মার্চ ১৭, ২০২৩ ১৭:৩৮ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। ১৭ মার্চ শুক্রবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • 'এভাবে দাম বাড়তে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে'-ইত্তেফাক
  • বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী-তিনি আছেন এ দেশের মানুষের হৃদয়ে - যুগান্তর 
  • যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে ৩৩ মিনিটে আঘাত হানতে সক্ষম উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র-প্রথম আলো
  • সুপ্রিম কোর্টে পুলিশি হামলা, সাংবাদিক-আইনজীবীদেরকে আহত করার দায় সরকারের: ইউট্যাব-মানবজমিন
  • ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশিদের হাতে-পায়ে ধরছে : কৃষিমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ
  • স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু আমাদের অনুপ্রেরণা: শিক্ষামন্ত্রী-বাংলাদেশ প্রতিদিন 

ভারতের শিরোনাম:

  • নিয়োগ খারিজ করব! এসএসসিকে ‘চাপে’ রেখেছেন বিচারপতি মান্থা-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • গান্ধী পরিবারকে অপমান! খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস কংগ্রেসের-সংবাদ প্রতিদিন
  • আসামের সব মাদ্রাসা তুলে দেবে সরকার : হেমন্ত বিশ্বশর্মা-গণশক্তি

এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

বাজারে অশনি

এভাবে দাম বাড়তে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে'-ইত্তেফাকের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, ক্রমশ বেড়েই চলেছে মাছ, মাংস, ডিম, সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম। রমজান উপলক্ষে বেড়েছে মুদি পণ্যের দামও। একই অবস্থা দেখা গেছে মুরগির বাজারেও। গত সপ্তাহের মতো ২৬০ টাকায় ব্রয়লার বিক্রি হলেও কিছুটা বেড়েছে পাকিস্তানি কর্ক ও দেশি মুরগির দাম। ফলে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।সপ্তাহের বাজার করতে আসা আনোয়ার হোসেন বলেন, 'নিত্যপণ্যের দাম জিজ্ঞেস করতে ভয় হয়! প্রতিদিনই দাম বাড়ে, আমাদের বেতনতো বাড়ে না। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি, এভাবে দাম বাড়তে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে। জানিনা এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে কবে?

সংবিধান ‘কাটাছেঁড়া’ নিয়ে ফখরুলের আক্ষেপ, জবাব দিলেন কাদের-যুগান্তর

ওবায়দুল কাদের ও মির্জা ফখরুল ইসলাম

বাহাত্তরের সংবিধান ‘কাঁটাছেড়া করায়’এক সপ্তাহ আগে আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার এই বক্তব্যের জবাব আজ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই সংবিধান ‘কাটাছেঁড়া করে ক্ষতবিক্ষত করেছে’। 

নির্বাচনের জন্য সংবিধান পরিবর্তন করা হবে না—সাফ জানিয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সংবিধান ‘এই মুহূর্তে আর পরিবর্তন করা সম্ভব নয়’। কাজেই শাসনতন্ত্রে যেভাবে বলা আছে, ঠিক সেভাবেই ভোট হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির দাবি নাকচ করে তিনি বলেন, সংবিধানের আলোকেই আগামী নির্বাচন হবে, যা আছে আমরা তা নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। সংবিধানের কোনো সংশোধন কোনো পরিবর্তন কিছুতেই সম্ভব নয়।

বিএনপি সরকার অতীতে সংবিধানকে ‘কাটাছেঁড়া করেছে, কলমের খোঁচায় সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করেছে’ এমন মন্তব্যও করেন ওবায়দুল কাদের।

ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশিদের হাতে-পায়ে ধরছে : কৃষিমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে বারবার বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে এবং তাদের হাতে-পায়ে ধরছে। বিদেশিদের কাছে কাকুতি-মিনতি করে বিএনপি সফল হবে না।

আজ শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় সরকারি কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে স্বচ্ছ ব্যালট বক্স ছিল না। ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়া ভোটার ছিল। আমরা তা প্রতিহত করেছি। তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, আগুন-সন্ত্রাস করেছে, আগুন দিয়ে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, এর চেয়ে বর্বরতা আর কী হতে পারে! দেশের মানুষ এ ধ্বংসাত্মক ও পৈশাচিক বর্বরতাকে আজও ভোলেনি।

