কথাবার্তা: বাইডেনের শপথ- এক অজানা আতঙ্ক, ট্রাম্প বড় একা !
প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ১৫ জানুয়ারি শুক্রবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।
প্রথমে বাংলাদেশের শিরোনাম:
- দ্বিতীয় ধাপে ৬০ পৌরসভায় ভোট শনিবার-ইত্তেফাক-ইত্তেফাক
- বাড়ছে সংঘাত প্রাণহানি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কাউন্সিলরদের দ্বন্দ্ব বাড়ছে সংঘাত প্রাণহানি -যুগান্তর
- বিপথগামী তরুণ সমাজ-হাতের মুঠোয় গোপনীয়তার ব্রাকেটে বন্দী স্মার্টফোনই?-মানবজমিন
- ভারত থেকে হাঁস-মুরগি, ডিম ও মুরগির বাচ্চা আমদানি নিষিদ্ধ -কালের কণ্ঠ
- লালমনিরহাটে বিএসএফ’র রাবার বুলেটে বাংলাদেশি নিহত-বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- দুর্নীতির অভিযোগে নিজেদের দফতরেই হানা সিবিআইয়ের, তল্লাশি ১৪ জায়গায় -আনন্দবাজার পত্রিকা
- একুশে বাংলা থেকে সাফ বিজেপি! বেফাঁস মন্তব্য অরবিন্দ মেননের, অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির -সংবাদ প্রতিদিন
- শনিবার দিল্লি যাচ্ছেন শতাব্দী, শাহর সঙ্গে দেখা করবেন?--দৈনিক আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্ব মিডিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের খবরটি বিশেষ গুরুত্বসহ পরিবেশিত হয়েছে।
বিপথগামী তরুণ সমাজ হাতের মুঠোয় গোপনীয়তার ব্রাকেটে বন্দী স্মার্টফোনই?-মানবজমিন

সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেনো ভালো হয়ে চলি। কবিতার এই লাইনগুলো আমরা যারা বড় হয়েছি তারা বোধকরি সকলেই পড়েছি। কিন্তু ডিজিটাল এই সময়ে আমরা কি পড়ছি? কি চর্চা করছি? সাহিত্য চর্চা করেন, টকশোতে কথা বলেন এমন এক বাবাকে আক্ষেপ করে বলতে শুনেছি, বাড়িতে ফিরি ঠিকই কিন্তু কারও সঙ্গে কথা হয় না। কেন? এমন প্রশ্নে আটকে গেলেন তিনি। স্ত্রী আর কন্যা দুজন দুই কামড়ায় স্মার্টফোনে ব্যস্ত। খাবার টেবিল ফাঁকা। অথচ এক সময় কি হতো, বাবা বাসায় ফিরলে সন্তান দৌড়ে আসত, জড়িয়ে ধরত। সবাই মিলে টেবিলে খেতে বসে নানান গল্প হতো।
আর এখন হাজারো সামাজিক মাধ্যম। কে কোন মাধ্যমে মজেছে তার হদিস বোধকরি কেউ জানতে পারছে না। অথছ এই সেদিনও ছিল পারিবারিক বন্ধনের অন্যরকম মেলা। সময় যাচ্ছে পারিবারিক বন্ধন বলে কিছুই বোধকরি আর থাকছে না। সকলের খবর নিতে সামাজিক মাধ্যমে রিঅ্যাক্ট দিয়ে দায় সারছি এখন সকলে। আর চিঠিপত্র লেখাতো বোধকরি সকলে ভুলেই গেছি।
মধ্যবিত্ত আরেক পরিবারের কথা বলি। তিনজনের পরিবার। মা, এক ছেলে, এক মেয়ে। তিনজনেরই বেশিরভাগ সময় কাটে ডিজিটাল ডিভাইসে। বলা যায়, ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে খেলা করে। ছেলেটি ছোট বলে গেমস নিয়ে ব্যস্ত। তাও সে পাবজির খোঁজ রাখছে। কিন্তু অবারিত স্ক্রলে তার লক্ষ্য যে আরও বদলাবে না এই নিশ্চয়তা কি সেই পরিবার দিতে পারবে? আর মেয়েটি রাতভর চ্যাটিং আর ইউটিউব নিয়ে জেরবার। তার দিনের আলো বাতাস কেড়ে নিয়েছে রাতের ফেলে রাখা ঘুম। মায়ের চেঁচামেচির গুরুত্ব কতখানি? বলাবলি আছে, কি করবে? করোনায় বন্দি জীবনের আশ্রয় তাই ডিভাইসে। যেখানে রয়েছে খোলামেলা আদর্শিত মত পথের সঙ্গেই অনেক, অনেক অন্ধ চোরাগলি।
