জুন ২৪, ২০২০ ১৮:৫০ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ২৪ জুন বুধবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • বাংলাদেশে করোনায় নতুন করে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩৪৬২ জন আক্রান্ত-দৈনিক মানবজমিন
  • কোটায় বন্দি টেস্ট, অনিশ্চয়তা বাড়ছে-দৈনিক মানবজমিন
  • দুর্ভোগ কমাতে বেসরকারি হাসপাতালে উন্মুক্ত করতে হবে করোনা পরীক্ষা-দৈনিক ইত্তেফাক
  • বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কর্মীদের বেতনের ৭৫ শতাংশ এফসি অ্যাকাউন্টে দিতে হবে -দৈনিক সমকাল
  • চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ভারতের অর্থনীতির জন্য আত্মহত্যা-দৈনিক যুগান্তর
  • পরীক্ষ ছাড়াই করোনা শনাক্তের অভিযোগ,  জেকিজির সিইও গ্রেফতার-দৈনিক প্রথম আলো
  • ব্যর্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করুন-পীর হাবিবুর রহমান-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  •  আরও চার জেলায় রেড জোনে ২১ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা-কালের কণ্ঠ
  • গণপরিবহনে হাহাকার-মানবকণ্ঠ

ভারতের শিরোনাম:    

  • ২৪ ঘন্টায় ভারতে প্রায় ১৬ হাজার আক্রান্ত, আরও মৃত্যু ৪৬৫ জনের-আনন্দবাজার পত্রিকা 
  • আর্থিক সঙ্কটম সীমান্ত সঙ্ঘাতের জন্য দায়ী মোদি-অভিযোগ কংগ্রেসের-আজকাল 
  • করোনা সন্দেহে দেহ দাহতে বাধা, আলিপুর দুয়ারে সৎকার নিয়েও রাজনীতি বিজেপির-সংবাদ প্রতিদিন

পাঠক/শ্রোতা! এবারে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১.করোনায় কাজ হারিয়ে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ.... একটি দৈনিক প্রথম আলোর খবর। বিষয়টিকে কিভাবে বিশ্লেষণ করবেন আপনি?

২.আলোচনার কক্ষে আগুন লাগিয়েছে আমেরিকা। এ কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ডঃ হাসান রুহানি। অর্থাৎ তিনি আলোচনা না হওয়ার জন্য আমেরিকাকে দায়ী করেছেন। কতটা যৌক্তিক ইরানের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য?

বিশ্বেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

বাংলাদেশে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩৪৬২ জন। আর গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৩৭ জন। 

বিশ্ব করোনা

ওয়ার্ল্ডোমিটারের আজকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বে এখন পর্যন্ত৯৩ লাখ ৬৯ হাজার২২৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪ লাখ ৮০ হাজার ৯৫ জন। 

চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ভারতের অর্থনীতির জন্য আত্মহত্যা-দৈনিক যুগান্তর

সীমান্তে ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ নিয়ে গত সপ্তাহে চীন-ভারতের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই চীনা পণ্য বর্জনের প্রচারণা শুরু করে ভারত। পাশাপাশি চীনা পণ্যে অতিরিক্ত শূল্কারোপ করে দেশটির কর্তৃপক্ষ। নিঃসন্দেহে এগুলো ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আত্মহত্যার পথ।

চীনা সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত মূলত রাজনৈতিক কারণে চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব করতে চাইছিল।সোমবার পর্যন্ত ৪ লাখ ১০ হাজার করোনা শনাক্ত নিশ্চিতের পরও ভারত সরকার লকডাউন শিথিলতার দিকে এগোচ্ছে। বলা হচ্ছে, অর্থনীতির এমন পরিস্থিতিতে আর লকডাউন দেয়ার সামর্থ্য ভারতের নেই। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ভাইরাস প্রতিরোধের প্রচেষ্টা থেকে কিছুটা চাপ মুক্তি পেতেই ভারত এমনটি করেছে।

