আজ থেকে ফের বাংলায় রাহুলের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা
মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ২৮ জানুয়ারি রোববারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- জামিন পেলেন ড. ইউনূস, -ইত্তেফাক
- মামলা কি সরকার করলো, নাকি শ্রমিক: প্রশ্ন ড. ইউনূসের -প্রথম আলো
- দ্রুততম সময়ে গণআন্দোলন গড়ে উঠবে: সাকি-মানবজমিন
- ‘কোনো কোনো বিদেশি রাষ্ট্র দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল, ভারত পাশে ছিল’-যুগান্তর
- ঋণখেলাপি ধরতে সবুজ সংকেত-যুগান্তর
- একই মামলায় ১৬ জনের জামিন, পাননি ফখরুল-ডেইলি স্টার বাংলা
কোলকাতার শিরোনাম:
- রামই সংবিধান রচয়িতাদের অনুপ্রেরণা, ‘মন কি বাতে’ দাবি মোদির -সংবাদ প্রতিদিন
- মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার -গণশক্তি
- ষড়যন্ত্র করে মমতাকে দিয়ে বলানো হয়েছিল খড়্গের নাম!-অভিযোগ নীতিশের দলের-আনন্দবাজার পত্রিকা
- আজ থেকে ফের বাংলায় রাহুলের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা -আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. জিএম কাদের-চুন্নুকে বহিষ্কার করলেন রওশন এরশাদ। জাতীয় পার্টির এই অস্থিরতাকে কীভাবে দেখছেন?
২. ইরান আজ আরো তিনটি স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে কক্ষপথে। বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে ইরানের এই সাফল্যকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর
‘কোনো কোনো বিদেশি রাষ্ট্র দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল, ভারত পাশে ছিল’-যুগান্তর
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক বিশ্ব পরিস্থিতিতে ভারত সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেছে। যেটা প্রযোজন ছিল। কারণ অনেকেরই এখানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার বন্ধুর অভাব ছিল না। তিনি রোববার সকালে রাজধানীর সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে কিছু কিছু অপজিশন তারা কোনো কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে হয়ে আমাদের এখানে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। নির্বাচনটাকে ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল সেসময় ভারত আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। সে কথা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সংশয় আর অবিশ্বাসের যে দেয়াল তা ভেঙ্গে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভবিষ্যতেও ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে চিড় ধরার কোনো কারণ দেখছি না।
বিরোধী দল কারা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখানে তো বিরোধী দল বলতে জাতীয় পার্টিই সামনে আসে। তারা আগেও ছিল। তাদের অনেকে অভিজ্ঞ আছেন। মিয়ানমার সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই সমাধানে যাব। আমরা সংঘাতে যাব না।
দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, ‘সরকার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না’- বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এ পর্যন্ত যত স্বপ্ন দেখেছে, সবই দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কঠিন সময় পার করা, চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার সৎ সাহস আমাদের আছে। আমরা পেরেছি, ভবিষ্যতেও পারব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে দায়িত্ব আমরা নিয়েছি, সেটা আমরা পালন করব।
মামলা কি সরকার করলো, নাকি শ্রমিক: প্রশ্ন ড. ইউনূসের-ইত্তেফাক
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমার দিক থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার করা দরকার, সরকার বারবার বলছে, সকল পর্যায়ে থেকে- এই মামলা সরকার করেনি। কিন্তু আপনারা (সাংবাদিক) তো সাক্ষী। আপনারা তো কোনো কিছু বলছেন না। এটা কি সরকার করলো, নাকি শ্রমিক করলো? জবাবটা আমাকে দেন।রোববার (২৮ জানুয়ারি) শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় সাজার রায় চ্যালেঞ্জ করে আপিল করার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাংবাদিকদের আরও বলেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর তো সরকারি, সরকারের অধীন। শ্রমিক তো কোনো মামলা করেনি, সেটা আপনারা বলেন।
এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন ড. ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ২৫ যুক্তি দেখান তিনি।