কথাগুলো মনে আসছে সাম্পতিক সময়ে ধানমন্ডিতে ঘটে যাওয়া একটি ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে। পুরো সপ্তাহ জুড়ে এ বিষয়টিই ছিল মূখ্য আলোচনা। দুটি ইংরেজি মাধ্যমে পড়–য়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ঘটনাক্রম এবং তৎপরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ বোধকরি আমাদের সামাজিক বন্ধনগুলো নিয়ে ফের ভাবিয়ে তুলেছে। চলছে কি হলে কি হতো বা কি হতো না তার ইতিউতি বিশ্লেষণ।
সাংবাদিক সুপন রায় তার পেজে লিখেছেন, সময় হয়েছে, ইংরেজি, বাংলা সব মাধ্যমে পড়া প্রতিটি সন্তান, প্রতিটি শিক্ষার্থীর পিতা-মাতাকে সচেতন হবার। এটিকে ওয়েকআপ কল হিসেবে নিন।
লজ্জার আবরণ ঝেড়ে ফেলে খোলামেলা আলাপ করুন সেক্স নিয়ে। কী করা উচিত, কী উচিত না বুঝিয়ে বলুন। সীমারেখা টেনে দিন। জোর জবরদস্তি করে নয়। বুঝিয়ে।
গ্রুপস্টাডির নামে কী হচ্ছে? কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে মিশছে? বন্ধু বা সহপাঠী কারা, দয়া করে খোঁজ নিন। আর নিজেরাও একটু স্মার্ট ফোন, গেজেট ব্যবহার ইত্যাদি শিখুন। তাহলে সহজেই বুঝতে পারবেন কী হচ্ছে না হচ্ছে।
মেয়েটিকে হারিয়ে বাবা-মা পাগল হয়ে গেছেন। আমার কিছু হয়নি বলে চুপ করে থাকবেন না। নীরব সান্তনা খুঁজবেন না। চুপ করে থাকলে, চোখ কান খোলা না রাখলে, আপনাদেরও একদিন এমন করেই কাঁদতে হতে পারে।
অর্থনীতি নিয়ে কাজ করেন নাজনীন আহমেদ তার প্রতিক্রিয়ার এক অংশে লিখেছেন, মেয়ে কোথায় যাচ্ছে না যাচ্ছে সেটা দেখা জরুরি, তা ঠিক। কিন্তু তারচেয়েও জরুরি হলো ঘরের মধ্যে পশু তৈরি হচ্ছে কিনা সেটা দেখা। একটা মেয়েকে একা পেলে তার সাথে পশুর মত আচরণ করতে হবে, এই শিক্ষা কোথা থেকে আসলো? আমি তো মনে করি এই ছেলের বাবা-মায়ের মুখোশ উন্মোচিত হওয়া উচিত কি করে ছেলে পশু হল?
এ সকল দুষ্কর্মে বারবার মনে হয়, হাতে থাকা উন্মুক্ত সমাজের ড্রাইভ হুইল অথবা অধিকতর ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় মুঠো বন্দি ডিভাইসটিই দায়ী কিনা? নাকি শৈশব থেকেই নীতি শিক্ষায় আমরা গড়ে তুলতে পারছি না সন্তানদের।
ডিজিটাল ডিভাইস উন্মুক্ত না গোপনীয়তার ব্রাকেটে বন্দি থাকবে এমন বিতর্কও আছে। কোন পথে হাঁটলে বর্তমান সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। প্রশ্নটা অনেকদিন থেকেই ঘুরপাক খাচ্ছিল। আমাদের ডিজিটাল উন্মাদনা নিয়ে। বলাবলি আছে, আমরা এগিয়েছি, কিন্তু কতোটা? তথ্য প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহারের ফলে আলোর বিপরীতে অন্ধকার দেখছি? কোন পথে হাঁটছে আমাদের যুবসমাজ? এর সমাধান তাহলে কি?