বেইজিংয়ের সংবাদ মাধ্যম বলছে, চীনের সঙ্গে লড়াই দেশটির অর্থনীতির জন্য একটি স্বেচ্ছাধ্বংসাত্মক কাজ। বিশ্বমান শৃঙ্খলা অনুযায়ী, ভারত যদি চীনা পণ্য বর্জন করতে চায় তাহলে দেশটির বিভিন্ন ফার্ম ও ভোক্তাদের উচ্চ ব্যয় বহন করতে হবে; এর জন্য ভারতের বেশি বিকল্প থাকবে না। এ ছাড়া কিছু ভারতীয় শিল্পখাত চীন থেকে সরবরাহের ওপর নির্ভর করে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো চীনের সহযোগিতা ছাড়া পরিচালনা করা সম্ভব নয়। সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক মাস লকডাউনের পর ইতিমধ্যে ভারতের আর্থিক অবস্থায় মারাত্মক ধস নেমেছে। ভারতের সরকারি তথ্যানুসারে, এপ্রিল মাসে আমদানি বছর ভিত্তিতে ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং রফতানি বছর ভিত্তিতে ৩৩ দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষে উত্তেজনা বাড়ানো অথবা চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করা যুক্তিহীন; কারণ দু'দেশ একই উচ্চ পর্যায়ের শ্রেণিতে নেই।

ব্যর্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করুন-পীর হাবিবুর রহমান-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন

পীর হাবিবুর রহমান

করোনার ভয়াবহ থাবায় এখন আক্রান্ত প্রিয় স্বদেশ। জীবন-মরণের লড়াই, জীবিকা ও অর্থনীতির বিপর্যয়ে লাশের মিছিল ক্রমে দীর্ঘ হচ্ছে। আক্রান্তের হিসাব বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী যা-ই বলুন মানুষ কান দিচ্ছে না। ভয়-আতঙ্ক-অসহায়ত্ব গ্রাস করেছে দেশের মানুষকে। যারা অসচেতন, বেপরোয়া তাদের কথা আলাদা। করোনার পরীক্ষা ও ল্যাব ব্যাপক বাড়ানো হলে, দ্রুত রিপোর্ট এলে, আক্রান্তের মিছিল ভয়াবহ রূপ নিত। আমরা পরীক্ষা থেকে চিকিৎসাÑ দুটিতেই অনেক পিছিয়ে। করোনা জয় করে যারা ফিরছেন তারা কাহিল। বেশির ভাগ মানুষ ঘরেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা জ্বর, মাথাব্যথা, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গের শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন, টেস্ট করাচ্ছেন তারা অনেকেই বেঁচে গেছেন। ঘরেই আইসোলেশনে চিকিৎসায় ভালো হচ্ছেন। যাদের হাসপাতালে যেতে হচ্ছে তাদের বড় দুর্দিন।

এখনো সাধারণ মানুষের জন্য করোনার চিকিৎসা সোনার হরিণ। করোনার প্রলয়ে সব চিকিৎসাই এলোমেলো। কার্যত দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা যে ভেঙে পড়েছিল তা ঘুরে দাঁড়াতেই পারেনি। স্বাস্থ্য বিভাগের নেতৃত্বের এবার দক্ষতার ক্যারিশমা দেখানোর চ্যালেঞ্জ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নেতৃত্ব শুরু থেকেই ব্যর্থতার কলঙ্ক নিয়ে সমালোচনার তীরে ক্ষতবিক্ষত হয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের সমন্বয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তিশালী প্রস্তুতি এখনো গড়ে তুলতে পারেনি। পারেনি অনিয়ম-দুর্নীতি রুখতে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতনরা যখন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নেন করোনার, মন্ত্রীরা যখন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন, তখন নিশ্চিত হওয়া যায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বলে কিছু নেই।দেশে সৎ দক্ষ নেতৃত্বের এমন আকাল যে স্বাস্থ্য বিভাগের নেতৃত্ব যতই ব্যর্থ অথর্ব বা দুর্নীতিগ্রস্ত হোক তাদের সরানো যাবে না। চীনা চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ দল যা বলে গেছেন তা সুখকর নয়। তারা কি বলবেন দেশের সবাই এখন নিয়ত হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন না। পদত্যাগ করার নীতিবোধ, সততা ও ব্যক্তিত্ব এ দেশের রাজনীতিতে জহির উদ্দিন খানের পর আর কারও মধ্যে দেখা যায়নি। মন্ত্রিত্বে পদবিতে এখন মধু মেলে। প্রধানমন্ত্রীকেই এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করাতে হবে, নয় বরখাস্ত করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের যেসব দুর্নীতিবাজ অথর্ব আছে তাদের একটা অংশকে না সরালে চিকিৎসাসেবায় পরিবর্তন আসবে না। সরকারের ৪৩ মন্ত্রী নিজেদের এলাকায় দ্রুত আইসিইউ প্রতিষ্ঠার কোনো সক্রিয় উদ্যোগ নেন না কেন?

বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি

সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব হাসপাতালই আসলে করোনাকালে গা বাঁচিয়ে চলছে। রোগী ভর্তিতে বড় অনীহা। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেও ডাক্তার-নার্সের দর্শন কম। মূলত ওয়ার্ডবয়রাই দিনে দু-একবার দেখেন। বেসরকারি হাসপাতালের অধিকাংশেই সেবা নেই, আছে বাণিজ্য। আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ৩০ মিনিটের অক্সিজেন বিল ৮৬ হাজার টাকা! এ কোন মগের মুল্লুক? চিকিৎসাসেবার মনিটরিং নেই, বেসরকারি হাসপাতালে কোনটার চার্জ কী হবে সরকার এ দুর্যোগে নির্ধারণ করে তদারকি বাড়ায় না কেন? ওষুধের দাম সরকার কেন নির্ধারণ করবে না? এ দুঃসময়ে অসহায় মানুষ চিকিৎসায় নিঃস্ব হবে? মানুষেরও সহ্যক্ষমতা বলে একটা সীমা আছে। সবার বাড়িতে বা পকেটে লুটের ভাগ যায় না।

বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ রোগের ক্ষেত্রে কভিড সার্টিফিকেট ছাড়া ভর্তির কোনো উপায় নেই। সেটা যত জরুরিই হোক। জরুরি সিজারের রোগীও করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট ছাড়া ভর্তি নেয় না। চিকিৎসক স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদেরও মৃত্যুর পরিমাণ কম নয়। তাদের ভয় দূর করা যায়নি। তাদের নিরাপত্তা বীমা নিশ্চিত হয়নি। সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ দুর্নীতিতে যত দুর্নাম কুড়িয়েছে সেখানে করোনার দুর্যোগ মোকাবিলা, দক্ষতা-সফলতা-সুনামের লক্ষণ নেই। নকল মাস্ক এন৯৫ কেলেঙ্কারি ধরা হয় না, ভুল বলে ধামাচাপা। রাজ্জাকের জেএমআই ধরাছোঁয়ার বাইরে। স্বাস্থ্য খাতের লুটপাটের এক দশকের মাফিয়া ডন মিঠু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেই। পুরনো লুটেরা ধরা যায় না নতুন লুটেরাদের বাজারে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলছে জালিয়াতি করে লুটবার। নির্মাণ ঠিকাদারও মাস্ক জালিয়াতিতে ধরা পড়ে! মাস্ক কেলেঙ্কারিতে নব্যরা ধরা পড়ছে। পুরনোরা কালো তালিকাভুক্ত হচ্ছে। কিন্তু কার্যত স্বাস্থ্য খাতের লুটপাটের পৃষ্ঠপোষক বা ঊর্ধ্বতনদের ধরার কোনো আলামতই নেই। কাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এত বড় দাগের লুট চলছে বছরের পর বছর? লুটপাটের বাজারে ছাগল দৃশ্যমান, খুঁটিই কেবল অদৃশ্যে। সংবিধান-আইন সবার জন্য সমান না হলে, দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীন-শক্তিশালী না হলে দুর্নীতিবাজরা আরও বেপরোয়া হবে। সিস্টেমে পরিবর্তন আনতে হবে। সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।

দুদকের হাঁকডাক তলিয়ে গেছে ফাঁকা আওয়াজে। একজন রাঘববোয়াল আটকানোর নজির নেই, কোন খাতের দুর্নীতির! প্ুঁটি মাছ যাও তদন্তে আনে তাও নানা প্রভাবে সাদা করে বের করে দেয়। যেন ক্রিমিনালদের পরিষ্কারের ছাড়পত্রদানের জায়গা।

করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন সোনার হরিণ। আইসিইউ চাঁদের মতোন দুর্লভ। হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর বাসি হয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের অবস্থা মুমূর্ষু। সরকারি হাসপাতাল যেন বিনা চিকিৎসায় মানুষের মরণযন্ত্রণার নরক। চিকিৎসক-নার্সদের অবহেলা।

বিএনপি-জামায়াত আমলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দুর্নীতির অর্থ লন্ডনে পাচারের মামলা আছে। বিএনপি খারাপ শাসন দিয়েছে, অপশাসন দিয়েছে, দুর্নীতি-অপরাধ করছে, তার পাপের ফলও ভোগ করেছে। জনগণও প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা দিয়েছিল। কিন্তু টানা ১১ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে কি জবাবদিহিমূলক সুশাসন দিয়েছে? দুর্নীতির লাগাম কি টেনে ধরেছে? করোনাকালের মহাবিপর্যয়কালেও কি একটি মহলের দুর্নীতির মহোৎসব থেমেছে? এসব প্রশ্ন আসছে। কেন পারেনি! রহস্যময় সব মিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রশ্নের?

এক দশকে শেখ হাসিনার সরকারের দৃশ্যমান বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের বিপরীতে দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র দেখেছে বাংলাদেশ। চিত্রটা দেশজুড়ে।

এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি: প্রথমে লাদাখ পরিস্থিতির আপডেট খবর:

লাদাখ সফরে সেনাপ্রধান, সেনা সরাতে রাজি দু’দেশ-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চোখে-চোখ রেখে দাঁড়ানো অবস্থান থেকে অবশেষে সরে আসতে রাজি হল ভারত ও চীন। তবে আজই চিনা সেনার সংঘর্ষে আহত ভারতীয় জওয়ানদের দেখতে লাদাখে গিয়ে সেনাপ্রধান এম এম নরবণে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, ভারতের পক্ষ থেকে কোনও উসকানি দেওয়া না-হলেও সীমান্ত পাহারায় বিন্দুমাত্র শিথিলতা দেখানো হবে না। গতকাল চুসুল-মলডো সীমান্তে ১১ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যে সব এলাকায় দু’দেশের সেনা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, সেখান থেকে পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরানো হবে বাড়তি সেনা ও কামান। তবে কাজটি যে সময়সাপেক্ষ তা মেনে নিয়েছে দু’দেশই। 

,চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ন আজ জানান, পরিস্থিতি ঠান্ডা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, গতকালের বৈঠক নিয়ে আজ বেলা একটা পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি দিল্লি।

কংগ্রেসের সভান্ত্রেী সোনিয়া গান্ধী

দৈনিক আজকালের খবরে লেখা হয়েছে, করোনা মহামারির জন্য দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট, এবং সেইসঙ্গে সীমান্তে চীনের সঙ্গে সঙ্ঘাত, এই দুইয়ের জন্যই দায়ী নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘অব্যবস্থা। অভিযোগ কংগ্রেসের। কী সেই অব্যবস্থা? দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বক্তব্য, সরকারের সব ক্ষমতা নিজের হাতে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ যে কোনও সমস্যায় অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন তিনি। পাশাপাশি করোনা ও অর্থনৈতিক দুরবস্থা নিয়ে সোনিয়ার অভিযোগ, রাজ্যগুলোকে বিন্দুমাত্র আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে না। গতকাল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে মোদি সরকারকে বিঁধতে গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতি, দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা এবং পূর্ব লাদাখের গালোয়ান সীমান্তে চীন-‌ভারত সঙ্ঘাত, এই সব কিছুর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অব্যবস্থা দায়ী। ’তবে, কংগ্রেস মনে করছে, সঠিক কূটনৈতিক পথেই ভারত-‌চীন সঙ্ঘাতের সমাধান সম্ভব।

করোনায় ভারত: মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বুধবার সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়ে গেল। এ ভাবেই দেশে ফি-দিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই সংক্রমণ বৃদ্ধি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞদের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১৬ হাজার জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। আর নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৪৬৫ জনের। এখনও পর্যন্ত  মোটি মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৪৭৬ জনের।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৪