জুন ০২, ২০১৯ ১৮:৫৪ Asia/Dhaka

যারা নিয়মিত এ আসরে আমাদের সঙ্গ দেন তারা জানেন,আমরা একটি হাদিস শুনিয়ে আসরটি শুরু করি। আজও এর ব্যতিক্রম হবে না। ইমাম হাসান আসকারি (আ.) বলেছেন,বিনয় ও নম্রতা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে দেয়া এমন একটি নেয়ামত যা দেখে কেউ হিংসা করতে পারে না।

মূল্যবান হাদিসের পর আজকের আসরের প্রথমেই হাতে তুলে নিয়েছি বাংলাদেশ থেকে আসা একটি চিঠি। এটি এসেছে গাজীপুর জেলার টঙ্গি থেকে। আর লিখেছেন আমাদের পুরনো ও একনিষ্ঠ শ্রোতা ভাই ফিরোজ আলম। চিঠিটি তিনি গত বছরের শেষ নাগাদ লিখেছিলেন।  কিন্তু আমাদের হাতে সম্প্রতি পৌঁছেছে। এ শ্রোতাভাই আমাদেরকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি শীতকালীন পিঠা খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছেন।

পিঠা খাওয়ার দাওয়াত তো সবার জন্যই লোভনীয়। কিন্তু এই বসন্তে এসে কি শীতের পিঠা ভালো লাগবে?

বহলুল: কি যে বলেন! বসন্ত হোক আর গ্রীষ্ম হোক, শীত থাকুক আর না থাকুক  শীতকালীন পিঠা খেতে কিন্তু ভোজনরসিকদের কোনো অসুবিধা হয় না।  

যা বললেন বহলুল ভাই। মনে হচ্ছে আপনাকে অনুমতি দিলে এখনই প্রিয়জনের আসর ছেড়ে দৌড় দেবেন পিঠা খেতে। কিন্তু সেটি হচ্ছে না। আসর শেষ না করে নড়বার কোনো চেষ্টা করবেন না।

যাই হোক, ডাকে চিঠি লেখার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভাই ফিরোজ আলম লিখেছেন,ইমেইল লিখতে লিখতে আজ মনে হলো হাতে লেখা চিঠি পাঠাই। আগে তো হাতে লেখা কতো চিঠি পাঠাতাম। এরপর তিনি লিখেছেন,ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) উপলক্ষে রেডিও তেহরান থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠান খুবই ভালো লেগেছে। চিঠির শেষে ভাই আমাদের এ নিয়মিত শ্রোতা লিখেছেন, আহলেবাইতের প্রতি দরুদ পাঠ করে আর আমেরিকা-ইসরাইল-সৌদি চক্রের ধ্বংস কামনা করে চিঠি শেষ করছি।

বহলুল:একই দরুদ আমরাও পড়ছি আর একই কামনা আমরাও করছি।

সত্যি বলতে কি ভাই ফিরোজের চিঠি পেয়ে সত্যিই আমরা সবাই আনন্দিত হয়েছি। ভবিষ্যতে হাতে লেখা আরো চিঠি দেবেন– সম্ভব হলে। আর হ্যাঁ ইমেইল করা অব্যাহত রাখবেন।

বহলুল:খাদ্যে ভেজাল নিয়ে সবারই মাথা ব্যথা। আজ এ নিয়ে কথা শুনবো।

বাহ!শুনব বললেই হলো নাম পরিচয় কিছুই বললেন না। এ কেমন কথা।

না এ নিয়ে ভাবতে হবে না। কারণ যিনি বলবেন তিনি নিজেই নাম পরিচয় দিয়েছেন। যাক তাহলে এবারে শুনি ভেজাল নিয়ে কিছু কথা। ...

