ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯ ১৬:৪৯ Asia/Dhaka
  • ঢাকা ও কোলকাতার পত্রপত্রিকার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর
    ঢাকা ও কোলকাতার পত্রপত্রিকার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • আবরার ফাহাদ হত্যায় পলাতক চার আসামির সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ-দৈনিক প্রথম আলো
  • সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-বাংলাদেশি ছাড়া কাউকে সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢুকতে দেয়া হবে না-কালেরকণ্ঠ

  • দায়িত্বপালনকালে জনস্বার্থ ও জনকল্যাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে- রাষ্ট্রপতি-বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নেদারল্যান্ডসকে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর-দৈনিক ইত্তেফাক
  • বুয়েটে র‌্যাগিং ও রাজনীতির সর্বোচ্চ শাস্তি ‘চিরতরে বহিষ্কার’-দৈনিক মানব জমিন
  • দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ-সব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে : ফখরুল-দৈনিক নয়াদিগন্ত

ভারতের শিরোনাম:  

  • একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মোদী, পত্রপাঠ প্রত্যাখান করেছিলাম, বললেন শরদ পওয়ার-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
  • মহিলাদের জন্য সিরিয়ার চেয়েও বিপজ্জনক ভারত, প্রকাশিত সমীক্ষায়-দৈনিক আজকাল
  • নির্যাতনের অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা, নারী সুরক্ষায় পুলিশকে কঠোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

আবরার ফাহাদ হত্যায় পলাতক চার আসামির সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ-দৈনিক প্রথম আলো

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় পলাতক চার আসামির সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারির আদেশ দেওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হেমায়েত উদ্দিন খান।


আবরার ফাহাদ।

হেমায়েত উদ্দিন খান বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে আগে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি—এমন প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পুলিশ। আদালত আজ এই চার পলাতক আসামির সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেছেন। মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ৫ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

যে চার আসামির বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করার আদেশ হয়েছে, তাঁরা হলেন মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও মুজতবা রাফিদ।

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গত ১৩ নভেম্বর ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। আসামিদের মধ্যে ২১ জন কারাগারে আছেন।

গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী।

সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-বাংলাদেশি ছাড়া কাউকে সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢুকতে দেয়া হবে না-কালেরকণ্ঠ

সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অনুপ্রবেশ প্রচেষ্টা বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশি ছাড়া কাউকে সীমান্ত দিয়ে দেশের মাটিতে ঢুকতে দেয়া হবে না। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনোভাবেই বাংলাদেশি ছাড়া কাউকে বাংলাদেশের মাটিতে ঢুকতে দেব না। ঢুকতে দেব না মানে, আমরা তো রোঙ্গিাদের ঢুকতে দিয়েছি, সেই বিষয় নয়। আমাদের সুনিশ্চিত হতে হবে যেগুলো পুশইন করাচ্ছে সেগুলো বাংলাদেশের নাগরিক কি-না। যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয় তাহলে আমরা এগুলোকে রিসিভ করতে পারি। যদি তারা বাংলাদেশের নাগরিক না হয় তাহলে তাদেরকে কোনো ক্রমেই গ্রহণ করব না।

তিনি আরও বলেন, আপনারা হয়তো দেখেছেন কিছু কিছু বাঙালি, এরা বাংলাদেশি কি-না আমি সঠিকভাবে এখনও নিশ্চিত নই। বাঙালিদের ভেতরে ঢোকানোর চেষ্টা করেছেন। আমাদের বিজিবি কয়েক জায়গা থেকে এদেরকে ঢুকতে দেয়নি, অ্যালাউ করেনি। এদের সংখ্যা হাজার হাজার নয়, কয়েকশ।

দায়িত্বপালনকালে জনস্বার্থ ও জনকল্যাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে- রাষ্ট্রপতি-বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাষ্ট্রপতি ও  সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বর্তমান সরকার প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপনের মধ্য দিয়ে দেশ অভিজাত স্যাটেলাইট ক্লাবের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বিদেশী স্যাটেলাইট নির্ভরতা কমিয়ে ইতিমধ্যেই দেশের মানুষ নিজেদের স্যাটেলাইটের সুফল ভোগ করছে। 