ইন্টারনেটের অবাধ প্রবাহের একেবারে শুরুর দিকে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গবেষণা করেছিল, কি করলে অ্যাডাল্ট কনটেন্ট থেকে তরুণ সমাজ থেকে দূরে রাখা যায়? বহু গবেষণার পর এক গবেষক এর একটি সহজ সমাধান বাতলে দিয়েছেন। তা হলো: তোমার বাড়িতে থাকা ডেস্কটপটি উন্মুক্ত স্থানে বসাও। সেক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটতে শুরু করবে। হয়েছিলও তাই। কিন্তু হাতের মুঠোয় বন্দি স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে যে সংক্রমণ তা রোধ করবেন কিভাবে? এতো কম্বলের নিচেই জায়গা করে নিয়েছে। আর এমন মাতাল হওয়া থেকে সন্তানদের বাঁচাতে পথ বের করাও এখন সময়ের দাবি বোধকরি।
পি কে হালদারের সহযোগীদের হাজার কোটি টাকা জব্দ কে এই অবন্তিকা?-মানবজমিন
হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে পালিয়ে আছেন প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের এমডি থাকার সময় নামে বেনামে নানা উপায়ে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তিনি এ টাকা হাতিয়ে নেন। এই অর্থের কিছু অংশ তিনি বিদেশে পাচার করেছেন। বাকিটা দেশে নিজে এবং সহযোগীদের নামে ব্যাংক এবং প্রতিষ্ঠানে রেখেছেন। তার আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জন নারী সহযোগীর তথ্য পান। তাদের একজন অবন্তিকা বড়াল। যাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে দুদক। গ্রেপ্তারের পর থেকে তাকে নিয়ে নানা কৌতূহল।কে এই অবন্তিকা। পি কে হালদারের সঙ্গে কি তার সম্পর্ক। জানা গেছে, অবন্তিকা বড়াল পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। পি কে হালদারের কাছ থেকে তিনি অনেক সুবিধা নিয়েছেন। একইভাবে নিজের অবৈধ সম্পদ আড়াল করেছেন এই অবন্তিকার মাধ্যমে। পিকে হালদারের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের দিঘিরজান গ্রামে। অবন্তিকা বড়ালের বাড়িও পিরোজপুরে। এলাকার মেয়ে হিসেবে পি কে হালদারের সঙ্গে তার পরিচয়। অবন্তিকার বাবা ছিলেন কলেজ শিক্ষক অরুণ বড়াল। তিনি প্রয়াত হওয়ার পর অবন্তিকা ও তার পরিবার জেলা শহর ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন। এরপরই অবন্তিকার সঙ্গে পি কে হালদারের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে ঘনিষ্ঠতা হয়। অবন্তিকার পরিবার পিরোজপুরে বড়াল পরিবার নামে পরিচিত। এলাকায় না থাকায় তাদের নিয়ে তেমন কোনো আলোচনাও নেই। শহরের কলেজ পাড়ায় তাদের বাড়ি রয়েছে। সেখানে কেউ থাকেন না বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ওদিকে ধানমণ্ডির যে বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে অবন্তিকা থাকতেন সেটিও পি কে হালদারের কিনে দেয়া বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। পি কে হালদারের আরেক সহযোগী শঙ্খ বেপারীর নামে কেনা ওই ফ্ল্যাটটি পি কে হালদারের অর্থেই কেনা বলে দুদক সূত্র জানতে পারে। দুদকের একটি সূত্র জানায়, গত ৪ঠা জানুয়ারি ওই শঙ্খ বেপারীকে আটক করার পরই অবন্তিকার বিষয়ে তথ্য বেরিয়ে আসে। এরপরই তার বিষয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু হয়। দুদক সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে তার বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
সম্প্রতি দুদকের একজন আইনজীবীর বক্তব্যের জের ধরে আলোচনায় আসে পি কে হালদারের বান্ধবীদের বিষয়টি। তবে কোন্ বান্ধবীর ব্যাংক হিসাবে কতো টাকা তার নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি ওই আইনজীবী। যদিও গত বুধবার অবন্তিকাকে গ্রেপ্তারের পর নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে।
