কথাবার্তা: 'আইইডিসিআরের রিপোর্ট নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’, ১ দিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
-
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৪৯ জনের করোনা শনাক্ত-বাংলাদেশ প্রতিদিন
- দেশে একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত-দৈনিক প্রথম আলো
- আইইডিসিআরের করোনা রিপোর্ট নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’-দৈনিক ইত্তেফাক
- করোনা সংকট রাজনৈতিক ইস্যু হতে পারে না-দৈনিক মানবজমিন
- অধ্যাপক জামিলুর রেজার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক-দৈনিক যুগান্তর
- তিন দফা : সাভারে রাস্তা আটকে পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভ-কালের কণ্ঠ
- শ্রমিকদের বেতনের জন্য ঋণ আবেদনের সময় ২ মে পর্যন্ত বাড়ল-দৈনিক সমকাল
ভারতের শিরোনাম:
- ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বাধিক মৃত্যু, আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছুঁইছুঁই। -দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
- করোনার থাবা নীতি আয়োগের সদর দপ্তরে, আক্রান্ত উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক -দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
- খারাপ খাবার, নোংরা টয়লেট, বিদ্যুৎ থাকে না! দেখুন, কীভাবে আছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা! -দৈনিক আজকাল
পাঠক/শ্রোতা ! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

বিচিত্র এক স্তব্ধতা পৃথিবী জুড়ে। এক অদৃশ্য ভাইরাস করোনার দাপটে বিশ্ব ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্ব মিডিয়ায় সেই করোনাভাইরাসের আপডেট খবর বিশেষ গুরুত্বসহ পরিবেশিত হয়েছে। একনজরে সেসব খবর দেখে নেয়া যাক।
বাংলাদেশের করোনা আপডেট : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫৫ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫৪৯ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৬২ জনে। আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের- স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে।
দৈনিক মানবজমিনের শিরোনাম-৪২২ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪২২ জন চিকিৎসক, এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন (বিডিএফ) কো চেয়ারম্যান ডা. তাজিন আফরোজ। এরমধ্যে ৩০৮ জন রাজধানী ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর ঢাকার বাইরে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৪জন। ডা. তাজিন বলেন, আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য এটি। ডা. তাজিন আফরোজ শাহ বলেন, অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল পিপিই দেয়নি। চিকিৎসকরা নিজেরাই কিনছেন। এন ৯৫ মাস্ক অফিসিয়ালি মিলছে না। আর চিকিৎসকদের এসব সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারের কোন ট্রেনিং নেই।
বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক আক্রান্তের ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
আইইডিসিআরের করোনা রিপোর্ট নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’-দৈনিক ইত্তেফাকের এ খবরে লেখা হয়েছে, নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসকসহ তিন স্বাস্থ্যকর্মির করোনা রিপোর্ট পাওয়া গেলো পজেটিভ। সাময়িক লকডাউন ঘোষণা হলো হাসপাতাল। পূণঃরিপোর্টে সেই পজেটিভ হয়ে গেলো নিগেটিভ! রহস্যময় এই রিপোর্ট নিয়ে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। আইইডিসিআর রিপোর্ট ভুল না কি প্রতারণা
দৈনিক মানবজমিনের একটি লেখা হয়েছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের এই সংকটকালে বিভেদের রাজনীতি করোনা ভাইরাসকে আরও বিধ্বংসী ও ভয়ংকর করে তুলবে।
তিনি বলেন, সকলের ঐক্যবদ্ধ লড়াই প্রাণঘাতি করোনাকে পরাজিত করার সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার।ওবায়দুল কাদের আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
গণস্বাস্থ্যের কিট পরীক্ষা করে দেখা উচিত-দৈনিক মানজমিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, গণস্বাস্থ্য কতৃক আবিষ্কৃত কিট গ্রহণ না করার পেছনে আমলাতন্ত্রিক জটিলতা থাকতে পারে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি মানবজমিনকে বলেন, করোনা পরীক্ষার কিট যারা উদ্ভাবন করেছেন তারা অনেক কষ্ট করেছেন। এই ধরণের কিট আমাদের দরকার। এটা গ্রহণ করছে না কেন আমরা বুঝতে পারছি না। গ্রহণ করে টেস্ট করে দেখতে হবে যে এই কিট ঠিক আছে কি না। যদি ঠিক থাকে তারা (গণস্বাস্থ্য) প্রোডাকশনে যেতে পারবে। তাদের প্রোডাকশনে সমস্ত কিছু তৈরি আছে। এবং আমাদেরও প্রয়োজন আছে। আর এ কিট বাইরের দেশেও রপ্তানি করা যাবে।
