আগস্ট ১৫, ২০২৩ ১৫:০৩ Asia/Dhaka
  • মাওলানা সাঈদীর জানাজায় মানুষের ঢল

শ্রোতাবন্ধুরা! পত্রপত্রিকার পাতার বিশ্লেষণমূলক অনুষ্ঠান কথাবার্তার আজকের আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। ১৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিকগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন খবরকে শীর্ষ শিরোনাম করা হয়েছে। প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

ঢাকার পত্রপত্রিকার শিরোনাম:

  • ১৫ আগস্টে জিয়া, ২১ আগস্টের পেছনে তারেক: তথ্যমন্ত্রী: দৈনিক ইত্তেফাক
  • বনানীতে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা- দৈনিক কালেরকণ্ঠ
  • সাঈদীর গায়েবানা জানাজার অনুমতি নয়: ডিএমপি কমিশনার: প্রথম আলো
  • আগামী দু-তিন মাসে খুনিরা ভয়ংকর ঘটনা ঘটাবে: শামীম ওসমান-: দৈনিক যুগান্তর
  • মাওলানা সাঈদীর জানাজায় মানুষের ঢল- মানবজমিন
  • স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে : কাদের- নয়াদিগন্ত

ভারতের পত্রপত্রিকার শিরোনাম

  • দেশবাসী থেকে পরিবারজন, স্বাধীনতা দিবসে মোদির ভাষণে লক্ষণীয় পরিবর্তন- সংবাদ প্রতিদিন
  • হিমাচল, উত্তরাখণ্ডে মৃত বেড়ে ৫৪, দুর্যোগে ম্লান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন, উদ্বেগ প্রধানমন্ত্রীর-সংবাদ প্রতিদিন
  • শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ইদগাহ বিবাদ এবার সুপ্রিম কোর্টে: দৈনিক পুবের কলম

বিশ্লেষণের বিষয়:

১. দুদকের নামে প্রতারণার হোতা উপপরিচালক! দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা এ খবর দিয়েছে। কীভাবে দেখছেন খবরটিকে?
২. সুইডেনে আবার কুরআনে আগুন; অবমাননার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সরকারগুলোর প্রতি ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের আহ্বান। প্রশ্ন হচ্ছে সুইডেন ও ডেনমার্ক সরকার কেন কুরআন অবমাননা ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না?

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলোর বিস্তারিত 

সাঈদীর গায়েবানা জানাজার অনুমতি নয়: ডিএমপি কমিশনার: প্রথম আলো

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা করার অনুমতি দেবে না পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এই তথ্য জানিয়েছেন।

সাঈদী গতকাল সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। সাঈদী জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ছিলেন। তিনি জামায়াতের রাজনীতির পাশাপাশি ওয়াজ করা বা ধর্মীয় বক্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

সাঈদীর মারা যাওয়ার পরের ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে জানাতে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বিএসএমএমইউ হাসপাতালে সাঈদী মারা যাওয়ার সময় তাঁর দুই ছেলে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, হাসপাতাল থেকে সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে নিয়ে যাবেন। পরে কারা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে সাঈদীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কথা জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ জন্য সুরতহাল প্রস্তুত করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। তখন সাঈদীর পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ হস্তান্তরের কথা বলা হয়।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে জামায়াতে ইসলামীর কয়েক হাজার নেতা-কর্মী সাঈদীর জানাজা পড়ার দাবি তোলেন। কিন্তু তাঁরা জানাজা না পড়িয়ে আধঘণ্টা ধরে মোনাজাত করেন। বিএসএমএমইউ হাসপাতাল থেকে সাঈদীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স সড়কে বের হলে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সামনে শুয়ে পড়েন। এ সময় ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনারসহ অ্যাম্বুলেন্সটির আশপাশে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের গায়ে হাত তোলেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা পুলিশের চার থেকে পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পুলিশের দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। তারপরও পুলিশ সব সহ্য করে।

বনানীতে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা- দৈনিক কালেরকণ্ঠ

বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্ট নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৭টায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।

এর আগে ভোর সাড়ে ৬টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর একে একে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে সে সময়ের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে হামলা চালায় সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য। হামলা চালানো হয় বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি ও ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায়।

