ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১ ১৬:৩২ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠক! ১ ফেব্রুয়ারি সোমবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকার আশা বাংলাদেশের -ইত্তেফাক
  • সু চিকে মুক্তি না দিলে ব্যবস্থা: যুক্তরাষ্ট্র-যুগান্তর–যুগান্তর
  • মিয়ানমার পরিস্থিতি রুখে দাঁড়ানোর আহবান সুচি'র – মানবজমিন
  • ভোটে জালিয়াতির কারণেই এই পদক্ষেপ: মিয়ানমার সেনাবাহিনী-মানবজমিন
  • টিকা নেওয়া কয়েকজনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলেও সুস্থ আছেন: স্বাস্থ্যের ডিজি-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • শহীদ মিনারের পাশে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা -কালের কণ্ঠ
  • কোনো ব্যক্তিই অনিয়ম-দুর্নীতির ঊর্ধ্বে নয়: কাদের-সমকাল

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • ৭৫ বছরের বেশি বয়সিদের সম্পূর্ণ কর ছাড়, সব শ্রমিকের জন্য ইএসআই। -আনন্দবাজার পত্রিকা
  • মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান, আটক সু চি, ১ বছর থাকবে জরুরি অবস্থা -আজকাল
  • ফের দলের সভাপতি করা হোক রাহুলকেই, সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের-সংবাদ প্রতিদিন

শিরোনামের পর এবার দুটি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব। 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসছেন। আশা করা হচ্ছিল তার এই সফরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হবে কিন্তু বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন সে সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। কি বলবেন আপনি?

২. পরমাণু সমঝোতা নিয়ে আর আলোচনা করবে না ইরান। গতকাল তেহরানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পরিষ্কার অবস্থান ঘোষণা করা হয়েছে। ইরানের পক্ষ থেকে একটু কঠোর হলো কি অবস্থান?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকার আশা বাংলাদেশের-ইত্তেফাক

মিয়ানমারে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ। সামরিক হস্তক্ষেপের পরও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে গণতন্ত্রের চেতনায় বিশ্বাস করে এবং গণতান্ত্রিক পক্রিয়াকে সমর্থন দেয়। আমরা আশা করব, মিয়ানমারেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখা হবে।সোমবার ভোরে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ট ও ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চিকে গ্রেফতার করে দেশটির সেনাবাহিনী। সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) এক মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেন।এছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে শাসক দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে। এক বছরের জন্য জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।

মিয়ানমার পরিস্থিতি রুখে দাঁড়ানোর আহবান সুচি'র-দৈনিক মানবজমিন

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের নিন্দায় সরব বিশ্ব। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এ অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে। তবে মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত চীনের এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ মিয়ানমার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন। প্রেস নোটের মাধ্যমে পরবর্তীতে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সোমবার সুচিকে গ্রেপ্তারের ঘটনার পর গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন। ওদিকে, আল জাজিরার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে ভারত পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রাখছে। মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর প্রক্রিয়ার প্রতি ভারতের সমর্থন সব সময়ই অবিচল ছিল। আমরা বিশ্বাস করি যে আইনের শাসন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত থাকবে। আমরা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান- সুচি

সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মিয়ানমারের বেসামরিক নেত্রী অং সান সুচি। তার দল মিয়ানমার ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) ফেসবুক ভেরিফাইড একাউন্টে তার পক্ষে একটি বিবৃতি প্রকাশ হয়েছে সোমবার। তাতে সুচির পক্ষে পোস্টে বলা হয়েছে, জনগণের সামরিক অভ্যুত্থান মেনে নেয়া উচিত হবে না। তাদের উচিত এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামা। 

সু চিকে মুক্তি না দিলে ব্যবস্থা: যুক্তরাষ্ট্র-যুগান্তর

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ আটক সব নেতাকে ছেড়ে না দিলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এক বিবৃতিতে এ হুশিয়ারি দেন। সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে বলেছে, সু চিসহ অন্যদের ছেড়ে না দিলে মিয়ানমারের দায়ী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র।

সব চোখ এখন মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের দিকে-মানবজমিন

