কথাবার্তা: প্রতিবাদ-বিক্ষোভ, কঠোর আইনের পরও ধর্ষণ থেমে নেই !
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ১৪ অক্টোবার বুধবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রোধে ৭ দফা নির্দেশনা-দৈনিক প্রথম আলো
- রেকর্ড উৎপাদন, তবু সংকট-দৈনিক সমকাল
- জিডিপি প্রবৃদ্ধি, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ-ইত্তেফাক
- করোনা মৃত্যু মিছিল-১০ লাখ ৯০ হাজার ছাড়ালো-দৈনিক যুগান্তর
- প্রতিবাদ বিক্ষোভ, কঠোর আইনের পরও ধর্ষণ থেমে নেই-কালের কণ্ঠ
- সাগর-রুনি হত্যা মামলা৭৫ বারের মতো পেছালো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়-মানবজমিন
- আশুলিয়ায় ফের নারী শ্রমিককে ধর্ষণ, ভিডিও নিয়ে ব্লাকমেইলিং-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- নতুন আমলে বেড়েছে বেকারত্ব-আনন্দবাজার পত্রিকা
- পর্বতের মূষিক প্রসব, নির্মলার নয়া আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে কটাক্ষ চিদাম্বরমের-সংবাদ প্রতিদিন
- হাথরসে সিবিআইয়ের তদন্তের ওপরে যেন নজরদারি বাড়ায় শীর্ষ আদালত, আর্জি যোগী সরকারের-আজকাল
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:
১. ৭৫ বারের মতো পেছালো সাগর-রুনি হত্যার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়। আপনি কী বলবেন এ সম্পর্কে?
২. ‘শান্তি চুক্তি’ সত্ত্বেও আফগানিস্তানে তালেবান অবস্থানে বিমান হামলা চালাল আমেরিকা। এতে আমেরিকা ও তালেবানের মধ্যকার শান্তিচুক্তি কী হুমকির মুখে পড়ছে?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:
বাংলাদেশ কেন সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর থেকে সরে আসলো?-দৈনিক মানবজমিন
বাংলাদেশ কেন সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিল করলো? এ নিয়ে নানা প্রশ্ন। কেউ কেউ বলছেন, ভারত-চীনের লড়াইয়ের মাঝখানে বাংলাদেশ বিকল্প পথ বেছে নিয়েছে। সোনাদিয়া বাতিল হলেও পঁচিশ কিলোমিটার দূরে মাতারবাড়িতে বন্দর ঠিকই হচ্ছে। তবে সেটা অর্থায়ন করবে জাপান। এসব বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন ভারতীয় সাংবাদিক সুধা রমাচন্দ্রন। দ্যা ডিপ্লোম্যাটে প্রকাশিত নিবন্ধে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার সরকারিভাবে সোনাদিয়ায় প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ পরিকল্পনা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে এটি নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল।
এটি ছিল বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের এমন একটা হাইপ্রোফাইল প্রকল্প, যা ভারত মহাসাগরে চীনের অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত উচ্চাভিলাষকে ত্বরান্বিত করত। আর এখন সেটি বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে সমাহিত করল।
তবে প্রতীয়মান হয় যে, পরিবেশগত উদ্বেগ বিবেচনায় নিয়েই বাংলাদেশ সরকার এই প্রকল্প বাতিল করেছে।সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হলে তা ওই অঞ্চলের জীববৈচিত্র বিপন্ন করত, সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কেবিনেট সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এখন সোনাদিয়ার পরিবর্তে একটি গভীর সমুদ্র নির্মাণ করা হবে মাতারবাড়িতে। এলাকাটি সোনাদিয়া থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। তবে পরিবেশগত বিষয়গুলো এই প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনে কাজ করলেও এই সম্ভাবনাও রয়েছে যে, বিষয়টির নেপথ্যে আছে ভূ-রাজনৈতিক কার্যকরণ। সেটিই ওই প্রকল্প বাতিলের ভাগ্য নিশ্চিত করে দিয়েছে ।
কারণ সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে ভারত এবং চীনের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। তারা উভয়ে বাংলাদেশের উপর প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিল । সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ পরিকল্পনার সূচনা ঘটেছে ২০০৬ সালে। এর বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থায়নে সম্মত হয়েছিল চীন।
২০১৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেইজিং সফর করেন। ওই সফরকালে বাংলাদেশ ও চীনের সরকারের মধ্যে এই বিষয়ে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা ঘটেনি ।
