রত্যাখ্যাত বিএনপি প্রতিশোধের নেশায় সন্ত্রাসের উত্তাপ ছড়িয়েছে’-যুগান্তর

জনগণের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত বিএনপি প্রতিশোধের নেশায় বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসের উত্তাপ ছড়িয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার সেই সন্ত্রাসের উত্তাপ থেকে জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তিনি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিবের মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্যই বিএনপি ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে জনগণ দ্বারা মারাত্মকভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ‘বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হয়েছে’—দলটির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার শুধু সতর্ক ছিল, এ সুযোগে বিএনপি যেন কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় এসে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রাখতে দেশের জনগণের ওপর সীমাহীন অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছে।
এটিও কী আপনাদের খেলার অংশ: ওবায়দুল কাদেরকে রিজভী-যুগান্তর
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ওবায়দুল কাদের ফিউচার টেনসে বলেন— খেলা হবে। কিন্তু খেলা তো চলছে মানুষের আহার নিয়ে, খাদ্য নিয়ে, ভোগান্তি নিয়ে। এসব দেশের জনগণ দেখছে। এটিও আপনাদের খেলার অংশ। এর হিসাব কিন্তু আপনাকে একদিন দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনের মুক্তি দাবিতে এ মানববন্ধন হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই ‘অবৈধ সরকারের’ একজন মন্ত্রী যিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উনি প্রতিদিন বলেন— খেলা হবে। এটা তো ফিউচার টেনসে বলেছেন— প্রেজেন্ট টেনসে বলবেন না খেলা চলছে। আপনি কামরুজ্জামান রতনকে গ্রেফতার করেছেন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদকে গ্রেফতার করেছেন। এটিও কি খেলার অংশ না? সারা দেশে সমাবেশ যাতে না হয়, তার জন্য অনেককেই গ্রেফতার করেছে— এটি কী খেলার অংশ না? বিএনপির সমাবেশের দুদিন আগে বাস মালিক ধর্মঘট ডাকে এটিও তো আপনার খেলার অংশ। কারণ আপনার নির্দেশ ছাড়া এই বাস মালিক সমিতি ধর্মঘট ডাকার কথা না। বিএনপির সমাবেশ শেষে তাদের ধর্মঘটও শেষ হয়, এটা তো ওবায়দুল কাদের ও শেখ হাসিনার খেলার অংশ।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
কেন্দ্রের টাকা ‘চাই’ বনাম ‘চাই না’, দলের দুই মুখ মমতা ও অভিষেকের বয়ানে কি বিভ্রান্ত তৃণমূল-আনন্দবাজার পত্রিকা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। দিতেই হবে। নইলে আন্দোলন। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, কেন্দ্রের টাকা চাই না। হাত পাতবে না রাজ্য। দলের দুই মুখের দুই বক্তব্য কেন?
একই দলের দু’রকম কথা। শুরু হয়েছিল সেই ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একই ভাবে বলে চলেছেন, কেন্দ্র রাজ্যের প্রাপ্য টাকা রাজ্যকে দিচ্ছে না। বকেয়া টাকার দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিচ্ছেন। অন্য দিকে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার বলছেন— লাগবে না কেন্দ্রের টাকা! রাজ্য রাজ্যের মতো চালিয়ে নেবে।আপাতদৃষ্টিতে ‘পরস্পরবিরোধী’ এই দুই বয়ান নিয়ে বিরোধীরা সরব। তৃণমূল কি খানিকটা বিভ্রান্ত? দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য দাবি করেছেন, এতে বিভ্রান্তির কিছু নেই। রাজ্যের দাবি নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা। আর অভিষেক বার্তা দিচ্ছেন, কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়াও রাজ্য চলতে পারে।
মাথা কেটে বার করে নেওয়া হত ঘিলু! ৩৭ বছর ধরে এই হাসপাতালে ‘চুরি’ করা হয় ১০ হাজার মস্তিষ্ক-আনন্দবাজার পত্রিকা

