জুলাই ২১, ২০২০ ১৪:৩১ Asia/Dhaka

প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ২১ জুলাই বুধবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই দেখে নেব ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম:

প্রথমে বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে মদতদাতারা-দৈনিক ইত্তেফাক
  • বিদেশগামীদের করোনা টেস্ট- একদিনে রিপোর্ট মিলবে তো!-মানবজমিন
  • অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকর- বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • বিএনপি কি এবার আসলেই জামায়াতকে ছাড়বে-প্রথম আলো
  • সচিব হতে না পারায় মেধাবী অনেকের ক্ষোভ বাড়ছে-দৈনিক যুগান্তর
  • সাবরিনার দুর্নীতির নথি চেয়ে ৪ প্রতিষ্ঠানে দুদদের চিঠি-দৈনিক সমকাল

ভারতের শিরোনাম:

  • ভারত মহাসাগরে চীনের বাড়াবাড়ি, আগামী বছরই সাবমেরিন ধ্বংসকারী বিমান হাতে পাচ্ছে ভারত-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
  • একদিনে ভারতে করোনায় মুত্যু ৫৮৭ জন-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
  • অক্সফোর্ডের করোনা টিকার পরীক্ষা হবে ভারতেও, উৎপাদন শুরু শিগগিরিই-দৈনিক আজকাল
বিশ্ব করোনা পরিস্থিতি
  • মহামারি করোনা পরিস্থিতি: ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬ লাখ ১৩ হাজার ছাড়াল। আর আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দেড় কোটি। সুস্থ্য হয়েছেন ৮৯ লাখ।

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৪১ জন। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৭  জন।

ভারতে একদিনে মুত্যু হয়েছে ৫৮৭ জনের এবং এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন  ৩৭ হাজার ১৪৮ জন।

অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন আসছে খুব শিগগিরি

তবে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে অক্সফোর্ডের যে আশার কথা শোনা যাচ্ছিল তা আরো একধাপ এগিয়ে গেছে। আজ বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্বের সব মিডিয়ায় এ সম্পর্কিত খবর পরিবেশিত হয়েছে। এ খবরে বলা হয়েছে,করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর হিসেবে প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে স্বীকৃতি পেয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম বলে প্রমাণিত হয়েছে। ফলাফলে দেখা গেছে, পরীক্ষার ৫৬ দিন পর্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টিবডি উৎপাদন ও টি-সেল রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর এ ফল আরও বেশি হতে পারে। গতকাল আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটে ভ্যাকসিনটির প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফল প্রকাশের পরই এটি বাজারজাত করা হবে।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তৈরি ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ৭৭ জনের ওপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়। ইনজেকশনের মাধ্যমে ভ্যাকসিনটি মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়। তাতে দেখা গেছে, ভ্যাকসিনটি নতুন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানবদেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উপযুক্ত করে তুলতে সহায়তা করে। একই সঙ্গে তৈরি করে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি ও শ্বেত রক্তকণিকা, যা নতুন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলছেন, প্রাথমিকভাবে যে ফলাফল পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে বলা যায় যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটির সম্ভাবনা অনেক বেশি।

জানা যায়, একই ধরনের ভাইরাসের ক্ষেত্রে আগে যে ওষুধ কার্যকর হয়েছিল, তার ওপর ভিত্তি করেই অক্সফোর্ডের গবেষকরা অধ্যাপক সারাহ গিলবার্টের নেতৃত্বে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করেন। ভ্যাকসিনটির নাম দেওয়া হয়েছে এজেডডি১২২২। এজেডডি১২২২ নামের ভ্যাকসিনটি তৈরির পেছনে মূল কাজ করেছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ব্রিটেন-সুইডিশ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা ফার্মাসিউটিক্যাল পার্টনার হিসেবে এ ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বণ্টনের কাজ করছে। বিশ্ববাসী যেন খুব দ্রুতই এ ভ্যাকসিন পেতে পারে এজন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মধ্যেই ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু করেছে অ্যাস্ট্রাজেনকা। খুব তাড়াতাড়ি ২০০ কোটি ডোজ করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বণ্টন করতে যাচ্ছে কোম্পানি। এর মধ্যে ৪০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বরাদ্দ থাকছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের জন্য। আর নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর জন্য থাকছে ১০০ কোটি ডোজ। প্রথমে পাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। এরপর নতুন বছরের শুরুতেই বিশ্বব্যাপী বণ্টন করা হবে এ ভ্যাকসিন।