তিনি বলেন, সংবিধানের বাইরে আমাদের কিছুই করার সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন সুন্দর, সুষ্ঠু ও স্বাধীনভাবে জাতীয় নির্বাচন উপহার দেবে।

আরাভ খান

আরাভ খানের মাথার ওপর কোন সে হুমা পাখি?-প্রথম আলোর এ শিরোনামের রম্যকথনে লেখা হয়েছে, বাবারে! কী জিনিয়াস! কী মেধাবী! কী এলেমদার! কী কামেল মানুষ! হোয়াট আ ম্যান অব অ্যাকশন! যাঁকে ঘিরে দুই দিন ধরে এই সব এক্সক্লামেটরি চিহ্নসূচক ভাবনা মাথার চাঁন্দির চাড়ায় বাড়ি খাচ্ছে, তাঁর দেশের বাড়ি কোটালীপাড়ায়, ‘বিদেশের বাড়ি’ দুবাইতে। তাঁর ব্যাপারে যতই খবর পাচ্ছি, ততই তাঁর ওপর শ্রদ্ধা বেড়ে যাচ্ছে; ততই তাঁকে ‘বুকে আয় ভাই’ বলে জড়ায়ে ধরতে মন আছাড়িপিছাড়ি করছে।

মরু আরবের শেখদের বালুতে ফোটা এই বিরল প্রজাতির বাঙালি ক্যাকটাসের নাম আরাভ খান (‘বড়লোকি’ উচ্চারণে ‘আরব’ হয়ে গেছে ‘আরাভ’)। তিনি দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামে একটা গয়নার দোকান দিয়েছেন। ৪৫ কোটি টাকা খরচা করে মাত্র ৬০ কেজির সোনায় বানানো বাজপাখি দোকানের কোনায় লোগো হিসেবে বসানো হয়েছে। বুধবার সেই দোকানের ঝাপ খোলা অনুষ্ঠানে ইউটিউব সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে নাট্য ও চিত্রজগতের উদীয়মান, উদিত ও অস্তমান তারকারা, এমনকি একজন বিশ্বসেরা ক্রিকেটাররাও হাজির ছিলেন।

দুবাইয়ের আরাভ জুয়েলার্স: ঢাকায় পুলিশ খুনের আসামি নাম বদলে হয়েছেন আরাভ

আরাভ খান নামে দুবাইয়ের এই স্বর্ণ ব্যবসায়ী মূলত বাংলাদেশে পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়েছে পুলিশ

দুবাইয়ে রওনা হওয়ার আগে প্রায় সবাই ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় কিংবা লাইভে এসে দোকান নম্বর উল্লেখ করেটরে ‘আমি থাকছি আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, আপনি থাকছেন তো!’ বলে বেশ কলকাকলী করেছেন।

পুলিশ কর্মকর্তা খুনে অভিযুক্ত আরব খান ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদিক

কিন্তু ঝাপ খোলা অনুষ্ঠানের আগেই আরাভ খানের মান সম্মান খান খান করে দিয়ে পুলিশ আর সাংবাদিকেরা জানান, আরাভ আদতে খান বংশের লোক নন। তিনি মোল্লা বংশের লোক। গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার আশুতিয়া গ্রামের মতিউর রহমান মোল্লা তাঁর আব্বা এবং লাকি বেগম তাঁর আম্মা। এক সময় ভাঙা শিশি-বোতল, প্লাস্টিকের ছেঁড়া স্যান্ডেল ইত্যাদির বদলে সিলভারের হাঁড়ি-পাতিল গ্রামে গ্রামে ফেরি করে অতিকষ্টে সংসার চালানো মতিউর মোল্লা অতি আদর-সোহাগে ছেলের নাম রেখেছিলেন, ‘সোহাগ মোল্লা’। সেই ছেলে সোহাগ মোল্লা ঢাকায় এসে হয়ে যান রবিউল ইসলাম। এখন পুলিশের খাতায় তাঁর নাম রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদিক। 

আরাভ খান নামে দুবাইয়ের এই স্বর্ণ ব্যবসায়ী মূলত বাংলাদেশে পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়েছে পুলিশ

আরাভ খান নামে দুবাইয়ের এই স্বর্ণ ব্যবসায়ী মূলত বাংলাদেশে পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়েছে পুলিশছবি: সংগৃহীত

