নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না জাতিসংঘ
সত্যিকারের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবারও হচ্ছে না: ইফতেখারুজ্জামান
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ৩০ নভেম্বর বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- রোববার থেকে বিএনপির আবার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ-প্রথম আলো
- মহাসচিবের মুখপাত্রের ব্রিফিং-নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না জাতিসংঘ-মানবজমিন
- বাণিজ্য সচিব ‘বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি বাংলাদেশে নেই’-ইত্তেফাক
- পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠক-যুগান্তর
- গঠনের ৫ বছরেও সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি কার্যকর করতে পারেনি সরকার-ডেইলি স্টার বাংলা
কোলকাতার শিরোনাম:
- জাতীয় সঙ্গীত অবমাননায় ১২ BJP বিধায়কের বিরুদ্ধে FIR, ‘শুনতেই পাইনি’ দাবি শংকর ঘোষদের-সংবাদ প্রতিদিন
- সংসদের অভ্যন্তরেও বিরোধী কন্ঠ রোধের চেষ্টা–গণশক্তি
- লোকসভায় লক্ষ্য ৩৫, বাংলা মোদীকে আবার প্রধানমন্ত্রী করুক, ‘শাহি’ সভায় আর্জি অমিতের-আনন্দবাজার পত্রিকা
- বায়ুদূষণে জেরবার, দিল্লি-মুম্বাইয়ের অর্ধেকের বেশি মানুষ স্থানান্তরে ইচ্ছুক-আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ। এমন ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি। কীভাবে দেখছেন বিষয়টিকে?
২. হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে আরো একদিনের যুদ্ধবিরতি হলো। এরপর আবার গাজার ওপর আগ্রাসন চালাবে বলে যুদ্ধবাজ বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছে। তার এ ঘোষণা সম্পর্কে কী বলবেন আপনি?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর
প্রথম আলোর খবরে লেখা হয়েছে, আগামী রোববার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডেকেছে বিএনপি। নবম দফার এ অবরোধ আগামী মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় শেষ হবে। আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। গতকাল বুধবার দলটির ডাকে অষ্টম দফায় অবরোধ পালিত হয়। আজ পালিত হচ্ছে হরতাল।
সত্যিকারের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবারও হচ্ছে না: ইফতেখারুজ্জামান-প্রথম আলো
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, সত্যিকার অর্থে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে যা বোঝায়, তা এবারও হচ্ছে না। এটি উদ্বেগের। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন হবে। ক্ষমতায় কারা থাকবে, সেটাও নির্ধারণ হবে। কিন্তু জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে না। জনগণের আস্থা নিশ্চিত করাও অসম্ভব হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ইফতেখারুজ্জামান।
‘গণতন্ত্র, সুশাসন ও শুদ্ধাচার চর্চার রাজনৈতিক অঙ্গীকার: টিআইবির সুপারিশমালা’ তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। টিআইবির গবেষক কাওসার আহমেদ সুপারিশমালা তুলে ধরেন। এতে ৯টি বিষয়ের ওপর ৭৬টি সুপারিশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আগেও বিভিন্ন সময়ে সুপারিশগুলো করা হয়েছে। এবারও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে সুপারিশগুলো তাঁরা পাঠাবেন।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আসনভিত্তিক সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা হয়েছে। এখন সময় এসেছে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ প্রতিষ্ঠা করার। এটি নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন। এর জন্য অনেকগুলো উপাদান আছে। তার মধ্যে অন্যতম, নির্বাচনকালীন সরকারে দলীয় প্রভাবমুক্ত ও স্বার্থের প্রভাবমুক্ত ভূমিকা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন দরকার। সংসদে প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, গণতন্ত্র, সুশাসন, শুদ্ধাচারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে রাজনৈতিক দল। এখানে তারা কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে, তাদের হাতে ক্ষমতা। এখানেও সংস্কারের কথা বলেন তিনি।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দলে মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলের প্রতি আনুগত্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। চট করে কেউ এল, অর্থকড়ি, পেশিশক্তি আছে বা অন্য পরিচয়ের কারণে মনোনয়ন দিয়ে দেওয়া হলো। এতে যারা সত্যিকারের মূল ধারার রাজনীতির ধারকবাহক, তারা কিন্তু নিজেদের বিলুপ্তপ্রায় ভাবতে থাকে। দলগুলোকে এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, নির্বাচন কমিশন, দুনীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের সাময়িক রাজনৈতিক সুবিধার হাতিয়ার হিসেবে যেভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে, তাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা খাদের কিনারে পৌঁছেছে। এই সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে।
