৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তি না দিলে সরকার পতনের আন্দোলন
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ২৯ নভেম্বর শুক্রবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- আইএস টুপি এসেছিল কারাগার থেকে: পুলিশ/ দৈনিক প্রথম আলো
- 'আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য হলে সমুচিত জবাব' / দৈনিক কালেরকণ্ঠ
-
৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তি না দিলে সরকার পতনের আন্দোলন/যুগান্তর
- ভারতীয় হাইকমিশনারের হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শন / ইত্তেফাক
-
ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা-গণধোলাইয়ের পর কারাগারে ৩ পুলিশ সদস্য/ দৈনিক মানবজমিন
ভারতের শিরোনাম:
- গডসে মন্তব্যে ক্ষমা চাইলেন প্রজ্ঞা, জঙ্গি বলায় পাল্টা তোপ রাহুলকে, সংসদে তুমুল বাগবিতণ্ডা: আনন্দবাজার পত্রিকা
- ফের মিড ডে মিল কেলেঙ্কারি, এই রাজ্যে এক লিটার দুধের সঙ্গে জল মিশিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে ৮১ জন পড়ুয়াকে : দৈনিক আজকাল
-
মোদী জমানায় পতনের রেকর্ড! সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে GDP কমে ৪.৭ শতাংশ? দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
পাঠক/শ্রোতা! এবারে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। প্রথমেই বাংলাদেশের পত্রিকার খবর।
আইএস টুপি এসেছিল কারাগার থেকে: পুলিশ: প্রথম আলো
আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের প্রতীকসংবলিত কালো টুপি কারাগার থেকেই এক জঙ্গি আদালতে নিয়ে এসেছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। আদালত প্রাঙ্গণের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।
পুলিশ বলছে, জঙ্গি রাকিবুল হাসানই (রিগ্যান) টুপিটি কারাগার থেকে এনেছিলেন। রাকিবুল গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
তবে পুলিশের এই দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি কারা কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, তদন্ত শেষেই পুরো বিষয় খোলাসা হবে।
গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করা হয় গত বুধবার। রায়ের পর আসামি রাকিবুল আইএসের প্রতীকসংবলিত টুপি পরে এজলাস থেকে বের হন।
হোলি আর্টিজানে হামলার পর থেকেই পুলিশ দাবি করে আসছে, জঙ্গিদের সঙ্গে আইএসের কোনো যোগাযোগ ছিল না। অথচ হামলার সোয়া তিন বছর পর এই মামলার রায়ের দিনই আইএসের প্রতীকসংবলিত টুপি পরে জঙ্গি রাকিবুল বেরিয়ে আসেন। আবার এজলাস থেকে বের করার মিনিট দশেক পর যখন প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়, তখন আরেক জঙ্গি রাজীব গান্ধীর (মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত) মাথায়ও একই ধরনের টুপি দেখা যায়। কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আনা জঙ্গিদের মাথায় এই টুপি কীভাবে এল, তা নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আবার কারাগার প্রান্তে কোনো ত্রুটি ছিল কি না, তা তদন্তে তিন সদস্যের পৃথক কমিটি গঠন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মাহবুবুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, কারাগার প্রাঙ্গণে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তাঁরা দেখেছেন। জঙ্গি রাকিবুল আদালতের হাজতখানা থেকে মাথায় টুপি পরে বের হন। সেই টুপিই পরে এজলাস থেকে বের হওয়ার সময় তিনি উল্টিয়ে পরেন বলে তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রায় শেষে আবার কারাগারে ঢোকানোর আগে জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাকিবুল বলেছেন, টুপিটি কারাগার থেকে তিনি এনেছিলেন।
হোলি আর্টিজানে হামলা মামলার আট আসামিকে বুধবার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকার আদালতে আনা হয়। কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম সেদিন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, প্রত্যেক জঙ্গিকে ‘বডি স্ক্যানিং মেশিন’ দিয়ে এবং হাত দিয়ে তল্লাশি করে কারাফটক পর্যন্ত নেওয়া হয়। পুরো প্রক্রিয়া সিসি ক্যামেরার আওতায় হয়েছে। একজন মাথায় সাদা টুপি পরে বের হন, অন্য কারও কাছে কিছু ছিল না।
কালো টুপিটি কারাগার থেকেই এক জঙ্গি নিয়ে এসেছিলেন, পুলিশের তদন্ত কমিটির প্রধানের এই বক্তব্যের বিষয়ে জেলার মাহবুবুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, কারাগার থেকে ওই জঙ্গি কোনো টুপি নিয়ে যাননি। পুরো বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে কারাগারের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত আইজি (প্রিজন) কর্নেল আবরার হোসেনের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
