মে ১৯, ২০১৯ ১৭:০২ Asia/Dhaka

আশা করছি পৃথিবীর যে প্রান্তে বসেই আমাদের অনুষ্ঠান শুনছেন না কেন সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আসরের শুরুতেই যথারীতি একটি হাদিস। রাসূলে আকরাম (সা.) বলেছেন, তোমার এত বেশি সম্পদ নেই যা দান করে বিশ্বের সব মানুষকে খুশি করবে। কাজেই চেষ্টা করো হাসিমুখ দিয়ে সবার মন জয় করতে।

আমরা কিন্তু এই হাদিসের বাণী অনুসরণ করে কোনো অর্থ খরচ ছাড়াই মানুষের মন জয় করতে পারি। যাই হোক, হাদিসের পর আজকের আসরের প্রথমেই হাতে তুলে নিয়েছি ভারতের একটি চিঠি..

বহলুল: দাঁড়ান মানে থামেন। ভুল করলেন না তো? মানে এখনো কি চিঠি আসে?

বহলুল ভাই, চিঠি আসে কিনা তা জানতে চেয়ে আপনি কিন্তু শ্রোতা বন্ধুদের সংশয়ের মধ্যে ফেলে দিলেন।  চিঠি না এলে চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জন হয় কি করে? আসলে আমরা ইদানীং শ্রোতাদের যেসব চিঠিপত্র নিয়ে আলোচনা করি তার বেশিরভাগই ইলেকট্রনিক চিঠি বা ইমেইল। কিন্তু ডাকে চিঠি আসা একেবারে প্রায় শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে। আপনি তো সেকথাই বোঝাতে চেয়েছেন। কিন্তু আপনাকেও তো সেদিন কয়েকটি চিঠি নিয়ে নাড়াচাড়া করতে দেখলাম। আর এরই মধ্যে ভুলে গেলেন?

বহলুল: থুক্কু মানে দুঃখিত। একদম ভুলে গেছিলাম। এবারে মনে হচ্ছে আমাদের প্রিয় এক পুরানো শ্রোতা ভাই এটি পাঠিয়েছেন, তাই না?

একশতে একশ দশ মানে খুশি হয়ে দশ নম্বর বেশি দেয়া হলো। হ্যাঁ এ চিঠিটি এসেছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জেমো বিশ্বাসপাড়া থেকে। আর এটি পাঠিয়েছেন রেডিও তেহরানের পুরনো  ভাইদের অন্যতম ম. সিরাজউদ্দিন টনাই। এ ভাই প্রথমেই অভিযোগ করেছেন,আগে অনেক চিঠির উত্তর দিতেন এখন দেন না। এ ছাড়া,ভারতের খবরও তেমন প্রচার করা হয় না বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এরপর তিনি জানতে চেয়েছেন চিঠি আসার সংখ্যা কি কমে গেছে?

ভাই টনাই, আপনার অভিযোগ এবং প্রশ্নের উত্তর একসঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করছি আমি। সত্যিই আমাদের কাছে চিঠি আসার সংখ্যা খুবই কমে গেছে। এটিকে আধুনিক প্রযুক্তির প্রভাব বলতে পারেন। মোবাইল ফোন এবং টেক্সট মেসেজের এই যুগে কাগজ কলম নিয়ে এখন কিন্তু কেউ আর চিঠি লিখতে বসেন না। তবে আমাদের কাছে নিয়মিত ইমেইল করে যাচ্ছেন শ্রোতারা। আর রয়েছে রেডিও তেহরানের ফেসবুক গ্রুপ এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবরে পাঠক বন্ধুদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া।

আর ভারতের খবর কম প্রচারের যে অভিযোগ আপনি করেছেন তা হয়ত আংশিক সত্য। আসলে খবরে এত বেশি আন্তর্জাতিক খবর থাকে যে, ভারতের খবর অতি গুরুত্বপূর্ণ না হলে প্রচারের সময় হয়ে ওঠে না। যাই হোক, ভাই সিরাজউদ্দিন টনাই বেশ কিছুদিন পর আপনার চিঠি পেয়ে আমাদের অনেক ভালো লেগেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