ওই প্রকল্পের বিষয়ে চীনের অব্যাহত ইন্টারেস্ট থাকা সত্বেও ঢাকায় ২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরকালে তা আলোচনার এজেন্ডাভুক্ত হয়নি । গত ছয় বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশি কর্মকর্তারা এটাই বলে আসছেন যে, ওই প্রকল্পের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে । কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়নি ।
এখন একটা পরিবর্তন সূচিত হলো । আগস্ট মাসের শেষে একটি মন্ত্রিসভা বৈঠকে শেখ হাসিনা সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে সোনাদিয়া ডিপ সি পোর্ট অথরিটি অ্যাক্ট, ২০১২ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন এবং এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলেন যে, প্রকল্পটি বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সোনাদিয়ায় একটি সমুদ্রবন্দর নির্মাণে খুবই আগ্রহী ছিল। কারণ চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দরের বিদ্যমান সমুদ্র বন্দর জাহাজ জট লেগেই আছে। এমনকি বন্দর দুটি তার সংলগ্ন সাগরের নাব্যতা হারিয়েছে। এসব বন্দর সেকারণে এখন খুব বেশি ভারী ওজনের মাল বোঝাই জাহাজ নোঙ্গর করতে পারে না ।
আর অবস্থা এমনই হয়েছে যে, বাংলাদেশ অভিমুখী কার্গোগুলোকে এখন শ্রীলঙ্কা ও সিঙ্গাপুরে মালামাল খালাস করতে হয় এবং সেখান থেকে ছোট জাহাজে করে নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশে।
এর ফলে মালামাল পরিবহনে বিলম্ব এবং বাণিজ্য ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে । আশা করা হয়েছিল যে, একটি সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করা হলে তা খরচ কমাবে, ভোগান্তি কমাবে । ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।
সোনাদিয়া সমুদ্র বন্দর নির্মাণের সঙ্গে আরও পরিকল্পনা ছিল চীনের ইউনান প্রদেশ, উত্তর-পূর্ব ভারত, নেপাল এবং ভুটানের মত ভূবেষ্টিত অঞ্চলগুলোর জন্য এটি একটি আঞ্চলিক ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
২০০৬ সালে জাপানের পরিচালিত একটি সমীক্ষায় ইঙ্গিত করা হয়েছিল যে, একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য সোনাদিয়াই সবথেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে । তাই প্রশ্ন হল, বাংলাদেশ কেন এই প্রকল্প বাতিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল ? নয়াদিল্লি অব্যাহতভাবে সোনাদিয়া প্রকল্পে চীনের সম্পৃক্ততার বিরোধিতা করেছিল। কারণ তারা দেখেছে, ওই সমুদ্র বন্দরটি বঙ্গোপসাগর এবং ভৌগোলিকভাবে ভারতের নিকটবর্তী।
ভারতের অবশ্য এরকমের আশঙ্কাও রয়েছে যে, শ্রীলংকার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। চীন হয়তো ঋণ পরিশোধ করতে না পারার কারণে অদূর ভবিষ্যতে তার এই ধরনের স্ট্র্যাটেজিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার বা কৌশলগত অবকাঠামো চীনের কাছে হস্তান্তর করার জন্য চাপ দিতে পারে । এ ধরনের সম্ভাব্য দৃশ্যপটে নয়াদিল্লি ভীত হল এবং ভাবল, ভারতীয় নিরাপত্তা বলয়ে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
অবশ্য এটাও ঠিক যে বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত তার অবকাঠামো উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণে সর্তকতা অবলম্বন করে চলছে । এ ধরনের প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে সে কোনো একটি দেশের উপর নির্ভরশীল না থেকে অনেকগুলো দেশের কাছ থেকে কারিগরি সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ যদিও চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার । একই সঙ্গে আবার চীনের প্রতি উদ্বিগ্ন কিছু দেশের সঙ্গেও তার রয়েছে অংশীদারিত্ব । এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান , ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। এরা সবাই বেইজিংয়ের প্রভাব সীমিত দেখতে আগ্রহী।
বাংলাদেশে এখন মাতারবাড়িতে যে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে জাপানি সহায়তা রয়েছে। সোনাদিয়ার মতোই মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দরটিও অবশ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত এবং সেটা ভারতের নিকটবর্তী । তবে ভারত-জাপান শক্তিশালী সম্পর্কের আলোকে ভারত এক্ষেত্রে আপত্তি নাও তুলতে পারে । এই প্রকল্পের কাজ অবশ্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ তাই আশা করছে, ২০২৫ সালের মধ্যে সে তার প্রথম গভীর গভীর সমুদ্র বন্দরটি দেখতে পাবে । কিন্তু এর অর্থায়ন এবং নির্মাণ কাজ যারা করছে, সেই দেশটির নাম জাপান। চীন নয় ।
নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন-ক্ষোভ বাড়ছে ভোক্তার-দৈনিক যুগান্তর