রাষ্ট্রপতি ও  সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ

আজ মঙ্গলবার সকালে যশোর সেনানিবাসে সিগন্যাল ট্রেনিং সেন্টার এন্ড স্কুলে সিগন্যাল কোরের ৬ষ্ঠ কোর পুনর্মিলনী কুচকাওয়াচ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ সামরিক, অসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট হাব-স্টেশন স্থাপন করে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে কাজ করছে। এ কাজ পুরোপুরি শেষ হলে সেনাবাহিনীর সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এক অনন্য মাত্রা যোগ হবে।  প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক। তাই দায়িত্বপালনকালে জনস্বার্থ ও জনকল্যাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। 

তিনি বলেন, জনগণের কষ্টার্জিত করের টাকায় দেশের উন্নয়ন ও রাষ্ট্রের যাবতীয় ব্যয় মেটানো হয়। তাই জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি জনগণের সুখ-দুঃখে তাদের পাশে দাড়াতে হবে। 

জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটারতালিকা প্রনয়ন প্রকল্পে সেনাবাহিনী ও সিগন্যাল কোরের সদস্যরা গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখায় তিনি তাদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘গৃহহীনদের জন্য আশ্রায়ন প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের সদস্যদের অবদান প্রশংসনীয়। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে এবং কুয়েত পুনর্বাসন মিশনেও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সিগন্যাল কোরের সদস্যরা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে প্রশংসা অর্জনে সক্ষম হয়েছে’। 

এর আগে পুনর্মিলনী প্যারেডে অভিবাদন গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। পরে তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধ ‘অমর প্রাণ’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। 

চালের দাম বৃদ্ধিতে মিল মালিকদের কারসাজি আছে: খাদ্যমন্ত্রী-দৈনিক যুগান্তর

পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে মিল মালিকদের কারসাজি আছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি বলেন, নতুন ধান উঠা শুরু হয়েছে, তাই দ্রুতই দাম কমে আসবে। এছাড়া চাল নিয়ে কারসাজির বিরুদ্ধে ২২টি মনিটারিং টিম কাজ করছে। মঙ্গলবার সকালে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইউএস এইড ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থা-এফএও’র সহায়তায় একটি গাড়িতে ‘মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগার’ তৈরি করা হবে যা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ঢাকা শহরের ভেজাল পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করবে। নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী অনেকগুলো সংস্থা কাজ করছে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।

এর আগে গত ১৭ নভেম্বর খাদ্য অধিদফতরে চালকল মালিকদের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের খাদ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘চালের দাম যাতে আর না বাড়ে- সে বিষয়ে চালকল মালিকদের (মিলার) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি চালের দাম আর বাড়বে না। যেহেতু আমাদের ধান উৎপাদন ভালো হয়েছে। সর্বকালের সর্বোচ্চ চাল মজুদ রয়েছে।’ বাজারে চালের মূল্য বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওই সভার আয়োজন করা হয়েছিল।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নেদারল্যান্ডসকে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর-দৈনিক ইত্তেফাক

রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য নেদারল্যান্ডস সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্পেনের মাদ্রিদে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠককালে সোমবার তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আবদুল মোমেন প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, ‘আগামী সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের শুনানিতে যোগ দিতে মিয়ানমারের স্ট্যাট কাউন্সিলর অং সান সুচি আপনাদের দেশ সফর করবেন। সে সময় নেদাল্যান্ডসের উচিত হবে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা।’ সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমও উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারের সৃষ্টি এবং এর সমাধানও তাদেরই করতে হবে। তিনি মার্ক রুটকে বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী এবং বন্ধুপ্রতীম দেশ। তারা সবসময়ই বলে আসছে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেবে। তারা কখনোই বলেনি যে, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত নেবে না। কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের আন্তরিকতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এ প্রসঙ্গে আপনারা সহায়তা করতে পারেন।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রুটেকে জানান, ১১ লাখ রোহিঙ্গা আগমনের কারণে কক্সবাজারে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সরকার ভাসানচর নামে একটি দ্বীপে সাময়িকভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদানে দ্বীপটির উন্নয়ন করেছে।

