কথাবার্তা: বাংলাদেশ কি যুক্তরাষ্ট্রকেই অনুসরণ করছে, 'তাহলে কি জীবন তুচ্ছ!'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ২৮মে বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- দেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১৫, সর্বমোট ৫৫৯ -দৈনিক যুগান্তর
- শর্তসাপেক্ষে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন অফিস ও গণপরিবহন চালু -দৈনিক ইত্তেফাক
- তাহলে কি জীবন তুচ্ছ হয়ে গেল?--দৈনিক মানবজমিন
- আমরা কি যুক্তরাষ্ট্রকেই অনুসরণ করছি -দৈনিক প্রথম আলো
- সরকারি ত্রাণ দেওয়া হয়েছে ৬ কোটির বেশি মানুষকে'-কালের কণ্ঠ
- সীমান্ত খুলে দিচ্ছে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ -বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- দেশে মৃত ৪৫৩১, করোনায় চার রাজ্যেই সংক্রমিত লক্ষাধিক -দৈনিক আজকাল
- এক মাসেই দেশে কাজ হারিয়েছেন ১২ কোটি! -দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
- পরিযায়ীদের কান্না গোটা দেশ দেখতে পায়, বিজেপি পায় না'তোপ সোনিয়ার-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
পাঠক/শ্রোতা ! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
করোনার দাপটে বিশ্ব ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্ব মিডিয়ায় এ দুটি বিষয়ের আপডেট খবর বিশেষ গুরুত্বসহ পরিবেশিত হয়েছে। একনজরে সেসব খবর দেখে নেয়া যাক।

প্রথমে বিশ্ব করোনা পরিস্থিতির খবর: দৈনিক যুগান্তরের খবর-বিশ্বের দেশে দেশে করোনায় বেড়েই চলেছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ১১৪ জন। করোনায় এখন পর্যন্ত বিশ্বে মৃত্যু ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮০৭ জন এবং আক্রান্তও ছাড়ালো ৫৮ লাখ। হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন নিষিদ্ধ করছে ইউরোপের ৩ দেশ। ইত্তেফাক করোনা সম্পর্কে এক খবরে লিখেছে, ইন্দোনেশিয়ার সুরক্ষা মন্ত্রী মোহাম্মদ মাহফুদ এমডি বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস আপনার স্ত্রীর মতো; এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলেও পারা যাবে না।
সীমান্ত খুলে দিচ্ছে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ইতোমধ্যে লুক্সেমবার্গ সীমান্তে কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করেছে জার্মানি। ডেনমার্ক, হাঙ্গেরিসহ আরো কয়েকটি দেশ সীমান্ত খুলে দেয়ার পথে এগোচ্ছে। এদিকে দৈনিকটির অন্য এক খবরে লেখা হয়েছে, করোনায় ব্রিটেনে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি। গত ২৪ ঘন্টায় ৪১২ জন মারা গেছে।
বাংলাদেশের করোনা আপডেট :
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫৫৯ জন। আর নতুন করে দুই হাজার ২৯ জন এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এ পর্যন্ত সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল চল্লিশ হাজার ৩২১ জনে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে দুই লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৬টি। দৈনিক ইত্তেফাকের খবরে লেখা হয়েছে, শর্তসাপেক্ষে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন অফিস ও গণপরিবহন চালুর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। দৈনিক মানজমিনের খবরে লেখা হয়েছে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণপরিবহন চালুর বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। অন্যদিকে বিএনপি নেতা রহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছুটি না বাড়ানো সরকারের সবচেয়ে বড় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।

দেশে প্রতি ৬ তরুণে একজনের বেশি কাজ হারিয়েছেন, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তরুণীরা-দৈনিক মানবজমিনের এ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) মনে করে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বাংলাদেশে প্রতি ৬ জন তরুণের মধ্যে ১ জন কাজ হারিয়েছেন৷ আবার যাদের কাজ রয়েছে তাদের ২৩ শতাংশের কর্মঘণ্টা কমে এসেছে। শ্রমবাজারের ওপর করোনা ভাইরাসের মহামারির প্রভাব নিয়ে সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে তরুণ কর্মজীবীদের বিষয়ে উদ্বেগজনক এই চিত্র প্রকাশ করেছে আইএলও। চলতি বছর ফেব্রুয়ারির পর থেকে চালানো এক সমীক্ষার ভিত্তিতে তারা এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আইএলও মনিটর বলছে, কভিড-১৯ অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক’ এর চতুর্থ সংস্করণের তথ্য অনুযায়ী, মহামারি দুনিয়ার তরুণদের প্রতি বৈষম্যমূলকভাবে আঘাত হানছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব ধারাবাহিকভাবে ও দ্রুতগতিতে বাড়ছে, আর এক্ষেত্রে তরুণদের চেয়ে তরুণীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আমরা কি যুক্তরাষ্ট্রকেই অনুসরণ করছি-দৈনিক প্রথম আলো
বিস্তারিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, বৈশ্বিক মহামারিতে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানার প্রায় ১১ সপ্তাহ পর একজন শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেছেন, দেশে করোনার ঝুঁকি বেড়ে গেছে। গত ২৪ মে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে এ কথা জানিয়েছেন। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার অনুমতি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘ঘোষণাটি সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক হয়েছে।’ ‘সরকারের কথা ও কাজের মধ্যে মিল থাকছে না’ বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে, আগামী পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে দেশে করোনার ঝুঁকি আরও বাড়বে। প্রয়োজনে সরকারকে কারফিউ দিতে হবে বলেও মনে করছেন তিনি। অন্য কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ভাইরোলোজিস্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এবং এপিডেমিওলজিস্ট অধ্যাপক শহীদুল্লাহও ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে একই ধরনের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তবে, কারফিউ জারির মতো জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সীমিত আকারে গণপরিবহন চালুসহ অর্থনীতি সচল করার দিন-তারিখ ঘোষিত হয়েছে বুধবার।

