নভেম্বর ১৬, ২০২৩ ১৭:২৬ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ১৬ নভেম্বর বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • তফসিলের পরদিন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভোজ, বিএনপি কার্যালয়ে তালা-প্রথম আলো
  • নির্বাচনের তফসিল, এরপর কী-মানবজমিন
  • সরকারের পদত্যাগ ও তফসিলের প্রতিবাদে রবি ও সোমবার বিএনপির হরতাল-প্রথম আলো
  • হঠাৎ ওয়াশিংটন যাচ্ছেন পিটার হাস-ইত্তেফাক
  • নির্বাচন ৭ জানুয়ারি, ২৩ স্থানে নাশকতার আশঙ্কা-শীর্ষ শিরোনাম-যুগান্তর
  • সন্ত্রাসীর সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না: তথ্যমন্ত্রী-ডেইলি স্টার বাংলা

কোলকাতার শিরোনাম:

  • ভারতে কমছে চিনা পণ্যের বিক্রি!-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • মোদির চোখে জল, ‘ঠিক যেন তেরে নাম-এর সলমন খান!’, কটাক্ষ প্রিয়াঙ্কার-সংবাদ প্রতিদিন
  • তামিলনাড়ুতে রাজ্যপাল-আইনসভা টানাপোড়েন-গণশক্তি

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. কমিশন তার অর্পিত ক্ষমতাবলে নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছে: কাদের। এটা দৈনিক মানবজমিনের শিরোনাম। কি বলবেন আপনি?

২. ইসরাইলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বললেন এরদোগান। তার এই বক্তব্যের গুরুত্ব কি?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

প্রথম আলোর খবরে লেখা হয়েছে, সারা দেশে আগামী রবি ও সোমবার হরতাল ঘোষণা করেছে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি এবং তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ঘোষণা করল দলটি।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দুই দিন হরতালের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তফসিলের পরদিন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভোজ, বিএনপি কার্যালয়ে তালা-প্রথম আলো

নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন আজ বৃহস্পতিবার দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রধান কার্যালয়ে দেখা গেল বিপরীত চিত্র।

ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আজ দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, নেতা-কর্মীদের ভিড়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুখর। সেখানে দুপুরে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়েছে।

 রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় আগের মতো আজও তালাবদ্ধ। সেখানে কোনো নেতা-কর্মী নেই, রয়েছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতি। নেতারা বলছেন, গ্রেপ্তারের ভয়ে বিএনপির কোনো কার্যালয়ে কেউ যাচ্ছেন না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।

তফসিলে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ নভেম্বর। আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, তারা আগামীকাল শুক্রবার থেকে মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করবে। বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি চলছে। আজ অবরোধ শেষ হবে। সন্ধ্যায় তারা নতুন কর্মসূচি দিতে পারে। ইতিমধ্যে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণ অধিকার পরিষদ আগামী রবি ও সোমবার সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টা হরতাল ডেকেছে। সাধারণত বিএনপি ও তার মিত্ররা একই কর্মসূচি দেয়।

আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে খিচুড়িভোজ

বিএনপির অবরোধে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ‘শান্তি সমাবেশের’ কথা বলে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেয়। পাশাপাশি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেও নেতা-কর্মীরা থাকেন।

বেলা একটার দিকে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তফসিল ঘোষণার পরদিন আজ নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি বেড়েছে। আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমদ মনাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ নগরের শীর্ষ নেতাদের অবস্থান কর্মসূচিতে দেখা যায়।কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের জন্য খাবারের আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। একটি ‘পিকআপ ভ্যানে’ বড় বড় পাতিলে করে খিচুড়ি আনা হয়েছে। সারিতে দাঁড়িয়ে প্লাস্টিকের থালায় খাবার নিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা।

নেতা-কর্মীদের সুশৃঙ্খলভাবে খাবার গ্রহণ করতে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আলিম বেপারী। তিনি বলছিলেন, পর্যাপ্ত খাবার রয়েছে। কেউ হুড়োহুড়ি করবেন না।আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশে পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি। ঢাকায় গত ২৮ অক্টোবর সহিংসতা শুরুর পর বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশের অভিযানে পণ্ড হয়ে যায়। পরদিন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হন দলের কেন্দ্রীয়, জেলা ও তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অনেকে। প্রায় সব নেতা এখন আত্মগোপনে।

মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। ২৯ অক্টোবর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট কার্যালয়ের সামনে ‘ডু নট ক্রস—ক্রাইম সিন’ লেখা হলুদ টেপ দিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের ফটকের তিন দিক ঘিরে আলামত সংগ্রহ করে।

দুই দিন পর কার্যালয়ের দুই পাশে কাঁটাতারের ব্যারিকেড বসায় পুলিশ। মঙ্গলবার দুই পাশের কাঁটাতারের ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, গ্রেপ্তার আতঙ্কে কার্যালয়ে কেউ যাচ্ছেন না।

আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নয়াপল্টনে গিয়ে দেখা যায়, বিএনপি কার্যালয়ের মূল ফটকে এখনো তালা ঝুলছে। কার্যালয়ের সামনে সড়কে সতর্ক অবস্থান নিয়ে আছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘোরাঘুরি করছেন।

২৮ অক্টোবরের পর আলোচনায় অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের চিঠি ফটকের ভেতরের অংশের একটি প্লাস্টিকের চেয়ারে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানে আরও কিছু চিঠি ছিল। সামনের সড়কে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দেখা যায়, বিএনপির কার্যালয়ের সামনে কোনো যানবাহনকে দাঁড়াতে দিচ্ছে না পুলিশ।

বিএনপির গুলশান কার্যালয়েও কেউ নেই

আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, মূল ফটকে তালা নেই। পুলিশ সদস্যদেরও দেখা যায়নি। তবে আশপাশে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা রয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে নেতা-কর্মীরা কেউ যান না। তাই নিরাপত্তারক্ষীদের ফটকও খুলতে হয় না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের মূল ফটকের ভেতরের অংশে দুজন নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁদের একজন মো. আলিম। কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের কেউ আছেন কি না, এমন প্রশ্নে আলিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে কার্যালয়ে কেউ আসেননি।’ ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে নিয়মিত আসতেন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার। তিনিও আসছেন না।

আবদুস সাত্তার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপনি কি গ্যারান্টি দিতে পারবেন, গুলশান কার্যালয়ে গেলে কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না? গুলশান কার্যালয় কেন, নেতা-কর্মীরা তো এখন ঘরেও থাকতে পারেন না।’ মানবজমিনের খবর,  নির্বাচন কমিশন ঘোষিত আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি, জামায়াত ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোট।

নির্বাচনের তফসিল, এরপর কী--মানবজমিন

জার্মানি থেকে ড. মারুফ মল্লিক লিখেছেন,  অনেক কথা, জল্পনা, কল্পনা, আলোচনা, পরামর্শ ও সমালোচনার মুখেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সিইসিকে দেখে ভদ্র  ও সজ্জন লোক বলেই মনে হয়। যদিও উনার সঙ্গে কখনোই কথা হয়নি। কিন্তু কাল সিইসির ভাষণ দেখে মনে হলো বেশ চাপের মুখেই তফসিল ঘোষণা করতে হয়েছে তাকে। ভাষণে সিইসিকে খুব বেশি প্রাণবন্ত মনে হয়নি। কোথায় যেন চিন্তার রেখা খেলা করছিল। তার ভাষণ শুনে মনে হয়েছে তিনি নিশ্চিত না ঘোষিত তফসিল বাস্তবায়িত হবে কি না। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা দলগুলো তফসিল প্রত্যাখান করেছে। বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস হরতাল ঘোষণা করেছে বাম জোট। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলো দীর্ঘদিন ধরেই রাজপথে আন্দোলন করছে।

এই মাসে বিরতি দিয়ে দিয়ে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। শুধু বিএনপি বা সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোই না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বারবার তাগিদ দিয়েছে। সর্বশেষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডনাল্ড লু বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে শর্তবিহীন সংলাপে বসে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ খোঁজার আহ্বান  জানিয়েছেন।