নারী-শিশু-নির্বিশেষে হত্যা করে নৃশংসতার এক জঘন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে খুনিরা। বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত এবং তাঁর ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আত্মীয় আব্দুল নাঈম খান রিন্টুকে হত্যা করে খুনিরা।

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁকে বাঁচাতে এসে সোবহানবাগে সেনা সদস্যদের গুলিতে নিহত হন বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব কর্নেল জামিল। বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

১৫ আগস্টে জিয়া, ২১ আগস্টের পেছনে তারেক: তথ্যমন্ত্রী: দৈনিক ইত্তেফাক

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিল জিয়াউর রহমান আর খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছিল তারেক রহমান এবং আজকে বিএনপি মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসের সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের হাতে নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের সমাধিতে দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন। 

এর আগে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন তিনি।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। জাতির ইতিহাসে এতো বেদনাবিধূর দিন আর কখনো আসেনি।

তিনি বলেন, কারবালার প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসেনকে যখন জবাই করে হত্যা করা হয়, তখনও নারী এবং শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কাল রাত্রিতে ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, ৪ বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, ৮ বছরের শিশু আরিফ সেরনিয়াবাত, ১২ বছরের শিশু বেবি সেরনিয়াবাত, অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ নাসেরসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকে ঘাতকরা রেহাই দেয়নি।

‘আর বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত, হত্যার মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা দখল করেন এবং খুনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে ছিলেন’ বলেন হাছান মাহমুদ।  

দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি এখনো সেই হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা ঘৃণা এবং হিংসার রাজনীতি করে, ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করে, কেক কাটে। দেশে যদি সুস্থ রাজনীতির ধারা চালু রাখতে হয়, তাহলে বিএনপির এই অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।’ সূত্র: বাসস

আগামী দু-তিন মাসে খুনিরা ভয়ংকর ঘটনা ঘটাবে: শামীম ওসমান-: দৈনিক যুগান্তর

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একে এম শামীম ওসমান বলেছেন, আমাদের সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। আগামী দুই-তিন মাস খুনিরা অতীতে যেই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তার চেয়েও ভয়ংকর ধরনের ঘটনা তারা ঘটানোর চেষ্টা করবে। 

মঙ্গলবার সিদ্ধিরগঞ্জের মু‌ক্তিনগর ও সানারপাড় এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ রাষ্ট্র করার জন্য লন্ডন থেকে বসে এবং মৌলবাদী শক্তির উত্থানের জন্যে যা যা কিছু পরিকল্পনা করার দরকার তারা তা করছে।

তিনি বলেন, শোকের দিনে একটা কথা বলতে চাই ৭৫'এর ১৫ আগস্টে একসঙ্গে ২৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত যে দুই (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা) বোন সেদিন জার্মানিতে ছিলেন। সেদিন সমস্ত স্বপ্ন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল, আমরা স্বপ্ন দেখা ভুলে গিয়েছিলাম। আল্লাহ তায়ালার হুকুমে শেখ হাসিনা থাকাতে বাংলাদেশের মানুষ আবার স্বপ্ন দেখছে এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে।

শামীম ওসমান বলেন, আওয়ামী লীগ করি বা কোন দল করি সেটি ব্যাপার না। এ দেশটা আমাদের সবার এ দেশটাকে বাঁচাতে হবে। বঙ্গবন্ধু চলে যাওয়ার পর দেশ পিছিয়ে গিয়েছিল, শেখ হাসিনা চলে গেলে দেশ আর এগোতে পারবে না। অন্তত পক্ষে আগামী ৫০ বছরেও। বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ শেখ হাসিনা। তিনি স্বপ্ন দেখান এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করান। শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাচ্ছেন। আমাদের সবার তার পেছনে দাড়ানো প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে এমন কথা বলে ২১ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। যারা সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে বলে ইসলামকে ব্যবহার করে মানুষকে হত্যা করে তাদের কাছে এর চেয়ে বেশি ভালো কিছু আশা করা যায় না।

