নভেম্বর ১৮, ২০২৩ ১৭:৪৩ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ১৮ নভেম্বর শনিবারেরর কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর অনলাইন ভার্সন ও ই পেপারের বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। পরে বিস্তারিত খবরে যাব।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • ভোটের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী-প্রথম আলো
  • নৌকায় ভোট চাইলেন সজীব ওয়াজেদ জয় -ইত্তেফাক
  • পরিবেশ অনুকূল হলেও অর্থবহ সংলাপের জন্য সময় নেই: যুক্তরাষ্ট্রকে আ.লীগ-মানবজমিন
  • উল্টো মেরুতে এখনও দুই দল-যুগান্তরের শীর্ষ শিরোনাম
  • রাজনৈতিক নেতাকর্মীর যেমন মানবাধিকার আছে, পুলিশেরও আছে: প্রধান বিচারপতি-ডেইলি স্টার বাংলা

কোলকাতার শিরোনাম:

  • ‘রোহিতই নন, আর একজনও বিশ্বজয়ের ভাষণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন’, মোদিকে খোঁচা মহুয়ার!-সংবাদ প্রতিদিন
  • কর্মচ্যুত শিশুশ্রমিক স্কুলের শিক্ষকরা দিনমজুরি করেন-গণশক্তি
  • মুম্বইয়ের পিচ বিতর্কে মুখ খুললেন নিউ জ়িল্যান্ডের অধিনায়ক, বিতর্ক কি বেড়ে গেল উইলিয়ামসনের কথায়-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • বুকের দুধের বাজার গরম, ৩০০ মিলিলিটার ৪৫০০ টাকা!-রোববার প্রতিদিন

শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

বাংলাদেশের চলমাণ রাজনৈতিক  পরিস্থিতি, আন্দোলন সংঘাত সম্পর্কিত খবরই আজকের জাতীয় দৈনিগুলোর অনলাইন এবং প্রিন্ট ভার্সনের প্রধান খবর হিসেবে পরিবেশিত হয়েছে। প্রথম আলোর রাজনীতি বিষয়ক খবরে লেখা হয়েছে,  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ আসনের জন্য দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রথম দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এর মধ্য দিয়ে দলটির মনোনয়নপত্র বিক্রির কার্যক্রম শুরু হলো। দলটি শুরু করল তাদের নির্বাচনী যাত্রা। প্রধানমন্ত্রী দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন পত্র বিক্রি কার্যক্রম উেদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই জনগণের ভোটাধিকার অব্যাহত থাকুক এবং ভোটের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হতে পারে।’যুগান্তরের খবরে লেখা, তিনি বলেছেন, ভোটেই সরকার গঠন হবে রাতের অন্ধকারে নয়।

আর ইত্তেফাকের খবরে লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা এবং সিআরআই চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়  নৌকায় ভোট চাইলেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি কখনই গণতান্ত্রিক দল ছিল না। তারা মানুষ পোড়াচ্ছে, বাস পোড়াচ্ছে। তারা বাংলাদেশে শান্তি চায় না।আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

নির্বাচনের তফশিল-পরবর্তী রাজনীতি- উলটো মেরুতে এখনও দুই দল এটি যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম।

পরিবেশ অনুকূল হলেও অর্থবহ সংলাপের জন্য সময় নেই: যুক্তরাষ্ট্রকে আ.লীগ-মানজমিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডনাল্ড লু’র চিঠির জবাব দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শুরুতেই  চিঠির জন্য ডনাল্ড লু, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তবে, সমস্ত পরিবেশ সংলাপের জন্য অনুকূল হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ব্যস্ততার কারণে বর্তমান অবস্থায় বাস্তব ফলাফল আসবে এমন কোনও অর্থবহ সংলাপ করার জন্য যথেষ্ট সময় নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন।কাদের লিখেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু এবং সহিংসতামুক্ত করতে আমাদের আন্তর্জাতিক বন্ধু ও অংশীদারদের প্রস্তাবিত সাহায্য ও সহায়তাকে আ.লীগ স্বাগত জানায়।

আর যুগান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম-শ্রমিক অধিকার হরণ হলে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা-বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, বিশ্বজুড়ে যারা শ্রমিক অধিকার হরণ করবে, শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখাবে এবং আক্রমণ করবে তাদের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের শাস্তি দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

‘মাইক্রোবাসে তুলেই নতুন গামছা দিয়ে আমার চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে’-প্রথম আলো