শেখ হাসিনা রাজনৈতিক সমর্থন প্রদানের মাধ্যমে সোচ্চার হওয়া এবং রোহিঙ্গাদের জরুরি সহায়তা দানের জন্য নেদারল্যান্ডসকে ধন্যবাদ জানান।

জলবায়ু ইস্যু নিয়ে আলাপকালে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ আরো কমাতে হবে। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কার্বন নিঃসরণকারী নয়। কিন্তু অন্যদের নিঃসরণের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় তাঁর সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, নিয়মিত গাছ রোপণের পাশাপাশি মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা ১০ মিলিয়ন বৃক্ষ রোপণের পরিকল্পনা নিয়েছি। ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০ গ্রহণে নেদারল্যান্ডস সরকারের সহায়তার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী পানি খাতে দেশটির আরো বিশেষজ্ঞ সহায়তা কামনা করেন।

পরে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তারা রোহিঙ্গা ও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মিয়ানমারের নাগরিকত্বের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে চায় না।

শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুতে চীন, ভারত, জাপান এবং থাইল্যান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে একমত এবং এ ব্যাপারে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তারাও বলছে, রোহিঙ্গাদের উচিত তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়া। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি মিয়ানমারের উচিত আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করা। কারণ আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং আঞ্চলিক শান্তি চাই।’

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান মিয়ানমার সফর করবেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সকল পর্যায়ে বাংলাদেশ সহযোগিতা ও যোগাযোগ করে যাচ্ছে।

সন্ত্রাসবাদ ইস্যু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এর বিরুদ্ধে তাঁর সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। অন্য দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে কাউকে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।

প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলায় তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন।

বুয়েটে র‌্যাগিং ও রাজনীতির সর্বোচ্চ শাস্তি ‘চিরতরে বহিষ্কার’-দৈনিক মানব জমিন

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) র‌্যাগিংয়ের নামে নিপীড়ন ও সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতির জন্য শাস্তির মাত্রা নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমানের স্বাক্ষর করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাগিং ও রাজনীতি- দুই ক্ষেত্রেই শাস্তির সর্বোচ্চ মাত্রা ‘চিরতরে বহিষ্কার’ রাখা হয়েছে।বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার পর আন্দোলনে নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন তারা। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সব দাবিই পূরণ হল।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভবিষ্যতে র‌্যাগিং-এর সঙ্গে জড়িতদের এবং সাংগঠনিক রাজনীতির বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িতদের অভিযোগসমূহ মূল্যায়ন ও শাস্তি নির্ধারণ বিষয়ে গঠিত কমিটির রিপোর্ট এর আলোকে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।এর মধ্যে র‌্যাগিংয়ের শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে তিন ধাপে।

র‌্যাগিংয়ের কারণে কোনো ছাত্রের মৃত্যু হলে, গুরুতর শারীরিক ক্ষতি বা প্রতিবন্ধিতা  তৈরি হলে, মানসিক ভারসাম্যহীনতা তৈরি হলে কিংবা শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হলে অভিযুক্তকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হবে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা।র‌্যাগিংয়ের নামে মৌখিক বা শারীরিক লাঞ্ছনা, অর্থ বা জিনিসপত্র কেড়ে নেয়া, উত্ত্যক্ত করা, সাময়িক মানসিক ক্ষতি করা, হুমকি দেয়া বা শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টার জন্য সতর্ক করা, জরিমানা করা, হল থেকে চিরতরে বহিষ্কার কিংবা একটি নির্দিষ্ট সময় শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার শাস্তি হতে পারে।