সব চোখ এখন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের ওপর। দেশটিতে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ পর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে। এর ফলে মিয়ানমারে গণতন্ত্রের সূর্য্য উঁকি দিতে না দিতেই আবার কালো মেঘের আড়ালে হারিয়ে গেছে। অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে দিয়ে ক্ষমতার মসনদে এখন মিন অং হ্লাইং। ফলে তিনি কিভাবে দেশকে সামনে এগিয়ে নেন, বিশ্ববাসী তার বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়- তা এখন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ১৯৬২ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর প্রায় ৫০ বছর মিয়ানমার ছিল সরাসরি সামরিক শাসনের অধীনে। কিন্তু তারা সবেমাত্র জাতীয় ঐক্যের দিকে আস্তে আস্তে অগ্রসর হচ্ছিল বলেই মনে হয়। কিন্তু সেনাদের মনে কি ছিল তা হয়তো বুঝে উঠতে পারেননি সুচি।

শহীদ মিনারের পাশে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা-কালের কণ্ঠ

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদির পাশে মীম (১৫) নামের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। গত শনিবার গভীর রাতে পুলিশ অচেতন অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। অভিযুক্ত আবুল খায়ের (৩০) নামের এক যুবককে ঘটনার দিন রাতেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

এদিকে গতকাল রবিবার আসামি আবুল খায়েরকে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়ার আদালতে তোলা হলে শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই কমল কৃষ্ণ  সাহা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি আবুল খায়ের মীমের সঙ্গে কথা আছে বলে গত শনিবার রাত আড়াইটার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে নিয়ে যান। পরে তাকে ধর্ষণ এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। মীমের সঙ্গীরা তাকে খুঁজতে খুঁজতে তেলশা মাজারের কাছে যায়। সেখানে গলায় ওড়না পেঁচানো ও বিবস্ত্র অবস্থায় মীমকে পাওয়া যায়। কাছেই আবুল খায়েরকে পেয়ে স্থানীয় লোকজন মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কমল কুমার সাহা বলেন, মীমের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনের সময় গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

মীমের বান্ধবী নাসিমা বলে, ‘মীমের বাবা রিকশাচালক। তাঁরা থাকেন কামরাঙ্গীর চর ঝাউচরে বাজারের পাশে। অনেক বছর ধরে তারা শহীদ মিনার এলাকায় একসঙ্গে ফুল বিক্রি করত। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে মীম বড় ছিল। গত শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত মীমসহ আমার বান্ধবীরা একসঙ্গে শহীদ মিনার এলাকায় ঘোরাঘুরি করি। এরপর আমি বাসায় চলে গেলেও অন্য বান্ধবীরা শহীদ মিনার এলাকায় ছিল। সকালে মীমের মৃত্যুর খবর পাই।’

মীমের মা জানান, মীম আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শহীদ মিনার এলাকায় ঘুরে ঘুরে ফুল বিক্রি করত। অনেক দিন পর গত শনিবার সে বান্ধবীদের সঙ্গে বের হয়েছিল।

ইলেকট্রিক শক থেরাপি ওদের অস্ত্র-মানবজমিন

রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে চোখ-মুখ হাত-পা বেঁধে আটকে রাখা হয় গোপন আস্তানায়। তারপর শুরু হয় নির্যাতন। বাঁশের লাঠি থেকে শুরু করে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। ইলেকট্রিক শক থেরাপি ওদের মূল অস্ত্র। পুরুষের লজ্জাস্থানে ইট বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। কখনো প্লাস দিয়ে নখ তুলে নেয়া হয়। রক্তাক্ত ভুক্তভোগীর কান্নার শব্দ শোনানো হয় স্বজনদের। দাবি করা হয় মোটা অঙ্কের টাকা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে চাইলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। আর টাকা দিতে অপারগতা জানালে শুরু হয় আরো ভয়াবহ নির্যাতন। সময় যত বাড়ে নির্যাতনের মাত্রাও তত বাড়ে। এভাবেই অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা মানুষকে নির্যাতন করে টাকা আদায় করে। সম্প্রতি অপহরণের শিকার হয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে আসা ভুক্তভোগীরা নির্যাতনের এমন বর্ণনা দিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, অপহরণকারীদের চাহিদা মতো টাকা না দিলে গোপন অঙ্গে ইট বেঁধে রাখা হয়। তাদের কথা না শুনলে ইলেকট্রিক শক দিয়ে চলে লোমহর্ষক নির্যাতন। আর এমন নির্যাতন চলে চাহিদা  মতো টাকা আদায়ের আগ পর্যন্ত। শুধু চাহিদামতো টাকা দিলেই মুক্তি মেলে না। ছেড়ে দেয়ার আগে বস্ত্রহীন করে যুবতীদের সঙ্গে অশালীন ছবি ও ভিডিও করে রাখা হয়। সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করা হবে বলে জানানো হয়।

