কৃষকদের 'দিল্লি চলো' মিছিল
দিল্লিতে কৃষকদের উপর ‘নৃশংস হামলা’, ড্রোন থেকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ল পুলিশ
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- মিয়ানমারের কাউকে আর দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-ইত্তেফাক
- মতামত-বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ভোট দেখাল মার্কিন তেজ আগের মতো নেই-প্রথম আলো
- শিশুদের প্রসাধনী ব্যবহার প্রবণতা বৃদ্ধি ঝুঁকিপূর্ণ: বিশেষজ্ঞ-ডেইলি স্টার বাংলা
- এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা-মানবজমিন
- বড় রাজনৈতিক দল ভোটে না এলে নির্বাচন অশুদ্ধ হয় না: সিইসি-যুগান্তর
কোলকাতার শিরোনাম:
- এভাবে দেশ এগোতে পারে না’, দিল্লিতে কৃষকদের উপর ‘নৃশংস হামলা’ নিয়ে সরব মমতা-সংবাদ প্রতিদিন
- রাজ্যজুড়ে আইন অমান্য, বিক্ষোভে শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুররা-গণশক্তি
- ব্যারিকেড ভাঙলেন কৃষকেরা, রুখতে হরিয়ানায় ড্রোন থেকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ল পুলিশ-আনন্দবাজার পত্রিকা
- ৫ বছর পূর্ণ পুলওয়ামা হামলার, কেমন আছে শহিদ বাবলু সাঁতরার পরিবার-আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. যৌন কেলেঙ্কারিতে উত্তপ্ত ৪ বিশ্ববিদ্যালয়। এটি মানবজমিন পরিবেশিত একটি খবরের শিরোনাম। কী বলবেন আপনি?
২. ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ইসরাইলের মিত্রদের উচিত তেল আবিবকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা। কীভাবে দেখছেন তার এই বক্তব্যকে?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর
মিয়ানমারের কাউকে আর দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-ইত্তেফাক
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীসহ অনেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। তারা সবাই জীবন রক্ষার জন্য এসেছে, যুদ্ধের জন্য নয়। তবে আগামীতে মিয়ানমারের কাউকে আর দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সৈন্যদের ফেরত নেওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল। তারা (মিয়ানমার সরকার) দু’একদিনের মধ্যে জাহাজ পাঠিয়ে দিয়ে তাদের নিয়ে যাবেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সীমান্তে আমাদের বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড—সবাই অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করছে। মিয়ানমার সীমান্তে যুদ্ধ হচ্ছে। তাই এ সীমানা দিয়ে তাদের কেউ আর আসবে বলে মনে হচ্ছে না। তারপরেও যদি আসে, আমাদের এখানে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না ‘
এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা-মানবজমিন
বাংলাদেশে দিন দিন বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এক বছর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে যা ছিল এক লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ২৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৯ শতাংশ। অবশ্য বছরের চার প্রান্তিকের মধ্যে প্রথম দুই প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ বাড়লেও শেষ দুই প্রান্তিকে কিছুটা কমেছে।
এক লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ নিয়ে ২০২৩ সাল শুরু হয়। মার্চে এর পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকায়। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) খেলাপি ঋণ বাড়ে ১০ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা।
বড় রাজনৈতিক দল ভোটে না এলে নির্বাচন অশুদ্ধ হয় না: সিইসি-যুগান্তর
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বড় বড় রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচন অশুদ্ধ হবে না। নির্বাচন অবৈধ হবে না কিন্তু নির্বাচনের যে সর্বজনীনতা সেটা খর্ব হতে পারে, গ্রহণযোগ্যতা খর্ব হতে পারে, নির্বাচনের যে ন্যায্যতা সেটাও খর্ব হতে পারে কিন্তু লিগ্যালিটি নিয়ে হয়তো প্রশ্ন হবে না।সিইসি বলেন, লিগ্যালিটির সঙ্গে লেজিটিমেটির যে সম্পর্ক আছে সেটাকে টোটালি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমরা যদি এর মধ্যে সঠিক সমন্বয়টা ঘটাতে পারি, তাহলে সেটা আরও সুন্দর হয়ে ওঠে।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
ড্রোন থেকে ছোড়া হল কাঁদানে গ্যাসের শেল, কৃষক মিছিল ঢাকল ধোঁয়ায়-মঙ্গলবার সকালেই কৃষকরা শুরু করেছে 'দিল্লি চলো' মিছিল। সংবাদ প্রতিদিনসহ বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে খবরটি। এ সম্পর্কে অন্য এক খবরে দৈনিকটি লিখেছে,
এভাবে দেশ এগোতে পারে না’, দিল্লিতে কৃষকদের উপর ‘নৃশংস হামলা’ নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দেশের অন্নদাতারা লড়ছেন ন্যূনতম অধিকারের দাবিতে। ২০২০ সালের কৃষক আন্দোলনের মতো ফের বৃহত্তর লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করছেন হাজার হাজার কৃষক। অথচ তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখা তো দূরের কথা, উলটে বিক্ষোভ দমন করতে কার্যত ‘আয়রন হ্যান্ড’ পলিসি নিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার। মিছিল আটকানো হচ্ছে, লাঠিচার্জ হচ্ছে, এমনকী ড্রোন থেকে ছোড়া হচ্ছে কাঁদানে গ্যাস। দেশের অন্নদাতাদের উপর এই ‘নৃশংস অত্যাচারে’র প্রতিবাদে এবার সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মমতার প্রশ্ন, দেশের যে অন্নদাতারা ন্যূনতম অধিকারের দাবিতে লড়াই করেছেন, “তাঁদের উপর কাঁদানে গ্যাস দিয়ে আক্রমণ করা হচ্ছে। এভাবে দেশ এগোবে কী করে?
গণশক্তি পত্রিকার খবরে লেখা হয়েছে, রেগার বকেয়া মজুরি, ফসলের দাম, যুবকদের কাজের মতো দাবিতে রাস্তায় নামলেন শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুররা। জেলায় জেলায় জেলশাসকদের দপ্তর অভিযান এবং আইন অমান্য হয়েছে। বহরমপুরে আইন অমান্যে অংশ নেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ১৩