তবে বিরোধীদের আন্দোলন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের পরামর্শকে উপেক্ষা করেই সরকার নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত কতগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের মিত্র জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যেতে পারে। জাতীয় পার্টি এখনো চূড়ান্তভাবে কিছু বলেনি। জাতীয় পার্টি নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন জাতীয় পার্টি শেষ বিচারে নির্বাচনে যাবে। জাতীয় পার্টির পক্ষে আওয়ামী লীগের নিদের্শ অমান্য করা সম্ভব না। যদিও এ সপ্তাহেই জাতীয় এক বৈঠকে দুইজন ছাড়া অধিকাংশ বক্তা নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। ওই বৈঠকে বক্তারা পরিস্কারভাবেই বলেছেন, আওয়ামী লীগের দুর্নীতি ও অপরাধের দায়িত্ব জাতীয় পার্টি নিতে পারে না। কেবলমাত্র দুইজন বক্তা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে মতামত দেন। তারা বক্তব্য দেয়ার সময় অন্যরা দালাল দালাল বলে চিৎকার করে উঠেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে জাতীয় পার্টি দলীয় নেতা-কর্মীদের কথা বা মতে চলে না। দলটিকে বাইরে থেকে পরিচালনা করা হয়। এর চেয়ারম্যান বা মহাসচিব পদে পাপেটের মতো কিছু লোক বসে থেকে বাইরের নির্দেশ পালন করেন কেবল। তাই শেষ পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ভিন্ন জায়গায়। জাতীয় পার্টির নেতারা বলছেন বটে, তারা কেন আওয়ামী লীগের নানা কর্মকাণ্ডের দায় বহন করবেন। 

ওয়ার্কার্স পার্টি বা জাসদ (ইনু) এক নেতা নির্ভর দল। এছাড়া আওয়ামী লীগের কাছাকাছি থাকা ইসলামপন্থী দলগুলোও কিন্তু নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখান করেছে। খেলাফত মজলিশ তফসিল বাতিলের দাবি জানিয়েছে। এর আগে সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা সমমনা পাঁচটি ইসলামপন্থী দল তফসিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিল। এই দলগুলোর সরকার ঘেষা বলেই পরিচিত। এদের অনেকেই বিএনপির জোট থেকে বেরিয়ে এসেছে।

ফলে দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে থাকা দলগুলোর মধ্যে জাতীয় পার্টি এখনো নিশ্চিত করেনি নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে। ইসলামপন্থী দলগুলোও সংলাপের কথা বলছে। তাহলে নির্বাচনে যাচ্ছে কারা? আওয়ামী লীগ যাবে। এর সঙ্গে ওয়ার্কার্স পাটি, জাসদ (ইনু), সাম্যবাদী দল থাকতে পারে। বিএনপিতে গুরুত্ব হারানো কিছু নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু এদের রাজনৈতিক প্রভাব খুবই নগণ্য।

এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের পক্ষে হাতে গোনা কয়েকটি দলকে নিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করা কঠিন হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিলেও এবারের  নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া আওয়ামী লীগের জন্য  সহজ হবে না। কারণ বিএনপিসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথ ছাড়বে না বলেই মনে হচ্ছে। বিএনপির জোট বা আন্দোলনের বাইরে থাকা বামজোট তফসিল ঘোষণার পরপরই হরতালের ঘোষণা দিয়েছে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি বিএনপির একার দাবি না। এই দাবি জনমানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে। ডানপন্থী, মধ্যপন্থী, উদারপন্থী ও বামপন্থী সবার দাবিতে পরিণত হয়েছে। এই দাবিকে সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে দমনের চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু সফল হতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