দুদকের একজন পরিচালক মানবজমিনকে জানিয়েছেন, রোববার কিংবা সোমবার থেকেই সংস্থাটির সেগুন বাগিচার প্রধান কার্যালয়ে আনা হতে পারে অবন্তিকাকে।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই চারদিকে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। কে এই অবন্তিকা। পি কে হালদারের সঙ্গে তার সম্পর্কই বা কি? এসব প্রশ্নই গতকাল দিনভর আলোচনায় এসেছে বারবার।
সূত্র বলছে, পি কে হালদার, তার ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগী অবন্তিকা বড়াল মিলে প্রথমে ‘সুখদা’ নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ‘সুখদা’র শেয়ার দিয়ে খোলেন হাল ক্যাপিটাল। এই হালের পরিচালক হন প্রীতিশ ও তার স্ত্রী সুস্মিতা। আবার এই হালের ৯০ ভাগ শেয়ারের মালিক হন সুখদার পক্ষে প্রশান্তের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অবন্তিকা। হাল ক্যাপিটালের ৯০ ভাগ শেয়ারের মালিক থাকে হাল ক্যাপিটালের। বাকি ১০ ভাগ রাখা হয় হাল ক্যাপিটালের দুই কর্মচারীর নামে। তারাই হাল ক্যাপিটালের নামে আগে থেকে বিদ্যমান মাইক্রো টেকনোলজি নামে একটি কোম্পানির শেয়ার কেনেন। যার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা ঘটে।
এদিকে পি কে হালদারের সংশ্লিষ্ট ৬২ ব্যক্তির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে রাখা ১ হাজার ৫৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা জব্দ করেছে দুদক।
দ্বিতীয় ধাপে ৬০ পৌরসভায় ভোট শনিবার-ইত্তেফাক

দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশে আগামীকাল শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ৬০ টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। এ ধাপের ৬০ টি পৌরসভার মধ্যে ২৮ টিতে ইভিএমে ও ৩২ টিতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে সব ধরনের নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হয়েছে।
ভোটের মাঠে সহিংসতা বাড়ছে-দৈনিক মানবজমিন
দেশব্যাপী দ্বিতীয় ধাপে ৬১ পৌরসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামীকাল ১৬ই জানুয়ারি। গত রাতে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার মাত্রা বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি ঘটছে কাউন্সিলর প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা। এতে করে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। সুষ্ঠু ভোট আয়োজন নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসন। এযাবত পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় তিনজন নিহত হয়েছে। গত বুধবার শৈলকূপায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে।অন্যদিকে ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া কুষ্টিয়ায় গত ২৬ জানুয়ারি পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া সহিংসতায় একজন নিহত হয়।
ভারত থেকে হাঁস-মুরগি, ডিম ও মুরগির বাচ্চা আমদানি নিষিদ্ধ-কালের কণ্ঠ
কাজী আনিসের দুর্নীতি ১২৯ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য দুদকের হাতে-দৈনিক যুগান্তর
ভারতের ১০টি রাজ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বার্ড ফ্লু (অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস) ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও যাতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ভারত থেকে সব ধরনের হাঁস-মুরগি, ডিম ও এসবের বাচ্চা আমদানি অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
যুবলীগ নেতা (বহিষ্কৃত) ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কাজী আনিছুর রহমানের ১৪ কোটি ৯৫ লাখ ২৯ হাজার ৮৩৬ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া তার স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য মিলেছে। তদন্তকালে কাজী আনিছের বিরুদ্ধে ২৫টি ব্যাংক হিসাবে ১২৯ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে। দুদক থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাইডেনের শপথ, এক অজানা আতঙ্ক-মানবজমিন