তিন দফা : সাভারে রাস্তা আটকে পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভ-দৈনিক কালের কণ্ঠ
ত্রাণ সহায়তা, শ্রমিকদের কল্যাণের নামে বিভিন্ন শ্রমিক-মালিক সমিতির ব্যানারে চাঁদা আদায় বন্ধ ও অবিলম্বে গণপরিবহন চালুসহ তিন দফা দাবিতে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক শ কর্মহীন পরিবহন শ্রমিক। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের থানা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে প্রায় ৪০০ পরিহন শ্রমিক।
আমরা কি টাইম বোমার ওপর বসে আছি?-দৈনিক মানবজমিন
মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী এ শিরোনামের বিশ্লেষণে লিখেছেন, করোনা মোকাবিলায় শুরু থেকেই বাংলাদেশে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। অথচ বাংলাদেশে করোনা এসেছে অনেক পরে।
আমরা প্রস্তুত। করোনাকে সামাল দিতে আমাদের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি নেই। আমরা যখন বুঝলাম অনেক উন্নত দেশ হিমশিম খাচ্ছে, ভেঙে পড়ছে তাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা, তখন আমাদের হুঁশ হলো। একদিন ঘুম থেকে জেগে দেখি আমরা টাইম বোমার ওপর বসে আছি। এরপর থেকে শুরু হলো নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। লকডাউন বা সাধারণ ছুটি নিয়ে আমরা নানা খেলা করলাম। কিন্তু একবারও তলিয়ে দেখলাম না ১৮৫৭ সালের মহামারী আইন কী বলছে। নরেন্দ্র মোদি আর বরিস জনসন এ আইন বলেই লকডাউন ঘোষণা করলেন। আমরা গেলাম সাধারণ ছুটিতে। মাঝখানে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ সারা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা দিলেন। দুর্যোগ আইনে ঝুঁকিপূর্ণের কোনো সুযোগ নেই। বলতে পারতেন দুর্গত বা সংক্রমিত এলাকা। আক্রান্তের সংখ্যা কম হওয়ায় আমরা বলতে থাকলাম, পৃথিবীর অনেক দেশ থেকেই আমরা ভালো আছি। কে বলবে, টেস্টই যেখানে নেই সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা কম হবে না তো বেশি হবে নাকি। স্থানীয়ভাবে টেস্ট হচ্ছে না এখনো বেশিরভাগ এলাকায়। অনেকে টেস্টে যেতেও চায় না। পরিবার বাঁচাতে সামাজিক বয়কটের ভয়ে বাড়িতে বসেই সর্দি-জ্বরের চিকিৎসা নিচ্ছেন। পরিণতিতে অবশ্য বিপদটাই বাড়ছে। তাছাড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখন তলানিতে। চিকিৎসক যেখানে ভীত সেখানে সাধারণ রোগী?
প্রতিদিনই আমরা সরকারের ভেতরে-বাইরে অস্থিরতা দেখছি। সকাল-বিকাল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছি। টেস্ট না হওয়ার কারণে বুঝতেই পারছি না আমরা রেড জোনে না হলুদ জোনে আছি। শুরুটা যদি আমরা পর্যালোচনা করি তাহলে অস্থিরতার কিছু আলামত দেখতে পাবো।
১. প্রবাসীদের দেশে আসতে দেয়ার ক্ষেত্রে সকাল-বিকাল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন।
২. কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা না করেই দেশে আসার অনুমতি।
৩. আশকোনা হজ ক্যাম্পে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদের মুখে ইতালি ফেরতদের ছেড়ে দেয়া।
৪. আক্রান্ত দেশ থেকে আসাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে না রাখা।
৫. একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান দিয়ে পরীক্ষা শুরু।
৬. সংক্রমণ ধরা পড়ার পরও পরীক্ষা না বাড়ানো।
৮. সময়মতো হাসপাতাল প্রস্তুত না করা।
৯. ডাক্তারদের সময়মতো মাস্ক ও পিপিই না দেয়া। যাদের দেয়া হয় তা ছিল নিম্নমানের।
১০. কোভিড হাসপাতালে অক্সিজেন ও ভেন্টিলেটরের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না করা।
১১. বেশি আক্রান্ত জেলায় ল্যাব স্থাপন না করা।
১২. কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরখাস্ত করা।
১৩. ছুটি ঘোষণার পর গার্মেন্ট কর্মীদের দফায় দফায় ডেকে আনা।
১৪. আক্রান্ত জেলায় অবাধ চলাচলের সুযোগ।
১৫. প্রথমে গার্মেন্টস এর জন্য প্রণোদনা ঘোষণা।
১৬. চিকিৎসা না দিলে ব্যবস্থা নিয়ে প্রজ্ঞাপন, পরে প্রত্যাহার।
১৭. সরকারি অফিস খোলার ব্যাপারে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দেয়া হয়নি।
১৮. ত্রাণ বিতরণে সমন্বয় নেই। জনপ্রতিনিধিরা হতাশ করেছেন।
এসব সিদ্ধান্ত নেয়া এবং পরিবর্তনের ফলে মানুষের মধ্যে একধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে।
শেষ কথা: মানুষ জ্বলছে ক্ষুধার জ্বালায়। সে কি লকডাউন মানবে? সে বলছেই করোনায় জান যাক, আগে কিছু খেয়ে নেই। মনে রাখা দরকার, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের আভাস দিয়েছে। খাদ্য সংগ্রহের উদ্যোগ আগেভাগেই নিতে হবে। খাদ্য সরবরাহকারী দেশ ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ভারত নিজেরাই আক্রান্ত।
