কথাবার্তা: 'করোনা আক্রান্ত হলেই কেন দিতে হবে লাখ লাখ টাকা ?'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ২৫ এপ্রিল শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজাী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- দেশে করোনা শনাক্ত প্রায় ৫ হাজার-দৈনিক প্রথম আলো
- প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষার পরামর্শ-দৈনিক ইত্তেফাক
- মধ্যপ্রাচ্যের জেলখানা খালি, উড়োজাহাজ ভর্তি হয়ে বাংলাদেশিরা ঢাকা ফিরছেন!-দৈনিক মানবজমিন
- বাড়তে পারে ছিনতাই রাহাজানি নানা কারণে মানুষের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ-দৈনিক যুগান্তর
- ইতালিতে বৈধ হচ্ছেন ১২ হাজার বাংলাদেশি-দৈনিক সমকাল
- করোনা আক্রান্ত হলেই কেন লাখ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে-ডা. নানজীন আহমেদ-বাংলাদেশ প্রতিদিন
- বড় সংকটে -দৈনিক কালের কণ্ঠ
ভারতের শিরোনাম:
- শুধু মুম্বইতেই আক্রান্ত ৪৫৮৯, দেশে করোনা আক্রান্ত বেড়ে সাড়ে ২৪ হাজার-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
- গেট বন্ধ হাসপাতালের, রাস্তাতেই ঘুরে বেড়ালেন ৬৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
- খুলছে দোকানপাট, শনিবার থেকে লকডাউনে আরও ছাড়-দৈনিক আজকাল
পাঠক/শ্রোতা! এবারে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাব।
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
কথাবার্তার প্রশ্ন
১. চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেই বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বাড্ডায় বিক্ষোভ করেছেন গার্মেন্টের শ্রমিকরা। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
২. ইরান থেকে দূরে থাকতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তার এ আহ্বান সম্পর্কে আপনি কী বলবেন?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:
বিশ্ব করোনা পরিস্থিতির আপডেট খবরে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত বিশ্বে ১,৯৭,৪৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২,৮৩,৫০৯৩ জন । মোট সুস্থ্ হয়েছে ৮,০৮,০৬৭ জন।
বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি:

দৈনিক প্রথম আলোতে লেখা হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় কমেছে। তবে এই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। একই সময় দেশে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন ৩০৯ জন। এর মধ্য দিয়ে দেশে প্রায় ৫ হাজার লোকের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
দেশের ৬০টি জেলায় আক্রান্ত পাওয়া গেছে। সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি জেলায় এখন পর্যন্ত কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।
গোয়েন্দা প্রতিবেদন: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা-দৈনিক যুগান্তরের শিরোনাম
বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, বাড়তে পারে ছিনতাই রাহাজানি * করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারে জঙ্গিরা * সময়মতো বেতন না পেলে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেবে * নানা কারণে মানুষের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিশাল জনগোষ্ঠী কাজ হারিয়েছে। উপার্জন বন্ধ হওয়ায় তারা কষ্টে জীবনযাপন করছে। এদিকে লকডাউনের প্রভাবে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাবার ও ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের চিত্র বেরিয়ে আসছে।
জনপ্রতিনিধিদের কারও ঘরে সরকারের দেয়া ত্রাণের চাল, কারও খাটের নিচে টিসিবির সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে। এসব নিয়ে বাড়ছে জনমনে ক্ষোভ। সব মিলিয়ে আসন্ন রমজানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জনরোষ সৃষ্টিসহ ছিনতাই, রাহাজানি এবং জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যের জেলখানা খালি, উড়োজাহাজ ভর্তি হয়ে বাংলাদেশিরা ঢাকা ফিরছেন!-দৈনিক মানবজমিন