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে দেখা দিয়েছে এক অজানা শঙ্কা। উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের ক্রমাগত সশস্ত্র হুমকির মুখে ওয়াশিংটন সহ গোটা দেশব্যাপী স্মরণকালের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হযেছে। ওয়াশিংটনে ১৫টি রাজ্য থেকে আনা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ড। ইরাক ও আফগানিস্তানে মোতায়েন মোট সৈন্য সংখ্যারও বেশি সংখ্যক বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য এখন পাহারা দিচ্ছে মার্কিন রাজধানী। মোতায়েন করা হয়েছে ২১ হাজারের বেশি ন্যাশনাল গার্ড। এর বাইরে রয়েছে পুলিশ, সিক্রেট সার্ভিস, এফবিআইসহ অন্যান্য বাহিনী।

আইনসভা ক্যাপিটল হিল ভবন, হোয়াইট হাউস, ইউএস সুপ্রিম কোর্ট সহ সকল গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন। প্রতি ৬ ফুট দূরত্বে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সশস্ত্র গার্ড। বাড়তি সতর্কতা হিসাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ন্যাশনাল শপিং মল।
বাইডেনের শপথ স্থল ক্যাপিটল ভবন আঙিনায় রচনা করা হয়েছে দুর্ভেদ্য নিরাপত্তা ব্যূহ।
গতকাল এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার ওরেই ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে তাঁর অফিসে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে ব্রিফিং করেছেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্বচক্ষে খতিয়ে দেখতে নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠান স্থল ক্যাপিটল ভবন এলাকায় সফর করেন রাতে। তিনি নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ন্যাশনাল গার্ডদের ধন্যবাদ জানান। আমেরিকার ৫০ টি রাজ্য জুড়েই জারি করা হয়েছে এই নিরাপত্তা আ্যলার্ট। তবে পেনসেলভেনিয়া, মিশিগান, উইসকনসিন ও মিনেসোটায় এই হুমকির মাত্রা বেশি বলে এফবিআই সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দিয়েছে। এফবিআই বলেছে, হামলা ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের পাশাপাশি এসব উগ্র সন্ত্রাসীরা জীবনহানির ঘটনাও ঘটাতে পারে। ক্যাপিটল হিলের সন্ত্রাসী ঘটনায় দেশব্যাপী ধর পাকড় অব্যাহত রয়েছে। এফবিআই সহ বিভিন্ন ফেডারেল ও লোকাল এজেন্সি ভিডিও ফুটেজ, ছবিও মুঠো ফোনের ডেটা বিশ্লেষন করে সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করার কাজ করছে। অনেক সচেতন নাগরিক এফবিআই এর ডাকে সাড়া দিয়ে সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দিতে এগিয়ে এসেছেন। ম্যাচাচুচেটস রাজ্যের ১৮ বছরের হেলেনা ডিউক টিভিতে প্রচারিত ফুটেজে তার মা ও আত্মীয়দের ক্যাপিটল হামলায় অংশ নিতে দেখে। পরে হেলেনা এফবিআইকে এদের নাম পরিচয় নিশ্চত করলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।ইউএস সুপ্রিম কোর্টের চীফ জাস্টিস জন রবার্ট নিয়মানুযায়ী নতুন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে শপথ বাক্য পাঠ করানোর কথা। তবে তা বাধ্যতামূলক নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সাধারণত বাইবেল হাতে নিয়ে শপথ নিলেও এক্ষেত্রে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহনের অনুষ্ঠান বরাবর জাঁকজমকপূর্ণ হলেও এবার নানাকারণে তা হবে সংক্ষিপ্ত এবং জৌলুসবিহীন। এবার বাতিল করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী অভিষেকের প্যারেড অনুষ্ঠান। সীমিত করা হয়েছে অতিথির তালিকা।

