আগস্ট ০৬, ২০১৮ ১৭:২০ Asia/Dhaka

আজকের আসরের শুরুতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একটি বাণী শুনব। তিনি সূরা ফাতিরের ২৯ নম্বর আয়াতে বলেন, “যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে এবং আমি যা দিয়েছি,তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় (বা দান) করে,তারা এমন ব্যবসার আশা করে,যাতে কখনও লোকসান হবে না।”

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফাসসিরগণ বলেছেন, শুধু নামাজ আদায়সহ অন্যান্য ইবাদত যথেষ্ট নয়, সেইসঙ্গে সাধ্যমতো দান খয়রাত করতে হবে। তবেই আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করা সম্ভব। যাই হোক আজকের আসরের প্রথমেই যে ইমেইল হাতে তুলে নিয়েছি তা এসেছে বাংলাদেশ থেকে।

বহলুল: এবং এতে না ঈদের মনমাতানো সুবাস লেগে আছে।

বহলুল ভাই শ্রোতাদের চিঠি আসার সঙ্গে সঙ্গে তা পড়ে নেন এবং মনে রাখেন। সত্যিই বলেছেন, হাতের চিঠিতে রয়েছে ঈদের সুবাস। হ্যাঁ তার আগে বলে নেই এটা কোথা থেকে এসেছে। বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার শহিদ আবু রোড থেকে পাঠিয়েছেন থান্ডার সোর্ড থ্রিডি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা শাহ মোহাম্মদ মোকারম হোসেইন রনি। রেডিও তেহরানের এ শ্রোতা ভাই চিঠিতে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

ভাই রনি আপনাকেও আমরা জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। তবে চিঠিতে রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান নিয়ে কোনো আলোচনা থাকলে ভালো হতো।  ভবিষ্যতে আরো চিঠি দেবেন এবং এদিকে খেয়াল রাখবেন ভাই।  আর হ্যাঁ চিঠি দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

বহলুল: এবার তাহলে একটা স্মরণীয় অভিজ্ঞতা শুনি কি বলেন?

যা বলেছেন বহলুল ভাই। হ্যাঁ এ অভিজ্ঞতা আমাদের শোনাচ্ছেন বাংলাদেশের যশোর সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট এবং ডারমেটলজিস্ট বা ত্বক সংক্রান্ত রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তৌহিদুর রহমান।

রেডিও তেহরানেরে স্বাস্থ্যকথা বিভাগে কয়েকবার সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাংলাদেশের এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তারই ফাঁকে তিনি আমাদের শোনালেন তার জীবনের স্মরণীয় এক অভিজ্ঞতার কথা।

বহলুল: চমৎকার এক অভিজ্ঞতা।

এতোক্ষণ বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা তৌহিদুর রহমানের স্মরণীয় অভিজ্ঞতা শুনছিলেন। এখানে বলতে হয়,অনেকেই পরীক্ষা দিতি গিয়ে বিশেষ করে প্রতিযোগিতা পরীক্ষা দিতে যেয়ে মাঝপথে হাল ছেড়ে দেন। কিংবা খারাপ হয়েছে ধরে নিয়ে বাকি পরীক্ষা আর দেন না। আসলে এ রকম করা উচিত নয়। শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়া উচিত।

বহলুল: কখনোই হাল ছাড়া উচিত নয়। লড়তে হবে শেষ পর্যন্ত। ধন্যবাদ ডা তৌহিদ। ভবিষ্যতে আরো কথা হবে।

আসরের এ পর্বে রেডিও তেহরানের ফেসবুক গ্রুপে যে সব খবর প্রকাশিত হয়েছে সে দিকে নজর দেব। ১২ জুন প্রকাশিত একটি খবরের শিরোনাম ছিল- গাজায় ইসরাইল-মার্কিন বিরোধী বিক্ষোভ চলবে: বলেছেন ইসমাইল হানিয়া। এ খবরে বলা হয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক দপ্তরের প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন,অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার-বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল অধিকৃত বায়তুল মুকাদ্দাসের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের নতুন নীতির বিরুদ্ধে একটি জনপ্রিয় প্রতিবাদে রূপ নিয়েছে।

ফেসবুক গ্রুপে এ খবর আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মন্তব্যকারীরা এতে মাশাল্লাহ এবং আমিন লিখে হামাস নেতার বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

বহলুল: অর্থাৎ আম জনগণ হামাসের চেতনাকে সমর্থন করছে। বিশ্বে এর চেয়ে বড় বিজয় আর কি হতে পারে।

এ চেতনার রাস্তা ধরেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র একদিন দখলদারের হাত থেকে মুক্ত হবে ইনশা আল্লাহ।

জ্বি সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এদিকে আমেরিকার একরোখা নীতি বিশ্ব শান্তির প্রতি মারাত্মক হুমকি:বলেছে ইরান- শীর্ষক খবরটি  প্রকাশিত হয়েছে ৬ জুন। এ খবরে বলা হয়েছে- ইরান বলেছে,আমেরিকার একরোখা নীতি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। তেহরান আরো বলেছে,আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পদে পদে একরোখা ও স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।

ইরানের বক্তব্যকে ১০০ ভাগ সঠিক বলেছেন ফেসবুক গ্রুপের পাঠক ভাই শাহ নাদির উদ্দিন আহমেদ। অন্যদিকে মো নাজিম উদ্দিন লিখেছেন, ধ্বংস হোক এ কাফিররা। আর মাকছুদ উদ্দিন লিখেছেন, আল্লাহ বিচার করুক জালিমদের।

বহলুল: অনবদ্য সব বক্তব্য। ধন্যবাদ সবাইকে।

এদিকে জাতিসংঘের আদালতে আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করল কাতার শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ১২ জুন। এ খবরে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করেছে কাতার। সৌদি আরবের নেতৃত্বে চার আরব দেশ কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করার এক বছর পর এ মামলা দায়ের করা হলো।

রেডিও তেহরানের ফেসবুক গ্রুপে এ খবরে যে সব মন্তব্য হয়েছে তার সবই কাতারের পক্ষ গেছে। কাতারের এ পদক্ষেপকে মুক্ত কণ্ঠে সমর্থন দিয়েছেন রেডিও তেহরানের সচেতন পাঠক বন্ধুরা। যেমন মনিরুজ্জামান মনির লিখেছেন, মামলা দায়ের করে ভালো করেছে কাতার।  আর আফজাল মির্জা লিখেছেন ভালো হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশে বিশ্ব কুদস দিবস পালিত,ইসরাইলি পতাকায় আগুন শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ১০ জুন। এ খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশ্ব কুদস দিবস পালিত হয়েছে। ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আল কুদস দিবস উপলক্ষে মানবতার দুশমন ইহুদিবাদী ইসরাইলি বর্বরতার প্রতিবাদ করে ও ফিলিস্তিনি জনতার সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এ খবরে পাঠকবন্ধু মো আবদুস সালামের বক্তব্য প্রতিনিধিত্বশীল হয়ে উঠেছে। তিনি লিখেছেন  সুন্দ‌‌র তৎপরতা,ইনশাল্লাহ, আল্লাহর রহমতে‌ ইসরাইল ধ্বংস হবে।

বহলুল: ধন্যবাদ সবাইকে আজ এবারে মনে হয় আমাদের উঠতে হবে।

হ্যাঁ বহলুল ভাই, আসরের সময় শেষ হয়ে এসেছে। ভাই বোনেরা সবাই ভাল থাকবেন এ কামনা করে আজ এখানেই বিদায় চাইছি প্রিয়জনের আসর থেকে। #

ট্যাগ