পাশাপাশি অভিযুক্তকে ক্লাসে ফেরার আগে মনো-সামাজিক কাউন্সেলিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।র‌্যাগিংয়ের পরোক্ষ অংশগ্রহণ কিংবা র‌্যাগিংয়ের সময় উপস্থিতি, বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাগতদের কোনো কাজ করতে বাধ্য করার মত ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে সতর্ক করা, জরিমানা করা, হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা যাবে। পাশাপাশি তাকে বাধ্যতামূলকভাবে সোশ্যাল সাইকোলজি বা এথিকস কোর্স করতে হবে।আর যে কোনো মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাংগঠনিক রাজনীতিতে কারও সংশ্লিষ্টতা প্রকাশ পেলে, রাজনৈতিক সংগঠনের পদে থাকলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে মিছিল, মিটিং, পোস্টার টাঙানোর মত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কাউকে উদ্বুদ্ধ বা বাধ্য করলে মাত্রা অনুযাযী সতর্ক করে দেয়া, জরিমানা করা, সাময়িকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা এবং সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার করার সুযোগ থাকবে।উল্লেখ্য, গত ৬ই অক্টোবর শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে মৃত্যু হয় দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের। এরপর থেকেই আন্দোলনে অচল বুয়েট।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ-সব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে : ফখরুল-দৈনিক নয়াদিগন্ত

দেশে অব্যাহতভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, সরকার ও ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছার ওপরই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য নির্ভরশীল। খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তার সম্পর্ক রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। দ্রব্যমূল্যসহ জনজীবনের সকল স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে সহনীয় মাত্রায় রাখতে হলে একটি জবাবদিহিতা মূলক সরকার গড়ে তুলতে হবে।

দেশের স্বাধীনতা, সার্বোভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রক্ষার জন্য অবিলম্বে এই অবৈধ ভোটারবিহীন তথাকথিত নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনের সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। অন্যথায় শুধু দ্রব্যমূল্য ভিত্তিক মানুষের দৈনিন্দন জীবনের সমস্যাই নয় জাতির গোটা ভবিষ্যত জীবন আরো অসহনীয় ও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

আজ মঙ্গলবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মীর সরফত আলী সপু, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মোঃ মুনির হোসেন প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে সরকার দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে-এটাই জনগণের দাবি। কিন্তু বর্তমান মিডনাইট সরকারের বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই। কারণ তাদের সরকার গঠনের জন্য জনগণের ভোটের কোনো দরকার হয়নি এবং আগামী নির্বাচনে তাদের জনগণের ভোটের কোনো দরকার নেই।

তারা নির্বাচনের খোলসে দলীয় আইনশৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের ঘাড়ে ভর করে গায়ের জোরে পুনরায় সরকার গঠন করতে চায়। কিন্তু জনগণ তাদের এই গণবিরোধী ষড়যন্ত্র আর বরদাশত করবে না। একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের তত্বাবধানে আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে এই স্বৈরাচারী, জালিম সরকারকে উচিত শিক্ষা দেবে।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির পেছনে যেসব বিষয় ও ঘটনা প্রধান অনুঘটক হিসেবে ভূমিকা রেখে আমাদের সাধারণ সমগ্র জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে তার মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে জগদ্দল পাথরের ন্যায় জাতির ঘাড়ে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের লাগাতার দখলদারিত্ব।

অবৈধ দখলদার সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সমাজের সকল ক্রিয়াশীল অংশকে বিকল করে রেখেছে। ফলে সমাজে নিয়তই বেড়ে চলেছে ঘুষ, দুর্নীতি, টাকা পাচার, লুটপাট, চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট বাণিজ্য। ঠুঁটো জগন্নাথ পার্লামেন্ট কেবলই সরকারের ক্ষমতার একটি লেবাস।

ফলে সরকারের নেই কোনো জবাবদিহিতা জনগণের প্রতি নেই কোনো দায়বদ্ধতা। আর এই জবাবদিহিতা বিহীন পরিস্থিতি নিশ্চিত করতেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায় ভাবে কারাবন্দি করে রেখেছে এই স্বৈরাচারী সরকার।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশবাসীর কাছ থেকে তাদের ভোটারধিকার আর নাগরিক মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর তাদের দৈনন্দিন জীবনের সুখ-শান্তিও একের পর এক কেড়ে চলেছে এই ভোটারবিহীন গণবিরোধী সরকার। ২৯ ডিসেম্বরের প্রহসনমূলক “মিডনাইট নির্বাচন’’ পরবর্তী রাজনৈতিক সংকট, পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির চিত্র এবং গুম, খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় গোটা রাষ্ট্র যখন গণতন্ত্র ও আইনবিহীন হয়ে পড়েছে তখন তার স্বাভাবিক ধারাবাহিকতায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে।