ঢাকায় সম্প্রতি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপহরণকারী চক্র। এসব চক্র বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে অস্ত্র ঠেকিয়ে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য টাকা আদায়। কিন্তু টাকা আদায় করতে গিয়ে তাদের অমানবিক নির্যাতনে শারীরিক, মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন ভুক্তভোগীরা। এছাড়া চক্রের দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয় ভুক্তভোগীর স্বজনরাও আছেন নানা আতঙ্কে। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ও অশালীন ভিডিও করে রাখায় ভুক্তভোগীরা ভয়ে মুখ খুলছেন না। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দুই সপ্তাহের ব্যবধানে অপহরণকারী চক্রের ৮ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। ১৮ই জানুয়ারি সর্বপ্রথম অপহরণকারী চক্রের ২ সদস্য মিরাজ (৩৫) ও বৃষ্টিকে (২১) গ্রেপ্তার করে ডিবি’র উত্তরা বিভাগ। আর গত শনিবার দক্ষিণখানের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- মো. সাদেকুল ইসলাম, মো. ইফরান, মোহাম্মদ আলী রিফাত, মো. কুতুব উদ্দিন, মো. মাছুম রানা ও গোলাম রাব্বি। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগাজিন, ১ ছুরি, ১ মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

ডিবি’র তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা সবাই পেশাদার অপরহরণকারী। প্রতি মাসেই ৪ থেকে ৫ জন ব্যক্তিকে অপহরণ করে। তাদের মুক্তিপণ আদায়ের কৌশল খুবই নির্মম। একেকটি চক্রে ১০ জন সদস্য কাজ করে। প্রত্যেকের কাজ আলাদা আলাদা। কেউ অপহরণ করে আনে আবার কেউ নির্যাতন করে। টাকা আদায়ের জন্য কাজ করে অন্য সদস্যরা। আর চক্রের নারী সদস্যরা রান্না করার পাশাপাশি ভুক্তভোগীর মুখ বন্ধ রাখতে তাদের সঙ্গে অশালীন ছবি ও ভিডিও করে রাখে। ডিবি’র আভিযানিক টিমের সদস্যরা বলেছে, অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের আস্তানা থেকে ছুরি, ৫৭টি ইলেক্ট্রিক্যাল ক্যাবল টাইস, স্ক্রু ড্রাইভার ও  প্লাস, লাঠি, রড পাওয়া গেছে। এগুলো দিয়েই তারা অপহৃতদের নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করে। অপহরণের পর ভুক্তভোগীর সঙ্গে তারা এতোটাই নির্মম আচরণ করতো যা খুবই অমানবিক ছিল। আমাদের কাছে অনেক ভুক্তভোগী এসে সবকিছু খুলে বলছেন। কিছু কিছু ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তাদেরকে ইলেকট্রিক শক, গোপন অঙ্গে ইট বেঁধে নির্যাতন করতো। এছাড়া অপহরণ থেকে শুরু করে নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায়, ভুক্তভোগীকে ছেড়ে দেয়া সবই তারা খুব সতর্কতার সঙ্গে করে। সব সময়ই তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করে।