বাজারে লাগামছাড়া প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম। পেঁয়াজ থেকে শুরু করে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, আলু, মরিচ, ডিম ও সব ধরনের সবজি কিনতে ভোক্তাকে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। বাজারে সরবরাহ থাকলেও ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ দ্বিগুণ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাকে। ২০-২২ টাকার আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৫৫ টাকা। ৮০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে পণ্য কিনতে আসা নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে ক্রেতারা শুধু বাজারে এসেই ক্ষোভ প্রকাশ করে থেমে নেই। অনলাইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লেখেন, দেশে সব থেকে সস্তা খাবার বা গরিবের খাবার সবাই মনে করত ভাতের সঙ্গে কাঁচামরিচ দিয়ে তৈরি আলুভর্তা। কিন্তু মনে হচ্ছে এই খাবার এখন বিলাসিতার স্থান দখল করেছে। কারণ এক কেজি মরিচ এখন ২৫০-২৮০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। খুচরা বাজারে আলুর কেজিও প্রায় ৬০ টাকা। পাশাপাশি সব ধরনের চালের দাম বাড়তি। বিশেষ করে মোটা চাল এখন প্রতি কেজি ৫০-৫২ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এতে মনে হচ্ছে, এই খাবার এখন আর গরিবের বললে খুব বেশি ভুল হবে। এটা এখন ধনীদের খাবার। রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও নয়াবাজার ঘুরে মঙ্গলবার খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এদিন প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা। যা এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা। এছাড়া গত বছর একই সময়ে এই আলু প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২০-২২ টাকা। বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৫৬-৫৮ টাকা, ১৮ দিন আগে ছিল ৫৩-৫৪ টাকা। বিআর ২৮ চাল বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা, ছিল ৪৬-৪৭ টাকা। মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০-৫২ টাকা, ছিল ৪০-৪২ টাকা।
প্রতিবাদ-বিক্ষোভ, কঠোর আইনের পরও ধর্ষণ থেমে নেই-দৈনিক কালের কণ্ঠ

দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মধ্যে কঠোর আইন পাসের পরও ধর্ষণের ঘটনা থেমে নেই। ৯ জেলায় গত সোমবার চারজনকে এবং এর আগে বিভিন্ন সময় ছয়জনকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তিন জেলায় তিনজনকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১২ জনকে।
হত্যার হুমকি দিয়ে ‘ধর্ষণ’, যুবক গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এক নারীকে (২৫) অস্ত্র ধরে দুইবার হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে আরিফ (৩৫) নামে এক যুবককে গতকাল নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার ছোটআজলদী গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে। এর আগে সোমবার রাতে ওই নারী পাকুন্দিয়া থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। তবে আরিফের পরিবারের দাবি, মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেই ওই নারী মিথ্যা মামলা দিয়ে আরিফকে হয়রানি করছেন।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদীর স্বামী প্রবাসী হওয়ায় তিনি দুই শিশুসন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকেন। পূর্বপরিচিত আরিফ তাঁকে প্রায়ই অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন। এতে তিনি রাজি না হলে গত ৭ জুন রাত ১০টার দিকে পরিবারের লোকজন বাড়িতে না থাকার সুযোগে আরিফ কৌশলে ওই নারীর ঘরে ঢুকে তাঁকে কিরিচ দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন। ২৮ জুলাই একইভাবে ঘরে ঢুকে তাঁর (নারী) সন্তানদের হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
বিধবাকে ‘ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ১
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় গত সোমবার এক বিধবাকে (৩৫) ধর্ষণের অভিযোগে জাকির হোসেন (৩৫) নামের এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ওই দিনই ওই নারী কলমাকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। জাকির উপজেলার কালাইকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে। পুলিশ জানায়, ওই নারী বাড়ি থেকে বাউসাম গ্রামে এক ব্যক্তির কাছে পাওনা টাকা আনতে যাচ্ছিলেন। পথে জাকির পূর্বপরিচিত ওই নারীকে একা যেতে দেখে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে তোলেন। পরে গ্রামটির একটি লাউক্ষেতে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন।
পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের সলিমগঞ্জ ইউনিয়নে সোমবার দিবাগত রাতে শ্বশুরের (৫৫) বিরুদ্ধে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত শ্বশুর এবং তাঁর এক সহযোগী আবু সাঈদকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা করেছেন। নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন বলেন, পুত্রবধূকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ
শেরপুরে গত রবিবার বিকেলে এক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত মো. পারভেজ মিয়া (২৫) শেরপুর সদর উপজেলার দিকপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফ খোকা মিয়ার ছেলে। বিচারক মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করতে শেরপুর সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
স্কুলছাত্রী ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
এদিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নাজিম উদ্দিনকে (২৫) সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাজিম উপজেলার বালিয়াচণ্ডি গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। গতকাল তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সাতক্ষীরায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে (১৩) গত ছয় মাসে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে এক রাজমিস্ত্রিকে গতকাল গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মাহাফিজুল ইসলাম (৩০) সাতক্ষীরার দেবহাটার কুলিয়া দুর্গাপুর গ্রামের মোনা মোল্যার ছেলে। ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় সোমবার রাতে মামলা করেন মেয়েটির বাবা। এর আগে মাহাফিজুল মেয়েটির গর্ভের সন্তান নষ্ট করার চেষ্টা চালান এবং মা ও ছোট ভাইকে মারধর করেন।
গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক গৃহবধূকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণে অভিযুক্ত মো. সাগরকে (২২) গতকাল গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাগর উপজেলার আমানগণ্ডা গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে এবং আমানগণ্ডা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি। গতকালই গৃহবধূ এ ঘটনায় মামলা করেন।
ধর্ষণে ছাত্রীর সন্তান প্রসব, গ্রেপ্তার ২
এক বছর আগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কোচিং সেন্টারে আটকে রেখে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি পলাতক শিক্ষক তারেকুর রহমান চৌধুরীসহ দুজনকে চট্টগ্রাম থেকে গতকাল গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার অন্যজন হলেন তারেকের ভাই তৌহিদুর রহমান চৌধুরী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়েটি সন্তানও প্রসব করেছে। গত ৪ অক্টোবর কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যালে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা।
উজিরপুরে কলেজছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা
বরিশালের উজিরপুরে এক কলেজছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। কলেজছাত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত সোমবার হঠাৎ ছাত্রীটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি ধরা পড়ে। অভিযুক্ত স্বপন হাওলাদার (২০) উজিরপুর পৌর এলাকার দক্ষিণ মাদার্শী গ্রামের প্রভাবশালী বাবুল হাওলাদারের ছেলে। ছাত্রীর বাবা বলেন, প্রভাবশালী মহলের চাপে তাঁরা মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না। বাবুল হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তাদের (ছাত্রী ও অভিযুক্ত) বিবাহ দিব।’
বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে একাধিকবার ধর্ষণ এবং মোবাইল ফোনে অশ্লীল ছবি ধারণ করে গত ৯ অক্টোবর ফেসবুকে ছাড়ার অভিযোগে বিষ্ণু গোপাল মহন্ত বাধনরাজ (১৯) নামের একজনকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে রেল থানার পুলিশ। গতকাল তাঁকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। তাঁর বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জের গোপিনাথপুর কামারপাড়ায়। এ ঘটনায় সোমবারই মামলা করা হয়েছে।
রাণীনগরে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টায় মামলা