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে ড. ইউনুস বলেন, এটি আমাদের একটা স্বপ্ন ছিল। আমরা পৃথিবীকে বদলাতে চাই। দারিদ্র্যকে মুছে ফেলতে চাই। এটাই ছিল আমাদের স্বপ্ন। যে স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা পেছনে লেগেছিলাম। আমরা বলেছিলাম যে চাকরির পেছনে মানুষ ঘুরবে না, চাকরি মানুষের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মানুষ হলো একজন উদ্যোক্তা।
বাংলা একাডেমি পুরস্কার ফেরত দিলেন কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার-প্রথম আলো

বাংলা একাডেমি পুরস্কার ফেরত দিয়েছেন কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার। ২০১৪ সালে তিনি কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছিলেন। আজ রোববার তিনি ওই পুরস্কারের অর্থ ও সম্মাননা স্মারক কুরিয়ারের মাধ্যমে বাংলা একাডেমিতে ফেরত পাঠিয়েছেন। জাকির তালুকদার নিজেই প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। বাংলা একাডেমি তার মান ধরে রাখতে পারেনি অভিযোগ এই কথাসাহিত্যিকের।
জাকির তালুকদার আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলা একাডেমির গণতন্ত্রহীনতা, আমলাতান্ত্রিকতা, ২৫ বছর ধরে কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন না করে ইচ্ছেমতো একাডেমি চালানোর জন্য বাংলা একাডেমি সচেতন মানুষের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।’ জাকির তালুকদার আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব কমে গেলে পুরস্কারের গুরুত্ব থাকে না। এ জন্য এই পুরস্কার এখন আমার কাছে অর্থহীন বোঝা বলে মনে হচ্ছে। বাংলা একাডেমি নিজের মান ধরে রাখতে পারেনি, এটা দুঃখজনক।’

জাকির তালুকদার জানান, সবকিছু ফেরত পাঠানোর সঙ্গে একটি চিঠিও তিনি দিয়েছেন। যেখানে পুরস্কার ফেরত দেওয়ার কারণ উল্লেখ আছে। জাকির তালুকদার তাঁর ‘মুসলমানমঙ্গল’ গ্রন্থের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। ১০ বছর পর তিনি এটি ফেরত দিলেন।
জাকির তালুকদারের পুরস্কার ফেরত দেওয়া প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার কাছে এখনো (পুরস্কারের অর্থ ও সম্মাননা স্মারক) এসে পৌঁছায়নি। এত দিন পর পুরস্কার ফেরত দেওয়া যায় কি না, আমি ঠিক জানি না।’
কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদারের ২৪টির বেশি সাহিত্যকর্ম আছে। এর মধ্যে ‘পিতৃগণ’, ‘কুরসিনামা’, ‘কবি ও কামিনী’, ‘ছায়াবাস্তব’, ‘রাজার সেপাই’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার-গণশক্তি
বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার। রাজ্যপালের হাতে নিজের ইস্তফা পত্র তুলে দিলেন তিনি। আজ বিকেলেই তিনি এনডিএ-তে যোগ দিতে পারেন। ইস্তফা দিয়েই তিনি ফের বিজেপি’র সমর্থন নিয়ে সেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতেই বসতে চলেছেন। এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে নীতীশ কুমার বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। রাজ্যপালকে সরকার ভেঙে দিতে বলেছি। দলের মতামত নিয়েই ইস্তফা দিয়েছি। আগের জোট ছেড়ে নতুন জোটে যোগ দেব'।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে লেখা হয়েছে, কংগ্রেসের জন্যই বিরোধী জোট ছাড়তে হয়েছে নীতীশ কুমারকে, ব্যাখ্যা দিল তাঁর দল জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র ভিতরে কংগ্রেসের ‘ষড়যন্ত্র’-এর শিকার হতে হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক প্রথম সারির এক নেতার বক্তব্য, মমতা আর নীতীশকে মেলানো যাবে না কোনও ভাবেই। তিনি বরাবর বিজেপি বিরোধী ছিলেন, আছেন এবং ভবিষ্যতেও তা-ই থাকবেন।
রামই সংবিধান রচয়িতাদের অনুপ্রেরণা, ‘মন কি বাতে’ দাবি মোদির-সংবাদ প্রতিদিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, সাধারণতন্ত্র দিবসের পরের রবিবার মন কি বাত রেডিও অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায় উঠে এল সংবিধান থেকে রামমন্দির-সহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ। তিনি বলে দিলেন, সংবিধান রচয়িতারাও রামের দ্বারাই অনুপ্রাণিত।
ন্যায় যাত্রা নিয়ে অশান্তির মাঝেই উত্তরবঙ্গে রাহুল-সংবাদ প্রতিদিন
সংবাদ প্রতিদিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, রাহুলের ন্যায় যাত্রাকে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri)। টিম রাহুলের বাস আটকে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এই অশান্তির মাঝেই শহরে পৌঁছলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস কর্মীদের দাবি, পরিকল্পনামাফিক পুলিশ বাধা দিয়েছে। এদিকে পুলিশের দাবি, পরীক্ষার জন্য বাস আটকানো হয়েছে।যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে কংগ্রেস।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২৮