হেডস্যার-পুত্রের জালিয়াতির তদন্তে সিআইডি
নিয়োগ দুর্নীতিতে নোবেলজয়ীদের কী মত?
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ১৯ জানুয়ারি বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- ঘুমধুম-তমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি-আগুন-রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের গ্রামের দিকে ছুটছে -প্রথম আলো
- আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় বিএনপির সময়ে নিয়োগ পাওয়া ৮৫ কর্মকর্তা চাকরি ফিরে পাচ্ছেন না -মানবজমিন
- ‘অভিমান ভাঙিয়ে’ শরিকদের পাশে চায় আ.লীগ -যুগান্তরগণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বিএনপি জয়ী হবে : ফখরুল -কালের কণ্ঠ
- আইএমএফ থেকে কোনো শর্তে ঋণ নিচ্ছে না বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী - বাংলাদেশ প্রতিদিন
- সরকারি চাকরিতে সাড়ে ৩ লাখের বেশি পদ শূন্য -ইত্তেফাক
কোলকাতার শিরোনাম:
- যোশিমঠে সব ঠিক আছে, অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না’, দাবি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর -সংবাদ প্রতিদিন
- জোশীমঠের জন্য আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন –উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী-আজকাল
- হেডস্যর-পুত্রের জালিয়াতির তদন্তে সিআইডি–আনন্দবাজার
- ভোট ঘোষণা হতেই ত্রিপুরায় মন্ত্রীর নেতৃত্বে হামলা -গণশক্তিজনবিস্ফোরণ-চীনকেও ছাপিয়ে যাবে ভারত-,২০৫০ এ জনসংখ্যা ছাড়াবে ১৬৬ কোটি-পুবের কলম
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. বাংলাদেশে সাংবাদিকরা কাজ করেন বিরোধপূর্ণ ও বিপজ্জনক পরিবেশে। ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইন্সটিটিউট এই তথ্য দিয়েছে। আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
২. নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদ বলছে, ইসরাইল থেকে গোপনে গোলাবারুদ ইউক্রেনে পৌঁছে দিচ্ছে আমেরিকা। ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে এর পরিণতি কী হতে পারে?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর
ঘুমধুম-তমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি-আগুন-রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের গ্রামের দিকে ছুটছে-প্রথম আলো
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তমব্রু সীমান্ত এলাকার মিয়ানমার অংশে আবারও গোলাগুলি ও রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিসংযোগের পর নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে সেখানকার রোহিঙ্গারা। শূন্যরেখার পার্শ্ববতী বাংলাদেশের বাসিন্দারাও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে হয়ে পড়েছে। শূন্যরেখার শিবির থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বিভিন্ন গ্রামের দিকে ছুটছে।
বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত এই থেমে থেমে গোলাগুলির পর রোহিঙ্গা বাসিন্দারা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়া শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা দিল মোহাম্মদ ও ঘুমধুম ইউনিয়নের পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ। এ প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা প্রথম আলোকে বলেন, ঘুমধুম-তমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখায় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী দুটি পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে সীমান্তে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী, বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার নেই। তারপরও সীমান্তের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সতর্ক অবস্থানে আছে।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় বিএনপির সময়ে নিয়োগ পাওয়া ৮৫ কর্মকর্তা চাকরি ফিরে পাচ্ছেন না-মানবজমিন
বিগত বিএনপি-জামায়াতসহ চারদলীয় জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নিয়োগ পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেছে আপিল বিভাগ। সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির সইয়ের পর পূর্ণাঙ্গ এ রায় প্রকাশ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে।
২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নির্বাচিত করা হয়। চার দলীয় জোট সরকারের সময়ের এই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ৩২৭ জনের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়া হয়। তাদের মধ্যে অনুত্তীর্ণ ৮৫ জনকে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।
এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা মামলা করলে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা খারিজ করে রায় দেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধেও তারা আপিল করেন। সেটি মঞ্জুর করে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল আপিল মঞ্জুর করে চাকরিতে পুনর্বহালের পক্ষে রায় দেন।
রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক চারটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে সরকারপক্ষ পৃথক আপিল করে।
২০২২ সালের ২৮ আগস্ট প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। এসব আপিলের শুনানি শেষে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর রায় দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
রায়ে ওই ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে প্রায় এক যুগ আগে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সিদ্ধান্ত বাতিল করেন। এতে করে ওই সব কর্মকর্তারা আর চাকরি ফেরত পাবেন না।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
যোশিমঠে সব ঠিক আছে, অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না’, দাবি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর-সংবাদ প্রতিদিন
যোশিমঠ (Joshimath) বাঁচানো নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা দেশ। পাহাড়ি জনপদের বহু বাড়িতে ফাটল ধরার সমস্যায় বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষ। নিজের বাড়ি ছেড়ে শিবিরে গিয়ে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami) সাফাই দিয়ে বললেন, যোশিমঠ নিয়ে অযথা ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। আসলে সেখানকার মানুষ নিরাপদেই সাধারণভাবে জীবনযাপন করছেন।যোশিমঠের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী-সহ ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা, এমনটাই জানা গিয়েছিল।
হেডস্যর-পুত্রের জালিয়াতির তদন্তে সিআইডি, তিন বছর ধরে কেউ জানেনই না? প্রশ্ন বিচারপতির-আনন্দবাজার পত্রিকা
প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছে পুত্র। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বিস্মিত তার পরের ঘটনায়। তাঁর প্রশ্ন, তিন বছর ধরে ওই ‘শিক্ষক’ বেতন পাচ্ছেন, অথচ তাঁকে যে নিয়োগপত্রই দেওয়া হয়নি, তা জানেন না জেলা স্কুল পরিদর্শক? বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে সিআইডিকে মামলাটির তদন্ত ভার দিয়েছেন বিচারপতি বসু। সেই সঙ্গে বলেছেন, আরও এমন নিয়োগ জালিয়াতি হয়ে থাকতে পারে। তারও তদন্ত হওয়া উচিত। বুধবারই তাঁর বেতন বন্ধ করে স্কুলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
নিয়োগ দুর্নীতিতে নোবেলজয়ীদের কী মত? এবার প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ-সংবাদ প্রতিদিন
রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় কী ভাবছেন? এবার এজলাস থেকেই এ প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলাকালীন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে উদ্দেশে এই প্রশ্ন করেন তিনি। বলেন, ‘আমার জানার কৌতূহল, স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতিতে এই সব মহান স্বীকৃত শিক্ষাবিদ মানুষগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি কী? ওঁরা তো আরও অনেক বিষয়ে কথা বলেন। তাই এটা নিয়েও কিছু বলেন কিনা, সেটা জানতে চাইছিলাম।’ জবাবে বিকাশবাবু বলেন, “আমার মনে হয় অমর্ত্য সেনের বলা বিষয়ে পুরো লেখাটা পড়লে বোঝা যাবে, যে ভাবে দেখানো হচ্ছে, তিনি সেই ভাবে বলেননি।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে অমর্ত্য সেনের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জেরেই যে বিচারপতির এ প্রশ্ন, বিকাশবাবুর জবাবে তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৯