করোনার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো তাদের নিজ নিজ জেলখানা ও ডিটেনশন সেন্টারগুলো খালি করতে শুরু করেছে। সৌদি আরবের পর এবার মাস্কাটের জেলে থাকা ২৯২ বাংলাদেশিকে স্পেশাল ফ্লাইটে ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছে ওমান সরকার। যদিও ঢাকা চেয়েছিল করোনার এই কঠিন মুহুর্তে কোনো প্রবাসী ফেরত না আসুক। বিশেষ করে জরুরি ভিত্তিতে তৈরি হতে যাওয়া ৪০০০ প্রবাসী বা বিদেশ ফেরতের একসঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিন সুবিধার কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত সময় চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু না, তার আগেই সৌদি আরব চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ওমরাহ করতে গিয়ে আটকে পড়া ১৪৪ বাংলাদেশির সঙ্গে ১৬৮ প্রবাসী, যারা বিভিন্ন অপরাধে কারাগারে ছিলেন তাদের স্পেশাল বিমানে তুলে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। এই কায়দায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ওমানে এয়ারের বিশেষ ফ্লাইটটি ঢাকায় নামে।
এখানো জরুরি আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঢাকায় আটকা পড়া ৪ ওমানি কূটনীতিককে নিয়ে ফ্লাইটটি মাস্কাটের উদ্দেশ্য রওনা করে বলে সিভিল এভিয়েশন সূত্র নিশ্চিত করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করোনা সেলের প্রধান অতিরিক্ত সচিব ড. খলিলুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, মধ্যপাচ্যের দেশগুলোর জেল থেকে প্রায়শই নিয়মিত ফ্লাইটে ১০-১৫ জনে করে ফিরতেন।
এটা রুটিন ঘটনা। করোনা সংকটের এই কঠিন সময়ে তারা জেলখানা খালি করতে শুরু করেছে, ফলে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রবাসীদের দলে দলে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
করোনা আক্রান্ত হলেই কেন লাখ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে-ডা. নানজীন আহমেদ-বাংলাদেশ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে,আমাকে ক্ষমা করবেন, আমি ঠিক বুঝলাম না, করোনা আক্রান্ত হলেই কেন লাখ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে? এই মুহূর্তে দরকার সার্বিকভাবে দেশের স্বাস্থ্য সুবিধা উন্নত করা, যারা ফ্রন্টলাইনে কাজ করছেন তাদের জন্য দরকার পর্যাপ্ত পিপিই এবং অন্যান্য সুরক্ষা উপকরণ। যারা বাইরে কাজ করছেন সকলের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীতে বরং অর্থ আরো দরকার।
যারা আক্রান্ত হবেন, বিনা খরচে তাদের উন্নত চিকিৎসা দেয়া জরুরি। আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হলে তার জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ পরিবারকে অর্থ দেয়া যেতে পারে। কিন্তু শুধু আক্রান্ত হওয়ার জন্য অর্থ দেয়ার কোন মানে নেই।
কেউ কেউ অর্থ সুবিধার জন্য আক্রান্ত হওয়ার মিথ্যা সার্টিফিকেট নিতে পারেন। আবার আমরা সবাই জানি ৮০ ভাগ করোনা রোগীর ক্ষেত্রে তেমন কোনো বড় রকমের শারীরিক লক্ষণ থাকে না। তাহলে কোন রকমের উপসর্গ ছাড়াই ১৫ দিন ঘরে বসে থাকার জন্য লাখ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ কতটা যুক্তিসঙ্গত, ভেবে দেখা দরকার।
এই মুহূর্তে আমাদের সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করাটাই সমীচীন। আমার এই স্ট্যাটাসে কেউ ভুল বুঝবেন না। আমি শুধু বলতে চাইছি, আমাদের ফ্রন্টলাইন এর যোদ্ধাদের জন্য বড় দরকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী এবং উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা। শুধু শুধু অসুস্থ হওয়ার জন্য ক্ষতিপূরণ না দিয়ে কেবলমাত্র মৃত্যু হলে তার জন্যে ক্ষতিপূরণ রাখাটাই সমীচীন মনে করি
বড় সংকটে ৫ লাখ বেকার-দৈনিক কালের কণ্ঠের এ খবরে লেখা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি কলেজের স্নাতক পর্বের শিক্ষার্থী তন্বী (আসল নাম নয়)। পরিবারে আয়ের উৎস বলতে তিনিই। চার থেকে পাঁচটি টিউশনে প্রতি মাসে আয় ছিল ২০ হাজার টাকারও বেশি। এই টাকা দিয়ে নিজের পড়াশোনার খরচ চালানোর পাশাপাশি পরিবারের ব্যয় মেটাতেন তিনি, কিন্তু করোনার কারণে তাঁর সব টিউশন এখন বন্ধ। নিজে কিভাবে চলবেন বা সংসার খরচ কিভাবে চালাবেন, তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম আহমেদ। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করে তিন বছর আগে নেমেছেন চাকরি পাওয়ার যুদ্ধে। ৪০তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, যা শেষ হয়েছে কিছুদিন আগে। আরো কয়েকটি মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিলেও চূড়ান্ত ফল আসেনি। করোনার কারণে চাকরি পাওয়ার স্বপ্নটাও তাঁর থামকে গেছে।