যোগাযোগ করা হলে কর্নেল আবরার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগার থেকে টুপিটি গেছে কি না, তা তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
আর কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ নিশ্চয়ই তথ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে কথা বলছে। টুপিটি যদি কারাগার থেকে বের হয়, তাহলে প্রিজন ভ্যানে তোলার আগে পুলিশও তো জঙ্গিদের তল্লাশি করেছিল। তারা কেন টুপি পেল না—সেই প্রশ্নও থেকে যায়। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি কাজ করছে। কমিটি কারাগারের কোনো গাফিলতি পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
'আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য হলে সমুচিত জবাব' / দৈনিক কালেরকণ্ঠ
'বিএনপির আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। তারা (বিএনপি) যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়, তবে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।।'
আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মৎস্যজীবী লীগের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। আমি স্পষ্ট বলে দিচ্ছি, তারা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য হলে জবাব দেওয়া হবে। আন্দোলনের নামে সহিংসতা হলে আমরা তার সমুচিত জবাব দেবো।
বিএনপির কাছে আদালত নিরাপদ নয় মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আদালত মানে না, আইনের শাসন-বিচার মানে না। আদালতে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য, আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে, আদালত প্রাঙণে ভাঙচুর করেছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে, ইটপাটকেল ছুড়েছে। এই অবস্থায় বিএনপি যদি কখনো ক্ষমতায় আসে তাহলে পরিণতি কী হবে সেটা সহজেই বুঝতে পারা যায়। তাদের কাছে আইনের শাসন, বিচার ব্যবস্থা, আদালত নিরাপদ না।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরে বিএনপির চক্রান্তের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, চক্রান্ত এখনো চলমান আছে। শেখ হাসিনার জনপ্রিয় সরকারকে হটানোর ষড়যন্ত্র চলছে। আপনাদের সর্তক থাকতে হবে।'
মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের এতে সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়া চৌধুরী, আবদুস সোবহান গোলাপ, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তি না দিলে সরকার পতনের আন্দোলন/যুগান্তর
সরকারি সিদ্ধান্তে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আটকে দেয়া হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে সরকার পতনের একদফা আন্দোলন শুরু হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে শুক্রবার আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি মুলতবি করে ৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন চেয়েছে আপিল বিভাগ।
এমতাবস্থায় আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন দাখিলে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে চিকিৎসকদেরকে পেশার প্রতি সম্মান বজায় রেখে সঠিক প্রতিবেদন দেয়ার আহ্বান জানান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সঠিক প্রতিবেদন আপিল বিভাগে দিতে বিএসএমএমইউর মেডিকেল বোর্ডকে আহ্বান জানাচ্ছি। এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আগামী ৫ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি না দিলে সরকার পতনের একদফা আন্দোলন হবে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, খালেদা জিয়াকে মামলার কারণে নয়, গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনের কারণেই কারাগারে যেতে হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতির সুযোগ করে দিতে সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ভারতীয় হাইকমিশনারের হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শন / ইত্তেফাক
