ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯ ১৭:২৯ Asia/Dhaka

আপনাদের অনেক অনেক সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আপনাদেরই চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জন। প্রতি আসরের মতো আজও আলোচনা শুরু করবো একটি হাদিস শুনিয়ে। ইমাম বাকির (আ.) বলেন: মানুষ একে অপরের কাছে কোনো কিছু চাওয়ার ব্যাপারে পরস্পর যে প্রতিযোগিতা করে তা মহান আল্লাহ অপছন্দ করেন। আল্লাহ তায়ালা বরং পছন্দ করেন মানুষ তাঁর কাছে চাওয়া ও প্রার্থনা করার ব্যাপারে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হোক।

মূল্যবান বাণী শুনলাম। আমরা প্রত্যেকে আমাদের চাওয়া-পাওয়া ও মনোবাসনার কথা একান্তমনে আল্লাহর কাছে খুলে বলব- এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে চিঠিপত্রের দিকে নজর দিচ্ছি। আসরের প্রথম চিঠি এসেছে ভারত থেকে। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর থেকে এটি পাঠিয়েছেন শ্রোতা ভাই শ্যামলকুমার ব্যানার্জি।  আমার যতদূর মনে পড়ে কয়েকদিন আগেই আমরা তার একটি চিঠির জবাব দিয়েছি।

আপনি ঠিকই ধরেছেন। চিঠির শুরুতেই সে কথা অবশ্য ভাই ব্যানার্জি উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ রেডিও তেহরান থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠান শুনলাম এবং প্রিয়জন খুব ভালো লাগল বিশেষত আজ অনেকদিন পর আবারও আমার ইমেল এর জবাব দিলেন।

বহলুল: ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ। তবে মাঝে মাঝেই কিন্তু আমরা আপনার ইমেইলের জবাব দেই। আশা করছি শুধু ইমেইল পাঠিয়ে বসে থাকবেন না। নিয়মিত রেডিও তেহরান শুনবেন তাহলে আপনার মেইলের জবাবও নিজ কানে শুনতে পাবেন।

এ শ্রোতা ভাই আরও লিখেছেন, রেডিও তেহরান থেকে প্রচারিত দুইটি অনুষ্ঠান আমার খুব ভালো লাগে। আর সেগুলো হচ্ছে আপনাদের নিরপেক্ষ ও নির্ভীক খবর ও  দৃষ্টিপাত। এছাড়া আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, আপনাদের অনুষ্ঠান থেকে অনেক ছোট ছোট খবর পাই যা কল্পনাতীত।

ভাই শ্যামলকুমার ব্যানার্জি, আমাদের প্রচারিত খবর ও দৃষ্টিপাত অনুষ্ঠান আপনার দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে জেনে ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভবিষ্যতে আরও চিঠি দেবেন বলে আশা রাখছি। আসরের এ পর্যায়ে আর কোনো চিঠি নয়।  আমরা নিয়মিত শ্রোতা ও বিশিষ্টজনদের মজার মজার ঘটনা ও গল্প শুনি। আজ বরং বহলুল ভাইয়ের গল্প শোনা যাক।

বহলুল: না। না। আজ নয়। বরং...

নো বরং। আজই বলতে হবে বহলুল ভাই।

বহলুল: মরছি। একেই বলে পড়েছি যবনের হাতে খানা খেতে হবে সাথে তা হলে শুনুন..

বাপরে এক ইনজেকশন নিয়ে এতো কাণ্ড। তাও যাক! ভালোয় ভালোয় শেষ হয়েছে।

বহলুল ভাই, চাপের মুখে গল্প বলে মনে হয় একটু দমে গেছেন। যাই হোক, আসরের এ পর্যায়ে ওয়েবসাইট এবং ফেসবুকে প্রকাশিত খবরে পাঠক বন্ধুরা যে সব মন্তব্য করেছেন সেদিকে যে নজর দেবো সে কথা বোধহয় ভুলে গেছেন।

বহলুল: না। না। দমে যাই নি। আর কি কি গল্প করবো মনে মনে তার লম্বা তালিকা তৈরি করছি। হ্যাঁ আগে এ পর্ব শেষ করুন। আমি..

না। আমিই শুরু করছি। হ্যাঁ নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে হামাসের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কুচকাওয়াজ শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। এ খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস তাদের ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কুচকাওয়াজ করেছে। হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড ওই কুচকাওয়াজে অংশ নেয়।

ওয়েব সাইটে প্রকাশিত এ খবরে ভাই এস এম ফয়সাল লিখেছেন, এগিয়ে যান আমি আছি আপনাদের পাশে। অন্যদিকে ফেসবুক গ্রুপে এ খবরে ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ,শুভ কামনা। মাসুম পাঠান লিখেছেন, আল্লাহ আকবর, এগিয়ে যাও হামাস।

বহলুল: সত্যিই শ্রোতা-পাঠকসহ সবাই এ খবরে যে বেশ মজা পেয়েছেন সে কথা এক্কেবারে ফকফকে পরিষ্কার।

নিষেধাজ্ঞা থেকে বাঁচার উপায় শেখাবে ইরান: কাতারে বললেন জারিফ- শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। এ খবরে বলা হয়েছে, কাতার সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন,বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে বাঁচার উপায় শিক্ষা দেবে তেহরান। তিনি দোহায় অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে একথা জানান।

ফেসবুকে এ খবরে আশিকুল আলম যে মন্তব্য করেছেন তা প্রতিনিধিত্বশীল হয়ে উঠেছে। তিনি লিখেছেন, ইরানকে অনেক ধন্যবাদ,আপনারাই শেখাচ্ছেন কিভাবে শত্রুর গালে সপাটে চড় মারতে হয়।

বহলুল: মন্তব্য শুনে না চড় মারার সেই শব্দটা যেন শুনতে পেলাম। সত্যিই চরম মানে এক্কেবারে সেইরম হয়েছে। এরপরের খবর...

না খবর নয়। শ্রোতাবন্ধুদের জন্য নতুন একটি ঘোষণা আছে বরং সেটা দিয়ে নেই। হ্যাঁ। বাংলাদেশ,ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত শ্রোতাদেরকে তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যারা তালিকাভুক্ত হতে চান তারা রেডিও তেহরানের ওয়েব সাইটের লিংকে ক্লিক করে ফরমটি ডাউনলোড করুন। এরপর ইমেইল অথবা ডাকযোগে পাঠিয়ে দিন রেডিও তেহরানের ঠিকানায়। ইমেইল : [email protected]

এদিকে শ্রোতা বন্ধুরা আসরে সময় ফুরিয়ে এসেছে। এবার বিদায়ের পালা।  চিঠি লেখা, ইমেইল করা, ওয়েবে রেডিও তেহরানের তৎপরতায় জড়িত থাকা ও মন্তব্য করা এবং সর্বোপরি দীর্ঘ সময় ধরে অনুষ্ঠান শোনার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। চিঠি লেখা ও অনুষ্ঠান সম্পর্কে মতামত দেয়া অব্যাহত রাখবেন। #

ট্যাগ