এছাড়াও আরো একটি বড় কারণ হচ্ছে, আগের মতো আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন পাবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী বহির্বিশ্বের সমর্থন পেয়েছিল একচেটিয়াভাবে। ওই সময় আওয়ামী লীগ এক ঝুড়িতে সব ডিম রাখার রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করে সফল হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, ইউরোপিয় ইউনিয়ন, রাশিয়া সবারই সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছিল। বলা যায় ওই সময় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধকে কৌশলে কাজে লাগিয়ে সব পক্ষকেই কাছে টেনেছিল। এই অঞ্চলের জঙ্গীবাদের বিস্তার ঘটছে বা ঘটবে এই ধরনের যুক্তি দেখিয়ে সবাইকে কাছে টানতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু এবার বিশ্ব রাজনীতির মোড় ঘুরে গেছে। সন্ত্রাসবাদী বিরোধী যুদ্ধ এখন আর পশ্চিমাদের পররাষ্ট্রনীতির শীর্ষে অবস্থান করছে না। এর বাইরে নানা বিষয় তাদের পছন্দের তালিকায় ঢুকে গেছে। এর মধ্যে  আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র চলে গেছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে। ফলে ডিমগুলো এখন আর আওয়ামী লীগের ঝুড়িতে এক সঙ্গে থাকতে চাইছে না।  যুক্তরাষ্ট্র অনেকটা ঘোষণা দিয়েই এবার অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে মাঠে নেমেছে।  যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিষয়ে সক্রিয় হলে পশ্চিমা  জোটের অন্যান্য শরীকরা পক্ষে না থাকলেও বিপক্ষে যাবে না। আমাদের নির্বাচন নিয়ে জাপান, অস্ট্রেলিয়া কথা বলেছে। কানাডার সংসদেও কথা হয়েছে। সবাই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে কথা বলছেন। সবাই বলছে, যদি সব দলের অংশগ্রহণ থাকে তবেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু এই নির্বাচন সুষ্ঠু হতে হবে। সরকারের উচিত হবে নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখা। বিরোধী দলের উপর দমন-নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে।

 এ অবস্থায় দেশ বিদেশের রাজনৈতিক দল, উন্নয়ন সহযোগীদের মতামত, পরামর্শ, অনেকগুলো যদি, কিন্তু, উচিত হবে কে উপক্ষো করে বা এড়িয়ে নির্বাচন করা আওয়ামী লীগের পক্ষে সহজসাধ্য হবে না। বরং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে আওয়ামী লীগের নিজের উপরেই চাপ বাড়িয়ে দিলো। এখন আওয়ামী লীগকে যে কোনো প্রকারে নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ একগুঁয়েমিপনা করে এমন এক অবস্থায় উপনীত হয়েছে নির্বাচন করলেও মুশকিল না করলেও মুশকিল। আওয়ামী লীগ যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করতে না পারে তবে রাজনৈতিক পরাজয় হবে। আবার নির্বাচন করলে দেশের ভিতর ও বাইরে থেকে আরো নতুন করে চাপ আসবে। রাজনৈতিক পরাজয় বা নতুন চাপ আওয়ামী লীগ সামলাতে পারবে কি না সন্দেহ আছে। ভারতের প্রচ্ছন্ন সহযোগীতা এবং রাশিয়া ও চীনের সমর্থনে নির্বাচনের রাস্তা এখন অনেক সংকটময়। সেই পথে কাঁটা হয়ে ফুটে আছে ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের আমলে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবির হাতে ক্রসফায়ার, মিছিলে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি, হেফাজতে খুন হওয়া ২ হাজার ৫৯৭ জন মানুষ। এই পথে পিছলে পড়ার শংকা আছে। এই শংকা থেকে প্রশ্ন জাগে যতই তফসিল ঘোষণা করুক শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারবে তো! নির্বাচন হবে তো!

বিদেশিদের কথা ভুলে যান, স্যাংশন জুজুর ভয় করি না’-বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী-এটি মানবজমিনের খবর।

ভারতের বিপক্ষে এবার টস জালিয়াতির অভিযোগ-প্রথম আলো

১০-এ ১০! এবারের বিশ্বকাপে ভারতের ফল এ রকমই। দুর্দান্ত খেলে ফাইনালে উঠে গেছে রোহিত শর্মার দল। প্রথম পর্বের ৯ ম্যাচ জেতার পর সেমিফাইনালে তারা উড়িয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। ব্যাট-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স স্বাগতিক দলের।

দুর্দম্য এই ভারত দলের বিরুদ্ধে অবশ্য নানা ধরনের অভিযোগও উঠছে। প্রথম পর্বের খেলা চলার সময় পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার হাসান রাজা প্রথমে একটি অভিযোগের আঙুল তোলেন ভারতীয়দের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছিলেন, ভারতের বোলাররা বোলিং করার সময় বল বদলে দেওয়া হচ্ছে! হাসান রাজার এমন মন্তব্যের বিরোধিতা অবশ্য পাকিস্তানেরই সাবেক ক্রিকেটাররা করেছেন।