গত বছরের ১০ই ডিসেম্বর ঢাকার কেউলা এলাকা থেকে অপহরণ হয়েছিলেন বাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকার নেয়ামত উল্লাহ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় রেন্ট-এ কারের গাড়ি চালাতেন। অপহরণকারীরা ১৪ দিন একটি গোপন আস্তানায় রেখে নির্যাতন করে প্রায় ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ছেড়েছিল। নেয়ামত মানবজমিনকে বলেন, ১০ই ডিসেম্বর রাতে আমি কেউলা এলাকা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে আসছিলাম। এমন সময় দেখতে পাই একটি হাইয়েস গাড়ি আমার গাড়ি থামানোর জন্য সঙ্কেত দিচ্ছে। কিন্তু আমি গাড়ি না থামিয়ে সামনে এগুচ্ছিলাম। এমন সময় ওই হাইয়েসটি জোরে চালিয়ে এসে বেড়িকেড দিয়ে আমার গাড়ি থামায়। তারপর কাগজপত্র চেক করার নামে তাদের হাইয়েসের কাছে নিয়ে কয়েকজন আমাকে ধরে ধাক্কা দিয়ে গাড়ির ভেতরে তোলে। তখন মাথায় রিভলভার ধরে আমার মুখে কিছু একটা দিয়ে মুখে স্কসটেপ ও কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে ফেলে। ১ মিনিট পরে আমি আর কিছু বলতে পারি নাই। যখন জ্ঞান ফিরলো তখন নিজেকে আবিষ্কার করলাম অচেনা স্থানে। তিনি বলেন, জ্ঞান ফেরার পরপরই চক্রের সদস্যরা আমাকে মারধর শুরু করে টাকা দাবি করে। ২০ লাখ টাকা না দিলে আমি ও আমার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বেধড়ক মারধর করে তারা আমার পুরো শরীর রক্তাক্ত করেছিল। নির্যাতন সইতে না পেরে এবং বাসার লোকজনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমি তাদের মোবাইল থেকে বাড়িতে ফোন দেই। কিন্তু আমার পারিবারিক অবস্থা ওতোটা ভালো ছিল না। ২০ লাখ টাকা দিতে আমি অপারগতা জানাই। পরে চক্রের সদস্যরা আমার পারিবারিক খোঁজখবর নিয়ে ২০ লাখ থেকে কমিয়ে ১১ লাখ দিতে বলে। এই টাকাও দেয়া সম্ভব না বলার পরে তারা নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। উপায়ন্তর না পেয়ে প্রাণে বাঁচার জন্য ৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকা দিয়ে ১৪ দিন পর তাদের আস্তানা থেকে আমার মুক্তি মেলে। টাকা উদ্ধারের পর তারা আমার ছবি নানাভাবে তুলে রেখেছিল। পরে একদিন আমাকে ৩শ’ ফিট সড়কে চোখ বেঁধে ফেলে রেখে যায়।

২৯শে নভেম্বর উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্বপাশে রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন আনোয়ারুল ইসলাম। এ সময় তার সামনে এসে দাঁড়ায় কালো গ্লাসের একটি মাইক্রোবাস। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাইক্রোবাস থেকে ৪/৫ জন নেমে আনোয়ারুলকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে হাত-মুখ বেঁধে ফেলে। তারপর তাকে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ও নির্জন কোনো স্থানে। তারপর অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা আনোয়ারুলের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালায়। ভয়ভীতি ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মোবাইল ফোনে আনোয়ারুলের স্ত্রী ও বড় ভাইয়ের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। চক্রের দাবিকৃত টাকা দিতে অপারগতা জানালে নির্যাতনের মাত্রা বাড়াতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ভুক্তভোগীর স্ত্রী ও বড় ভাইয়ের মাধ্যমে অপহরণকারীরা বিকাশের মাধ্যমে ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে। মুক্তিপণ পাওয়ার পর অপহরণকারীরা ভুক্তভোগী আনোয়ারুলকে উত্তরা পূর্ব থানা এলাকার ল্যাব এইড হাসপাতালের সামনে ফেলে চলে যায়। এ ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা রুজু হয়। উক্ত মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করে।