করোনা বিশ্ব:
বিশ্ব করোনা পরিস্থিতি- বিশ্বের ১১০ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে। দৈনিক যুগান্তর লিখেছে, বিশ্বে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা৩০,৬৪,৮৯৪- জন মৃতের সংখ্যা ২,১১,৬০৯ জন এবং সুস্থ্য হয়েছেন ৯,২২,৫৮১ জন। দৈনিকটির অন্য একটি শিরোনামে লেখা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ ৩০ লাখ পার, কিছু লকডাউন শিথিল। এ খবরে লেখা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে করোনা শনাক্ত ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্ত ফ্রান্স ও স্পেন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকিয়ে লকডাউন থেকে তাদের বের হওয়ার কৌশলগুলো বিশদভাবে প্রকাশ করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, শাটডাউন থেকে বিভিন্ন দেশ যখন বের হয়ে আসার পথ খুঁজছে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, চীন এই মহামারির বিস্তার রুখতে উৎসস্থলেই ভাসরাসটিকে থামিয়ে দিতে পারত। যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
একটি মর্মান্তিক খবরে দৈনিকটি লিখেছে, খবরে লেখা হয়েছে, কোভিড-১৯ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে প্রায় অর্ধলাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। রোজ মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছেন শয়ে শয়ে মার্কিনি। লাশের সারি দেখতে দেখতে নিজেও করোনায় আক্রান্ত হওয়া দেশটির শীর্ষ এক চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন।
ওই ডাক্তারের নাম লরনা ব্রিন। তিনি করোনা মোকাবেলায় সামনের সারিতে থেকে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। এই চিকিৎসক করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে নিজেও কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর পর সুস্থ হয়ে আবার নেমে পড়েছিলেন করোনা মোকাবেলায়। মৃত্যু দেখতে দেখতে শেষ পর্যন্ত নিজেই আত্মহত্যা করে বসেন।
এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি:
ভারতের করোনা আপডেটের খবরে দৈনিক আনন্দবাজার শিরোনাম করেছে,২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বাধিক মৃত্যু, আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছুঁইছুঁই। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক দিনে সর্বাধিক মৃত্যু হল দেশে। মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৩৪। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৪৩ জন। ফলে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২৯ হাজার ৪৩৫।মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যাটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ! WHO প্রধানের পদত্যাগ দাবি ১০ লক্ষ মানুষের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
বিশ্বজুড়ে মহামারি। করোনার প্রভাবে প্রাণ গিয়েছে হাজার হাজার মানুষের। সংক্রমিত লক্ষ লক্ষ। কিন্তু এহেন মহামারি ঠেকাতে দৈনিক বিবৃতি দেওয়া ছাড়া WHO আর কোনও কার্যকারী পদক্ষেপই করেনি। WHO-এর ডিরেক্টর-জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) করোনা রুখতে পুরোপুরি ব্যর্থ এবং চিনের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। এই অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সরব হলেন ১০ লক্ষ মানুষ। করোনা রুখতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে WHO-এর ডিরেক্টর-জেনারেলের বিরুদ্ধে একটি অনলাইন পিটিশনে তাঁর পদত্যাগ দাবি করা হয়।
খারাপ খাবার, নোংরা টয়লেট, বিদ্যুৎ থাকে না! দেখুন, কীভাবে আছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা!-দৈনিক আজকালের এ খবরে লেখা হয়েছে, দিল্লির সরকারি আশ্রয়ে 'ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি' অবস্থা পরিযায়ী শ্রমিকদের। একে তো খারাপ খাবার। তার ওপর বিদ্যুৎ থাকে না বেশিরভাগ সময়। থাকলেও খারাপ পাখা, ঘোরে না। শৌচালয় কালেভদ্রে সাফ করা হয়, স্যানিটাইজ তো অনেক পরের কথা! হ্যান্ড ওয়াশ বা স্যানিটাইজার নেই। শৌচালয় থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। শৌচালয়ে জল সরবরাহ থাকে সকাল সাতটা থেকে ১১টা। স্নানের জন্য রয়েছে শৌচালয় পিছু একটি সাবান। কাপড় কাচার সাবান নেই। মশার কামড় থেকেও রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। তার সঙ্গে উপরি পাওনা, সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের খারাপ ব্যবহার।
পরিযায়ী শ্রমিকরা এই অবস্থায় বাড়ি ফিরতে চাইছেন। কিন্তু লকডাউনের জন্য ফিরতে পারছেন না।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৮