মাওলানা সাঈদীর জানাজায় মানুষের ঢল- মানবজমিন

পিরোজপুরে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ দুপুর ১টার পর সাঈদী ফাউন্ডেশন মাঠে (পিরোজপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন) তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা সাঈদীর জানাজায় অংশ নেন পিরোজপুর ও আশপাশের জেলার লাখো মানুষ।  এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনা হওয়া সাঈদীপুত্র শামীম বিন সাঈদী দেশে ফিরলেও সময়মতো পিরোজপুর পৌঁছাতে না পারায় জানাজায় শরিক হতে পারেননি। তবে ছোট ছেলে ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ বিন সাঈদী জানাজায় উপস্থিত ছিলেন। জানাজায় ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। এ সময় বক্তব্য দেন দলের শীর্ষ নেতারা। এর আগে সকাল ১০টার দিকে সাঈদী ফাউন্ডেশন মাঠে পৌঁছে তাকে বহনকারী লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি।

এদিকে ফাউন্ডেশন মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে বড় ছেলে মাওলানা রাফীক বিন সাঈদীর কবরের পাশে তার কবর খনন করা হয়েছে। সেখানেই মাওলানা সাঈদীর মরদেহ সমাহিত করা হবে।

দেশবাসী থেকে পরিবারজন, স্বাধীনতা দিবসে মোদির ভাষণে লক্ষণীয় পরিবর্তন- সংবাদ প্রতিদিন

দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর শেষ স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) যে লোকসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দেবেন, সেটা প্রত্যাশিত ছিল। হলও তাই। নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সেটাই করলেন। পরিবারতন্ত্র থেকে শুরু করে দুর্নীতি সব ইস্যুতে বিরোধীদের আক্রমণ শানালেন তিনি। সেই সঙ্গে ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ সেজে দেশের অর্থনীতিকে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতি হিসাবে তুলে ধরার স্বপ্নও দেখালেন।

তবে সেই একই সঙ্গে তাঁর ভাষণে একটি লক্ষনীয় পরিবর্তন দেখা গেল। এতদিন প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লা (Lalkella) থেকে ভাষণ দেওয়ার সময় ‘মেরে পেয়ারে দেশবাসীও’ অর্থাৎ ‘আমার আদরের দেশবাসী’ বলে নাগরিকদের সম্বোধন করতেন। এবার সেই রীতিতে ছেদ এল। তিনি ভাষণ শুরু করলেন,’মেরে পেয়ারে পরিবারজনো’ অর্থাৎ ‘আমার প্রিয় পরিবারজন’ সম্বোধন করে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের শুরুর দিকের প্রায় প্রতিটি লাইনেই কথাটি ছিল। যদিও শেষের দিকে নিজের পুরনো ট্রেডমার্ক ‘মেরে পেয়ারে দেশবাসীও’-ও বেশ কয়েকবার বলছেন প্রধানমন্ত্রী। সেটা সম্ভবত নিজের স্বভাবের কারণে।

শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ইদগাহ বিবাদ এবার সুপ্রিম কোর্টে: দৈনিক পুবের কলম

জ্ঞানভাপী মসজিদের পর এবার উত্তরপ্রদেশের মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি এবং শাহী ইদগাহ বিবাদ সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছল। আবেদনকারীর দাবি জ্ঞানভাপীর মতো শাহী ইদগাহের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করা হোক। ‘শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মুক্তি নির্মাণ ট্রাস্টে’র আবেদনে দাবি করা হয়েছে যে শাহী ইদগাহ মসজিদেও হিন্দুদের অধিকার রয়েছে, কারণ  ওই মসজিদ হিন্দু  মন্দির ভেঙ্গে তৈরি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর জ্ঞানভাপী  মসজিদে বৈজ্ঞানিক সার্ভে চলছে। এরইমধ্যে শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মুক্তি নির্মাণ ট্রাস্টের আবেদন জমা পড়ল সুপ্রিম কোর্টে। ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে, বিতর্কিত জমি নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্ট এবং শাহী ইদগাহ মসজিদ সমিতির দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা সুনিশ্চিত করতে গভীর বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। আবেদনকারীর বক্তব্য, এই সমীক্ষায় অভিজ্ঞতালব্ধ তথ্য প্রমাণ পেশ করা হবে এবং বয়ানকে যুক্তি দিয়ে এর সত্যতা প্রতিষ্ঠা করা হবে। যে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেশ করা হবে।#