তাহলে কি জীবন তুচ্ছ হয়ে গেল?-দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী তার মন্তব্য প্রতিবেদনে লিখেছেন, জীবন আর জীবিকা। এ দু’টার মধ্যে লড়াই আদিকাল থেকেই। আখেরে জীবন জিতেছে। জীবিকা হেরে গেছে। কারণ জীবন না থাকলে জীবিকা অর্থহীন। কিন্তু আমরা বাংলাদেশে কি দেখতে পাচ্ছি? ভয়ংকর ভাইরাসের থাবা যখন তুঙ্গে তখনই আমরা সব দরজা, জানালা খুলে দিচ্ছি। কারণ নাকি একটাই। মানুষ জীবনকে তুচ্ছ করে জীবিকার লড়াই চালিয়ে যেতে চায়।এটা ঠিক মানুষ আর কতদিন পেটে গামছা বেধে থাকবে। সে ঘরে বসে ছটফট করছে। বাঁচার তাগিদে সে দরজা, জানালা খুলে বের হয়ে আসতে চাচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটা একটা নতুন মুসিবত। অর্থনীতির চাকা ঘুরছেনা। চারদিকে শুধু আফসোস আর আফসোস। কি হবে, কি হবে রব। মন খারাপের অসুখে পেয়ে গেছে অনেককে। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন দীর্ঘদিন বন্দী থাকলে এমনটাই হবে। এর একমাত্র দাওয়াই কি দরজা ভেঙ্গে বের হয়ে যাওয়া? তাই যদি হয় তাহলে রেখে ঢেকে কেন? এক ঘোষণায় বলে দিলেই হয়। বাংলাদেশ চলবে তার মত করে। এই যুক্তি মন্দ নয়। কিন্তু আমরা যখন সকাল বিকাল সিদ্ধান্ত’র পরিবর্তন দেখি তখনই মনে হয় রাষ্ট্রকে অসুখে পেয়ে বসেছে। অস্থিরতাও দেখছি সরকারে। গত ২৪ ঘণ্টায় কতগুলো সিদ্ধান্ত দেখলাম! শিরোনাম এলো আর ছুটি বাড়বেনা। বলা হলো সবকিছু স্বাভাবিক হলেও গণপরিবহন চলবেনা। দু’ঘণ্টা পর আরেক ফরমান। সীমিত আকারে গণপরিবহনও চলবে। গণপরিবহন চলছে সীমিতভাবে এটা নিশ্চিত করবে কে? এই শক্তি কি আমাদের আছে? হুড়মুড় করে সব পরিবহন রাস্তায় নেমে পড়বে। তখন নিয়ন্ত্রণ করবে কে? বাস্তবে এর বিপরীতটাই ঘটবে।
অতীত অভিজ্ঞতা তাই বলে। ক’দিন আগেইতো আমরা দেখলাম নতুন অ্যাপের জন্ম হচ্ছে। আপনি কোথায় যাবেন, কেন যাবেন তা জানাতে হবে অ্যাপের মাধ্যমে। সে সিদ্ধান্তও নিমিষেই হারিয়ে গেল। ২৪ ঘণ্টায় আরেকটা সিদ্ধান্ত হলো। এখন থেকে সব হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা হবে। আচ্ছা বলুনতো কয়টা হাসপাতালে এই সুবিধা রয়েছে? যেখানে শয্যাই নেই সেখানে কোভিড রোগীর চিকিৎসা হবে কিভাবে? করোনা রোগীদের বেশিরভাগের জন্য ভেন্টিলেশন অপরিহার্য। হাসপাতালগুলোর চেহারা আমাদের সামনে ভাসছে। পাঁচ তারকা হাসপাতাল ছেড়ে কেন সিএমএইচ-এ যাওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা? স্বীকার করতেই হবে স্বাস্থ্যসেবা একদম নুইয়ে পড়েছে। পড়ারই কথা। কারণ স্বাস্থ্য সেবা বছরের পর বছর ধরে উপেক্ষিত। দুর্নীতি আর লুটপাটে একদম কাহিল। এক সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরিবার যেভাবে দুর্নীতি করেছে তাতো দেশি বিদেশি মিডিয়ায় এসেছে। কোন তদন্ত হয়নি। কারণ অজ্ঞাত। কেউ জানার চেষ্টাও করেনা। মিডিয়াও ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। অন্যদেশ খুলে দিয়েছে তাই আমি ঘরে বসে থাকব কেন? এমন যুক্তিও দেখানো হচ্ছে। অন্য দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাতো আমাদের মত নয়। সবাই জানে করোনা ভাইরাস যখন পিকে তখন আমেরিকা কিংবা ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মত অতি উন্নত ব্যবস্থাও ভেঙ্গে পড়েছিল। আমাদের এখানে স্ববিরোধীতা ভরপুর। একদিকে আমরা সব ওপেন করে দিচ্ছি।
এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি:
ভারতে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের জেরে সংক্রমণ। আজকালসহ প্রায় সব দৈনিকের এ খবরে লেখা হয়েছে, ভারতে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত এক লক্ষ ৫৮ হাজার ৩৩৩ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৪ জনের। এই নিয়ে দেশে কোভিডের কারণে মৃত্যু হয়েছে মোট চার হাজার ৫৩১ জনের।
পরিস্থিতি স্থিতিশীল, আলোচনায় সমাধান সম্ভব, লাদাখ নিয়ে সুর নরম চিনের-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