এদিকে, নতুন প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাঁর হোম টাউন ডেলাওয়ারের উইলমিংটন থেকে এ্যামট্রাক ট্রেনে করে শপথ গ্রহণের আগের দিন ওয়াশিংটনে পৌঁছার কথা রয়েছে। বাইডেন তাঁর দীর্ঘ আইন প্রণেতার কর্ম জীবনে এই এ্যামট্রাকেই যাতায়াত করেছেন একজন সাধারণ নাগরিকের মতো। তার ডিসিতে হোটেলে অবস্থানের কথা থাকলেও সেই কর্মসূচির পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন তিনি ক্যাম্প ডেভিডে রাত্রিযাপন করবেন। শপথ নিয়ে উঠবেন নতুন ঠিকানা হোয়াইট হাউসে।

তবে সবকিছু নির্ভর করছে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের উপর। অন্যদিকে,বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস ত্যাগ করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। হোয়াইট হাউসে মুভিং ট্রাকে ট্রাম্পের মাল সামানা উঠানো হচ্ছে। ফাষ্টলেডী মেলানিয়া ট্রাম্প গত দুইমাস থেকেই নিজের জিনিসপত্র স্থানান্তরের কাজ করছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই শপথ অনুষ্ঠানের সময় ফ্লোরিডার পামবিচের মার-এ-লাগো ক্লাব হাউসে অবস্থান করবেন। এখানেই আপাতত তাঁর থাকার কথা। যদিও এই ক্লাবের বাসিন্দারা ট্রাম্প ওখানে বসবাস করেন সেটা চান না। তিনি বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না বলে আগেই জানিয়েছে দিয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে জোসেফ বাইডেন শপথ নেবেন।
ট্রাম্প বড় একা-মানবজমিন
বিদায় বেলায় বড় একা ডনাল্ড ট্রাম্প। এই তো সেদিন ছিলেন দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষ। অথচ আজ তার পাশে যেন কেউই নেই। প্রেসিডেন্সির পুরোটা সময়ই ছিলেন বিতর্কে। হয়তো ভালোও বাসতেন আলোচনায় থাকতে। ঘটিয়েছেন অদ্ভুত সব ঘটনা। কিন্তু ভোটের ফল মানতে না চেয়ে ভেঙে দেন অতীতের সব রেকর্ড। জনরায় মানতে রীতিমতো অস্বীকৃতি জানান তিনি।
একের পর এক জন্ম দেন খবরের। ক্লান্তিহীন চেষ্টা তার। কিন্তু মার্কিন গণতন্ত্রের ঐতিহ্যবাহী সব প্রতিষ্ঠান রুখে দাঁড়ায় তার বিরুদ্ধে। নির্বাচনী কর্মকর্তারা সাফ জানিয়ে দেন, অন্যায় নির্দেশ মানা হবে না। মিডিয়াও জানান দেয়, প্রেসিডেন্ট সত্য বলছেন না। উগ্র সমর্থকদের তবুও মন্ত্রণা দিয়ে যান ট্রাম্প। যার পরিণতিতে হামলা হয় মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতীক ক্যাপিটল ভবনে। যা আসলে ট্রাম্পের জন্য চূড়ান্ত ভাগ্য বিপর্যয় ডেকে আনে। বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। নজিরবিহীনভাবে মার্কিন জেনারেলরাও এ হামলার নিন্দা জানান। যে সামাজিক মাধ্যমের ওপর ভর করে ট্রাম্প এতোদিন প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন সে টুইটার, ফেসবুকও সরে দাঁড়ায় তার পাশ থেকে। এসব মাধ্যমে তিনি এখন নিষিদ্ধ! আর সর্বশেষ মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হয়ে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প। এমনকি দলের ১০ সদস্যও ভোট দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে।
প্রায় ২ লাখ কোটি ডলারের প্রণোদনা পরিকল্পনা বাইডেনের-দৈনিক মানবজমিন
দায়িত্ব গ্রহণের এক সপ্তাহ আগে প্রায় দুই লাখ কোটি ডলার বা ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেন। করোনা ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তার এমন পরিকল্পনা। যদি কংগ্রেস এই পরিকল্পনা পাস করে তাহলে এই অর্থ থেকে পারিবারিক ব্যবহারের জন্য খরচ করা হবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার। প্রতিজন মার্কিনিকে দেয়া হবে সরাসরি ১৪০০ ডলার করে। এ ছাড়া এই অর্থ থেকে ৪১৫০০ কোটি ডলার খরচ করা হবে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। আর ৪৪০০০ কোটি ডলার খরচ করা হচেব ক্ষুদ্র বাণিজ্যে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