‘সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে মাদ্রাসার অফিসে বসে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করছিলাম। ছয় থেকে সাতজন অপরিচিত লোক এসে আমার পরিচয় জানতে চায়। আমি পরিচয় দেওয়ামাত্র তারা ঘাড়ে ধাক্কা দিয়ে আমাকে জোর করে তাদের নিয়ে আসা সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। মাইক্রোবাসে ওঠার পরপরই একটা নতুন গামছা দিয়ে আমার চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে।’

নাটোর সদর হাসপাতালের ১ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে বসে এই বর্ণনা দিচ্ছিলেন মাদ্রাসাশিক্ষক হাফেজ মাওলানা সাইদুল ইসলাম (৩৮)। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে হাতুড়িপেটা করে পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে সড়কের পাশে ফেলে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে গত এক মাসে নাটোরের চার উপজেলায় ১০ জনকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে, হাত-পায়ের রগ কেটে ও গুলি করে গুরুতর জখম করা হয়েছে।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

বুকের দুধের বাজার গরম, ৩০০ মিলিলিটার ৪৫০০ টাকা!-রোববার প্রতিদিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, বেঙ্গালুরুর এক কোম্পানি অলরেডি তার কোম্পানির নামে ৩০০ মিলিলিটার বুকের দুধ ৪৫০০ টাকায় বিক্রি করছে। আশ্চর্যভাবে, সরকার বা সরকারি নীতি এর বিরুদ্ধে গেলেও প্রত্যেকেই কিন্তু চুপ।

ভাই… ভালো ব্র্যান্ডের ৩০০ এমএল বুকের দুধের প্যাকেট পাওয়া যাবে?’

কী? অবাক হচ্ছেন? ভাববেন না, দিন আসছে যখন দোকানে দোকানে এই প্রশ্নটা শুনবেন এবং জানবেন নানারকম ব্র্যান্ডের মাতৃদুগ্ধ প্যাকেটে করে পাওয়া যাচ্ছে। এখনও পাওয়া যায়, তবে খোলা বাজারে নয়।

আমরা ছোটবেলায় পড়েছি– বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ। জানি না আশীর্বাদ কতটা, আর অভিশাপ কতটা! কিন্তু প্রযুক্তির এই প্রগতি মনুষ্য সমাজকে নিশ্চয়ই ভাবিয়ে তুলছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রচুর মহিলা, তাঁরা মা না হলেও তাঁদের বুকে অতিরিক্ত দুধ আসে। সেই অতিরিক্ত দুধকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে সংগৃহীত করে সেই দুধ যে-শিশুরা মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত, তাদেরকে দেওয়া যায়। তাতে দুধের স্বাদ বা উপকারিতা কিছুটা হলেও সেই শিশুটি পেতে পারে। উপযুক্ত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংগ্রহ করে যদি মাতৃদুগ্ধ-বঞ্চিত শিশুদের দেওয়া হয় তাহলে ক্ষতি কী? কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সেই দুধ বাজারজাত করে বিক্রি করা কতটা যুক্তিযুক্ত?

সমাজ সেবকরা বলছেন– এই মাতৃধন বা প্রকৃতি-জাত খাদ্য মানুষের শরীরের মধ্য দিয়ে আসে, সেটা কখনওই বিক্রি করা যায় না। তা দিয়ে ব্যবসা করাও যায় না। হ্যাঁ, নিশ্চয়ই মাতৃদুগ্ধ-বঞ্চিত শিশুদের দান করা যায়, এটা একটা সুস্থ সমাজসেবার লক্ষণ। কিন্তু আজকালকার বাজারী যুগে, যেখানে সব কিছুই ‘কনজিউমার আইটেম’– সেখানে এই নৈতিকতার কোন জায়গা আছে কি? আমাদের হতভাগ্য দেশে যারা শুধু টাকার কুমির, অসৎ ব্যবসার মধ্য দিয়ে মানুষের স্নেহ-ভালোবাসা-নৈতিকতা-দায়বদ্ধতা– সব কিছু টাকার বিনিময়ে লুটে নেয় তারা। বেঙ্গালুরুর এক কোম্পানি অলরেডি তার কোম্পানির নামে ৩০০ মিলিলিটার বুকের দুধ ৪৫০০ টাকায় বিক্রি করছে। আশ্চর্যভাবে, সরকার বা সরকারি নীতি এর বিরুদ্ধে গেলেও প্রত্যেকেই কিন্তু চুপ। এই পোড়া দেশে হাজারে হাজারে ‘এনজিও’ কাজ করছে সমাজের ভালোর জন্য, কিন্তু ক’টা এনজিও সত্যি সত্যি সমাজের উপকার করছে, তার খোঁজও আমরা রাখি না। বেঙ্গাুলুরুর এই বুকের দুধ বিক্রি করা কোম্পানি কীভাবে এই দুধ সংগ্রহ করে জানেন?