এরপর ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে সেমিফাইনালের পিচ পরিবর্তনের। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন গতকাল দাবি করেছিল, স্পিনারদের সুবিধা দিতে আইসিসির অনুমতি না নিয়েই ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সেমিফাইনালের উইকেট পরিবর্তন করেছে।

ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচের জন্য মূলত ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ৭ নম্বর উইকেট পূর্বনির্ধারিত ছিল। লিগ পর্বে এ মাঠে অনুষ্ঠিত চার ম্যাচের একটিও ৭ নম্বর উইকেটে হয়নি। সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছিল, আইসিসি ও বিসিসিআইয়ের ৫০ জনের বেশি কর্মকর্তাদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের খুদে বার্তা থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচ ৭ নম্বর উইকেট থেকে সরিয়ে ৬ নম্বর উইকেটে স্থানান্তর করা হয়েছে।

লিগ পর্বে এই উইকেটে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত খেলাও হয়েছে ৬ নম্বর উইকেটে। আইসিসি পুরো বিষয়টিকে স্বাভাবিক বললেও অনেকেই এর সমালোচনা করেছেন। ম্যাচে অবশ্য দেখা গেছে পিচ থেকে স্পিনাররা তেমন সুবিধা পাননি। নিউজিল্যান্ডের তিন স্পিনার মিচেল স্যান্টনার, রাচিন রবীন্দ্র ও গ্লেন ফিলিপস আর ভারতের দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা ও কুলদীপ যাদব—এই পাঁচজন স্পিনার মিলে নিতে পেরেছেন মাত্র ১টি উইকেট।

মেইল অনলাইনের ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, রোহিত শর্মার দল ফাইনালে উঠলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের নির্ধারিত উইকেটও বদলে ফেলা হবে। পিচবদলের এই বিষয় নিয়ে যাঁরা কথা বলছেন, ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার তাঁদের সমালোচনা করেছেন।

পিচ বদল নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে, পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার সিকান্দার বখত তুলেছেন নতুন অভিযোগ। পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল জিও সুপারে তিনি বলেছেন, ‘আমি কি সামান্য অপকর্মকেও সমর্থন করতে পারি? টসের সময় রোহিত মুদ্রা একটু দূরে ফেলে, প্রতিপক্ষ অধিনায়কের নাগালের বাইরে। নিজের চাওয়া অনুযায়ী মুদ্রার পিঠ উঠেছে কি না, এটা যেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক সেখানে গিয়ে দেখতে না পারে।’

কিন্তু ভারতের খেলা এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচের টসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, সেখানে রোহিতের জয়ের হার ৫০ শতাংশ। 

প্রথম পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস হেরেছেন রোহিত। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জয়ের পর হেরেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস জয়ের পর আবার হেরেছেন টানা দুই ম্যাচে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তবে সেমিফাইনালসহ সর্বশেষ ৩ ম্যাচে টস জিতেছেন রোহিত।

নির্বাচন পর্যন্ত রুটিন কাজ, নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত হবে না: আইনমন্ত্রী-প্রথম আলো

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণার পর সরকার নির্বাচন পর্যন্ত রুটিন কাজ করে যাবে; এ সময়ে কোনো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না। এ কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।  তফসিল ঘোষণার পরদিন আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সাংবাদিকেরা জানতে চেয়েছিলেন, তফসিল ঘোষণার পর এখন সরকারের কাজকর্ম কেমন হবে?

জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই। ব্যাপারটা হচ্ছে গণতন্ত্রকে সঠিকভাবে চালিত করার জন্য নির্বাচনকালীন যে সরকার থাকে, তারা নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেয় না, যাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে।’

রুটিন কাজ বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, সে বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘গতানুগতিক অফিস চলা।’ তিনি আরও বলেন, এ সময়ে উন্নয়নকাজ চলমান থাকবে। কিন্তু নতুন করে উন্নয়নকাজ শুরু হবে না (নতুন প্রকল্প)। যা কিছু নির্বাচনে একটি দলের পক্ষে প্রভাবিত করতে পারে, সে রকম কাজ করা হবে না।