১৩ই জানুয়ারি উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের ফাস্ট ফুড ব্যবসায়ী মিহির রায়কে ৮০ প্যাকেট খাবারের অর্ডারের কথা বলে অপরহরণ করা হয়েছিল। মিহিরের পরিবারের সদস্যরা যখন খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না ঠিক তখন একটি অপরিচিত নম্বর থেকে তার স্ত্রীর মোবাইলে কল আসে। মোবাইলের ওপর দিক থেকে মিহির বলেন, তার হাত, পা, বেঁধে রেখে মারধর, ইলেকট্রিক শক দেয়া হচ্ছে। এখন ২০ লাখ টাকা দিলে অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দেবে। পরে তার স্ত্রী বিভিন্ন সময়ে অপহরণকারীদের ২ লাখ ৯১ হাজার টাকা দেন। তবুও অপহরণকারীদের ডেরা থেকে মুক্তি পাননি মিহির। তাদের দাবিকৃত আরো টাকা দেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত মিহিরকে টর্চার করতে থাকে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। স্বামীর প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে পরে ১৬ই জানুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় মিহির রায়ের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। পরে ডিবি দক্ষিণখানের চেয়ারম্যানপাড়ার হেজুর উদ্দিন রোডের একটি বাড়ির ৩য় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।

ডিবি’র অতিরিক্ত কমিশনার কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ?উত্তরার ব্যবসায়ী মিহির রায় অপহরণের ঘটনা তদন্ত করতে চক্রের গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সন্ধান পাওয়া যায়। চক্রটি ঢাকায় মাত্র কয়েকদিনে ৪ জনকে অপহরণ করেছে। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য ভুক্তভোগীদের অমানবিক নির্যাতন করে। তবে ভুক্তভোগী কেউই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনি। যখন আমরা বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা শুরু করি তখন অনেক ভুক্তভোগী আমাদের কাছে আসা শুরু করে। ইতিমধ্যে ৪ জন ভিকটিমই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। নির্যাতনের শিকার হয়ে কেন ভুক্তভোগীরা মুখ খুলে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অপহরণকারীরা অপহরণের পর এই চক্রের নারী সদস্যদের দিয়ে ভুক্তভোগীদের অশ্লীল ছবি তুলে রাখতো, যাতে ভিকটিম মুখ খুলতে না পারে। যদি এ বিষয়ে পুলিশ অথবা অন্য কারো কাছে অভিযোগ করে তাহলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকটিমের অশ্লীল ছবি ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখাতো। সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন্ন হওয়ার ভয়ে তারা চুপ থাকতো। এছাড়াও, অস্ত্রের মুখে ভিকটিমদের জিম্মি করে রাখা হতো। যার ফলে তারা ভয়ে মুখ খুলতো না। এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হলে, ভয় পেয়ে বা অন্য কোনো কারণে চুপ না থেকে বিষয়টি প্রকাশ্যে অথবা গোপনে পুলিশকে অবহিত করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান পুলিশের এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

লাল পেড়ে সাদা শাড়ির শুভ সাজে বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামান।দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরের শিরোনাম-৭৫ বছরের বেশি বয়সিদের সম্পূর্ণ কর ছাড়, সব শ্রমিকের জন্য ইএসআই। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, আয়করে বড় ধরনের ছাড় পেতে চলেছেন প্রবীণরা। রবিবার সংসদের বাজেট অধিবেশনে এমনই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি জানান, ৭৫ বা তার বেশি বয়স হলে, এক পয়সাও কর দিতে হবে না কাউকে। অর্থাৎ যাঁরা পেনশন পান এবং ব্যাঙ্কে জমা টাকার সুদের উপর নির্ভর করেন, আইটি রিটার্ন করতে হবে না তাঁদের। আর শেয়ার ডিভিডেন্ট থেকে টিডিএস কাটা হবে না কোনও নাগরিককেই।

করোনা পরিস্থিতিতে বাজেট অধিবেশনে স্বাস্থ্য খাতে কত বরাদ্দ হয়, সে দিকেই তাকিয়ে ছিলেন সকলে। এ দিন স্বাস্থ্য খাতে মোট ২ লক্ষ ৮৩ হাজার কোটি বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এ মধ্যে কোভিড-১৯ প্রতিষেধকের জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। খুব শীঘ্র আরও দু’টি প্রতিষেধক ভারতের হাতে এসে পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন সীতারামন।

অতিমারের আগে থেকেই দেশের অর্থনীতি ধুঁকছিল। করোনা আবহে তা আরও মুখ থুবড়ে পড়েছে। ধুূঁকছে আবাসন শিল্পেও। তার জন্য সাধ্যের মধ্যে সাধারণ মানুষের মাথার উপর ছাদ গড়ার প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২২ সালের ২২ মার্চ পর্যন্ত গৃহঋণে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় মিলবে বলে জানানো হয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই বাজেট বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

