অভাবের তাড়নায় আত্মঘাতী খেতমজুর দম্পতি!
চিতায় স্বামীর দেহে আছড়ে পড়ে স্ত্রী রেশমা, হৃদয়বিদারক!
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: আজ ২৯ এপ্রিল শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম :
- ঢাকায় স্বাস্থ্যঝুঁকির বড় কারণ দূষিত বাতাস-ইত্তেফাক
- অবশেষে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব বইয়ের সংশোধনী দিল এনসিটিবি-প্রথম আলো
- ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী-যুগান্তর
- আরাভের অর্থের উৎসের খোঁজে সিআইডি-বাংলাদেশ প্রতিদিন
- কয়লা সঙ্কট: ফের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ-মানবজমিন
কোলকাতার শিরোনাম:
- সুপ্রিম কোর্টের নথি চেয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ শীর্ষ আদালতের-আনন্দবাজার পত্রিকা
- যন্ত্রণার দৃশ্য! শহিদ জওয়ানের চিতার উপর শুয়ে পড়লেন স্ত্রী, কেঁদে আকুল গোটা গ্রাম-সংবাদ প্রতিদিন
- মজুরি বকেয়া মাসের পর মাস, মিলল দম্পতির দেহ-গণশক্তি
এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
প্রথম আলোর অপরাধ বিষয়ক খবরের শিরোনাম-মানব পাচারে শহিদের আয় ৩৮ কোটি। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলামের (পাপুল) বিরুদ্ধে মানব পাচারের মাধ্যমে ৩৮ কোটি ২২ লাখ টাকা আয়ের তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডি কর্মকর্তারা বলছেন, কুয়েতি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেলে তাঁর অবৈধ অর্থের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
মানব পাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ৬ জুন শহিদ ইসলামকে গ্রেপ্তার করে কুয়েত পুলিশ। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে দেশটির একটি আদালত তাঁকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত সেই সাজা বাড়িয়ে সাত বছর করেন। এখনো কুয়েতের কারাগারে বন্দী আছেন বাংলাদেশের সাবেক এই সংসদ সদস্য।
টাকার জোরেই ২০১৮ সালের নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসন (রায়পুর-লক্ষ্মীপুর সদরের আংশিক) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শহিদ ইসলাম। পরে স্ত্রী সেলিনা ইসলামকেও একইভাবে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য বানান। স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত চার সংসদ সদস্য সংরক্ষিত নারী আসনের একটি ভাগে পেয়েছিলেন। তাতেই সেলিনা ইসলামকে মনোনীত করা হয়।
শহিদ ইসলাম, স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ও শহিদ ইসলামের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দুদকও মামলা করেছিল। অনুসন্ধান চলাকালে তাঁদের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছিল। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা করেছিল দুদক।
দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, নোয়াখালীর চাটখিলে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি)। বুধবার ভোরে অভিযান চালিয়ে শাহাদাৎ হোসেন (২৩) ও বলাই চন্দ্র দাস (২৬) নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকায় স্বাস্থ্যঝুঁকির বড় কারণ দূষিত বাতাস-ইত্তেফাকের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির পর আবারো কর্মব্যস্ত হয়ে উঠছে রাজধানী ঢাকা। ছুটি চলাকালীন সময়ে এই ম্যাগাসিটির বায়ুদূষণ কিছুটা হ্রাস পেলেও আবারও এখন বাড়ছে দ্রুত গতিতে। অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে রাজধানীর বাতাস। দূষণের উৎসগুলো নিয়ন্ত্রণে না আনার ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকির বড় কারণ হয়ে উঠেছে ঢাকার বিষাক্ত বাতাস।
প্রতি বছর ঈদের সময় দূষণের উৎসগুলো বন্ধ থাকার কারণে সহনীয় হয়ে ওঠে রাজধানীর বাতাস। ঈদের সময় বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা ছাড়েন। রাস্তায় যানবাহন চলাচল একেবারে কমে যায়। শিল্পকারখানাও বন্ধ থাকে। তাই দূষণের উৎসগুলো প্রায় বন্ধ থাকায় বায়ুর মানও ভালো হয়। কিন্তু এবারের ঈদে পাঁচ দিনের মধ্যে তিন দিনই বায়ু ছিল অস্বাস্থ্যকর।
বাজার দর-আবারও সিন্ডিকেটের হাতে ব্রয়লারের বাজার-ইত্তেফাকের এ খবরে লেখা হয়েছে, ঈদের পর গত দুই/তিন দিনের মধ্যে যারা ব্রয়লার মুরগি কিনতে বাজারে গেছেন তারা রীতিমতো হোঁচট খেয়েছেন। ঈদের আগে যে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২১০ টাকার মধ্যে। সেই মুরগিই শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিক্রি হয় ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে। এ হিসেবে মাত্র এক সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