যার সর্বশেষ প্রমাণ পেঁয়াজ, চাল, ডাল, তেল, লবণ থেকে শুরু করে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের এই অগ্নিমূল্য লাগাতারভাবে আমাদের সাধারণ জনজীবনকে চরমভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে সে বিষয়ে বর্তমান ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের ব্যর্থতা ও উদাসীনতা বিষয়ে দেশবাসীকে অবগতকরণের অংশ হিসেবেই আজ আমরা আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি।

তিনি বলেন, পেঁয়াজের দুর্মূল্য নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে আমরা কথা বলছি। দেশের সকল গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিদিন রিপোর্ট বের হচ্ছে। সরকার প্রধান নিজেও “পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে, আর কোনো সমস্যা নাই’’ বলেই এয়ার শো দেখতে দুবাই থেকে ইডেনে গার্ডেন হয়ে এখন আবার মাদ্রিদ শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

আর এদিকে পেঁয়াজের ঝাঁজ এখন চাল, ডাল, লবণ, তেল, আদা, রসুন শুরু করে শীতকালীন সকল সবজিতে সংক্রমিত হয়েছে। মোটকথা দৈনন্দিন জীবনে রান্নার জন্য ব্যবহৃত প্রতিটি জিনিষের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমানার বাইরে চলে গেছে। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তা গত কয়েক দিনে প্রকাশিত কিছু সংবাদ শিরোনামই পরিষ্কার করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে জনগণকে পেঁয়াজ খেতে নিষেধ করছে। তাহলে চালের মূল্য কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা, আটার মূল্য ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে তারা এখন কি বলবেন! ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিতে? রুটি খাওয়া বন্ধ করে দিতে?ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, সুতরাং তেল খাওয়াও কি বন্ধ করে দিতে হবে? আপনাদের কি মনে হয় এটা সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না? আসলে কোনো সরকার যারা জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে জনগণের সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব নেন তারা একথা কখনোই বলতে পারেন না।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালের নির্বাচনের বিভিন্ন জনসভায় এবং আওয়ামী লীগের প্রচার প্রপাগান্ডায় লাগাতারভাবে প্রচার করেছে, “১০ টাকা সের চাউল খাওয়াবো, ঘরে ঘরে চাকুরী দেবো।” অতএব, আমরা দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলতে চাই, বাজারে দ্রব্যমূল্যে বাড়লে নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে সরকারের! জনগণ কী খাবে! কী খাবে না তা নির্ধারণের দায়িত্ব সরকারের না! এর ব্যত্যয় ঘটার কোনো সুযোগ নাই।

যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তাহলে পরিষ্কারভাবে বুঝতে হবে সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের যে লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে তার একটাই কারণ! সেটা হচ্ছে, এই সরকার জনগণের সরকার নয়!

এই সরকার একটি ভোট ডাকাত সরকার! তাই জনগণের জীবনযাত্রা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নাই। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ তা গত কয়েকদিনের বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য তালিকা দেখলেই প্রতীয়মান হবে। এসময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল একজন শিক্ষার্থীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, দ্রব্যমূল্যের ভয়াবহতায় মানুষের জীবন কতটা দুর্বিষহ হতে পারে তার পুরোটা আমাদের জানা সম্ভবই হয় না। গ্রাম থেকে আসা এক শিক্ষার্থীর সহজ স্বীকারোক্তি হচ্ছে এরকম- “বাজারে সব্জির মূল্য বৃদ্ধির ফলে সব্জি খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ বাজারে এমন কোনো সব্জি নাই যার মূল্য ৮০ থেকে ১০ টাকার নীচে........! প্রশ্ন ছিলো তাহলে তাদের খাদ্য তালিকায় কী থাকে?

উত্তর ছিলো ডিম এবং যথারীতি এক বাটি পানি সমৃদ্ধ ডাল! তাও ১টা ডিম দুজনে ভাগ করে খায়! এই হচ্ছে আমাদের বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার অসহনীয় ফলাফল!