স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত পরিবেশ তৈরি প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যখন কোনো দল ক্ষমতায় যায়, তখন সেই সরকারের প্রধান যদি স্বপ্রণোদিতভাবে দলীয় প্রধানের পদ ত্যাগ করেন, তাহলে তিনি সবার সরকার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন। স্পিকারের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য। এই ভূমিকা নিশ্চিত করতে পারলে স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন সবার মতামত বিবেচনায় নিয়ে সংস্কার করতে হবে। এ ছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিতে আইনগুলোয় প্রয়োজনীয় সংস্কারের কথাও বলেন তিনি।
ইত্তেফাকের খবরে লেখা হয়েছে, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি বাংলাদেশে নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, নতুন মার্কিন শ্রমনীতি নিয়ে কোনো চাপ অনুভব করছি না।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য সচিব বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো সুযোগ পাই না। তাই নতুন মার্কিন শ্রমনীতি নিয়ে কোনও চাপ অনুভব করছি না। ইতিমধ্যে আমাদের অনেক অর্জন হয়েছে। আমার যতটুকু জ্ঞান আছে- বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিধান ডব্লিউটিও’র (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা) আইনে নেই। কিন্তু কোনো যদি অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা দেয়, সেই সুবিধা বাতিল করতে পারে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যা করার করতে হবে। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের সঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউএস শ্রম নীতি গ্লোবাল ইস্যু। যারা ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে কাজ করেন, তাদের বিরুদ্ধে যেন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, সেই চেষ্টা থাকতে হবে। এটা আসলে চলমান প্রক্রিয়া।
আমাদের মোট রপ্তানির মাত্র ১৭ শতাংশ হয় যুক্তরাষ্ট্রে। আর ইউরোপে করে থাকি ৫৫থেকে ৬০ ভাগ। যথেষ্ট শুল্ক দিয়েই আমরা আমেরিকায় পোশাক পাঠাই। আমরাও চাই আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে বলে জানান সচিব।
তবে রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার পেছনে ইউরোপের মন্দাভাব কিছুটা দায়ী বলে মনে করেন তপন কান্তি ঘোষ।
ইত্তেফাকের অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে, পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের বিষয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে অনেক বিভ্রান্তির পরও শতাধিক পর্যবেক্ষক আসবে। এ নিয়ে চিন্তিত নই।’
চোরাগোপ্তা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি-যুগান্তর
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, মানুষ ও গাড়ি চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এরপরও যারা চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে-তাদের বিরুদ্ধে আমরা দেশের আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেব।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আমরা সিইসি, কমিশনারদের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠুভাবে-নিরপেক্ষভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে করার জন্য যেসব কাজ করা দরকার আইনানুগভাবে সেসব কাজ করার জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
পুলিশপ্রধান বলেন, আমরা বলেছি; প্রতিশ্রুতি দিয়েছি-আমরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব প্রতিপালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং তাদের আশ্বস্ত করেছি। আমরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশনের অধীনে, তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও চমৎকার নির্বাচন দেশবাসীকে উপহার দিতে পারব।
ভোটের মাঠে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন? আপনাদের কাছে আশঙ্কাজনক কোনো খবর আছে কি না?-সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, এখন পর্যন্ত আশঙ্কাজনক কোনো খবর আমরা বোধ করছি না।