ক্ষমতা ধরে রাখা বিপজ্জনক হয়ে উঠছে: আবদুর রব-যুগান্তর
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ধরে রাখার আওয়ামী সরকারের দুরভিসন্ধি জাতীয় রাজনীতিতে বিপজ্জনক অস্থিরতার জন্ম দিচ্ছে। ভোটারবিহীন নির্বাচনের বেপরোয়া অনুশীলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক ধ্বংস করায় ক্ষমতাসীন সরকারকে বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে।’
আ স ম রব আরও বলেন, ‘সরকারের অতি লোভ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে দেউলিয়া করে দিয়েছে, রাজনীতিকে অতল গহ্বরের কিনারে নিয়ে গেছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা চরম ঝুঁকিতে পড়বে। সুতরাং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করা ঐতিহাসিক আবশ্যিকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
কয়লা সঙ্কট: ফের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ-মানবজমিন
কয়লা সংকটের কারণে ফের বন্ধ হয়ে গেল বাগেরহাটের রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। ২৩শে এপ্রিল রাত থেকে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম। এর আগে গত ১৪ই জানুয়ারি কয়লা সঙ্কটের কারণে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
আনোয়ারুল আজিম জানান, কয়লা আনার জন্য নানা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ৩রা মে-এর দিকে আবার উৎপাদন শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।
জানা গেছে, রামপালে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছিল। তবে ডলার সংকটের মধ্যে কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে উৎপাদন শুরুর ২৭ দিনের মাথায় পর্যাপ্ত কয়লা না থাকায় গত ১৪ই জানুয়ারি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে প্রয়োজন পাঁচ হাজার টন কয়লা।
আরাভের অর্থের উৎসের খোঁজে সিআইডি-বাংলাদেশ প্রতিদিন
পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের অবৈধ অর্থের উৎস খুঁজছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। পুলিশ কর্মকর্তা মামুন এমরান খান হত্যার আসামি দুবাইয়ে পালিয়ে থাকা আরাভের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে রেড নোটিস জারি করেছে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল। সংস্থাটির রেড নোটিসের তালিকায় আরাভ ৬৩তম বাংলাদেশি। ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রেড নোটিসে তার নাম লেখা হয়েছে রবিউল ইসলাম। বয়স ৩৫ বছর। জাতীয়তা দেখানো হয়েছে বাংলাদেশি। জন্মস্থান বাগেরহাট। খুনের দায়ে তার বিরুদ্ধে এই নোটিস বলে জানানো হয়।
এদিকে আরাভ তার অর্থ-সম্পদ নিয়ে যে তথ্য দিচ্ছেন, তা পুরোপুরি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন দুবাইয়ের একাধিক ব্যবসায়ী। তাদের দাবি, আরাভ প্রতারণা করে অনেককে ফাঁসিয়েছেন। এরপর তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেন। বাংলাদেশি নাগরিক হলেও তার কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট থাকায় বেশ কিছু আইনি প্রক্রিয়া মোকাবিলা করেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বাছির উদ্দিন বলেন, আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি। তবে আনুষ্ঠানিক বলার মতো কিছু পাওয়া যায়নি।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
সুপ্রিম কোর্টের নথি চেয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ শীর্ষ আদালতের-আনন্দবাজার পত্রিকা
সুপ্রিম কোর্টের কাছে নথি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশের উপর স্বতঃপ্রণোদিত স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার রাতে শীর্ষ আদালতে বিশেষ শুনানি হয়। সেখানেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
আদালত সূত্রে খবর, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দুপুরে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই নির্দেশের উপর সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত স্থগিতাদেশ জারি করেছে। এর ফলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে রাত ১২টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট থেকে সাক্ষাৎকারের নথি আনাতে হবে। সেই নির্দেশ স্থগিত হয়ে গেল।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাত ৮টায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে বসে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। সেখানেই সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেলের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।
