জুন ২৫, ২০১৯ ১৯:১৭ Asia/Dhaka

প্রতি আসরের মতো আজও আলোচনা শুরু করবো একটি হাদিস শুনিয়ে। ইমাম হাদি (আ.) বলেছেন, হিংসা করো না। কারণ, এর ক্ষতিকারক প্রভাব তোমার নিজের ওপর পড়বে; যাকে হিংসা করছো তার ওপরে নয়।

মূল্যবান হাদিস শুনলাম আমরা।  হিংসা করার মতো খারাপ বিষয়টি আমরা যত বেশি ত্যাগ করতে পারব আমাদের সমাজ তত বেশি শান্তিময় হয়ে উঠব।  যাই হোক, আজকের আসর আমরা শুরু করব একজন শ্রোতাভাই’র সাক্ষাৎকার প্রচার করে।

বহলুল: জি, উনি আমাদের একজন অতি পুরনো এবং বিদগ্ধ শ্রোতা ভাই। কি করে রেডিও তেহরানের শ্রোতা হয়ে উঠেছিলেন সে কথাই আজ তিনি আমাদের শুনিয়েছেন।

বুঝেছি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সেই সর্ব শ্রদ্ধভাজন শ্রোতা ভাইয়ের কথাই বলছেন আপনি। তিনি নিজের পরিচয় দিয়েছেন তাই আমি তার পরিচয় আগেভাগে তুলে ধরলাম না। তাহলে আসুন শুনি এ শ্রোতা ভাইয়ের কথা.....

বহলুল: একজন বিদগ্ধ শ্রোতার জন্ম এভাবেও বলতি পারি তাই না? তা রেডিও তেহরানের শ্রোতা হওয়ার পর বিশ্ব মিডিয়াকে কিভাবে দেখলেন তাও জানতে ইচ্ছা হচ্ছে।

তা পারি। হ্যাঁ এতোক্ষণ বাংলাদেশের শ্রোতা জুলফিকার আলী লিটন ভাইয়ের কথা শুনছিলেন। আর বহুলুল ভাই যে বিষয়ে প্রশ্ন করছিলেন সে কথা ভবিষ্যতে শোনার আশা রাখছি।

বহলুল. তা হলে এবারে খুলে বসি রেডিও তেহরানের ফেসবুক গ্রুপ এবং ওয়বসাইটের খবরের পাতায় পাঠক ভাইয়েরা যে সব মন্তব্য করেছেন সেদিকে।

আপনাকে কষ্ট করতে হবে না। বরং আমিই তৈরি হয়ে বসে আছি। হ্যাঁ কোনো কোনো মুসলিম শাসক আমেরিকা ও ইহুদিবাদের ভৃত্য শীর্ষক খবরটি ১৫ এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে। এ খবরে বলা হয়েছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন,মুসলিম দেশগুলোর কোনো কোনো শাসক কুরআন মেনে কাজ করেন না এবং তারা হচ্ছেন আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভৃত্য ও অনুসারী। ইরানে আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী হাফেজ ও ক্বারিদের এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

ফেসবুক গ্রুপে অনেক পাঠক ভাই এ বক্তব্যের সঙ্গে শতভাগ সহমত পোষণ করেছেন। অন্যদিকে আরেকদল উদাহরণ হিসেবে কয়েকটি দেশের নাম উল্লেখ করেছেন যেগুলো আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের পদলেহন করছে। এদিকে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবরেও শতভাগ সহমত পোষণ করেছেন মাইসেলফ সুমন নামের পাঠক বন্ধু।

বহলুল: মানুষ জেগে আছে চোখ খুলে ঘুমায় না। এ কথাই ফুটে উঠছে এ সব মন্তব্য থেকে।

এদিকে, সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক আমেরিকার পদক্ষেপ হাস্যকর শীর্ষক খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ১৪ এপ্রিল। এ খবরে বলা হয়েছে ইরাকের প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন আইআরজিসিকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করেছে তখন এ খবর এলো।

ফেসবুক গ্রুপে এ খবরে গোলাপ শেইখের মন্তব্যটি বেশ চমৎকার হয়েছে। তিনি লিখেছেন, আমেরিকার ক্ষমতা শেষের দিকে তাই দেশটির সরকার এখন পাগলা কুকুরের মত দৌড়ে বেড়াচ্ছে আর সব জায়গাতে অপমানিত হচ্ছে। ভারতের স্যাটেলাইট এর ব্যাপার নিয়েও আমেরিকা বিরোধিতা করেছে কিন্তু এখন ওয়াশিংটনের কথা আর কেউ মানছে না। অন্যদিকে মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জহির লিখেছেন ভালো।

বহলুল: একেই বলে যেমন ককুর তেমন মুগুড়!

যা বললেন বহলুল ভাই।  এদিকে ১৫ এপ্রিল প্রকাশিত একটি খবরের শিরোনাম হলো ভেনিজুয়েলায় হস্তক্ষেপের মার্কিন অভিযোগকে হাস্যকর বলল ইরান। এ খবরে বলা হয়েছে, ইরান ভেনিজুয়েলার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তেক্ষপ করছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও যে অভিযোগ করেছেন তাকে হাস্যকরবলে প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি এ বক্তব্য দিয়েছেন।

ফেসবুক গ্রুপে এ খবরকে ‘সত্যিই সঠিক’ বলে মন্তব্য করেছেন এম হাসান খান। এদিকে ১৪ এপ্রিল প্রকাশিত আরেকটি খবরের শিরোনাম হলো ইরাকে আইএস'র ১৮ গোপন আস্তানা ধ্বংস। খবরে বলা হয়েছে, ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় আল-আনবার প্রদেশে সেনা অভিযানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ বা আইএসের ১৮টি গোপন আস্তানা ধ্বংস হয়েছে। এ সময় সংঘর্ষে দায়েশের অন্তত দুই জন নিহত হয়েছে। দু'জনই আত্মঘাতী হামলা চালাতে গিয়ে প্রাণ হারায়।

ফেসবুক গ্রুপে এ খবরে কড়া মন্তব্য হয়েছে। সে রকম একটি মন্তব্য হলো- জীবন্ত পুতে ফেলো দায়েশকে। পাশ্চ্যতের সৃষ্টি ওরা।

বহলুল: দায়েশের পতনের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের বড় শিক্ষা হয়ে গেল। মানে ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না।  এর চেয়ে বড় শিক্ষা ইতিহাসে আর নাই। সবাই যদি এ কথাটা বুঝতো! এদিকে সময় ফুরিয়ে এসেছে। #

ট্যাগ