৫ লক্ষ লোক ছিল লালকেল্লায়, দোষারোপ করা হচ্ছে শুধু আমাকে’, ভিডিয়োতে বললেন দীপ সিধু-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

লালকেল্লায় কৃষক বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব চালানোর দায় পুরোপুরি অস্বীকার করলেন পঞ্জাবি অভিনেতা-রাজনীতিবিদ দীপ সিধু। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন তিনি। সেখানে বলেছেন, ‘‘২৬ জানুয়ারি লালকেল্লায় ৫ লক্ষ লোক ছিল। ছিলেন আরও নেতা ও গায়করা। কাউকে না ধরে শুধু আমাকেই এখন দোষ দেওয়া হচ্ছে।’’ বিক্ষোভরত কৃষকদের সংগঠন ও পঞ্জাবের সাধারণ মানুষ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। ভিডিয়োতে কাঁদতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।

দীপ ভিডিয়োতে বলেছেন, ‘‘আমি প়ঞ্জাব ও পঞ্জাবের সাধারণ মানুষের জন্য আওয়াজ তুলেছিলাম। কিন্তু আমাকেও বিশ্বাসঘাতক হিসাবে চিহ্নিত করা হল। কেন আমাকে একক ভাবে সবকিছুর জন্য দায়ী করা হল, সেটা বুঝতে পারছি না।’’ যদিও ভিডিয়োটিতে একবারের জন্যও ক্ষমা চাননি তিনি। লালকেল্লায় জাতীয় পতাকার পাশে ধর্মীয় পতাকা ওড়ানোর পক্ষেও সাফাই দিয়েছেন।

ফের দলের সভাপতি করা হোক রাহুলকেই, সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের-সংবাদ প্রতিদিন

দলের তরফে মুখে যাই বলা হোক, কংগ্রেস যে গান্ধী নির্ভরতা থেকে এখনই বেরতে পারবে না, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিল দলের দিল্লি প্রদেশ নেতৃত্ব। যার নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে এত প্রশ্ন সেই রাহুল গান্ধীকেই ফের কংগ্রেস সভাপতি করার দাবিতে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাশ করাল তারা। রবিবার দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে পাশ করানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে রাহুল গান্ধীকে ফের দলের শীর্ষ পদে ফেরাতে হবে। কংগ্রেস (Congress) সূত্রের খবর, আগামী কয়েকদিনে আরও একাধিক রাজ্যে এই ধরনের প্রস্তাব পাশ করানো হতে পারে।

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান, আটক সু চি, ১ বছর থাকবে জরুরি অবস্থা-আজকাল

‌মাত্র কয়েক ঘণ্টা!‌ তার পরেই পার্লামেন্টে নতুন সরকারের প্রথম অধিবেশন শুরু হত। কিন্তু হল না। আবারও মায়ানমারের দখল নিল সেনা। রবিবার মাঝরাতে আং সান সু চি এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে আটক করেছে সেনা। আগামী এক বছর সেখানে জরুরি অবস্থা জারি থাকবে। 

নভেম্বরেই ভোট হয়েছে মায়ানমারে। ভোটে জিতেছে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (‌এনএলডি)‌। সেনার অভিযোগ, সেই ভোটে কারচুপি হয়েছে। এই নিয়ে নতুন নির্বাচিত সরকার এবং সেনার মধ্যে বিবাদ ক্রমেই বাড়ছিল। গত সপ্তাহেই সেনা ইঙ্গিত দেয়, শিগগিরই ক্ষমতার দখল নেবে তারা।

রবিবার মাঝরাতে তাই করল। রাজধানী নেপিদতে আটক করা হল সুচি এবং প্রেসিডেন্ট উইং মিন্টকে। এনএলডি–র মুখপাত্র মিয়ো নিয়ুন্ট বললেন, ‘শুনেছি, ‌ওঁদের সেনা আটক করেছে। পরিস্থিতি দেখে এখন মনে হচ্ছে, সেনা দখল নিয়েছে দেশ।’‌ 

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।