চার বছর আগে ঢাকায় একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার আসামি হয়েছিলেন রবিউল। সেই মামলায় রবিউল ইসলাম নামের এক লোক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁকে জেলে পাঠিয়েছিলেন। সেই লোক ৯ মাস জেল খাটার পর বললেন, ‘আমি রবিউল না, আমার নাম আবু ইউসুফ।’ তিনি জানালেন, রবিউল তাঁর পরিবারকে মাসে মাসে টাকা দেবেন—এই শর্তে তিনি রবিউলের হয়ে প্রক্সি দিয়ে যাচ্ছেন। রবিউল টাকা দেওয়া বন্ধ করায় তাঁর পক্ষে আর রবিউলের ‘পাট করা’ সম্ভব হচ্ছে না। পরে পুলিশ জানল, আসল রবিউল ভারতে গিয়ে ভুয়া নাম-পরিচয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেছেন। পাসপোর্ট নাম দিয়েছেন আপন আরাভ খান। সেই নামেই দুবাইয়ে পাড়ি দিয়েছেন। 

এরপর মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদি ওরফে আরাভ খান (চলবে...?) যা দেখালেন তা সবাই এর মধ্যে জেনে গেছেন। তিনি নিজেও ফেসবুকে তিনবেলা আপডেট জানাচ্ছেন। তিনি ফেসবুকে ভিডিও করে দেখিয়েছেন, বুর্জ খলিফা টাওয়ারের ৬৫ তলায় তিনি ফ্ল্যাট কিনেছেন। আরও ৪-৫টি ফ্ল্যাটের মালিক তিনি। আরও আছে সুইমিংপুল ও বাগানসহ বড় ডুপ্লেক্স বাড়ি। দামি গাড়ির কথা তো বাদই থাকল।

বাবা ছিলেন ভাঙারি বিক্রেতা, খুনের আসামি ছেলে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী

দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান (বাঁয়ে)। তাঁর গ্রামের বাড়িতে থাকেন না কেউ। বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জে কোটালিপাড়া উপজেলা হিরন ইউনিয়নের আশুতিয়া গ্রামে

এখন আমরা পুলিশের কাছ থেকে জানতে পারছি, ইন্টারপোলের সহায়তায় এই উদ্যোক্তাকে দেশে আনার একটা চেষ্টা চলছে। পুলিশ বলছে, যাঁরা দাওয়াত পেয়ে (দাওয়াতের বাইরে রাহাখরচ বা অন্য কিছুর খরচ পেয়েছেন কিনা তা অবশ্য আমরা জানি না, এ বিষয়ে আমরা বড়জোর আন্দাজ করতে পারি) দোকান উদ্বোধনে যাচ্ছিলেন, তাঁদের আগেই আরাভ খানের বিষয়ে জানানো হয়েছিল এবং সেখানে যেতে মানা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সে মানা না শুনে ছুটে গিয়েছেন। সম্ভবত ‘প্রেমের টানে’র কারণে তাঁদের ধরে রাখা যায়নি। 

এখন সবাই যে কথাটি ভেবে মাথার চুল ছিঁড়ছে, সেটি হলো মাত্র তিন বছরের মধ্যে খুনের মামলার একজন ফেরারি আসামির হাতে এত টাকা এল কোত্থেকে? আলাদিনের চেরাগের দৈত্যের পক্ষেও তো এত শর্ট টাইমে এত টাকা সাপ্লাই দেওয়া কঠিন। কেউ কেউ আন্দাজ করে বলছে, এই সয়-সম্পত্তির মালিক আসলে দেশের কোটি কোটি টাকা পাচার করা অন্য কেউ। সোহাগ মোল্লাকে আরাভ খান বানিয়ে সেই ‘অন্য কেউ’ আড়ালে থাকছেন।

গ্রিক পূরানের ফিনিক্সের মতো পারস্য উপকথায় হুমা পাখি বলে একটি পাখির কথা আছে। ফারসি কবি ফরিদ উদ্দিন আত্তারের ‘মানতিক–উত– তায়ের’ (‘পাখি সম্মেলন’) মহাকাব্যে এই পাখির উল্লেখ আছে। কথিত আছে, হুমা পাখি কখনো মাটিতে নামে না। সে থাকে মেঘের ওপরে। কেউ তাঁকে দেখতে পায় না। তবে কারও মাথায় যদি কোনো দিন হুমা পাখির ছায়া পড়ে, তাহলে সে নির্ঘাৎ বাদশাহ হয়ে যায়।

এই প্রবল রহস্যময় ফেরারি আসামির মেহমান হয়ে আইডল কিসিমের লোকজন তাঁর প্রতিষ্ঠানে, অফিসে, বাসায় যাচ্ছেন; খাচ্ছেন-দাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে দাঁত কেলিয়ে হেসে ছবি তুলে ধন্য হচ্ছেন। পুলিশ তাঁকে দেশে আনার চেষ্টা করছে। কিন্তু তিনি তাতে পাত্তাই দিচ্ছেন না। কী একটা সার্কাসমতো ব্যাপার!