ডেনমার্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে মস্তিষ্কগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গোপন গুদামে সেগুলি বাক্সবন্দি করা রাখা ছিল বলে দাবি।৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রায় ১০ হাজার মানসিক রোগীর দেহ থেকে মস্তিষ্ক হাতিয়ে নিয়েছেন ডেনমার্কের চিকি়ৎসকেরা। এমনকি, এ বিষয়ে ওই রোগীদের পরিবারের অনুমতি পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। এমনই দাবি করল আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সিএনএন।ডেনমার্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে মস্তিষ্কগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গোপন গুদামে সেগুলি বাক্সবন্দি করা রাখা ছিল বলে দাবি।
‘ওয়ার্ল্ড’স আনটোল্ড স্টোরিজ়: দ্য ব্রেন কালেক্টরস’ নামে ওই তথ্যচিত্রটি সিএনএন-এ দেখানো হয়েছে ১২-১৩ নভেম্বর। যার বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের দাবি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ৩৭ বছর ধরে গোপনে এ হেন সংগ্রহে লিপ্ত ছিলেন ড্যানিশ চিকিৎসকেরা। মূলত স্কিৎজ়োফ্রেনিয়া, মানসিক অবসাদে ভোগা রোগীদের হাসপাতালে মৃত্যুর পর সেখান থেকে তাঁদের মস্তিষ্ক সরানো হত বলে দাবি।
ডেনমার্কের আর্থাস ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল সায়েন্সের ইতিহাসবিদ তথা পরামর্শদাতা টমাস আর্স্লেভ মনে করেন, ১৯৪৫ থেকে ’৮২ সাল পর্যন্ত সে দেশে যত মানসিক রোগী হাসপাতালে মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের মস্তিষ্ক হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এবং গোটা বিষয়টি অন্ধকারে রাখা হয়েছিল ওই রোগীদের পরিবারের সদস্যদের থেকে।

সিএনএন-এর দাবি, ডেনমার্কের ইনস্টিটিউট অফ ব্রেন প্যাথোলজিতে এই কাণ্ডকারখানা চলত। ওই ইনস্টিটিউটটি আর্থাস শহরের রিসকভ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
অভিযোগ, প্রায় ৫ বছর ধরে দুই চিকিৎসক এই ‘কুকীর্তি’ চালিয়ে যাওয়ার পর নাড এ লোরেনৎজ়েন নামে এক প্যাথোলজিস্ট ওই ইনস্টিউটের দায়িত্ব নেন। এর পরের ৩ দশক ধরে ওই চিকিৎসকদের অসমাপ্ত কাজ চালিয়ে যান নাড।
দিল্লি হত্যাকাণ্ড: মৃত্যুর পর শ্রদ্ধার অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকা হাতায় আফতাব, বেচে দেয় মোবাইলও-সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, হত্যার সপ্তাহ খানেক বাদে শ্রদ্ধার (Shraddha Walkar) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকা হাতিয়ে নেয় আফতাব (Aftab Amin Poonawala)। এমনকী তরুণীর দু’টি মোবাইল ফোনও বিক্রি করে দেয় সে। এমন তথ্যই জানতে পেরেছে পুলিশ। অন্যদিকে শ্রদ্ধার দেহ করাত দিয়ে কাটায় দিল্লির (Delhi) তিনতলা ভাড়া বাড়ির ঘর ও বাথরুম রক্তে ভেসে যায়। ওই রক্ত ধোয়াতে গিয়ে অতিরিক্ত জলের প্রয়োজন ছিল। অনেক সময় ধরে কল খুলে রাখে অভিযুক্ত। এই কারণে মে মাসে অতিরিক্ত জলের বিল এসেছিল তিনতলার বাড়িটিতে। পুলিশি তদন্তে এমনও দাবি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তদন্তকারীদের হাতে মে মাসের জলের বিল এসেছে। নৃশংস অপরাধের প্রমাণ হিসেবে জলের বিলটিকে ব্যবহার করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা।পুলিশের দাবি, দেহ টুকরো করে কাটায় রক্তে ভেসে গিয়েছিল ঘর। সেই রক্ত পরিষ্কার করার জন্য অতিরিক্ত জলখরচ করেছিল আফতাব। বাথরুম ধুতে কল খুলে রাখা হয় দীর্ঘ সময়।

