সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২০ ১৭:৫২ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা!৭ সেপ্টেম্বর সোমবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • বাংলাদেশ নিয়ে কূটনীতি: প্রভাব বিস্তারে চীন-ভারতের প্রতিযোগিত-মানবজমিন
  • মসজিদে বিস্ফোরণে আরেকজনের মৃত্যু, সংখ্যা বেড়ে ২৭-কালের কণ্ঠ
  • সব দিকে নজর রেখে সশস্ত্র বাহিনীকে ঢেলে সাজিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী-যুগান্তর
  • ভ্যাকসিন নিয়ে অস্বস্তিতে রাশিয়া!-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু ছাড়াল সাড়ে ৪ হাজার, শনাক্ত তিন লাখের বেশি-ইত্তেফাক
  • বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে সংসদে সরব বিএনপি, পাল্টা অভিযোগ জাপার-সমকাল
  • মসজিদ বেআইনি কি না, এটা এই মুহূর্তে বিবেচ‍্য নয়: ফখরুল-প্রথম আলো
  • এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:
  • চীন ও পাকিস্তানকে তোপ, সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ বিএসএফ প্রধানের--সংবাদ প্রতিদিন
  • ফের  করোনায় নতুন সংক্রমণ ৯০ হাজারের বেশি, দেশে আক্রান্ত ৪২ লাখ ছাড়াল-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ভ্যাকসিন নিয়ে চলছে ‘‌স্পাই–যুদ্ধ’!‌ গবেষণার তথ্য হাতাতে আরও তৎপর চীনা হ্যাকাররা‌-আজকাল
  • কোভিডের ধাক্কা,চন্দ্রযান-৩অভিযান পিছিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

শিরোনামের পর এবার দুটি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব। 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১.দেশে রাজনীতির পরিবর্তনটা জরুরি হয়ে গেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে এ শিরোনাম করেছে দৈনিক মানবজমিন। কি বলবেন আপনি?

২. ইরানবিরোধী জোট গঠনে সম্মত হয়েছে ইসরাইল ও আমিরাত। একথা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। যদি তাই হয় তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে কি ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

আল জাজিরার প্রতিবেদন-বাংলাদেশ নিয়ে কূটনীতি: প্রভাব বিস্তারে চীন-ভারতের প্রতিযোগিতা-পরিবেশিত হয়েছে দৈনিক মানবজমিনে

ভারত -বাংলাদেশ

সীমান্তে চীন-ভারত উত্তেজনার মাঝে বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার নিয়ে চীন এবং ভারতের প্রতিযোগিতা বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচার করেছে সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা। আল জাজিরার ওই প্রতিবেদনটিরর অনুবাদ হুবহু তুলে ধরেছে মানবজমিন পত্রিকা।

২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর বাংলাদেশ সফরের পর বাংলাদেশ এবং চীন নিজেদের কৌশলগত অংশীদারে পরিণত করেছে। চীন বাংলাদেশকে প্রায় ৩৮ বিলিয়ন ডলার সহায়তা এবং ঋণসহায়তার অঙ্গীকার করে। যেখানে ভারত ৮ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি আর্থিক প্যাকেজের প্রস্তাব দেয়।

চায়না-বাংলাদেশ

চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এ বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশে ১০০'র বেশী চীনা কোম্পানি কাজ করছে, অন্য কোন দেশ এই অবস্থায় নেই। অন্য সবারই এর চেয়ে কম। নিকট ভবিষ্যতে আমরা আরো অনেক বেশি চীনা কোম্পানিকে এখানে দেখবো।

এর অন্যরকম চিত্র দেখা যায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে৷ ডিসেম্বরে ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অনুমোদনের পর থেকেই ঝামেলার শুরু। সমালোচকদের মতে, এতে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে এবং এ নিয়ে প্রতিরোধ সহিংসতায় গড়ায়। নদীর পানিবন্টন, ট্যারিফ চালু, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দ্বারা অনেক বাংলাদেশী বেসামারিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়েও দুই দেশের মাঝে সমস্যা রয়েছে।

আগস্ট মাসে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এক ঝটিকা সফরে ঢাকা আসেন।

করোনা মহামারির মধ্যে তার এই প্রথম বিদেশ সফরের উদ্দেশ্য ছিল দুদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য তিনি যে বিশেষ বার্তা নিয়ে এসেছিলেন, সে বিষয়ে জনসম্মুখে কিছু জানানো হয়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নয়াদিল্লির সাথে ঢাকার সম্পর্ক নষ্ট করতে চীন তার অর্থনৈতিক শক্তি দিয়ে ভারতীয় সীমান্তের নিকট নির্মাণ ও সামরিক প্রজেক্টে অর্থ বরাদ্দ করতে পারে, তা নিয়ে যে ভারত উদ্বিগ্ন শ্রিংলার এই সফর সে ইঙ্গিত বহন করে।

দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ভারত বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তান পরিস্থিতির দিকে নজর দিতে উপদেশ দিচ্ছে, যেখানে চীনের বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প দেশগুলোকে বিপদে ফেলেছে। ভারত চায় না বাংলাদেশ সেরকম কোন ঝামেলায় পড়ুক।

চীন এখন বাংলাদেশের একক বৃহৎ বিদেশী বিনিয়োগকারী রাষ্ট্র। চীনের বিনিয়োগ এখন শুধু সামরিক সুবিধা বা পাওয়ার প্রজেক্ট এ সীমাবদ্ধ নয়। একটি চীনা কোম্পানি (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত) রাজধানী ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে সর্ববৃহৎ তথাকথিত 'স্মার্ট সিটি' বানাচ্ছে যেখানে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্র এবং অন্যান্য সুবিধার ব্যবস্থা থাকবে। কিছু ভারতীয় বিশ্লেষকের বাংলাদেশে চীনের বিশাল বিনিয়োগ নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন।

 

সিনহা হত্যা: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা-দৈনিক সমকাল

সিনহা হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) ও সরকারের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কমিটির সদস্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন। তদন্ত কমিটির প্রধান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এ বিষয়ে আমরা ৬৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।

ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

শিক্ষানীতিতে অতিরিক্ত সরকারি হস্তক্ষেফ নয়, ঘোষণা মোদীর-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, শিক্ষাকে অযথা সরকারি প্রভাব থেকে মুক্তই রাখতে চায় সরকার। নয়া শিক্ষানীতির প্রেক্ষিতে এই মনোভাব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। জানালেন,শিক্ষানীতিতে সরকারি হস্তক্ষেপ করা তাঁর উদ্দেশ্য নয়। সোমবার নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি বিষয়ে আলোচনার জন্য আয়োজিত রাজ্যপালদের সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি একথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘‘কেন্দ্র জাতীয় শিক্ষানীতিতে ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপ চায়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়নের সহায়ক হবে, দেশের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নের নয়া দিশা দেখাবে।’’কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক আয়োজিত ‘উচ্চশিক্ষার সংস্কারে ২০২০-র জাতীয় শিক্ষানীতির ভূমিকা’শীর্ষক ভার্চুয়াল সম্মেলনে আজ ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। রাজ্যপালদের এই সম্মেলনে আজ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক-সহ বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য এবং শিক্ষা দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও যোগ দেন। নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, ‘‘শিক্ষানীতি এবং শিক্ষাব্যবস্থা দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণের অন্যতম হাতিয়ার। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার, স্থানীয় নির্বাচিত সংস্থা সকলেরই শিক্ষাক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপ ন্যূনতম হওয়া প্রয়োজন। বিদেশ কিংবা প্রতিরক্ষা নীতি কিন্তু নিছক সরকারি বিষয় নয়, রাষ্ট্রের বিষয়। শিক্ষানীতিও আসলে তেমনই।’’

এই জিএসটি সর্বনাশা, জেটলির ভিডিয়ো টুইট করে ফের তোপ রাহুলের-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

জিএসটি নিয়ে সরকারকে তোপ রাহুল গান্ধীর

দেশের অর্থনীতির খারাপ দশা এবং জিডিপি-র পতনের পিছনে জিএসটি-কেই অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করলেন রাহুল গাঁধী। আজ টুইট করে তিনি বলেন, “দেশের অর্থনীতির পতনের অন্যতম কারণ গব্বর সিংহ ট্যাক্স বা জিএসটি।” তাঁর দাবি, এই কর নীতির ফলে লক্ষাধিক গরিব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কোটি কোটি মানুষ কাজ খুইয়েছেন। রাজ্যগুলির অর্থনীতিতেও এই কর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে এ দিনও কেন্দ্রের আর্থিক নীতির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। ভিডিয়োটিতে রাহুলের বক্তব্য, জিএসটি হল অসংগঠিত শিল্প ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় ধাক্কা।