বহলুল: না আর কোনো কথা নয়। বরং গল্প শুনি।

জ্বি আগেই টের পেয়ে গেছেন। তেহরানে বসবাসরত বাংলাদেশি গৃহিনী সৈয়দা তৌফাতুরা রেজার গল্প আজ শুনবো। তিনি আমাদেরকে সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া চমৎকার একটি অভিজ্ঞতার কথা শোনাবেন। আসুন তা হলে শুনি।

ধন্যবাদ তৌফাতুর রেজা।  বন্ধুরা এতোক্ষণ তেহরানে বসবাসরত বাংলাদেশি গৃহিনী সৈয়দা তৌফাতুর রেজার কথা শুনছিলেন। ভবিষ্যতে আপনার আরো কথা শোনার ইচ্ছা রইলো।

বহলুল: তাহলে এবারে রেডিও তেহরানের ফেসবুক গ্রুপ এবং ওয়েবসাইটের খবরে যে সব মন্তব্য হয়েছে সে দিকে নজর দেবো। হ্যাঁ

বহলুল ভাই, আমিই শুরু করছি। মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন সেনারা ইরানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে- শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ১১ এপ্রিল। এ খবরে বলা হয়েছে, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি বলেছে,মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন সকল মার্কিন সেনা বা সন্ত্রাসী ইরানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং তারা কখনো তেহরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার সাহস দেখাবে না।

রেডিও তেহরানের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ খবরে পাঠক ভাই আবদুল্লাহ মামুন লিখেছেন, আমেরিকাকে সন্ত্রাসী দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। আইআরজিসির সফলতা দেখে আমেরিকা পাগল হয়ে গেছে। অন্যদিকে এ খবরে বেনিয়ামিন বিশ্বাস লিখেছেন, সেন্টকমসহ মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল বাহিনীকে সন্ত্রাসী বাহিনীগুলোর তালিকায় স্থান দেয়া ইরানের এটা একটা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত।

বহলুল: এরপর আমাদের আর কিছু বলার নেই। পাঠক ভাইয়েরা চেতনায় সমৃদ্ধ।

হ্যাঁ একেই বলে জেগে থাকা! এদিকে গোলান ফিরে পেতে প্রয়োজনে সামরিক উপায় গ্রহণ শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ১২ এপ্রিল। এ খবরে বলা হয়েছে সিরিয়ার সরকার আবারো বলেছে,দেশটি ইহুদিবাদী ইসরাইলের কাছ থেকে গোলান মালভূমি ফিরে পাওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে। এজন্য সামরিক উপায় গ্রহণ করার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছে না সিরিয়া। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় ইহুদিবাদী সরকার গোলান মালভূমি দখল করে নিয়েছিল।

ফেসবুক গ্রুপে এ খবরে স্বাভাবিকভাবেই অনেক মন্তব্য হয়েছে। ভাই হাসনাইন শিশির লিখেছেন, সিরিয়া, লেবানন এবং গাজা থেকে ত্রিমুখী আক্রমণ করতে হবে। এদিকে, মো আজহারুল রুবেল লিখেছেন, যুদ্ধটা গোলানকে নিয়ে হলেও আক্রমণের লক্ষ্য হতে হবে ইসরাইলের মুল ভূখণ্ড ও বর্বরতার প্রদর্শনের উৎসগুলো।  

বহলুল: এ ধরনের মন্তব্য চট করে একদিন সত্য হয়ে যেতে পারে। সে দিনের অপেক্ষায় রইলাম

হ্যাঁ আমরাও সে অপেক্ষায় রইলাম।

বহলুল: এদিকে নতুন করে আর কিছু বলা সম্ভব নয়। কারণ আসরের সময় শেষ হয়ে এসেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।

হ্যাঁ ভাইবোনেরা এতক্ষণ আমাদের সঙ্গ দেয়ার জন্য আপনাদের সবাইকে আবারো ধন্যবাদ। চিঠি দেবেন, ইমেইল করবেন এবং ওয়েবসাইটের খবরে নিয়মিত মন্তব্য করবেন। আর অবশ্যই সবাই ভাল থাকবেন। আবারো কথা হবে প্রিয়জনের আগামী আসরে। #

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