রামমন্দির করেও নিশ্চিন্তে নেই বিজেপি!
পাকিস্তানের রাজনীতি আরও টালমাটাল হবে! সরকার গঠন করবে কে?
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। পরে বিস্তারিত খবরে যাব।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- গুলি-মর্টার শেলের আওয়াজে ঘুম ভাঙল টেকনাফ সীমান্তের মানুষের-প্রথম আলো
- চিকিৎসা সেবায় মানবিকতা উপেক্ষিত, বাণিজ্যই প্রধান-ইত্তেফাক
- ইমরান, নওয়াজ দু’জনেই বিজয় দাবি করেছেন, পাকিস্তানের রাজনীতি আরও টালমাটাল হবে!-মানবজমিন
- ছাত্রলীগ নেতার পিটুনিতে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু-মানবজমিন
- নওয়াজ-ইমরানের পাল্টাপাল্টি বিজয়ের ভাষণ, সরকার গঠন করবে কারা-ডেইলি স্টার বাংলা
- গাজীপুর বিমান বন্দর বিআরটি প্রকল্পে পদে পদে ক্রটি, সময় ও ব্যয়ে বিশ্ব রেকর্ড-যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম
কোলকাতার শিরোনাম:
- দেশের জেলগুলিতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন মহিলারা!-আনন্দবাজার পত্রিকা
- পাক ভোটে জয়ের দাবি জেলবন্দি ইমরানের, নওয়াজের ‘লন্ডন প্ল্যান’ কি ব্যর্থ?-সংবাদ প্রতিদিন
- রামমন্দির করেও নিশ্চিন্তে নেই বিজেপি-গণশক্তি
- কেন্দ্রকে আবারও সময় বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী!-আজকাল
শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত তুলে ধরছি। দৈনিকগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন খবরকে প্রধান শিরোনাম করা হলেও প্রায় সব দৈনিকে পাকিস্তানের নির্বাচনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়েছে।
প্রথম আলোর শিরোনাম-২৫০ আসনের ফল: ভোটের মাঠে ইমরানের জয়। ইত্তেফাক শিরোনাম করেছেন এমন-পাকিস্তানে নির্বাচন, ইমরান-নওয়াজ উভয়ের দাবি জয়, এখন কী হবে! এতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী এখন পর্যন্ত ২৫০ আসনের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আর বাকি রয়েছে ১৫ আসনের ফল। তবে ইতিমধ্যেই তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ নিজের দলকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। গতকাল শুক্রবার দিয়েছেন বিজয়ী ভাষণ। সেইসঙ্গে সরকার গঠন করার জন্য জোট বাঁধতে পারেন বলে জানিয়েছেন।এদিকে নওয়াজ শরিফের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশটির আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানও গতকাল শুক্রবার রাতে বিজয়ী ভাষণ দিয়েছেন। এআই-এর মাধ্যমে তৈরি করা ভাষণে তিনি তার দলের বিপুল জয়ের দাবি করেছেন এবং তার সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মানবজমিন এ বিষয়ক খবরের শিরোনামে লিখেছে, ইমরান, নওয়াজ দু’জনেই বিজয় দাবি করেছেন, পাকিস্তানের রাজনীতি আরও টালমাটাল হবে!
উখিয়া সীমান্তে পড়ে আছে কয়েকটি লাশ-প্রথম আলো
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তে দিনের বেলায় গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও রাত হলেই আতঙ্ক ভর করছে বাসিন্দাদের। থেমে থেমে আসছে গুলির শব্দ। এদিকে উখিয়া সীমান্তের রহমতের বিল এলাকায় তিন থেকে চারটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল শুক্রবার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে না পারায় লাশ উদ্ধার করতে পারেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা নিশ্চিত করতে পারেনি লাশের পরিচয়।
এ ছাড়া গতকাল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের পশ্চিমকুল এলাকায় অবিস্ফোরিত একটি মর্টার শেল পাওয়া যায়। ইত্তেফাক লিখেছে, সীমান্তে আতঙ্ক। এদিকে,সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ আমাদের দেশে বিরাট সমস্যা সৃষ্টি করেছে। আর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্য দেশের মর্টার শেলে মানুষ মরলেও সরকার নিশ্চুপ। তারা একটা স্টেটমেন্ট পর্যন্ত দিতে পারছে না।
চিকিৎসা সেবায় মানবিকতা উপেক্ষিত, বাণিজ্যই প্রধান-ইত্তেফাকের এ শিরোনামের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবায় নেই মানবিকতা। দখল করে নিয়েছে বাণিজ্য। এ কারণে সরকারি নানা সুবিধা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। অনাস্থায় হাজার হাজার রোগী যাচ্ছে দেশের বাইরে। যাদের টাকা আছে তারা দেশের বাইরে যাওয়ার পাশাপাশি রাজধানীর নামিদামি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছেন। তবে সেখানেও আছে গলাকাটা বাণিজ্য। আর যাদের টাকা নেই, তারা মানহীন বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় অঙ্গহানী-প্রাণহানীর শিকার হচ্ছেন। গ্রামাঞ্চলের ৮০ ভাগ রোগীই সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সা সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। ডাক্তার নেই, অজ্ঞানকারী চিকিৎসক নেই, প্যাথলজি নষ্ট-এমন নানা অজুহাত দেখিয়ে রোগীদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। কাগজ-কলমে জনবল আছে, কিন্তু বাস্তবে সরকারি হাসপাতালে জনবল নেই। সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব তো আছেই। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কোন চিকিৎসা সেবা না পেয়ে শহরকেন্দ্রীক হচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চলে আসলেও যেমন দেখার কেউ নেই।