দিল্লি পুলিশ সূত্রে দাবি, জলের বিলকে শ্রদ্ধা হত্যা মামলায় একটি বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগানো হতে পারে। উল্লেখ্য, আগেই আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে রক্তের দাগ ও গ্লাভস খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। কিন্তু এখনও সেই অস্ত্রটি পাওয়া যায়নি, যার সাহায্যে শ্রদ্ধার শরীর টুকরো টুকরো করে কাটা হয়।

প্রসঙ্গত, ১৮ মে দিল্লির মেহেরৌলিতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে তাঁর প্রেমিক তথা লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। খুনের পর শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরো করে আফতাব। এরপর দিল্লি শহরের বিভিন্ন জায়গায় তা ফেলতে থাকে। আফতাবকে ভালবেসে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে দিল্লিতে চলে এসেছিল তরুণী। যদিও তাঁর পরিণতি হয় মর্মান্তিক।
রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পরই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র-আজকাল/সংবাদ প্রতিদিন
নোট বাতিল শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একার সিদ্ধান্ত নয়। রিজার্ভ ব্যাংকের (Reserve Bank) সঙ্গে সবিস্তারে আলোচনার পরই ৬ বছর আগের ওই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার। সুপ্রিম কোর্টে জানাল খোদ কেন্দ্র। মোদি সরকার শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, নোট বাতিল (Demonetisation) অনেক চিন্তাভাবনার ফসল। জাল নোট, সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত, কালো টাকা এবং কর ফাঁকি রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৬ বছর আগে ২০১৬ সালে আচমকা ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। গত সেপ্টেম্বরে এই সংক্রান্ত শুনানিতে রাজি হয় আদালত। ১২ অক্টোবরে হয় প্রাথমিক শুনানি। ওই দিন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, এই বিষয়ে জবাবদিহি করা কেন্দ্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে দেশের আমজনতার আদৌ লাভ হয়েছে কি না, এই বিষয়ে ৯ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা মারফত জানাতে হবে মোদি সরকারকে।
শীর্ষ আদালতের বেধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে কেন্দ্র নিজেদের জবাব জানাতে পারেনি। কেন্দ্রের আইনজীবী কে ভেঙ্কটরমাণি সময়মতো হলফনামা পেশ করতে পারেননি। ক্ষুব্ধ আদালত কেন্দ্রকে নতুন করে হলফনামা পেশের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়। তারপরই কেন্দ্র হলফনামা পেশ করে জানিয়েছে, ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত কালো টাকা, কর ফাঁকি এবং টেরর ফান্ডিং অর্থাৎ সন্ত্রাসে আর্থিক মদত রুখতে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে। এটা সরকারের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। তবে শুধু নোট বাতিলই যে এগুলি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, তেমন নয়।
কেন্দ্রের এই হলফনামা অনেকাংশেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপির (BJP) সেসময়ের বক্তব্যের পরিপন্থী। নোট বাতিলের (Note Ban) পর বহু বিজেপি নেতাই দাবি করেছিলেন, এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মস্তিস্কপ্রসূত সিদ্ধান্ত। এবং সরকারের মন্ত্রীরাও সেকথা জানতেন না। অথচ, কেন্দ্রের হলফনামায় বলা হচ্ছে, এই সিদ্ধান্ত অনেক ভেবেচিন্তে অন্তত মাস ছ’য়েক ধরে রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি নোট বাতিলের ব্যর্থতার দায় নিজের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি? #
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৭