এমন উদাহরণ দু-একটি নয়, উচ্চশিক্ষা (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর) শেষ করা পাঁচ লাখের বেশি চাকরিপ্রত্যাশী বেকার পড়েছেন মহাসংকটে। একদিকে কোনো চাকরি নেই আবার খণ্ডকালীন আয়ের পথও বন্ধ থাকায় উভয়সংকটে পড়েছেন চাকরিপ্রত্যাশী বেকাররা।
জানা যায়, করোনার কারণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চাকরিতে নিয়োগ বন্ধ। কোনো নিয়োগ পরীক্ষার নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও মৌখিক পরীক্ষা হয়নি। আবার কোনো নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হচ্ছে না।

চাকরিপ্রত্যাশীরা বলছেন, করোনার কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের শিক্ষার্থীরা সেশনজটের শঙ্কার মধ্যে পড়েছেন। যদিও সেশনজট এড়াতে অনলাইনে ক্লাসে ঝুঁকছে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীরা বলছেন, করোনার কারণে অন্তত এক বছর পিছিয়ে যাবে শিক্ষা কার্যক্রম। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের নির্ধারিত সীমা অনুযায়ী ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ আর সরকারি চাকরির নিয়োগে আবেদন করতে পারে না। করোনায় সব নিয়োগ স্থগিত এবং নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত না হওয়ায় বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি উঠেছে। কেবল সরকারি চাকরিই নয়, বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে এখনই নিয়োগ নেই।
চাকরিপ্রত্যাশী বেকাররা বলছেন, করোনার কারণে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হচ্ছে না। আবার যেসব পরীক্ষা আধাসম্পন্ন হয়েছে সেগুলোর চূড়ান্ত ফলও প্রকাশিত হয়নি। এতে করে চাকরির অপেক্ষায় দীর্ঘায়িত হচ্ছে প্রত্যাশা। আবার কারো কারো চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমাও শেষ হতে চলছে। একদিকে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নেই, আবার যেসব বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোও থমকে গেছে। চাকরিপ্রত্যাশী বেকাররা কী করবেন তার কোনো দিশা খুঁজে পাচ্ছেন না।
করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ছুটি ঘোষণা করায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান চাকরিতে নিয়োগের কার্যক্রমও স্থগিত করেছে। গত মার্চ থেকে ৫০টির বেশি চাকরির নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। এই সময়ে নতুন করে কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি। যদিও কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান কর্মসংস্থান ও চাহিদা থাকায় নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য মুখিয়ে রয়েছে, কিন্তু করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সেগুলো প্রকাশ করতে পারছে না।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার। শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত বেকার ২৩ লাখ ৭৭ হাজার এবং অশিক্ষিত বেকার তিন লাখ। বেকারদের মধ্যে ১০ লাখ ৪৩ হাজার শিক্ষিত, যাঁরা উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস। উচ্চশিক্ষা পর্বের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা শেষ করা বেকারের সংখ্যা চার লাখ পাঁচ হাজার। গত বছরের জুলাই মাসে জাতীয় সংসদে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ৪০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৪টি অধিভুক্ত/অঙ্গীভূত কলেজের শিক্ষার্থী ব্যতীত) স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়সহ বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণের সংখ্যা সাত লাখ ১৪৮ জন।
মূলত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকরি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নেন শিক্ষার্থীরা। স্নাতকোত্তর শেষে একটি অংশ পিএইচডি বা এমফিল কোর্সে পড়েন। বড় অংশই চাকরিতে নিয়োগের প্রস্তুতি নিতে থাকে। সেই হিসাবে চাকরিতে প্রবেশে যোগ্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাত লাখের বেশি। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) প্রকাশিত ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ। সেই হিসাবে ধরলেও চাকরিপ্রত্যাশী বেকারের সংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি।

সরকারের ‘একলা চলো’ নীতির কারণে জনগণ করোনা ঝুঁকিতে: ফখরুল-দৈনিক যুগান্তরের খবর
বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, সরকারের ‘একলা চলো’ নীতির কারণেই জনগণ করোনাভাইরাসের প্রচণ্ড ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যে সম্মিলিত উদ্যোগ নেয়ার কথাছিল- তা নিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এক কথায় তারা (সরকার) করোনাভাইরাস মোকাবেলায় পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। সরকারের ‘একলা চলো নীতি’, একদলীয় শাসন ব্যবস্থার যে নীতি, সেই নীতির কারণেই আজ জনগণ প্রচণ্ড ঝুঁকিতে পড়েছে, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
শনিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মী এবং তাদের পরিবারের জন্য ঈদ উপহার বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন। তবে এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করে বলেছেন, বিএনপি বিভ্রান্তির ভাইরাস ছড়াচ্ছে। দৈনিক মানবজমিনের খবরের শিরোনাম, চাকরি বাঁচাতে ফের ঢাকার পথে গার্মেন্ট শ্রমিকরা।
এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি

শুধু মুম্বইতেই আক্রান্ত ৪৫৮৯, দেশে করোনা আক্রান্ত বেড়ে সাড়ে ২৪ হাজার-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, বেড়েই চলেছে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে নোভেল করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হলেন প্রায় দেড় হাজার জন। এই সময়ের মধ্যে মৃতের সংখ্যাও পার করেছে ৫০-এর ঘর। দেশ জুড়ে সামাজিক দূরত্ব বজার রাখার নির্দেশিকা সত্ত্বেও রাশ টানা যাচ্ছে না সংক্রমিতের সংখ্যায়। শনিবার দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা পার করল সাড়ে ২৪ হাজারের গণ্ডি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৫০৬ জন। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৪২৯। এক দিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জন সংক্রমিতের। পাশাপাশি, গোটা দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ হাজার ৬২ জন।
গেট বন্ধ হাসপাতালের, রাস্তাতেই ঘুরে বেড়ালেন ৬৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
চূড়ান্ত গাফিলতির নিদর্শন যোগীর রাজ্যে। হাসপাতালের গেট বন্ধ থাকায় ৬৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে প্রায় ১ ঘণ্টা ঠায় দাঁড় করিয়ে রাখা হল। উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ার একটি কোভিড হাসপাতালের ছবি সামনে আসতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
জানা গিয়েছে, প্রায় ১১৬ কিমি দূর আগ্রা থেকে তাঁদের একটি বাসে করে এই হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু সেইসময় হাসপাতালের গেট বন্ধ ছিল। সে কারণে অন্তত ঘণ্টাখানেক হাসপাতালের বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন অনেকে। কয়েকজন করোনা আক্রান্ত রোগী তো আবার রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। মেডিক্যাল কলেজের তত্ববধায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. রাজ কুমার জানিয়েছেন, হাসপাতালের কর্মী এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের একদিন পর রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে এক ঘণ্টা পরই প্রত্যেককে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তবে হাসপাতালের বাইরে করোনা আক্রান্ত রোগীর ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
খুলছে দোকানপাট, শনিবার থেকে লকডাউনে আরও ছাড়-দৈনিক আজকাল
এ খবরে লেখা হয়েছে, জরুরি পরিষেবা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি ছাড়াও খোলা যাবে দোকানপাট। তবে শর্তসাপেক্ষে। শুক্রবার রাতে নির্দেশিকা জারি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন পণ্যের দোকানও খোলার অনুমতি দিল কেন্দ্র। তবে শপিং মল বা সুপার মার্কেট খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। বন্ধ থাকবে মদের দোকান ও বার। বিভিন্ন পাড়া, বা আবাসনের মধ্যে আলাদা থাকা দোকানও খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেলুন ও দর্জির দোকানও খোলা যাবে। তবে হটস্পট কেন্দ্রগুলিতে আপাতত সবই বন্ধ থাকবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পুরসভা এলাকার আওতায় থাকা বসতিপূর্ণ এলাকা ও বাজার এলাকায় এখন থেকে দোকান খোলা যাবে।
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৫
-