আমাদের সবাইকে ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।  সত্যি বলতে কি সবাই যদি একযোগে নামি তাহলে কিন্তু কোনো সমস্যাই আর সমস্যা থাকবে না বরং সমাধান হয়ে যাবে। ধন্যবাদ ভাই জিল্লুর রহমান। ভবিষ্যতে আপনার সঙ্গে আরো কথা বলার আশা রইল।

এবারে রেডিও তেহরানের ফেসবুক গ্রুপ এবং ওয়েবসাইটের খবরে পাঠক বন্ধুরা যে সব মন্তব্য করেছেন সে দিকে নজর দেবো। নেতানিয়াহুকে বর্ণবাদী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রত্যাশী বেটো শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ৯ এপ্রিল। এ খবরে বলা হয়েছে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী বেটো ওরোক ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বর্ণবাদী বলে মন্তব্য করেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নেতানিয়াহু বড় বাধা।

ফেসবুক গ্রুপে এ খবরে মন্তব্য করেছেন মো. আজহার রুবেল। তার এ মন্তব্য সবার ভাল লাগবে। তিনি লিখেছেন, এগুলো আগামী দিনের নাটক যা তারা বরাবরই করে থাকে কিন্তু মুসলিম বিশ্ব বিশ্বাস করে, ভোগে ঠকে..।  একই খবরে আসিফ ইকবাল লিখেছেন,  ভোট পাওয়ার জন্য এরকম অনেক কিছুই বলে থাকে। আসলে ওরা সবাই মুসলিম বিশ্বের শত্রু।

বহলুল: যথার্থ বলেছেন আপনারা।  সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার সবাই ইহুদিবাদীদের দালাল। মাঝেমধ্যে এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে মার্কিনীদের কেউ কেউ মুসলমানদের ধোকা দেয়ার চেষ্টা করে। তবে মুসলমানরা এত সহজে ধোকা খায় না।

হ্যাঁ এদিকে সৌদির অনুগত হয়েও শেষ রক্ষা হল না সুদানের প্রেসিডেন্টের শীর্ষক একটি সংবাদ পর্যালোচনা প্রকাশিত হয়েছে ১২ এপ্রিল। এ খবরে বলা হয়েছে, সুদানের পদত্যাগকারী প্রেসিডেন্ট ওমর আল বাশির ১৯৮৯ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সাদেক আল মাহদিকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। গত তিন দশক ধরে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই তারও ক্ষমতার অবসান ঘটবে বলে মনে করা হতো এবং শেষ পর্যন্ত তা-ই হয়েছে।

ফেসবুক গ্রুপে এ খবরে নানা মন্তব্য হয়েছে। আবু জারা মোহাম্মদ এ খবরের প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, নিরীহ ইয়েমেনী শিশুদের রক্তের অভিশাপ লেগেছে ওর উপর কারণ ওমর আল বশির ইয়েমেনের বিরুদ্ধে অন্যায় যুদ্ধে সৌদি জোটে যোগ দিয়েছিলেন।

বহলুল: চমৎকার বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন ভাই আবু জারা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

এদিকে আমেরিকা হচ্ছে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ৯ এপ্রিল। এ খবরে বলা হয়েছে, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’কে মার্কিন সরকার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর তালিকাভুক্ত করার যে ঘোষণা দিয়েছে তার নিন্দা করে ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলন বলেছে, আমেরিকা নিজেই সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক।

ফেসবুক গ্রুপে এ খবরে মোহাম্মদ সালেহ লিখেছেন, সন্ত্রাসী হল আমেরিকার সেনারা। যারা আফগান,ইরাক,ভিয়েতনামে নিরীহ মানুষ খুন করেছে।

বহলুল: এরপরও কি আরো কিছু বলা থাকে!

থাকে থাকে বহলুল ভাই। এই দেখুন না রাশিদুল ইসলাম লিখেছেন, আমেরিকার এসব অপতৎপরতা ইরানকে আরো শক্তিশালী করছে।

বহলুল: চমৎকার কথা, প্রাণ জুড়ানো মন্তব্য। সত্যিই ভালো লাগার মতো সব কথা। ধন্যবাদ সবাইকে। এদিকে আসরের সময় শেষ হয়ে এসেছে।

হ্যাঁ ভাইবোনেরা আসরের সময় শেষ হয়ে এসেছে।  আপনাদের চিঠি ইমেইল এবং রেডিও তেহরানের খবরে আপনাদের সমৃদ্ধ মন্তব্যই আমাদের পথ চলতে সহায়তা করছে। প্রিয়জনের আসরের শেষ প্রাপ্তে দাঁড়িয়ে সবাইকে আবারো প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আজও গানে গানে এখানেই বিদায় চাইছি।#

ট্যাগ