হাইকোর্টে জিতলেন ড. ইউনূস-যুগান্তর
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণের শ্রমিকদের ১০৩ কোটি টাকা দিতে লেবার অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে, নিম্ন লেবার অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায়টিকে অবৈধ বলেও ঘোষণা করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাফর আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ রুল খারিজ করে এ আদেশ দেন। ১০৬ শ্রমিক চাইলে শ্রম আদালতে গিয়ে মামলা করতে পারবেন বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে, ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে গত ৩ এপ্রিল রায় দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
পরে সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ মে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন হাইকোর্ট।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
বোঝাই যাচ্ছে প্রতিহিংসার রাজনীতি’, শাহী সভার পরদিনই CBI তল্লাশি নিয়ে তোপ ফিরহাদের-সংবাদ প্রতিদিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, তদন্তের স্বার্থে তৎপরতা নাকি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা? শাহী সভার পরদিনই সিবিআই তল্লাশিতে চক্রান্তের অভিযোগ তৃণমূলের। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।শাহী সভার পরদিনই ফের তৎপর সিবিআই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে কোমর বেঁধে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। স্ক্যানারে তৃণমূল বিধায়ক এবং দুই কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে তল্লাশি। এছাড়া, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বড়ঞা থানা এলাকাতেও হানা দেয় সিবিআই। কুলি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক ঝন্টু শেখের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা।
কলকাতার পাশাপাশি কোচবিহারে একটি বিএড কলেজে এবং ওই কলেজ মালিকের আত্মীয়ের বাড়িতেও চলছে সিবিআই তল্লাশি। কলকাতা, মুর্শিদাবাদ এবং কোচবিহারের মোট ৮ জায়গায় সিবিআই তল্লাশি নিয়ে ক্ষুব্ধ ফিরহাদ হাকিম। বলেন, “কাল রাজ্যে অমিত শাহ এসেছিলেন। আজ সক্রিয় সিবিআই। বোঝাই যাচ্ছে এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি।” উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছে ঘাসফুল শিবির।
জাতীয় সঙ্গীত অবমাননায় ১২ BJP বিধায়কের বিরুদ্ধে FIR, ‘শুনতেই পাইনি’ দাবি শংকর ঘোষদের-সংবাদ প্রতিদিন
জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ। এবার বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের হল এফআইআর। নাম রয়েছে শংকর ঘোষ, মনোজ টিগ্গা-সহ গেরুয়া শিবিরের ১২ জন বিধায়কের। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই FIR-এ নাম নেই শুভেন্দু অধিকারীর। এদিকে গেরুয়া শিবিরের দাবি, তৃণমূলের ধরনায় জাতীয় সঙ্গীত হচ্ছে তাঁরা শুনতেই পাননি। আর তৃণমূলের কথায়, “বিজেপির এহেন আচরণকে ধিক্কার জানাই। আইন আইনের পথে চলবে।”
বুধবার বিকেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। বি আর আম্বেদকরের মূর্তির নিচে তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি চলছিল। ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিকে অমিত শাহের সভা শেষ হতেই শুভেন্দু-সহ বিজেপির অন্য বিধায়করা বিধানসভায় হাজির হন। তৃণমূলের ধরনার অদূরে গাড়ি বারান্দার নিচে পালটা ধরনা শুরু করেন তাঁরা। ‘চোর, চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন। এদিকে তৃণমূলের কর্মসূচির ধরনার শেষে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন বিজেপি স্লোগান দিতে থাকে। এর পরই তৃণমূল জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ তুলেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
সংসদের অভ্যন্তরেও বিরোধী কন্ঠ রোধের চেষ্টা-গণশক্তি
সংসদে স্লোগান দিতে পারবেন না সাংসদরা। চলবে না কোন প্রতিবাদ। এমনই নির্দেশ জারি করলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদ্বীপ ধনখড়।উল্লেখ্য এর আগে একাধিকবার রাজ্যসভা এবং লোকসভা উত্তাল হয়েছে বিরোধীদের প্রতিবাদের জেরে।
সংসদের অভ্যন্তরের কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। সেই ক্ষেত্রে কথায় কথায় সাসপেন্ড করা হয়েছে বিরোধী দলের সাংসদদের। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের নতুন এই নির্দেশনামা সংসদের অভ্যন্তরে বিরোধীদের কন্ঠ রোধের চেষ্টা বলে মনে করছেন অনেকে।
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ৩০