গ্রিক পূরানের ফিনিক্সের মতো পারস্য উপকথায় হুমা পাখি বলে একটি পাখির কথা আছে। ফারসি কবি ফরিদ উদ্দিন আত্তারের ‘মানতিক–উত– তায়ের’ (‘পাখি সম্মেলন’) মহাকাব্যে এই পাখির উল্লেখ আছে। কথিত আছে, হুমা পাখি কখনো মাটিতে নামে না। সে থাকে মেঘের ওপরে। কেউ তাঁকে দেখতে পায় না। তবে কারও মাথায় যদি কোনো দিন হুমা পাখির ছায়া পড়ে, তাহলে সে নির্ঘাৎ বাদশাহ হয়ে যায়।

আরাভ জুয়েলার্সের ৬০ কেজি সোনার বাজপাখি দেখছি আর ভাবছি, আমার দেশিভাই সোহাগ মোল্লার মাথায় ছায়া ফেলা হুমা পাখিটা কে?

এবার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

গান্ধী পরিবারকে অপমান! খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস কংগ্রেসের-সংবাদ প্রতিদিন

 কেমব্রিজে করা বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে বিজেপি যখন রাহুল গান্ধীকে কোণঠাসা করার পন্থা নিয়েছে, ঠিক তখনই পালটা মোদিকে নিশানা করল কংগ্রেস। এবার খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা দলের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। তাঁর অভিযোগ, সংসদ কক্ষে দাঁড়িয়েই গান্ধী পরিবারকে অপমান করেছেন মোদি। গত ফেব্রুয়ারিতে সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বে মোদি সংসদে দাঁড়িয়েই গান্ধী পরিবারকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধীরা গান্ধী পদবি কেন ব্যবহার করেন? নেহেরু পদবি ব্যবহার লজ্জা কীসের? সংসদে গান্ধীদের নাম না করেই মোদিকে বলতে শোনা যায়, ”নেহরু যদি এতই মহান, তবে কেন তাঁর পরিবার নেহরু পদবি ব্যবহার করতে লজ্জা পায়?” কে সি ভেনুগোপালের অভিযোগ, মোদির মন্তব্য আসলে গান্ধী পরিবারের সদস্যদের জন্য অপমানজনক।

হেমন্ত বিশ্বশর্মা

আসামের সব মাদ্রাসা তুলে দেবে সরকার : হেমন্ত বিশ্বশর্মা-গণশক্তি

আসামের সমস্ত মাদ্রাসা তুলে দেবে সেই রাজ্যের বিজেপি সরকার। কর্ণাটকের একটি জনসভায় এমনই মন্তব্য করেছে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী আসামে তিন হাজার মাদ্রাসা রয়েছে। যার মধ্যে ৬০০ টি মাদ্রাসা ইতিমধ্যে তুলে দিয়েছে বিশ্বশর্মার সরকার। বিশ্বশর্মা মন্তব্য করেছেন যে, ‘‘মাদ্রাসার দরকার নেই, আমাদের দরকার ডাক্তার, ইজ্ঞিনিয়র।’’ তিনি আরও বলেন, ‘নতুন ভারতের’ প্রয়োজন স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির মাদ্রাসার নয়।

নিয়োগ খারিজ করব! এসএসসিকে ‘চাপে’ রেখেছেন বিচারপতি মান্থা-আনন্দবাজার পত্রিকা

শুক্রবার হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করায় এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে তলব করেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এসএসসিকে ভর্ৎসনা করে তিনি বলেন, “প্রয়োজনে সমস্ত নিয়োগ খারিজ করে দেব।”অবশ্য এই প্রথম নয়, আগেও একাধিক বার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় বলিষ্ঠ রায় দিয়ে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন বিচারপতি মান্থা। তাঁকে ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্কেও উত্তপ্ত হয়েছে হাই কোর্ট।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৭

ট্যাগ