গালওয়ান উপত্যকায় সেনা মোতায়েন নিয়ে বুধবারই কিছুটা নমনীয় অবস্থান নিয়েছিল চিন। তারই প্রতিধ্বনি নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূতের গলাতেও। বুধবার চিনা রাষ্ট্রদূত সুন ওয়েডং সমঝোতার বার্তা দিয়ে বলেছেন, ভারত-চিন একে অন্যের পক্ষে বিপজ্জনক নয়। দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ কখনওই এমন পর্যায়ে যাবে না যে, তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে। অন্যদিকে বরাবরের মতোই চিনের পক্ষ নিয়ে ভারত সরকারকে আক্রমণ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি) বরাবর আচমকাই চিনা সেনার তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই নয়াদিল্লি-বেজিং সম্পর্ক উত্তপ্ত। তবে দৈনিকটির অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনের সঙ্গে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলাটা বেশি প্রয়োজন মোদীর, এমন মত বিশেষজ্ঞদের।
এক মাসেই দেশে কাজ হারিয়েছেন ১২ কোটি! সমীক্ষক সংস্থার রিপোর্টে ভয়ানক ইঙ্গিত-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার এ শিরোনামের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালু হতেই বোঝা যাচ্ছে বেকারত্বের ছবিটা। প্রতিদিন ট্রেনে করে নিজেদের রাজ্যে ফিরছেন হাজার হাজার শ্রমিক। রুজি-রুটির সংস্থান আপাতত বন্ধ। লকডাউন উঠে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ফের কর্মস্থলে ফিরলেও যে কাজ পাবেন, এমন নিশ্চয়তা নেই। এ সংক্রান্ত একটি বেসরকারি সংস্থার হিসেবে গত এক মাসেই কাজ হারিয়েছেন ১২ কোটিরও বেশি মানুষ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সংখ্যাটা যে আরও বাড়বে, তা এখনই আঁচ করছেন বিশেষজ্ঞরা। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা ছেড়ে আপাতত অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কাজ ফেরানোই বড় সঙ্কট হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রের কাছে। সময় যত গড়াচ্ছে, আরও শোচনীয় হয়ে পড়ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা।

পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী' কলকাতায় পা রেখেই তোপ অধীরের-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে,লকডাউনের জেরে দিল্লিতে আটকে পড়েছিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি। আজ সকালে কলকাতায় পা রেখেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারের প্রতি উগরে দিলেন ক্ষোভ। তোপ দাগলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর অভিযোগ-অভিবাসী শ্রমিকদের দুঃখ, যন্ত্রণা, কান্না দেখতে পাচ্ছে গোটা দেশ। কিন্তু তা চোখে পড়ছে না বিজেপির। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর ভারতবর্ষে সাধারণ মানুষকে এত কষ্ট কোনওদিন পেতে হয়নি।
২০ কেজি আইডি–বোঝাই গাড়ি আটক, ২০১৯–র হামলার পুনরাবৃত্তি এড়াল পুলওয়ামা-দৈনিক আজকালের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, সেই পুলওয়ামায় ২০ কেজির বেশি আইডি–বোঝাই গাড়ি থামিয়ে ২০১৯–এর মতো হামলার পুনরাবৃত্তি এড়াল নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জম্মু–কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার জানালেন, পুলওয়ামায় গাড়িবোঝাই আইইডি দিয়ে বড় নাশকতার মূল ছক ছিল জৈশের। আর তাদের সহায়ক ছিল হিজবুল মুজাহিদিন। আইজি বলেছেন, এই দুই পাক জঙ্গি গোষ্ঠীদের কাছ থেকে হামলার আগাম খবর গোয়েন্দা সূত্রে পেয়েই তাঁরা তৎপর ছিলেন। #
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৮