যেভাবে মেয়েদের ফাঁদে ফেলতো দিহান - তিন বন্ধুকে নিয়ে নানা আলোচনা-দৈনিক মানবজমিন
প্রভাবশালীদের চাপে পড়ে ফারদিন ইফতেখার দিহানের তিন বন্ধুকে আড়াল করার অভিযোগ করেছে নিহত স্কুল শিক্ষার্থী আনুশকার পরিবার। এমন অভিযোগ আনুশকার সহপাঠীদেরও। ধর্ষণের পর আনুশকার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এই তিনজনকে আসামি করা হয়নি। ঘটনার বিষয়ে তথ্য জানতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আনুশকার পরিবার বার বার প্রশ্ন তুললেও তদন্ত সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- প্রয়োজনে ওই তিনজনকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ফারদিন ইফতেখার দিহানের সঙ্গে থাকা হুমায়েদ মিল্কি, অলভি মাহবুব এবং তাদের আরেক বন্ধুকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালে থাকা ফারদিনের আরেক বন্ধুর বিস্তারিত নাম পরিচয় জানা যায়নি। গত বুধবার একটি ইংরেজি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে দিহানের সহযোগী হিসেবে হুমায়েদ মিল্কি, অলভি মাহবুব এবং মি. এক্স বলে উল্লেখ করা হয়।দিহানের তৃতীয় এই বন্ধুটিকে নিয়েই রহস্য ঘনীভূত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফারদিনের তিন বন্ধুর মধ্যে দু’জনের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড অনেক ভালো। তাদের মধ্যে একজন একটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আত্মীয়। তারা দু’জন সম্পর্কে চাচাতো ভাই। ফারদিনের আরেক বন্ধু মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তাদের দু’জনের বাসা ধানমন্ডি এলাকায় এবং আরেকজনের বাসা কলাবাগান থানাধীন ভূতের গলি এলাকায়।
ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
দুর্নীতির অভিযোগে নিজেদের দফতরেই হানা সিবিআইয়ের, তল্লাশি ১৪ জায়গায়-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এ বার নিজেদের দফতরেই হানা দিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। ব্যাঙ্ক প্রতারণা করা এমন বেশ কয়েকটি সংস্থাকে সহযোগিতা এবং তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েক জন সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে। তাঁরা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সিবিআই-এর বিভিন্ন কার্যালয়ে কর্মরত।
সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা অভিযুক্ত ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। সিবিআই মুখপাত্র আরসি জোশী জানিয়েছেন, দিল্লি, গাজিয়াবাদ, নয়ডা, গুরুগ্রাম, মেরঠ এবং কানপুর-সহ দেশের ১৪টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই।
একুশে বাংলা থেকে সাফ বিজেপি! বেফাঁস মন্তব্য অরবিন্দ মেননের, অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির-সংবাদ প্রতিদিন
সামনেই বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ক্ষমতা দখলে কোমর বেঁধে নেমেছে বিজেপি। ইতিমধ্যে শাসকদল তৃণমূল (TMC) এবং BJP নেতাদের মধ্যে বাগযুদ্ধও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কথার লড়াইয়ে কার্যত বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন এ রাজ্যে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন (Arvind Menon)। তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরানোর কথা বলতে গিয়ে, ‘২০২১ সালে বিজেপি সাফ হয়ে যাবে’, বলে বসলেন তিনি। যা শোনার পর পালটা কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)।
