কথাবার্তা
আসুন, সবাই এক হয়ে সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ি: প্রধানমন্ত্রী
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। ২০ জানুয়ারি শুক্রবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- আমাদের গণতন্ত্র আমরাই চালাব, বিদেশিদের ফরমায়েশে চলবে না: ওবায়দুল কাদের-প্রথম আলো
- আসুন, সবাই এক হয়ে সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ি: প্রধানমন্ত্রী- যুগান্তর
- সরকার গত ১৫ বছরে গণতন্ত্রকে কবরে দাফন করেছে : দুলু-বাংলাদেশ প্রতিদিন
- পিছিয়ে পড়া সবাইকে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে : স্পিকার-কালের কণ্ঠ
- আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই গণতন্ত্র উধাও হয়ে যায়’- মানবজমিন
ভারতের শিরোনাম:
- জাল করে নম্বর ‘বাবার স্কুলে’!-আনন্দবাজার পত্রিকা
- মুখ্যমন্ত্রীদেরও দেওয়া হোক বিচারপতিদের নাম সুপারিশের অধিকার, মমতার চাপে সুরবদল রিজিজুর-সংবাদ প্রতিদিন
- বন্ধ্যাত্বের কারণে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়া যাবে না: কলকাতা হাইকোর্ট-আজকাল
এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
আসুন, সবাই এক হয়ে সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ি: প্রধানমন্ত্রী- যুগান্তর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার দেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় একটি উন্নত ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধপরিকর।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ‘আন্তর্জাতিক হিন্দু সম্মেলন-২০২৩’ উপলক্ষ্যে শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক হিন্দু সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেনে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে তিনি দেশের সব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, আবহমান কাল ধরে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এ আপ্তবাক্য ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে যাচ্ছেন। সরকার দেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় একটি উন্নত ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধপরিকর।
আমাদের গণতন্ত্র আমরাই চালাব, বিদেশিদের ফরমায়েশে চলবে না: ওবায়দুল কাদের-প্রথম আলো
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গণতন্ত্র নষ্টকারী বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের বুলি শোভা পায় না। আমাদের গণতন্ত্র আমরাই চালাব। বিদেশি কারও ফরমায়েশে চলবে না।’তিনি বলেন, শত বাধা–বিপত্তির মধ্যেও শেখ হাসিনা গণতন্ত্র বিকাশে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় প্রধান কার্যালয়ে শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে মৃত ইস্যু জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশীদারত্বমূলক। সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।’ সরকারের পরিবর্তন চাইলে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকা আওয়ামী লীগের সাত দশকের ইতিহাস। এটাই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।
আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই গণতন্ত্র উধাও হয়ে যায়’- মানবজমিন
আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই দেশের গণতন্ত্র উধাও হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরেছে। তারাই আবারো ক্ষমতায় যেতে চায়। এই দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আমরা দেখেছি মানুষ এই সরকারের পতন দেখতে চায়। আমাদের মা-বাবা ভাই-বোনদের রক্ত ও অশ্রু বৃথা যাবে না। জেল-জুলুম উপেক্ষা করে বিজয় অর্জন না করে ঘরে ফিরবো না। ৭৫-এর আগেও গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল, জিয়াউর রহমান এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ৮৭ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি’র পক্ষ থেকে এ সভার আয়োজন করা হয়।
পিছিয়ে পড়া সবাইকে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে : স্পিকার-কালের কণ্ঠ
স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য হচ্ছে কেউ পিছিয়ে থাকবে না। পিছিয়ে পড়া সব জনগোষ্ঠী-নারী-শিশুদের নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে মাদারীপুর সার্কিট হাউস ভবনে তিনি এ কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দেশে দরিদ্রের হার শতকরা ৪০ ভাগ থেকে ২১ ভাগে নেমে এসেছে। হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সারা দেশে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যারা এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে তাদের নানা রকম ভাতা দেওয়া হচ্ছে। যা আগামীতে আরো ব্যাপকভাবে পরিচালনা করা হবে। বিনা মূল্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষাভাতা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে দারিদ্র্য বিমোচনের যে কার্যক্রম চলছে তা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।’
বন্ধ্যাত্বের কারণে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়া যাবে না: কলকাতা হাইকোর্ট-আজকাল
কেবলমাত্র বন্ধ্যাত্বজনিত কারণে স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করা যাবে না।
একটি মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের। স্ত্রীর বন্ধ্যাত্বের কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু, হাইকোর্ট ওই ব্যক্তির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। এই প্রবণতাকে মানসিক নির্যাতন বলে মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ওই দম্পতি কলকাতার বেলেঘাটার বাসিন্দা। তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্ক ৯ বছরের। ওই নারী পেশায় একজন স্কুলশিক্ষিকা। তবে সন্তান না হওয়ায় তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এজন্য বেঙ্গালুরুর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ও নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে চিকিৎসারত ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালের জুন মাসে তাঁর স্বামী বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আবেদন করেন। এর ঠিক এক মাস পর স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনায় বেলেঘাটা থানার পুলিশ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি চার্জশিট দাখিল করে। তাতে বিশ্বাসভঙ্গ, মানসিক নির্যাতন সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় চার্জশিট দেওয়া হয়। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। সেই মামলায় বিচারপতি শম্পা দত্ত বলেন, “শুধুমাত্র বন্ধ্যাত্বের কারণে বিবাহবিচ্ছেদ করা যায় না। বাবা-মা হওয়ার জন্য অনেকগুলো বিকল্প রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একজন স্বামীকে তাঁর স্ত্রীর পাশে থাকা উচিত। তাঁকে বুঝতে হবে। তবেই নারী মানসিকভাবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেন।
মুখ্যমন্ত্রীদেরও দেওয়া হোক বিচারপতিদের নাম সুপারিশের অধিকার, মমতার চাপে সুরবদল রিজিজুর-সংবাদ প্রতিদিন”
কলেজিয়ামে বিচারপতিদের নাম সুপারিশ করার অধিকার যদি কেন্দ্র সরকার পায়, রাজ্য সরকার কেন এই অধিকার পাবে না? দিন দুই আগে প্রশ্ন তুলেছিলেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এবার খানিকটা সুর বদলে ফেলতে বাধ্য হল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়কে চিঠি দিয়ে বললেন, বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়াতে রাজ্য সরকারগুলিকেও শামিল করা উচিত। হাই কোর্টের বিচারপতি নিয়োগে সুপারিশের অধিকার দেওয়া হোক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের।
প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেছেন, হাই কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কলেজিয়ামে (Collegium) নাম সুপারিশ করার অধিকার দেওয়া হোক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও। তাঁর যুক্তি, রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের ক্ষেত্রে এমনিও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাছাড়া বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ার বর্তমান মেমোরেন্ডাম অফ প্রসিডিওর (MoP) বা নিয়মেও মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্র সরকারের নাম সুপারিশ করার অধিকার আছে। নতুন যে মেমোরেন্ডাম অফ প্রসিডিওর তৈরির প্রস্তাব কেন্দ্র সরকার দিয়েছে, তাতেও মুখ্যমন্ত্রীদের নাম সুপারিশ করার নিয়ম রাখা হোক। এবং সেটা যাতে পুরোপুরি কার্যকর হয়, সেটাও নিশ্চিত করুক শীর্ষ আদালত।#
পার্সটুডে/ বাবুল আখতার/২০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।