দেশের সব পেশাজীবী রাজনৈতিক মতাদর্শে বিভক্ত হয়ে পেশার উন্নয়নের চেয়ে ব্যক্তি স্বার্থোদ্ধারে বেশি নিবেদিত হয়ে পড়েছেন। যখন যে সরকার দায়িত্ব পালন করেন, তার স্বপক্ষে বেশি মানুষের ভিড় দেখা যায়। এতে সরকার আনন্দে থাকলেও শনির দশা হয় জনসাধারণের।
সরকার রাজধানী থেকে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত চিকিত্সা সেবার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক আছে ঘরে কাছে। সেখান থেকে ৩০ ধরনের ওষুধ দেওয়া হয় বিনামূল্যে। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সাব সেন্টারগুলোতে মেডিক্যাল অফিসার বসেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারসহ বিভিন্ন অপারেশন, এক্সরে ও প্যাথলজির ব্যবস্থা আছে। তারপরও ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ মানুষ সরকারি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। ডাক্তাররা বেশিরভাগ সময় থাকেন না। আর থাকলেও কমিশন বাণিজ্যের কারণে রোগীদের পাঠিয়ে দেন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে। তবে যেসব ক্লিনিকে রোগীদের পাঠানো হয় সেগুলো অবৈধ ও নিম্নমানের। চিকিৎসা সেবার নূন্যতম ব্যবস্থা সেখানে নেই। অথচ এসব ক্লিনিকে রাজধানী ও বিভাগ থেকে নামিদামি চিকিৎসকরা যান। এ কারণে তারা রাজধানী ও বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও শনিবার পর্যন্ত থাকেন না। অনেক ক্লিনিকে এসব ডাক্তারের সেবা নিতে মাইক দিয়ে প্রচার করা হয়।
গ্রামাঞ্চলে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অবৈধ এসব ক্লিনিকে পরিকল্পনা অনুযায়ী সমন্বিত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না রোগীরা। সিজার করতে গিয়ে মায়ের মূত্রনালী কেটে ফেলা হয়। অপারেশনের প্রয়োজন নেই, তারপরও অপারেশন করা হয়। প্রতিদিন মা ও শিশু এই ধরনের জটিলতা নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও মিটফোর্ট হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের গাইনি বিভাগে আসছেন। কর্তব্যরত চিকিত্সকরা বলছেন, অপ্রয়োজনীয় অব্যবস্থাপনায় এই সিজার করার করণে মায়ের জটিলতার পাশাপাশি শিশুটির মাথা ও বিভিন্ন স্থানে অঙ্গহানীর ঘটনাও ঘটেছে। পরবর্তীতে এসব শিশুদের বেশিরভাগেরই বিকলাঙ্গ হয়ে জীবন পার করার আশংকা বেশি।
এদিকে গ্রামে চিকিত্সা সেবা না পেয়ে শহরমুখী রোগীর স্রোত দিনদিন বাড়ছে। তবে রাজধানীতে যেসব সরকারি হাসপাতাল আছে, সেগুলো রাজধানীবাসীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেই হিমশিম খাচ্ছে। তার উপর সারাদেশ থেকে রোগী আসতেছে। এ কারণে রাজধানীর হাসপাতালে শয্যা খালি পাওয়া যায় না। অনেকে ফ্লোরে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।
এদিকে রাজধানীতে অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি। শুধুমাত্র মোহাম্মদপুর এলাকায় শতাধিক অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর একাধিক হাসপাতালের মালিক হলেন সরকার দলীয় একজন রাজনৈতিক নেতার আত্নীয়। তিনি দম্ভ করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে লিখে কিছুই হবে না। ওই হাসপাতালে লাইসেন্স নেই, কিন্তু তারপরও বড় বড় ডাক্তার সেখানে বসেন। অপরদিকে রাজধানীর নামিদামি বেসরকারি হাসপাতালেও অহরহ ভুল চিকিৎসার ঘটনা ঘটছে। বাড্ডার বাসিন্দা শংকর লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত। হঠাৎ তার পেটে ব্যথা হলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা তার এনজিওগ্রাম করে বলেন, তার হার্টে ব্লক আছে। দ্রুত রিং পরাতে হবে। রিং পরিয়ে সব মিলিয়ে তার খরচ হয় পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু তার পেটের ব্যথা বন্ধ হয় না। পরে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে যান। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডাক্তাররা বলেন, তার হার্টে কোন সমস্যা নেই। সে লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই ঘটনার পর শংকর বাংলাদেশী ওই বেসরকারি হাসপাতাল ও ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, হাসপাতালগুলো দেখভাল করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে অধিদপ্তর পর্যন্ত আলাদা আলাদা বিভাগ আছে। কিন্তু কেউই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন না। তারা ধান্ধায় থাকে কোথায় থেকে কোটি কোটি টাকা বানানো যাবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি বিভাগ আছে হাসপাতালগুলো দেখার জন্য। এছাড়া বিভাগীয় পর্যায়ে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জন ও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা রয়েছেন। কিন্তু কেউই সঠিকভাবে মনিটরিং করেন না। রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ার এটি অন্যতম কারণ বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামান্ত লাল সেন বলেন, দেশের রোগীদের সুচিকিত্সা নিশ্চিত করতে যা যা করার প্রয়োজন তার সবই করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এমিরেটস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দৌরগড়ায় পর্যন্ত পৌছে দিয়েছেন। বাকিটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কর্মকর্তাদের। এটা নিশ্চিত করা গেলে শহর কেন্দ্রীক রোগীর চাপ পড়বে না। হাতের কাছে সুচিকিৎসা পাবে মানুষ।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বেনজীর আহমেদ বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে ওষুধ, পরীক্ষা, চিকিৎসাসহ সর্বক্ষেত্রে মানবিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে রোগীরা সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হন। পরিকল্পিত সমন্বিত মানবিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত না হওয়ায় মূলে রয়েছে বাণিজ্য। এটা বন্ধ করতে হবে। এদিকে একাধিক ডাক্তার বলেন, দেশে চিকিৎসা সেবার নামে ডাকাতি বাণিজ্য চলছে।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
জয়ের দাবি জেলবন্দি ইমরানের-নওয়াজের ‘লন্ডন প্ল্যান’ কি ব্যর্থ?-সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে,
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে টানটান নাটক। এখনও পর্যন্ত ফলাফল স্পষ্ট না হলেও ভোটে জয়ের দাবি করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। একই দাবি ইমরান খানের। প্রশ্ন উঠছে, নওয়াজের লন্ডন প্ল্যান কি ব্যর্থ? উঠছে এমন প্রশ্নই। কী এই লন্ডন প্ল্যান? মসনদ থেকে বিতাড়িত ইমরান খান গত বছর দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে জেলে পুরতে সমস্ত সম্ভব কূট অস্ত্র প্রয়োগ করছেন নওয়াজ ও তাঁর ভাই তথা পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। শুধু তাই নয়, রাজনীতি থেকে তাঁকে অন্তত ১০ বছর দূরে রাখতে দেশদ্রোহ আইনকে হাতিয়ারের মতো প্রয়োগ করছে নওয়াজের। কোনওভাবেই যাতে নির্বাচনে পিটিআই ও ইমরান লড়াই করতে না পারে লন্ডনে বসে সেই ছক কষেছেন শাহবাজ ও নওয়াজ।
দেশের জেলগুলিতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন মহিলারা!-আনন্দবাজার পত্রিকার এ শিরোনামের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের জেলে মহিলা কয়েদিরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট। এক দিন আগেই এ বিষয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।সেখানে রিপোর্ট জমা দিয়ে আদালত বান্ধব জানিয়েছিলেন, এ রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারের মহিলা বন্দিরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন। বৃহস্পতিবার বিচার চেয়ে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন আদালত বান্ধব তাপস। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি ভট্টাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। রাজ্যের সংশোধনাগারের মহিলা সেলগুলিতে পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার আর্জিও তিনি জানান ডিভিশন বেঞ্চে।
রামমন্দির করেও নিশ্চিন্তে নেই বিজেপি-গণশক্তি পত্রিকার শিরোনাম এটি। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বছরে দু’কোটি বেকারের চাকরি, প্রতি নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে। দশ বছরেও পূরণ হয়নি প্রতিশ্রুতি।
স্বাধীনতার পর থেকে দেশে বেকারত্বের হার এখন সর্বোচ্চ। নরেন্দ্র মোদীর ভাষায় ‘অমৃতকাল’ চলছে। সত্যি কি তাই?
দেশের যুবকরা কাজ পাচ্ছেন না। কাজ করলেও মজুরি কম, সংসার চালাতে নাজেহাল হতে হচ্ছে। চাল, ডাল, তেল, নুন, ওষুধ, সবজি সব কিছুর দিন বেড়েছে। রান্নার গ্যাসের কথা নয় বাদই দেওয়া গেলো।জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ কোথায়? সামনে লোকসভা নির্বাচন। কাজ, রোজগার আর জিনিসের দাম- তিন দিকেই ক্ষোভ রয়েছে বিজেপি’র ওপর।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ১০