একুশের বিধানসভার আগে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সহকারী পর্যবেক্ষক হিসেবে অরবিন্দ মেননকে নিয়োগ করেছে বিজেপি। দায়িত্ব পেয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিকবার মুখ খুলেছেন তিনি। বৃহস্পতিবারও এসেছিলেন রাজ্যে। কিন্তু বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেখানেই করে ফেললেন মারাত্মক ‘ভুল’। মুখ ফসকে মেনন বলে বসেন, ‘‘২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল অর্ধেক হয়ে গেছে। ২০২১ সালে বিজেপি সাফ হয়ে যাবে। এরপরই তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে পালটা কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অধ্যাপক সৌগত রায়। তিনি বলেন, ”মেনন ঠিকই বলেছেন, ২০২১ সালে তৃণমূলই ক্ষমতায় আসবে।”
শনিবার দিল্লি যাচ্ছেন শতাব্দী, শাহর সঙ্গে দেখা করবেন?-দৈনিক আজকাল
জল্পনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। ফেসবুকে তাঁর ফ্যানপেজ–এর একটি পোস্ট থেকে। সেখানে দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। বলেছিলেন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারি এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এবার সেই জল্পনাতেই ঘি ঢাললেন শতাব্দী। জানিয়ে দিলেন, শনিবার দিল্লি যাচ্ছেন।
তবে কি বিজেপি–তে যোগ দিতেই দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ? সেখানে গিয়ে কি দেখা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে? এই নিয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি। বরং বেশ রহস্যই বজায় রেখেছেন। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, অমিত শাহ তাঁর পরিচিত। সংসদে গেলে দেখা হয়। আগামীকালও দেখা হতে পারে। নাও হতে পারে। দেখা হওয়া মানেই তিনি বিজেপি–তে যোগ দিচ্ছেন, তা কিন্তু নয়।
প্রসঙ্গত, বিজেপি–তে যোগ দেওয়ার আগে শুভেন্দু অধিকারীর কথাবার্তায়ও এমনই রহস্যের ইঙ্গিত ছিল। প্রায়ই জল্পনা শোনা যেত, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত যদিও নিজের গড় পূর্ব মেদিনীপুরেই বিজেপি–তে যোগ দেন তিনি। ‘জয় শ্রীরাম’ নিয়ে বিতর্ক, টুইট-যুদ্ধে অবিরত যুযুধান তথাগত-সায়নী-দৈনিক আনন্দবাজার
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় চারদিকে বাগ্যুদ্ধের পরিস্থিতি। রাজনীতিক থেকে তারকা— সকলেই যুযুধান। এ বার সেই দলে নাম লেখালেন প্রবীণ রাজনীতিক তথা প্রাক্তন ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায় এবং অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। তথাগত বিজেপি-র নেতাও বটে। অসমবয়সী দুই সহ-নাগরিকের যুদ্ধ বেধেছে টুইটারে।
ঘটনার সূত্রপাত একটি বাংলা চ্যানেলে অতিথি বক্তা সায়নীর বক্তব্য নিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে সায়নী বলেছিলেন, ‘‘যে ভাবে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানটিকে রণধ্বনিতে পরিণত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত ভুল। উপরন্তু, এটি বাঙালি সংস্কৃতির মধ্যেও পড়ে না। ঈশ্বরের নাম ভালবেসে বলা উচিত।’’ তার পরেই এক নেটাগরিক টুইট করে আক্রমণ করেন সায়নীকে। তাঁর দাবি, অভিনেত্রী দেশভাগের কথা ভুলে গিয়েছেন। দেশভাগের সময় মুসলিমদের ‘অপরাধ’-এর বিষয়টিও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই শুরু টুইট-যুদ্ধ। তার পরেই মাঠে নেমেছএন প্রবীণ রাজনীতিক তথাগত। সায়নীকে ট্যাগ করে তিনি লেখেন, সায়নী ‘টাইপের’ মানুষকে ‘মূর্খ’ বলে মনে করেন তিনি। সেই তালিকায় যোগ করেন বাংলার বামপন্থী মানুষদেরও। ‘ছি! এ সব বলতে নেই। করুক না ওরা (মুসলিম) কিছু হিন্দু খুন ও মেয়েদের ধর্ষণ। হোক না সওয়া কোটি হিন্দু গৃহহীন, পথের ভিখারি। ওরাও তো মানুষ’। এই রকম একটি সংলাপের উদাহরণ দিয়ে তথাগত বলতে চেয়েছেন, ‘সেকুলারপন্থীরা’ এ সবই শিখিয়েছেন ‘এদের’।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।