করোনার সর্বশেষ খবর: ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৯০ হাজার করোনা সংক্রমিত হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ লাখ ছাড়িয়ে গেল। দৈনিকটির অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে, হার্ড ইমিউনিটি গড়ে উঠতে আর কত দিন, ভ্যাকসিনই বা কবে আসবে? আক্রান্তের নিরীক্ষে ব্রাজিলকে টপকে ভারত এখন দ্বিতীয় স্থানে। সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ছে ভারতে? স্বস্থি নেই দেশের করোনা চিত্রে। বাড়ছে আশঙ্কা। এদিকে বিদেশি টিকা নয়, করোনা যুদ্ধে সম্পূর্ণ দেশীয় ভ্যাকসিনেই আস্থা রাখতে চাইছে মোদি সরকার।

চিন ও পাকিস্তানকে তোপ, সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ বিএসএফ প্রধানের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

পাকিস্তান (Pakistan) ও চিন (China) ভারতের বিরুদ্ধে একযোগে ষড়যন্ত্র করছে। তাই এই সময়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। দেশের সুরক্ষার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। জম্মু সফরে গিয়ে সীমান্তরক্ষা বাহিনীর জওয়ানদের এই বার্তাই দিয়েছেন বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল রাকেশ আস্থানা (Rakesh Asthana)। সোমবার একথাই জানা গেল সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মুখপাত্রের তরফে।সম্প্রতি তিন দিনের সফরে জম্মু সীমান্তে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিএসএফ (BSF) -এর প্রধান রাকেশ আস্থানা।

লাদাখে শহিদ বিশেষ বাহিনীর তিব্বতি জওয়ান, শেষ যাত্রায় উঠল ‘‌ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

নাইমা তেনজিং

শবদেহ নিয়ে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় সেনার গাড়ি। পিছনে বাইকে তিব্বতের বিশেষ পতাকা লাগিয়ে শ’‌য়ে শ’‌য়ে মানু্ষ। গ্রামের বাড়িতে শেষবারের মতো স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের তিব্বতি জওয়ান নাইমা তেনজিংয়ের মরদেহ পৌঁছতেই আকাশ মুখরিত হল ‘‌ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানে। এভাবেই নিজের বীর সন্তানকে শেষ শ্রদ্ধা জানাল লেহ–র ‘‌সোনামলিং টিবেটিয়ান রিফিউজি সেটেলমেন্ট’‌ এলাকার তিব্বতি সম্প্রদায়ের সমস্ত মানু্ষ। ‌

৫১ বছর বয়সি তেনজিং ভারতের স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের ৭ বিকাশ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি লিডার ছিলেন। পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় মোকাবিলার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের সদস্যরা। এরা প্রত্যেকেই তিব্বতি। যাঁরা কি না চিনের হাত থেকে বাঁচতে দলাই লামার পথ অনুসরণ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। ১৯৬২ সালে চিন–ভারত যুদ্ধের পর তৈরি করা হয়েছিল এই এসএফএফ। এটি ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব সিকিউরিটির অন্তর্গত। সম্প্রতি লাদাখ সীমান্তে ভারত–চিন দু’‌দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায়, বহু বছর পর এই জওয়ানদের সেখানে মোতায়েন করেছে ভারত। এঁদেরই একজন হলেন নাইমা তেনজিং। সম্প্রতি প্যাংগং লেকের পাড়ে ফের একবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে চিনা সেনা। কিন্তু ভারতীয় সেনার তত্‍পরতায় লালফৌজের সেই অপচেষ্টা সফল হয়নি। সেখানেই চিনের সেনার পোঁতা একটি বোমা বিস্ফোরণে কয়েকদিন আগেই শহিদ হয়েছিলেন নাইমা। আহত হয়েছিলেন আরও এক জওয়ান। তবে তিনি এখন কিছুটা সুস্থ।

চীনকে বার্তা!‌ তিব্বতি সৈন্যের শেষকৃত্যে বিজেপি নেতা রাম মাধব-দৈনিক আজকাল

চীনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের পর লাদাখে দাঁড়িয়ে সেনাদের উজ্জীবিত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। চীনকে কড়া বার্তাও দিয়েছিলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও ক’‌দিন পর একই পথে হেঁটেছিলেন। এবার বিজেপি নেতা রাম মাধবও চীনকে প্রচ্ছন্নে একটু কড়া বার্তাই দিলেন। লেহ্‌তে গিয়ে তিব্বতি সৈন্যের শেষকৃত্যে যোগ দিলেন। উপস্থিত ছিল ভারতীয় সেনাও। 

টুইটারে শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার ছবি দিয়েছিলেন রাম মাধব। পরে যদিও ডিলিট করে দেন। লাদাখ সীমান্ত এখন বেশ উত্তপ্ত। কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে কথা বলেও সুরাহা হচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, এভাবে চীনকে কড়া একটু ধাক্কা দিতে চাইছে বিজেপি সরকার। 

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৭