অ্যাস্ট্রজেনেকার সিইও প্যাসক্যাল সোরিয়েট বলেন, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর মধ্যে ১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বণ্টনের জন্য এরই মধ্যে ভারতীয় কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। এর উৎপাদন হবে ব্রাজিলেও। বছরের শেষ দিকে ৪০ কোটি ডোজ হস্তান্তর করা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এ ভ্যাকসিনের দাম হাতের নাগালের মধ্যেই রাখা হবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, তারা কয়েক শ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করতে যাচ্ছে। আর প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের দাম রাখা হতে পারে এক কাপ কফির দামের সমান।

বাংলাদেশ করোনা ভ্যাকসিন বিনামূল্যেই পাবে : বিশ্বে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে সবার আগে তা বাংলাদেশে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান। সচিব বলেন, যুক্তরাজ্য, চীনসহ অনেক দেশই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তথ্যমতে, বিশ্বের যেসব দেশের মাথাপিছু আয় ৪ হাজার ডলারের নিচে, সেসব দেশ এ ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাবে। যেহেতু বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার মার্কিন ডলারের কাছাকাছি, সুতরাং বাংলাদেশ এ ভ্যাকসিন বিনামূল্যেই পেয়ে যাবে।

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ

করোনা কাণ্ড নিয়ে বেশ কয়েকটি খবর পরিবেশিত হয়েছে বিভিন্ন দৈনিকে। দৈনিক ইত্তেফাকের শিরোনাম-সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে মদতদাতারা বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, 

**বিতর্কিতরা গ্রেফতার হলেও গডফাদার ও সুবিধাভোগীরা আড়ালেই থাকছেন **অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জানা যায় না প্রকৃত ঘটনা

নানা কারণে বিতর্কিতরা গ্রেফতার হলেও তাদের গডফাদার বা মদতদাতারা সব সময় থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এমনকি তাদের থেকে যারা সুবিধা নিয়েছেন তাদের নামও কখনো প্রকাশ হয় না। বিতর্কিত ব্যক্তিরা গ্রেফতারের পর জেলে যাচ্ছেন। ভিন্ন মামলায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও হচ্ছে। কারো সাজাও হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার প্রভাব বিস্তারের জন্য কারা সহযোগিতা করেছেন তাদের নাম কখনো প্রকাশ হচ্ছে না। এমনকি তদন্তকারীরাও তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন না।

সাহেদদের গডফাদাররা ধরাছোঁঁয়ার বাইরে

এই প্রবণতা শুধু এখন নয়, এর আগে বিএনপির শাসনামলেও এমনটা দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব কারণে একজন সাহেদ বা সম্রাট ধরা পড়লেও কিছুদিন পর আরেকজন সাহেদ বা সম্রাট তৈরি হচ্ছে। যারা তাদের তৈরি করছে তাদের আইনের আওতায় আনতে পারলে এই ধরনের বিতর্কিতরা নতুন করে সৃষ্টি হতো না। কিন্তু সেই কাজটাই হচ্ছে না।

টিআইবির ন্যায়পাল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, ‘পেছনে থেকে যারা এদের সাহেদ বা পাপিয়া বানিয়েছে, তাদের কখনই ধরা হয় না বলেই আজ এদের বিস্তৃতি ঘটছে—এটা শতভাগ সত্যি। আসলে এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। ফলে একজন ধরা পড়লেও আরেকজন তৈরি হচ্ছে।

বেরিয়ে আসছে সাহেদের ঘনিষ্ঠদের নাম

বেরিয়ে আসছে সাহেদের ঘনিষ্ঠদের নাম রিজেন্টের নথি দুদকে, এনআইডি ব্লক-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে,

ভয়ঙ্কর প্রতারক সাহেদের ঘনিষ্ঠজনদের নাম। প্রতারণার জগতে উত্থান থেকে সর্বশেষ গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত সাহেদকে বিভিন্ন সুবিধার বিনিময়ে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন এমন ব্যক্তির তালিকা এখন তদন্ত সংশ্লিষ্টদের কাছে। ১০ দিনের রিমান্ডে থাকা সাহেদ এরই মধ্যে এ সম্পর্কে আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেছেন তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে। কীভাবে তাদের সঙ্গে পরিচয়, কীভাবে তাদের কাজে লাগিয়েছেন কিংবা তাদেরকে দেওয়া সুবিধাগুলো কী ছিল। অন্যদিকে, প্রতারণার এই জাদুকরের জাতীয় পরিচয়পত্র সাময়িক স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। নিজেকে আড়াল করতে সাহেদ করিম নাম পরিবর্তন করে নতুন করে মোহাম্মদ সাহেদ ধারণ করেছেন। জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজে সাহেদ অন্তত ৫ জন বক্তির সহায়তা নিতেন। পরবর্তীতে নিজের কৌশল এবং তাদেরকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করে বাগিয়ে নিতেন বিভিন্ন কাজ। তাদেরই একজনের পরামর্শে সর্বশেষ কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে চুক্তি করেন সাহেদ।