মির্জা ফখরুল বলেন, বিশ্বের সমগ্র দেশেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বাড়ে। কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথেই বা বাড়ার আগেই সরকারের কাজ হচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা । যার ফলশ্রুতিতে বাজার খুব তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সরকার, ব্যবসায়ী উৎপাদকের মাঝে গভীর সমন্বয় সাধন করা।

সেটা তখনই সম্ভব হবে যখন একটা দক্ষ ও গণবান্ধব সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রধান ও অন্যতম কারণ হচ্ছে বর্তমান অবৈধ ভোটারবিহীন ফ্যাসিবাদ সরকার। যার যাত্রা শুরু ১/১১ নামধারী অগণতান্ত্রিক সরকারের সময় কাল থেকে। এবং তাদের প্রেতাত্মা বর্তমান অবৈধ সরকার ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছে।

তিনি বলেন, অর্থনীতির স্বাভাবিক নীতিমালা এবং সরকারের দক্ষতার উপরই নির্ভর করে মূলতঃ দ্রব্যমূল্যের সার্বিক অবস্থা। এ প্রসঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বর্তমান অবৈধ ভোটারবিহীন সরকার যে সম্পূর্ণ ব্যর্থ তা আমাদের প্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সময়ে সরকারের দ্রব্যমূল্যের সার্বিক চিত্রের সাথে বর্তমান ফ্যাসিবাদ দখলদার সরকারের সময়কালের মূল্য তালিকা তুলে ধরলে সমগ্র বিষয়টি আরো সুস্পষ্ট হবে।

বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় বিগত ১৩ বছরে জিনিষপত্রের মূল্য গড় হিসেবে বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। অনেক জিনিসের মূল্য বেড়ে ৩ গুণ হয়েছে। অথচ এসেনসিয়াল কমোডিটিস এ্যাক্ট অনুযায়ী সরকার ১৭টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারে।

এই সরকারের প্রতিশ্রুত ১০ টাকার চাল আমজনতা খেয়েছে ৭০ টাকায়। পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকটকে পুঁজি করে অতি মুনাফালোভী সরকারদলীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, আমদানিকারক, আড়তদার, মজুদদার ও খুচরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি করে ভোক্তাদের পকেট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে শত শত কোটি টাকা। চাল, তেল, ডিম, আদা, রসুন, ময়দা, মরিচ, হলুদ, মসলা, চিনিসহ অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে। বর্তমান সরকার একদিকে মুক্ত বাজারের দর্শনে বিশ্বাসী, অন্যদিকে নিজস্ব দলীয় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় আগ্রহী। দলীয় ব্যবসায়ীদের দ্বারা তৈরি ব্যবসায়ী জোট ভাঙতে না পারলে, টিসিবিকে শক্তিশালী ও সক্রিয় না করতে পারলে, দলীয় লোকজন দ্বারা পরিবহনের চাঁদাবাজি বন্ধ না করতে পারলে এবং মধ্যস্বত্বভোগের ব্যবস্থা বন্ধ না করতে পারলে দ্রব্যমূল্য হ্রাস করা সম্ভব হবে না। বক্তৃতা-বিবৃতি ও লোক দেখানো ভণ্ডামি দ্বারা আর যাই হোক, দ্রব্যমূল্য হ্রাস বা অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিএনপি কোনো কর্মসূচি হবে কি না? এই প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কর্মসূচি পালন করেছি। আরো হবে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি হলে কি করবেন? জানতে চাইলে বলেন, আমরা আগেও কর্মসূচি পালন করেছি। আগামীতেও দিবো। জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। কারণ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি শুধু বিএনপিকে প্রভাবিত করেনা।

এবার ভারতের বিস্তারিত খবর তুলে ধরছি

একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মোদী, পত্রপাঠ প্রত্যাখান করেছিলাম, বললেন শরদ পওয়ার-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের টানাপড়েনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন শরদ পওয়ার। নরেন্দ্র মোদী-পওয়ারের সেই বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনা ছড়িয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, তবে কি বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন এনসিপি প্রধান। সেই সব জল্পনাই খোলসা করলেন শরদ পওয়ার। দাবি করলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে এক সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু পত্রপাঠ সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মরাঠা স্ট্রং ম্যান পওয়ার। এমনকি, প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তাঁর কন্যা সুপ্রিয়া সুলেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার প্রস্তাবও।