এ সময়ে আইন হবে কি না, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আইন হবে না। কারণ, সংসদ অধিবেশন বসবে না। কিন্তু যদি এমন প্রয়োজন হয় যে অধ্যাদেশ দিয়ে আইন জারি করতে হবে, সেটি বিশেষ কারণে বিশেষ ব্যবস্থা হতে পারে বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, 'সংবিধান অনুযায়ী আমরা চলব, সংবিধানের বাইরে আমরা কিছুই করব না।'

আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হচ্ছে জনগণ যদি ভোট দেন, কে এল, কে না এল, কোন রাজনৈতিক দল এল না, সেটা বড় ব্যাপার নয়। জনগণ যদি ভোট দেন, সেটাই গ্রহণযোগ্য। কারণ, জনগণ সব ক্ষমতার উৎস।

ড. মারুফ মল্লিক জার্মানি থেকে

মোদির চোখে জল, ‘ঠিক যেন তেরে নাম-এর সলমন খান!’, কটাক্ষ প্রিয়াঙ্কার-সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, মোদিকে ভাইজানের সঙ্গে তুলনা করে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ‘তেরে নাম’ ছবিতে সলমনকে যেরকম চরিত্রে দেখা গিয়েছিল, তার সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীর কর্নাটকের সভার প্রসঙ্গ মিলিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সোনিয়াকন্যা। বুধবার মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেখানেই কংগ্রেস নেত্রী বলেন, “উনিই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি সবসময় নিজের ব্যক্তিগত ব্যথা নিয়েই দুঃখ প্রকাশ করতে থাকেন। কী কী কুকথা শুনতে হয়েছে, তার লম্বা তালিকা নিয়ে উনি সেদিন কর্নাটকে গিয়েছিলেন। দেখে মনে হল, উনি কেঁদেই যাচ্ছেন। সলমন খানের ‘তেরে নাম’ সিনেমাটা দেখেছেন? ওই ছবিতে সলমন শুরু থেকে শেষ অবধি কেঁদেছিল।” এরপরই নরেন্দ্র মোদির বায়োপিকের কথা উল্লেখ করেন। তবে শুধু তাই নয়, সেই ছবির নাম কী হবে, সেটাও ঠিক করে দেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর মন্তব্য, “এবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়েও একটা সিনেমা বানানো হোক। যার নাম হবে ‘মেরে নাম’।” প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের ওই সভায় বিজেপির অন্যান্য নেতাদেরও কটাক্ষ করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির সব নেতারাই কিছুটা অদ্ভুত।”

তামিলনাড়ুতে রাজ্যপাল-আইনসভা টানাপোড়েন-গণশক্তি

বিধানসভায় পাস হওয়া বিল রাজ্যপাল আটকে রাখছেন, এই নিয়ে টানাপোড়েন তামিলনাড়ুতে। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল আর এন রবির সম্মতি না পাওয়ায় এবং ১০টি বিল ফিরিয়ে দেওয়ার কয়েক দিন পর শনিবার তামিলনাড়ু বিধানসভার একটি বিশেষ অধিবেশন হতে চলেছে।এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ু সরকারের দায়ের করা একটি পিটিশনের শুনানি করছে যে রাজ্যপাল আর এন রবি বিলগুলিতে সম্মতি দিতে বিলম্ব দেখিয়েছেন।

নয়া ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র তৈরির পথেই হাঁটছে মোদী সরকার: প্রভাত পট্টনায়ক-গণশক্তি

দেশের বর্তমান শাসক দল যে ফ্যাসিবাদী নীতি নিয়ে চলছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ১৯৩০ সালের ফ্যাসিবাদের যতগুলি লক্ষ্মণ ছিল, তার সবগুলিই বর্তমান শাসকের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। হয়তো এখনও ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র হয়নি, কিন্তু ওই পথেই যাচ্ছি আমরা। ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, সংসদীয় গণতন্ত্রের অধিকার সব কিছু ধ্বংস করাই ফ্যাসিবাদের প্রধান কাজ। মোদী সরকার সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে। নয়া ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র তৈরির পথেই হাঁটছে মোদী সরকার। বুধবার শিলিগুড়ি তথ্যকেন্দ্র (দীনবন্ধু মঞ্চ)-এ এক আলোচনায় একথা বলেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক প্রভাত পট্টনায়েক।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ১৬

ট্যাগ