নওগাঁর রাণীনগরে এক গৃহবধূকে (১৯) গত বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শনিবার সন্ধ্যায় আব্দুল আলিম মল্লিক (৩০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। আলিম উপজেলার গুয়াতা কুঞ্জশাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেন মল্লিকের ছেলে।
পানীয় খাইয়ে ধর্ষণচেষ্টা, গ্রেপ্তার ১
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গত শনিবার কোমল পানীয়ের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পরিবারের লোকজনকে খাইয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শাহিন আহমদ সুনু মিয়া (২৮) নামের এক যুবককে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শাহিন উপজেলার গড়গড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে। এ ঘটনায় সোমবারই জগন্নাথপুর থানায় দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী।
দুই বোনকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দুই বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে এক বাড়ির তত্ত্বাবধায়ককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আবু বক্কর নোয়াখালীর সেনবাগ থানাধীন দেবীসিংহপুর গ্রামের মৃত মজিবুল্লাহর ছেলে। তিনি মিজমিজি কান্দাপাড়ায় জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন ইব্রাহীম ভিলার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দুই মেয়েকে পাশের বাসার বান্ধবীদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া নিয়ে শাসন করেন বাবা। পরে তারা রাগ করে খালার বাসায় যাওয়ার পথে ইব্রাহীম ভিলার তত্ত্বাবধায়ক আবু বক্কর তাদের ডেকে নিয়ে যান। পরে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি:
নতুন আমলে বেড়েছে বেকারত্ব-দৈনিক আনন্দবাজার
প্রথম বার দিল্লির মসনদ দখলের লক্ষ্যে বছরে দু’কোটি কাজের সুযোগ তৈরির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইউপিএ সরকারের প্রায় শেষ বেলা (২০১১-১২) থেকে তাঁর প্রথম দফার শেষ দিকের (২০১৮-১৯) মধ্যেই শহরে অন্তত দ্বিগুণ হয়েছে বেকারত্বের হার। গ্রামে প্রায় তিন গুণ। করোনা আর লকডাউনে বহু কর্মী কাজ খোয়ানোর পরে এই ফারাক এখন আরও চওড়া হওয়ার আশঙ্কা সাম্প্রতিক বেসরকারি পরিসংখ্যানে।
দেশের সার্বিক ছবির তুলনায় সামান্য ভাল হলেও, রাজনৈতিক পালাবদলের পরে কর্মহীনের সংখ্যা বেড়েছে বঙ্গেও। আজ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৯-১০ সালে বঙ্গের গ্রাম-শহরে যেখানে প্রতি হাজার জনে যথাক্রমে ১৯ ও ৪০ জন কর্মহীন ছিলেন, সেখানে এখন ওই সংখ্যা ৩৫ ও ৪৯।
২০১৪ সালের আগে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে দেশের অর্থনীতির বেহাল দশার কারণে ভোট-প্রচারে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে কার্যত তুলোধোনা করতেন নরেন্দ্র মোদী। নিয়ম করে প্রায় প্রতি জনসভায় দাবি করতেন, ইউপিএ সরকারের নীতিপঙ্গুত্ব এবং দুর্নীতির কারণেই ৮ শতাংশ ছুঁতে পারছে না বৃদ্ধির হার। ইঙ্গিত দিতেন, তিনি হাল ধরলে, মুখ তুলবে অর্থনীতি। সেই সঙ্গে, স্বপ্ন দেখাতেন ফি বছর দু’কোটি নতুন চাকরিরও। কিন্তু শীর্ষ ব্যাঙ্কের সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১১-১২ সালে গ্রামে প্রতি হাজার জনে কর্মহীন ছিলেন ১৭ জন। শহরে ৩৪। সেখানে ২০১৮-১৯ সালে তা হয়েছে যথাক্রমে ৫০ এবং ৭৭ জন! গ্রাম-শহর অথবা পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে লাফিয়ে বেড়েছে বেকারত্ব। বিরোধী শিবিরের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী যে তাঁর জমানায় তা হলে এত দেশি-বিদেশি লগ্নি আসার কথা বলেন, দাবি করেন অর্থনীতির প্রগতির, কাজের বাজারে তার প্রতিফলন কোথায়? জাতীয় নমুনা সমীক্ষার (এনএসএসও) তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৭-১৮ কিংবা ২০১৮-১৯ সালে বেকারত্বের চড়া হারের খবর নতুন নয়। গত প্রায় সাড়ে চার দশকে প্রথমটি সর্বোচ্চ হওয়ায়, তা নিয়ে আগেও বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদী সরকার। কিন্তু সেই তথ্যের ভিত্তিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই সঙ্কলিত পরিসংখ্যান থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট। তা হল, বৃদ্ধির হারের মতো কাজের সুযোগ তৈরিতেও মনমোহন জমানার থেকে বহু যোজন পিছিয়ে মোদী সরকার।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, মোদী জমানায় কাজের বাজারের এমন করুণ ছবির অন্যতম কারণ নোটবন্দি আর তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর দীর্ঘ মেয়াদি ধাক্কা। তাঁদের ধারণা, ওই ছবিকে আরও বিবর্ণ দেখাত সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান ধরা হলে। উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনা ও লকডাউনের ‘সাঁড়াশি চাপে’ এপ্রিল থেকে অগস্টের মধ্যে দেশে বাঁধা বেতনের চাকরি গিয়েছে ২.১ কোটি। অসংগঠিত ক্ষেত্রের অবস্থা তথৈবচ। কাজ খুইয়েছেন অগুনতি কর্মী। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা দেখেছে সারা দুনিয়া।