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস বলেছেন, দিনাজপুরের হিলি চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টে অনেক যাত্রী পারাপার হয়ে থাকে। এছাড়া স্থলবন্দর দিয়েও দুই দেশের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে। আরও কি করে এসব সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যায়, সেজন্য আমি এখানে দেখতে এসেছি এবং ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছি।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় হিলি স্থলবন্দর ও চেকপোস্ট পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি রংপুর থেকে এখানে আসেন। পরিদর্শনকালে রিভা গাঙ্গুলি দাস বাংলাদেশের হিলি ইমিগ্রেশন কার্যালয়, কাস্টমস কার্যালয় ও বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টসহ আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট এলাকা পরিদর্শন করে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখানে আধাঘণ্টা অবস্থানকালে হিলি ইমিগ্রেশন কার্যালয়, কাস্টমস কার্যালয়ও পরিদর্শন করে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। বেলা ১টার দিকে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
তার সফরকালে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব মিত্র, জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রাশেদ মোহাম্মদ আনিসুল হক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম, পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহীন, ওসি আব্দুর রাজ্জাক সহ স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়িরা
ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা-গণধোলাইয়ের পর কারাগারে ৩ পুলিশ সদস্য/ দৈনিক মানবজমিন
পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে নিরাপরাধ ব্যক্তিকে ফাঁসাতে গিয়ে জনতার হাতে আটক ও গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বাঁশতৈল ফাঁড়ির ৩ পুলিশ সদস্য ও এক সোর্স। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তোজাম্মেল ও হালিম নামের আরও দুই পুলিশ সদস্য। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সায়েদুর রহমান।
আটককৃতরা হলেন বাঁশতৈল ফাঁড়ির এএসআই রিয়াজুল ইসলাম, কনস্টেবল গোপাল সাহা ও রাসেল। এছাড়াও আটক হয়েছেন তাদেরই সোর্স হাসান মিয়া।এ ঘটনায় টাঙ্গাইলের সখিপুর থানায় মাদক আইনে মামলা দায়েরের পর শুক্রবার তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন।ঘটনাসূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এএসআই রিয়াজের নেতৃত্বে ৫ সদস্যদের একটি পুলিশ টিম টাঙ্গাইলের সখিপুর থানাধীন হাতিয়া রাজাবাড়ি এলাকার ভাতকুড়া গাবিলার বাজারে গিয়ে ওই এলাকার ফরহাদ মিয়ার ছেলে বজলুুর পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন ওই পুলিশ সদস্যরা। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে ওই পুলিশ সদস্যদের আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে মির্জাপুর থানার পুলিশ ও সখিপুর থানার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে।
গডসে মন্তব্যে ক্ষমা চাইলেন প্রজ্ঞা, জঙ্গি বলায় পাল্টা তোপ রাহুলকে, সংসদে তুমুল বাগবিতণ্ডা: আনন্দবাজার পত্রিকা
সাধ্বী প্রজ্ঞার গডসে মন্তব্য নিয়ে হুলস্থুল লোকসভায়। নিজের মন্তব্যের জন্য শুক্রবার ক্ষমা চান বিজেপি নেত্রী। তাঁর মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে বলেও দাবি। পাশাপশি এ দিন সংসদে দাঁড়িয়ে রাহুল গাঁধীকে নিশানা করেন প্রজ্ঞা। কী ভাবে কংগ্রেস সাংসদ তাঁকে ‘সন্ত্রাসী’ বলেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর জন্য রাহুলকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি। তাতে ফুঁসে ওঠেন কংগ্রেস এবং বিরোধীরা। সংসদে দাঁড়িয়ে গাঁধীর হত্যাকারীকে ‘দেশভক্ত’ বলায় সাধ্বীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে বলে পাল্টা দাবি তোলেন তাঁরা। তা নিয়ে তরজা চরমে ওঠে।
এ দিন অধিবেশনের শুরুতেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে ক্ষমা চান সাধ্বী প্রজ্ঞা। তিনি বলেন, ‘‘আমার মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। মহাত্মা গাঁধীকে শ্রদ্ধা করি। শ্রদ্ধা করি দেশের প্রতি ওঁর অবদানকে। যে ভাবে আমার মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তবুও কেউ আহত হয়ে থাকলে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’’ এর পরই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীকে নিশানা করেন তিনি। গতকাল টুইটারে তাঁকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে উল্লেখ করেছিলেন রাহুল গাঁধী। সেই প্রসঙ্গ টেনে প্রজ্ঞা বলেন, ‘‘আদালতে দোষী প্রমাণিত না হলেও, এই লোকসভারই এক সাংসদ প্রকাশ্যে আমাকে সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করেছেন, আইনত যা অপরাধ। একজন মহিলার পক্ষে অসম্মানজনকও।’’ সাধ্বীর এই মন্তব্যকে সমর্থন করেন বিজেপির সাংসদরা। রাহুলের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনার দাবি তোলেন তাঁরা।