কলকাতা হাই কোর্টে শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত নিজের চেম্বারে অপেক্ষা করবেন। এমনটাই জানিয়ে ছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সাক্ষাৎকারের প্রতিলিপি এবং যে হলফনামা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়েছিল, তা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি। শীর্ষ আদালতের সেক্রেটারি জেনারেলকে ওই নথি পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, প্রতিলিপি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। সে ক্ষেত্রে রাত সওয়া ১২টা পর্যন্ত তিনি কোর্টে নিজের চেম্বারে থাকবেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশের উপরেই স্বতঃপ্রণোদিত স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট যুগ যুগ জিয়ো: হাই কোর্ট থেকে বেরোনোর মুখে আর কী কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়-আনন্দবাজার পত্রিকা
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার রাত ৯টা ৩৯ মিনিটে কলকাতা হাই কোর্টে নিজের চেম্বার থেকে বেরোন তিনি। বাইরে তখন অপেক্ষারত সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। তাঁদের প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ শিরোধার্য। সুপ্রিম কোর্টের কথা হাই কোর্ট মেনে চলে। তাই তিনিও মেনে চলবেন। এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট যুগ যুগ জিয়ো।’’
শুক্রবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে তিনটি ‘ধাক্কা’ খেয়েছেন। একটি মামলা বিচারপতির এজলাস থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর অন্য দু’টি নির্দেশে দেওয়া হয়েছে স্থগিতাদেশ। শেষের নির্দেশটি এসেছে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ। তার আগে নিজের চেম্বারে বসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের অপেক্ষা করছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তারও এক ঘণ্টা পর হাই কোর্ট থেকে বেরোন বিচারপতি। সেই সময় বিচারপতি বলেন, ‘‘আমার কোনও মন খারাপ নেই। আমি কোনও ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য নিয়ে বিচার করতে বসিনি। আমি বিচার না করলেও মামলা তো আর থেমে থাকবে না। কোনও না কোনও বিচারপতিই সেই মামলা শুনবেন। তবে আমি যত দিন বিচারপতি থাকব, তত দিন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব থাকব।’’ এর পরেই বিচারপতি বলেন, ‘‘যখন বিচারপতি থাকব না, অন্য কাজ করব, তখনও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ব।’’
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা সরবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। পুর নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলার নির্দেশেও দেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। সেই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর নিয়োগ নিয়ে আন্দোলনকারীরা বিচারপতির নামে পোস্টার বুকে বেঁধে নেমেছিলেন রাস্তায়। সে প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, ‘‘কারও যদি ব্যক্তিগত ভাবে মন খারাপ হয়ে থাকে বা হতাশ হয়ে থাকেন, তবে আমার পরামর্শ, হতাশ হবেন না। মামলা চলছে বিচারও হবে।’’
যন্ত্রণার দৃশ্য! শহিদ জওয়ানের চিতার উপর শুয়ে পড়লেন স্ত্রী, কেঁদে আকুল গোটা গ্রাম-সংবাদ প্রতিদিন
ফের মাওবাদী হামলার স্মৃতি ফিরিয়েছে দান্তেওয়াড়া। বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ১০ জন জওয়ান। তাঁদের শেষকৃত্যেই দেখা গেল এক মর্মান্তিক দৃশ্য। শহিদ জওয়ানের চিতার উপরে আছড়ে পড়েছেন স্ত্রী। কেঁদে আকুল হয়ে দুহাত দিয়ে যেন আগলে রাখতে চাইছেন নিহত স্বামীকে। আর এহেন দৃশ্যের সামনে দাঁড়িয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি কেউই। দান্তেওয়াড়ায় মাওবাদী হামলায় নিহত শহিদের শেষকৃত্যে এমনই মর্মস্পর্শী ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল গোটা গ্রাম।
সম্প্রতি ফের মাওবাদী হামলার স্মৃতি ফিরিয়েছে দান্তেওয়াড়া। ছত্তিশগড়ের এই এলাকায় মাওবাদী দমন অভিযানেই গিয়েছিলেন ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড তথা ডিআরজি-র জওয়ানরা। সেখানেই পুলিশের কনভয়ের উপর হামলা চালায় মাওবাদীরা। হামলা থেকে বেঁচে ফেরা এক রক্ষী জানিয়েছেন, সাত গাড়ির কনভয়ে মোট ৭০ জন জওয়ান ছিলেন সেদিন। এই কনভয়ে থাকা সাতটি গাড়ির মধ্যে তৃতীয়টিতে বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। আইইডি বিস্ফোরণে উড়ে যায় গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গাড়ির চালক সহ ১০ জওয়ানের। এই নিহত জওয়ানদের মধ্যেই ছিলেন রাজু কারাতাম এবং জগদীশ কাবাসি। দুজনেই দান্তেওয়াড়া জেলার বড়ে গডরা অঞ্চলের বাসিন্দা। বিস্ফোরণের পর শহিদের মর্যাদায় গ্রামে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁদের দেহ। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই শেষকৃত্য করা হয় দুই শহিদের।