‘পর্বতের মূষিক প্রসব’, নির্মলার নয়া আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে কটাক্ষ চিদম্বরমের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
পর্বতের মূষিক প্রসব। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের নতুন ঘোষণাকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন ইউপিএ সরকারের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম।উৎসবের মরশুমে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। বাজারে চাহিদা বাড়াতে সরকারি কর্মীদের জন্য ‘LTC Cash Voucher Scheme’ ও ‘Special Festival Advance Scheme’ শুরু করার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কিন্তু নির্মলার (Nirmala Sitharaman) সেই উদ্যোগ একেবারেই ‘না পসন্দ’ কংগ্রেসের।
সোমবার অর্থমন্ত্রী বলেন, “দেশের অর্থনীতিতে করোনা মহামারীর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গরীবদের প্রয়োজন মেটাতে নানা পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। জোগান সম্পর্কিত সমস্যাও অনেকটাই মিটেছে। তবে উপভোক্তা চাহিদা বা কনজিউমার ডিমান্ড বাড়িয়ে তুলতে পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে। তাই বাজারে চাহিদা বাড়াতে আমরা বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মধ্যে একটি হচ্ছে উপভোক্তা সম্পর্কিত। সেখানে সরাসরি কিছু পরিবর্তন এনে ব্যয় বৃদ্ধি করা। বাকিটা জিডিপি বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত।” তারপরই সরকারি কর্মীদের জন্য ‘LTC Cash Voucher Scheme’ ও ‘Special Festival Advance Scheme’ শুরু করার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। মঙ্গলবার একটি ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে চিদম্বরম (P Chidambaram) বলেন, “যে প্যাকেজ ঘোষণা করা হল, তা আসলে পর্বতের মূষিক প্রসব।”
কিন্তু কেন এই কথা বললেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী? তাঁর যুক্তি, “প্রথমত মানুষ নিজের টাকা কীভাবে খরচ করবে, তা কেউ কখনও ঠিক করে দিতে পারে না। তাছাড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হল, তা জিডিপির মাত্র ০.১ শতাংশ।” করোনা (Corona Virus) আবহ চলাকালীন আগেই কংগ্রেস ও চিদম্বরমরা দাবি জানিয়েছিলেন, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দারিদ্র সীমার কাছাকাছি থাকা দেশের অর্ধেক মানুষকে নগদ অর্থ হস্তান্তর করতে হবে। সেই বক্তব্য আরও একবার এদিন তুলে ধরেন চিদম্বরম। তাঁর মতে, দেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে এটাই একমাত্র উপায়। এদিকে সরকারি সুত্রে শোনা যাচ্ছে, অর্থনীতির যা অবস্থা তাতে আরও একটা আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। সে বিষয় নাকি ভাবনা চিন্তাও চলছে অর্থমন্ত্রকের অন্দরে। তবে, কোনও কিছুই চূড়ান্ত নয়।
খুন-অপহরণ-ধর্ষণের ভূরি ভূরি মামলা, বিহারে প্রার্থী তালিকায় মাফিয়ার ছড়াছড়ি-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে কার্যত ‘ধর্মযুদ্ধ’-এর প্রস্তুতি চলছে বিহারে। কিন্তু যাঁদের কাণ্ডারী করে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি, তাদের একটা বড় অংশের বিরুদ্ধে খুন, জালিয়াতি এবং রাহাজানির মতো গুরুতর অপরাধ মামলা চলছে। এ ব্যাপারে বিজেপি ও কংগ্রেস খানিকটা গা বাঁচিয়ে চললেও, লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এবং নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দল (জেডিইউ) একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে।
আগামী ২৮ অক্টোবর থেকে তিন দফায় বিধানসভা নির্বাচন বিহারে। তার আগে নির্বাচন কমিশনের নিয়মাবলী মেনে দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে থাকা অপরাধের তালিকা প্রকাশ করতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। তাতেই বিষয়টি সামনে এসেছে। এর মধ্যে আরজেডি-র যে সমস্ত নেতার নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন অনন্ত সিংহ। এ বছর তাঁকে মোকামা থেকে দাঁড় করানো হয়েছে।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৪
- বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।