তাতেই ফুঁসে ওঠেন কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, বিএসপি-সহ বিরোধী দলের সাংসদরা। প্রশ্ন ওঠে, সংসদে দাঁড়িয়ে গাঁধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে দেশভক্ত বলার পর নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার বদলে, প্রজ্ঞা নিজের স্বপক্ষে যুক্তি সাজাচ্ছেন কী ভাবে? লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘‘সংসদে দাঁড়িয়ে নাথুরাম গডসেকে দেশভক্ত বলা নিয়েই বিতর্ক হওয়া উচিত। ইচ্ছাকৃত ভাবে তা অন্য দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সংসদের ভিতরে যা হয়েছে, তার সঙ্গে সংসদের বাইরের ঘটনার কী সম্পর্ক? আমরা চাই উনি নিঃশর্ত ক্ষমা চান।’’
কিন্তু সাধ্বী প্রজ্ঞার নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নে যুক্তি সাজাতে শুরু করেন বিজেপি সাংসদরা। যাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন নিশিকান্ত দুবে। তিনি বলেন, ‘‘মহাত্মা গাঁধীর হত্যাকাণ্ডের তুলনায় একজন মহিলা সাংসদকে সন্ত্রাসবাদী বলা আরও লজ্জাজনক।’’
পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি বলেন, ‘‘শুধু ভারতই নয়, গোটা বিশ্ব মহাত্মা গাঁধীর আদর্শ মেনে চলে। এই নিয়ে রাজনীতিকরণ না হওয়াই শ্রেয়। নইলে বিষয়টি সর্বত্র চাউর হয়ে যাবে। তাই বলেছি, এই ধরনের মন্তব্য রেকর্ড হবে না। সংসদের ভিতরে হোক বা বাইরে, মহাত্মা গাঁধীর হত্যাকে মহিমান্বিত করায় একেবারেই অনুমোদন নেই আমাদের। গতকালই সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরও ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।’’
কিন্তু স্পিকারের মধ্যস্থতাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বরং একজন সাংসদ হয়ে জাতির জনকের হত্যাকারীকে মহিমান্বিত করার আগে সাধ্বী প্রজ্ঞারই ভাবা উচিত ছিল বলে জানান এমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। ওম বিড়লার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আপনি বলছেন ওঁর মন্তব্য রেকর্ড করা হয়নি। কিন্তু একজন সাংসদ হিসাবে এ তো সংসদের নিয়মেরই মারাত্মক লঙ্ঘন! সংসদের সদস্য হয়ে উনি এমন আচরণ করলেন কী ভাবে? গডসে যে কোনও দেশভক্ত নয়, বরং একজন সন্ত্রাবাদী, গাঁধীর হত্যাকারী, এ ব্যাপারে সমস্ত সাংসদের একমত হওয়া উচিত।’’ ওয়েইসির মন্তব্য সমর্থন করেন বিরোধীদের সকলেই। একযোগে ‘ডাউন ডাউন গডসে’ স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত সংসদের অধিবেশন স্থগিত করে দেন স্পিকার ওম বিড়লা। বিষয়টি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হতে পারে বলেও দিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে।
তবে মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞাকে ‘সন্ত্রাসী’ বলা নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। সংসদের বাইরে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনুক বিজেপি। যা ইচ্ছা করুক। নিজের অবস্থান জানিয়েছি আমি। ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’’ ইতিমধ্যে মহাত্মা গাঁধীর বেশে সংসদভবনের বাইরে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন কংগ্রেস সাংসদরাও। সাধ্বী প্রজ্ঞাকে সাসপেন্ড করার দাবি তুলছেন তাঁরা।
ফের মিড ডে মিল কেলেঙ্কারি, এই রাজ্যে এক লিটার দুধের সঙ্গে জল মিশিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে ৮১ জন পড়ুয়াকে : সংবাদ প্রতিদিন
যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে ফের মিড ডে মিল কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এসে গেল। একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। দেখা গেছে, উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র জেলার একটি স্থানীয় স্কুলে রাঁধুনি এক লিটার দুধ জলের সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছেন। সেই দুধ পান করছে ৮১ জন পড়ুয়া! উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র জেলায় উন্নয়ন বিশেষ হয়নি। সমাজসেবীদের কথায়, এলাকার গরিব ঘরের ছেলে–মেয়েরা অন্তত এক বেলা পেট পুরে খাওয়ার জন্য স্কুলের মিড ডে মিলের উপর ভরসা করে। আর সেখানেই এই অব্যবস্থা। এলাকার এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য গোটা ঘটনাটির ভিডিও করেছেন। দেখা গেছে, স্কুলের রাঁধুনি একটি বড় পাত্রে জল গরম করছেন। তারপর এক লিটারের দুধের প্যাকেট সেই গরম জলের মধ্যে ঢেলে দিলেন।