সেই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতেই রাজুর স্ত্রীকে দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি কেউই। এই যুবকের দেহ চিতায় তুলে দেওয়ার পর আকস্মিকভাবেই তার উপরে আছড়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী রেশমা। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকেন, আমাকেও তোমার সঙ্গে নিয়ে চলো। স্বামীর অকালমৃত্যুর পর এই তরুণী যে কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছেন, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই পরিস্থিতিতে ওই তরুণীর হাহাকার উপস্থিত সকলকেই আরও বিচলিত করে তোলে। কোনোক্রমে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান অন্যান্য মহিলারা। আর তারপরেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। মাওবাদী হামলায় নিহত এই শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কড়া হাতে সন্ত্রাস দমনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল।
ব্রিজভূষণের জেল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে, জানিয়ে দিলেন কুস্তিগির বজরং পুনিয়া-সংবাদ প্রতিদিন
জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সচিব ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তবে শুক্রবার শেষমেশ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু তাতেও যে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে না, তা সাফ জানিয়ে দিলেন পদকজয়ী কুস্তিগিররা।এদিন বজরং পুনিয়া জানিয়ে দেন, “সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি পুলিশকে এফআইআর নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু ফেডারেশনের প্রধানই যদি এভাবে হেনস্তা করেন, তাহলে অ্যাথলিটরা কার কাছে অভিযোগ জানাবেন? ফেডারেশনের প্রধানের উপর তো কেউ হয় না। তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব জেলে পাঠাতে হবে।” এরপরই তিনি স্পষ্ট করে দেন, ব্রিভভূষণকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত কুস্তিগিরদের আন্দোলন চলবে।
গত শুক্রবার কুস্তি ফেডারেশনের সচিব ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ দায়ের করেন ভিনেশ ফোগাট-সহ ৭ জন কুস্তিগির। অভিযোগ করলেও দিল্লি পুলিশের তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়নি। এফআইআর দায়েরের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন কুস্তিগিররা। এদিন শুনানি শুরুর আগেই কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, কুস্তিগিরদের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করতে রাজি হয়েছে দিল্লি পুলিশ। এদিকে, ব্রিজভূষণ শরণ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করছেন। তাঁর দাবি, ঠিক সময়ে সত্যিটা ঠিক সামনে আসবে।
মজুরি বকেয়া মাসের পর মাস, মিলল দম্পতির দেহ-গণশক্তি
অভাবের তাড়না ছিল তীব্র। একশো দিনের জবকার্ড হোল্ডার মজুরি পাননি। সেই খেতমজুর দম্পতির দেহ মিলল নিজেদের ঘরে। প্রতিবেশীরা বলছেন, অভাবের জন্যই আত্মঘাতী হতে হয়েছে এই দম্পতিকে। রয়েছে তাঁদের দুই নাবালক সন্তান।
স্বামী সন্তু দুলে ও স্ত্রী রীতা দুলের ৪৪ দিনের মজুরি বাকি। অঞ্চল অফিসে হন্যে হয়ে ঘুরে ঘুরেও মজুরি পাননি। সতেরো মাস আগের কাজের বকেয়া মজুরি যদি পেতেন তাহলে হয়তো অভাবের তাড়নায় এমন মর্মান্তিক মৃত্যু হতো না।
এদিকে রাজ্য জুড়ে সরকারি কোষাগারের টাকায় সাজসজ্জায় বিলাসবহুল মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর নব জোয়ার যাত্রার নামে সার্কাস চলছে। অপর দিকে একশ দিনের কাজের বকেয়া মজুরি না পেয়ে এবং দীর্ঘ ১৬ মাস জবকার্ডে কোনো কাজ না পেয়ে অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলেন জবকার্ড হোল্ডার খেতমজুর দম্পতি।
প্রতিবেশী সরস্বতী দুলে বলেন যে দু’বেলা হাঁড়ি চড়ছিল না। কয়েক বার তিনি চাল দিয়েছেন। একশো দিনের কাজ ও খেতমজুরের কাজ করেই চলতো সংসার। গরিব মানুষকে কাজ করিয়ে আজ দেড় বছর মজুরি বাকি রেখে দিলো সরকার। ওদের দুটো নাবলক আজ অনাথ হয়ে গেল। কে দেখবে তাদের।
ঘটনাটি ঘটেছে গড়বেতা থানার চড়কাডাঙার দুলে পাড়াতে। শুক্রবার সাত সকালে শোওয়ার ঘরেই দম্পতির মৃত দেহ উদ্ধার হয়। এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর যায় গড়বেতা থানায়। পুলিশ এসে দম্পতির দেহ উদ্ধার করে। ঘরের মধ্যেই কীটনাশক বিষের শিশি উদ্ধার হয়।
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৯