অজিত পওয়ারের শিবির বদলে দেবেন্দ্র ফডণবীস শিবিরে ভিড়ে যাওয়া, সুপ্রিম কোর্টের আস্থাভোটের নির্দেশের পর তাঁর ও ফডণবীসের ইস্তফা এবং সব শেষে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। প্রায় এক মাস ধরে পরতে পরতে রং বদলানো এই নাটকের ইতি হয়েছে। সব কিছু থিতিয়ে যাওয়ার পরে সোমবার একটি মরাঠি টিভি চ্যানেলে মোদীর সঙ্গে তাঁর সেই বৈঠক নিয়ে মুখ খুললেন শরদ পওয়ার।

২০ নভেম্বরের ওই বৈঠক প্রসঙ্গে পওয়ার বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী আমাকে এক সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি ওঁকে বলেছিলাম, আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুব ভাল এবং সেটা থাকবেও। কিন্তু আমার পক্ষে এক সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়।’’

অজিত পওয়ার তখনও ‘বিদ্রোহী’ হয়ে ফডণবীস শিবিরে যোগ দেননি। শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেস মিলে যখন মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে— তেমনই এক সন্ধিক্ষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন শরদ পওয়ার। সেই সময় জল্পনা ছড়িয়েছিল, বিজেপি শিবিরে ভিড়তে পারেন পওয়ার। পরিবর্তে তাঁকে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাব দিতে পারেন মোদী। কিন্তু সাক্ষাৎকারে পওয়ার জানিয়েছেন, তেমন কোনও প্রস্তাব মোদী দেননি।

তবে সুপ্রিয়া সুলেকে মন্ত্রী করার প্রস্তাব এসেছিল বলে জানিয়েছেন এনসিপি প্রধান। তিনি বলেন, ‘‘তবে সুপ্রিয়াকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মোদী।’’ সেই প্রস্তাবও সসম্মানে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বলে দাবি করেছেন পওয়ার। সুপ্রিয়া সুলে পুণের বারামতী কেন্দ্র থেকে এনসিপির প্রার্থী হয়ে গত লোকসভাতেই জিতে সাংসদ হয়েছেন। অন্য দিকে শরদকন্যা সুপ্রিয়া এ দিন একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে বলেন, ‘‘আমি বৈঠকে ছিলাম না। ওটা ছিল দুই বর্ষীয়ান নেতার বৈঠক। এটা প্রধানমন্ত্রীর উদারতা যে তিনি ওই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মতাদর্শগত পার্থক্য থাকলেও মহারাষ্ট্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ককে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়।’’ এর পরেই সঞ্চালককে পাল্টা প্রশ্নে সুপ্রিয়া বলেন, ‘‘কিন্তু আপনি জানেন তো পওয়ারজি কি বলেছিলেন, সসম্মানে না বলেছিলেন।’’

মহিলাদের জন্য সিরিয়ার চেয়েও বিপজ্জনক ভারত, প্রকাশিত সমীক্ষায়-দৈনিক আজকাল

মহিলাদের জন্য বিশ্বের সব থেকে বিপজ্জনক দেশ ভারত। এই তথ্যই উঠে এলো টমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন নামে একটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের সমীক্ষায়। সমীক্ষা টিমে ছিলেন মহিলাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করা কমপক্ষে ৫৫০ জন বিশেষজ্ঞ। আশ্চর্যজনকভাবে তালিকায় ভারতের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে আছে যুদ্ধবিধ্বস্ত–জঙ্গি অধ্যুষিত আফগানিস্তান এবং সিরিয়া। তারপর আছে আরেক যুদ্ধবিধ্বস্ত, দরিদ্র মুসলিম দেশ সোমালিয়া। পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্থানে আছে মহিলাদের রক্ষণশীলতার বেড়িতে মুড়ে রাখার জন্য পরিচিত সৌদি আরব এবং পাকিস্তান।