তারপর ভাল করে মিশিয়ে পড়ুয়াদের খেতে দিলেন। স্থানীয় এলাকা চোপানের ওই স্কুলে ১৭১ জন পড়ুয়া রয়েছে। দেখা গেছে জল খাওয়ার পাত্র নিয়ে ৮১ জন পড়ুয়া সেই জল মিশ্রিত দুধ খাচ্ছে। এই ঘটনার ঠিক দু’মাস আগে উত্তরপ্রদেশের এক সাংবাদিকের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে দেখা যায়, মিড ডে মিলে রুটি ও নুন খেতে দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের। এই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছিল। পুলিশ অবশ্য বলেছিল, সরকারকে অপদস্থ করতেই সাংবাদিকটি এই কাজ করেছে। এবার কিন্তু সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। বিষয়টি জানার পর জেলা আধিকারিকরা বলেছেন, পর্যাপ্ত দুধ দেওয়া হবে স্কুলে। একই সঙ্গে তদন্তও করা হবে। নির্ধারিত পরিমাণে দুধ দেওয়া সত্ত্বেও তা যাচ্ছে কোথায়? স্কুলের রাঁধুনি আবার বলেছেন, তাঁকে নাকি এক লিটার দুধই দেওয়া হয়েছিল পড়ুয়াদের খাওয়ানোর জন্য। স্কুলের এক শিক্ষকের কথায়, ‘রাঁধুনি হয়ত জানতেন না আরও দুধ রয়েছে।’ বিষয়টি চেপে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মোদী জমানায় পতনের রেকর্ড! সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে GDP কমে ৪.৭ শতাংশ? দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
দেশের অর্থনীতিতে চাঙ্গা করতে একের পর এক দাওয়াইয়ের কথা ঘোষণা করেছেন দেশের অর্থ মন্ত্রকের নীতি নির্ধারকরা। এতে চাপ পড়ছে রাজ কোষাগারে। কমছে সরকারের আয়। কিন্তু তাতে কতটা কাজের কাজ হয়েছে তার উত্তর জানা যাবে আজ, শুক্রবার। আর কিছুক্ষণের মধ্যে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জাতীয় উৎপাদন (GDP) বৃদ্ধির তথ্য প্রকাশ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।তবে সরকারি তথ্য প্রকাশের আগে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার তরফে ভারতের GDP বৃদ্ধির যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তা মোদী সরকারের পক্ষে নিঃসন্দেহে স্বস্তিদায়ক নয়। চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জাতীয় উৎপাদন (GDP) বৃদ্ধির হার আরও তলানিতে এসে ঠেকতে চলেছে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে GDP বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছিল ৫ শতাংশ।
কিন্তু সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে তা আরও কমে ৪.৭ শতাংশে এসে ঠেকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে রয়টার্স। আর এই ইঙ্গিত মিলে গেলে গত ৬ বছরের মধ্যে তলানিতে এসে ঠেকবে আর্থিক বৃদ্ধি।উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ ত্রৈমাসিকে GDP বৃদ্ধির হার মাত্র ৪.৩ শতাংশে গিয়েছে ঠেকেছিল। সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটি ছিল সবথেকে কম। গত আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে GDP বৃদ্ধির হার ছিল ৭ শতাংশ।
এর কারণ হিসেবে হিসেবে বিশেষজ্ঞদের ব্যখ্যা, দেশে পণ্যের চাহিদা এবং বেসরকারি লগ্নি হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া বিশ্ব বাজারে মন্দার জেরে রফতানিও কমেছে। আর এই সাঁড়াশি আক্রামণে GDP-তে এই মন্দার টান বলে মত বিশেষজ্ঞদের।এই পরিস্থিতিকে ভারতীয় অর্থনীতির হাল ফেরাতে ফের রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার কমাতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর আরবিআইয়ের বৈঠক আছে। সেই বৈঠকেই সুদের হার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রিজার্ভ ব্যাংক। সর্বশেষ সিদ্ধান্তে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমিয়েছিল আরবিআই।
শহরে ফের গণধর্ষণ! কালীঘাট মন্দির চত্বর থেকে দুই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ-আনন্দবাজার পত্রিকা
ফের শহর কলকাতায় গণধর্ষণের অভিযোগ। এ বার কালীঘাট মন্দির চত্বরের দুই ভিক্ষাজীবী কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তিন কিশোরের বিরুদ্ধে।
কালীঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর দুই নাবালককে আটক করেছে পুলিশ। নির্যাতিতা দুই নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো থেকে তিনটের মধ্যে কালীঘাট মন্দির চত্বর এলাকা ওই দুই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় তিন জন। আদি গঙ্গার ধারে মাচান্ডি আশ্রমের কাছে তাদের গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে দুই নাবালককে আটক করেছে পুলিশ। আরও এক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।#
পার্সটুডে/বাবুল আখতার/২৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।