অক্টোবর ১৫, ২০১৮ ২০:২৮ Asia/Dhaka

ইমাম আলী ইবনে মুসা রেজা (আ.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাউকে নিজের দ্বীনী ভাই হিসেবে গ্রহণ করবে তাকে জান্নাতে একটি ঘর প্রদান করা হবে।

মূল্যবান হাদিস শুনলাম। এবারে, আসরের শুরুতেই যে ইমেইল  হাতে তুলে নিয়েছি তা এসেছে বাংলাদেশ থেকে। রংপুর থেকে এটি পাঠিয়েছেন রেডিও তেহরানের নিয়মিত শ্রোতা ভাই শাহাদত হোসেইন। তিনি লিখেছেন, আমি নিয়মিত রেডিও তেহরানের ওয়েবপেইজ পড়ি এবং কমেন্ট করি,অনুষ্ঠান শুনি। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রেডিও চেঞ্জ করেছি ৫ টা,পরে ২০১০ এর শেষে দিকে মোবাইল দিয়ে নিউজ দেখা শুরু করলাম তারপর থেকে এখনো চলছে। তবে আমার বাবার কাছ থেকে রেডিও তেহরানের প্রশংসা শুনে রেডিও তেহরানের সংবাদ শোনার অনুপ্রেরণা পাই। তখন থেকেই রেডিও তেহরানকে চিনি এবং রেডিও তেহরানের সংবাদ শুনি।

বহলুল: বাহ! চমৎকার একটা চিঠি। বক্তব্য শুনেই মন ভরে গেলো।

জি ভাই শাহাদত হোসেইন, আপনি একের পর এক রেডিও বদল করেছেন কিন্তু রেডিও তেহরান শোনা বন্ধ করেননি। সেইসঙ্গে প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন নিয়মিত এবং এখন মোবাইল ফোনে অনুষ্ঠান শুনছেন। সত্যিই এত দীর্ঘদিনের একজন শ্রোতার ইমেইল পেয়ে ভালো লাগল। এটি পাঠানোর জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর আপনার বাবা, যিনি আপনার চেয়েও বেশি পুরনো শ্রোতা তাকে আমাদের সালাম পৌঁছে দেবেন।  ভবিষ্যতে আরো চিঠি দেবেন এবং অনুষ্ঠান সম্পর্কে মতামত জানাবেন বলে আশা রাখছি। হ্যাঁ...

বহলুল: নো হ্যাঁ। নাথিং। এখন আমার মনে না কেবল কবিতা ভেসে উঠছে। কানে কবিতা বাজছে। চোখও কবিতা দেখতে শুরু করেছে।

বহলুল ভাই আপনি কি আমার হাতের কাগজটা দেখে এ কথা বলছেন?

মানে বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি আবদুল হাই শিকদারের নাম দেখতে পেয়েছেন বহলুল ভাই আর ওমনি কবিতার কথা বলতে শুরু করেছেন! তবে বহলুল ভাই, কবি আজ আমাদের কবিতা শোনাবেন না। বরং শোনাবেন তার জীবনের উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতার কথা। হ্যাঁ তা হলে কবি আবদুল হাই শিকদারের এ অভিজ্ঞতা শুনি এবার।

বহলুল: মুন্সিয়ানা আছে কবির। কতো অল্প কথায় কি বিশাল জিনিস আমাদের সামনে তুলে ধরলেন।

একেই বলে কবির কথা! হ্যাঁ এতোক্ষণ কবি আবদুল হাই শিকদার জীবনের উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা শুনছিলেন। সত্যিই যে কোনো দেশের স্বাধীনতার বিষয়কে  অনেক বড় অভিজ্ঞতা বলতে হয়। আর সেটা যদি নিজ দেশের হয় তাহলে তো কথাই নেই। ধন্যবাদ কবি আবদুল হাই শিকদার। ভবিষ্যতে আপনার জীবনের আরো অভিজ্ঞতার কথা শোনার আশায় রইলাম।

আরে বহলুল ভাই গেলেন কোথায়?

মানে? এই তো আমাদের পাশেই তো ছিলেন! ওকি ওই দেখেন হাতে কি নিয়ে যেন আসছেন। কি ব্যাপার বহলুল ভাই?

বহলুল: না মানে ওই ফেসবুকের যে খবরগুলো নিয়ে আলোচনা হবে সে বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম।

বহলুল ভাই এই দেখুন ওগুলো নিয়ে আমিই বসে আছি। যাক তাহলে আমিই শুরু করছি। হ্যাঁ, সৌদি আরবে নারীসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড;কী বলছে ইরান? শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ২৫ আগস্ট। এ খবরে বলা হয়েছে, সরকারবিরোধী মিছিল করার অভিযোগে ২৯ বছর বয়সী নারী ইসরা আল গামগামসহ পাঁচজন রাজনৈতিক বন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার নিন্দা জানিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। ইরানের বিচার বিভাগের মানবাধিকার সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে,এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচজনই কাতিফের বাসিন্দা। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।

ফেসবুক গ্রুপে এ খবর স্বাভাবিকভাবেই ক্রোধ এবং বিতর্কের সূচনা করেছে। ভাই রিয়াজ আহমেদ এ খবরে মন্তব্য করেছেন, সৌদি সরকারের সম্ভাব্য পতনের দিনকে মনে করবো আমার ঈদের দিন।

বহলুল:আমার না নজরুলের গানের কথা মনে পড়ছে।

শহীদি ঈদগাহে আজ দেখ জমায়েত ভারী: হবে ফের দুনিয়াতে ইসলামী ফরমান জারী! তাই না বহলুল ভাই?

বহলুল: আবার জিগায়। যাকগে

হ্যাঁ পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে আমেরিকা একঘরে হয়ে পড়েছে শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ২৫ আগস্ট। এ খবরে বলা হয়েছে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মাদ বলেছেন,পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে আমেরিকা একঘরে হয়ে পড়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন,ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সমাজ এই আন্তর্জাতিক সমঝোতা বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার করেছে।

এ খবরে ভাই মোঃ হজরত আলী বলেছেন, বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে তাহলে আমেরিকা আরো বেশি দুর্বল হয়ে পড়বে।

বহলুল: অবাক করা ব্যাপার হলো, মানুষের মুখ দিয়ে সব সময়ই সঠিক কথাই বের হয়ে আসে।  কিন্তু মুসলিম শাসকরা তা বোঝে না।

পাঠক বন্ধুরাসহ দুনিয়ার সব মানুষ যে চোখ খুলে রেখেছেন, তা এসব মন্তব্য দেখলে বোঝা যায়।  যাই হোক, এদিকে...

বহলুল:নো এদিক সেদিক মানে সময় যে শেষ।

বড় তাড়াতাড়ি আসরের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। কি আর করা। এবারের বিদায়ের পালা।  যারা চিঠি লিখেছেন,ইমেইল করেছেন এবং এতোক্ষণ ধরে প্রিয়জনের আসর শুনেছেন তাদের সবাইকে আবারো আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। #

খবরসহ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সব লেখা ফেসবুকে পেতে এখানে ক্লিক করুন এবং নোটিফিকেশনের জন্য লাইক দিন

ট্যাগ