তারপর রয়েছে গণতান্ত্রিক প্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো, ইয়েমেন, নাইজেরিয়া। মহিলাদের জন্য বিপজ্জনক দেশের দশম স্থানে রয়েছে পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ বলে পরিচিত আমেরিকা।২০১৮ সালে ওই সমীক্ষাটি প্রকাশিত হলেও গত একবছরে সেভাবে বিশেষ কোনও পরিবর্তন হয়নি বলেই দাবি করেছেন সমীক্ষা করা বিশেষজ্ঞরা। রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৯৩টি দেশের মধ্যে কোন পাঁচটি দেশ মহিলাদের জন্য সব চেয়ে বিপজ্জনক এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা, অর্থনৈতিক সম্পদ, ঐতিহ্য, মানুষ পাচার, যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে সব চেয়ে খারাপ তা নিয়ে সমীক্ষা করা হয়। সমীক্ষা শেষে মোট ১০টি দেশকে মহিলাদের মধ্যে সব চেয়ে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে আমাদের দেশ ভারত।      ‌‌

নির্যাতনের অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা, নারী সুরক্ষায় পুলিশকে কঠোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

মহিলাদের নিরাপত্তায় অভিযোগ এলেই কোন এলাকা কোন থানার ঘটনা, এসব না ভেবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বিন্দুমাত্র গাফিলতি বা গড়িমসি হলে কড়া পদক্ষেপ করবে নবান্ন। সেক্ষেত্রে অন্য থানা এলাকার ঘটনা বলে দায়ও এড়িয়ে যেতে পারবেন না আধিকারিকরা। কোনও মহিলা যে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন, সেই থানার পুলিশকেই সংশ্লিষ্ট থানা বা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। মহিলা থানাও রয়েছে। সেগুলির সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে জেলার পুলিশ কর্তাদের। সোমবার নবান্নে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা-সহ নানা বিষয় নিয়ে বিভিন্ন জেলার এসপিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই নারী নিরাপত্তার বিষয়ে এমন কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

সোমবার এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা, স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র, নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ করপুরকায়স্থ, কলকাতার নগরপাল অনুজ শর্মা, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিং প্রমুখ। নবান্ন সূত্রে খবর, কাজে কোনওরকম শিথিলতা যাতে না থাকে, সে ব্যাপারে বেশ কিছু নির্দেশও দেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী। তবে হায়দরাবাদে চিকিৎসককে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার নৃশংস ঘটনার আগে থেকেই মহিলা নিরাপত্তায় পুলিশ থানা বা আলাদা সেল তৈরি ও সচেতনতা বাড়ানোর বহু পদক্ষেপ রয়েছে রাজ্যের। সেসব প্রসঙ্গএ উঠেছিল এদিনের বৈঠকে। গোটা দেশের নিরিখে এ রাজ্যে নারী নির্যাতনের অপরাধ কম। তবু নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনও আপস করতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে সেটা জানিয়েও দিয়েছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্যে কলকাতা দেশের নিরাপদ মহানগর-এর তকমা পেয়েছে। কলকাতার নগরপালও সেই তথ্য জানান। কলকাতাকে নিরাপদ হিসাবে গড়ে তুলতে কীভাবে কাজ করা হয়েছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানান। বস্তুত, তাঁর কাজের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর, বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনাররা নিজের এলাকার পরিস্থিতি তুলে ধরেন। 

মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট থানা ব্যবস্থা না নিলেও পুলিশ সুপারের কাছে খবর এলেই তাঁকে ব্যবস্থা নিতে হবে। নজর দিতে হবে রাজনৈতিক সংঘর্ষে। থানার অফিসারদের সঙ্গে জেলা ও রাজ্যস্তরের সমন্বয় যেন থাকে। এসপি বা পুলিশ কমিশনারকে সব তথ্য জানাতে হবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় কোনও কোনও ক্ষেত্রে পুলিশের কাজে খুশি নন মুখ্যমন্ত্রী। চার পুলিশ সুপারের কাছে এ ব্যাপারে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন এদিন তিনি। নবান্নের কর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, ঝাড়খণ্ড ও বিহার দিয়ে রাজ্যে লোক ঢুকছে অথচ পুলিশের কাছে কোনও খবর থাকছে না। রাজ্যে অপরাধের পর সীমান্ত পেরিয়ে পালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। কোনওভাবেই দুষ্কৃতীদের রেয়াত করা যাবে না।#

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।