গ্রামে-গঞ্জে বিভিন্ন এনজিও-রা দরিদ্র পরিবারের যে সমস্ত অবিবাহিত অল্পবয়স্ক মহিলারা বুকের দুধ দিতে সক্ষম, তাদের হয় পয়সা দিয়ে, না হয় খাবারের প্যাকেট দিয়ে অবৈধভাবে সেই দুধ জোগাড় করে ওই কোম্পানির ল্যাবরেটরিতে চালান দেয়। এই বিষয় নিয়ে অনেক পত্রপত্রিকাতে আলোচনা চলছে এবং চলবেও। পৃথিবী জুড়ে বিশিষ্ট সমাজসচেতন চিকিৎসক এবং বহু বিজ্ঞানীদের সুচিন্তিত মতামত যে, বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি যতই উন্নত হোক না কেন, মাতৃস্তন থেকে যে দুধ শিশুরা পান করে, তার যোগ্য এই কালেক্টেড দুধ একেবারেই নয়। পুষ্টির দিক থেকে হয়তো কিছুটা, কিন্তু ওই মাতৃস্তনের দুগ্ধ থেকে শিশুদের শরীরে মায়ের স্নেহ, ভালোবাসা, আদরের অনুভূতি যেভাবে পৌঁছয়, তার কি কোনও বিকল্প আছে? না, হতে পারে?

কিন্তু মানুষের মন বোঝা মুশকিল! মনে রাখবেন ব্যবসার বাজারে যদি কনজিউমার না থাকে, তাহলে প্রোডাক্ট চলে না। তার মানে এই ৩০০ এমএল বুকের দুধ ৪৫০০ টাকায় কেনার ক্রেতা হয়তো নিশ্চয়ই আছে! যাঁদের শারীরিক কারণে এছাড়া উপায় নেই। আবার আর এক শ্রেণির ক্রেতাও আছেন এবং তাঁরা কারা– শুনলে খানিক অবাক হবেন। তাঁরা হয়তো সেই মায়েরা যাঁরা নিজেদের স্তনের শেপ ঠিক রাখতে তাঁদের গর্ভজাত শিশুকে নিজের বুকের দুধ খাওয়াতে চান না। তাঁরাই হচ্ছে এইসব বিকৃত প্রোডাক্টের আসল খরিদ্দার। তাঁরা শিক্ষিত, অর্থবান, তাঁদের ভালোমন্দ বোঝার ক্ষমতা আছে, অথচ এই পথে প্রলুব্ধ হচ্ছেন।

‘রোহিতই নন, আর একজনও বিশ্বজয়ের ভাষণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন’, মোদিকে খোঁচা মহুয়ার!-সংবাদ প্রতিদিন

রবিবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটের (CWC 2023) মেগা ফাইনাল। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সম্মুখ সমর দেখতে মুখিয়ে ক্রিকেট দুনিয়া। কুড়ি বছর আগের ফাইনালে অজিরা শেষ হাসি হেসেছিল। এবার বিরাটরা মধুর প্রতিশোধ নিন, এমনটাই চাইছেন সকলে। এহেন পরিস্থিতিতে মহুয়া মৈত্র খোঁচা দিলেন, যদি সত্যিই টিম ইন্ডিয়া বিশ্বজয়ী হয়, তাহলে রোহিত একা নন, আরও একজন বিশ্বজয়ী হওয়ার পর ভাষণ দেবেন। তাঁর ইঙ্গিত থেকে পরিষ্কার, প্রধানমন্ত্রী মোদিকেই নিশানা করছেন তিনি।বরাবরই বিরোধীরা মোদির সমালোচনা করার সময় বলেন, অন্যের কৃতিত্বে ভাগ বসান প্রধানমন্ত্রী। চন্দ্রযান ৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার মুহূর্তে মোদিকে দেখা যায় ভারতের পতাকা নাড়তে। সেই সময় বলা হয়েছিল, ইসরোর বিজ্ঞানীদের সাফল্যে ভাগ বসাচ্ছেন মোদি। টিভির পর্দার অর্ধেক অংশে চন্দ্রযানের ছবি, অন্য অংশে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। এবার বিশ্বজয়ের কৃতিত্বে রোহিতদের সাফল্যে ভাগ বসাবেন মোদি, এমনই খোঁচা দিলেন তৃণমূল সাংসদ।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৮

ট্যাগ