সব অপকর্মকে পেছনে ফেলে টার্গেট ছিল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন। রানা প্লাজা ধসের ঘটনার মতোই তিনি বেছে নিয়েছিলেন করোনাকালীন রোগীর সেবার সাইনবোর্ড। একে পুঁজি করেই ভবিষ্যতে নিজের আখের গোছানোর কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। তবে অতি লোভের কারণে তার সবকিছু ভেস্তে গেছে।

সূত্র বলছে, সাহেদের নামে এতগুলো মামলা থাকার পরও তিনি কীভাবে বঙ্গভবনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের দাওয়াত পেতেন তাও খতিয়ে দেখছে অনেকগুলো সংস্থা।

এ ছাড়া মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও রিজেন্ট হাসপাতালের মতো একটা অবৈধ হাসপাতালের সঙ্গে কীভাবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চুক্তি হলো এ বিষয়টি বারবারই সামনে আসছে। কারা নেপথ্য থেকে কলকাঠি নাড়ছে সে সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

কীভাবে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটিতে সদস্য পদ বাগিয়ে নিয়েছিলেন তাও রীতিমতো ভাবিয়ে তুলছে ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দাদের। একই সঙ্গে নিজের প্রতারণা আড়াল করতে কাদের কীভাবে সন্তুষ্ট করতেন জিজ্ঞাসাবাদে সাহেদের দেওয়া তথ্যে রীতিমতো বিস্মিত তারা। 

সাহেদকে নিয়ে ইত্তেফাকের একটি খবরের শিরোনাম- মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ চিকিৎসকদের। প্রথম আলোর অন্য একটি খবর- কতটাকা পাচার করেছেন সাহেদ? এ খবরে লেখা হয়েছে, প্রায় ৫২ কোটি টাকা পাচারের খবর আছে। ২০১২ সাল থেকে টাকা পাচার শুরু করে সাহেদ।

মানবজমিন লিখেছে, সাহেদের কারণে তছনছ দুই তারকা দম্পতির সংসার। এদিকে করোনা কাণ্ডের ওসব ঘটনার পর করোনা হাসপাতাল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে মানুষ। এমন খবর পরিবেশিত হয়েছে দৈনিক প্রথাম আলোতে।

পানির তলে ঢাকার রাজপথ: দিনভর চরম ভোগান্তি মানুষের

একটু বৃষ্টি হলেই জলে ভাসে ঢাকা। সমাধানে কেবল হাঁকডাক-টাকার শ্রাদ্ধ- এ শিরোনামের খবরে দৈনিক প্রথম আলো লিখেছে,সূর্যের উদয়-অস্তের মতো চিরন্তন সত্যে পরিণত হয়েছে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা।টানা কিছুক্ষণ বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় শহরের বড় অংশ।সমাধানের নামে কেবলই হাঁকডাক সার কোনো সমাধান হয় না। গতকালও তিন ঘন্টার বৃষ্টিতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে ঢাকা শহর। দিনভর চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় ঢাকাবাসীকে।

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত: 

বেহসৃ

চীনের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগ

চীন-ভারত উত্তেজনা প্রসঙ্গ।দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে লেখা হয়েছে, জলদস্যু দমনের নামে কৌশলে ভারত মহাসাগরে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে চীন। তা ঠেকাতে সেখানে ভারতীয় নৌবাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডারে সাবরেমরিন ধ্বংসকারী আরও চারটি পি-৮আই বিমান যোগ হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগামী বছরই সেগুলো ভারতে হাতে আসবে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে  ভারত মহাসাগরে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।লাদাখে চীনের সঙ্গে সঙ্ঘাতের ঢের আগে থেকেই ভারত মহাসাগরে চীনের গতিবিধিতে উদ্বিগ্ন ভারত।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

ভারতের সমালোচনা করে ফের কাশ্মিরী জঙ্গিদের পাশে থাকার বার্তা পাকিস্তানের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের এখবরে লেখা হয়েছে,কথায় আছে, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এই প্রবাদটা সবসময়ই সত্যি। কারণ সারা পৃথিবী যখন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যস্ত তখনও জঙ্গিদের মদত দেয়া থেকে শুরু করে কাশ্মীর সীমান্তে  সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান।রোববার পাকিস্তান দিবসের দিনও কাশ্মীরের জেহাদিদের পাশে দাঁড়িয়ে সওয়াল করতে দেখা গেল শাসক ও বিরোধী সবাইকে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সব নেতারাই কাশ্মীরের জঙ্গি কার্যকলাপকে স্বাধীনতার লড়াই বলে উল্লেখ করলেন।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২১