ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১ ১৬:৩৪ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠক! ৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে এগিয়ে আসুন-মহিলা পরিষদ-ইত্তেফাক
  • বিএনপির আন্দোলন কোন বছর হবে, জানতে চান কাদের–যুগান্তর
  • ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন-যেসব কারণে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব চাপের মধ্যে– মানবজমিন
  • এক সপ্তাহের মধ্যে টিকা পাবেন প্রাথমিকের সব শিক্ষক-যেকোনো সময় খুলবে স্কুল-কালের কণ্ঠ
  • কারাগারে বন্দিকে পিটিয়ে মারলো আরেক বন্দি-সমকাল
  • বাবা বেঁচে থাকলে এই আওয়ামী লীগ করতেন না: রেজা কিবরিয়া-বাংলাদেশ প্রতিদিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় তাণ্ডবের ‘মূল চক্রী’ দীপ সিধুকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবিকে বিদায় জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন মোদি-আজকাল
  • ফের আগ্রাসনের প্রস্তুতি চিনের! নিয়ন্ত্রণরেখার কাছেই মজুত বিপুল রকেট, মিসাইল-সংবাদ প্রতিদিন

শিরোনামের পর এবার দুটি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব। 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. তানোরে আলু চাষে বিপ্লব: পতিত জমিতেই ৫০০ কোটি টাকার আলু। দৈনিক প্রথম আলোর এ খবর নিশ্চয় আপনার নজর পড়েছে। দেশে কৃষির এই উন্নয়ন সম্পর্কে কী বলবেন আপনি? 

২. ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার কেড়ে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। আপনার মন্তব্য কী?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

বিএনপির আন্দোলন কোন বছর হবে, জানতে চান কাদের-যুগান্তর

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আন্দোলন কোন বছর হবে বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চেয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাদের আন্দোলনের ঘোষণা শুনতে শুনতে জনগণও এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। 

তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতেই ১২ বছর চলে গেল। কিন্তু আন্দোলন হবে কোন বছর? বিএনপি নেতারা কি চায়, তা তারাও জানে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির চেয়ে সরকারের অন্ধ সমালোচনা এবং সরকার পতনকেই নিজেদের কৌশল হিসেবে নিয়েছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণও এখন তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান, দলীয় নেত্রীর মুক্তির জন্য তাদের আগ্রহ যতটা না বেশি, তারচেয়ে বেশি আগ্রহ সরকার বিরোধিতায়।

আওয়ামী লীগ কেন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীতে বিশ্বাসী নয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে সভা সমাবেশ, গণসংযোগ ঘোষণা করেছে। এটা কোন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়।

তিনি বলেন, কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে বিএনপি নেতারা এখন বলছেন সংগঠনকে গুছিয়ে তারপর আন্দোলনে নামবেন।  এতে জনগণ এখন বুঝে গেছে বিএনপির আন্দোলনের সক্ষমতা কতটুকু।

‘তাদের এমন অজুহাতেই একযুগ পেরোলো। কর্মীরাও হতাশ। গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই তারা সীমাবদ্ধ। ’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপিকে অপরাজনীতি এবং ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে বিনিয়োগ না করে জনঘনিষ্ঠ ইস্যুতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।  বলেন, বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুন।

তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন. খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের কাছে নয়, ক্ষমা যদি চাইতেই হয় তাহলে আগুন সন্ত্রাস আর নেতিবাচক রাজনীতির জন্য জনগণের কাছেই ক্ষমা চাওয়া উচিত।

এক সপ্তাহের মধ্যে টিকা পাবেন প্রাথমিকের সব শিক্ষক-যেকোনো সময় খুলবে স্কুল-কালের কণ্ঠ

করোনাভাইরাসের টিকা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের করোনার টিকা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হবে। আমরা যেকোনো সময় স্কুল খুলে দেব।

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিকে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে এগিয়ে আসুন-দৈনিক ইত্তেফাক

সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণসহ যৌন সহিংসতার ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিক এক লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন।

তারা বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি নিরসনে সরকারের পক্ষ থেকে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ঘোষণাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অবস্থার কোনো উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না বলেও তারা উত্কণ্টা প্রকাশ করছেন। বিবৃতিতে দ্রুত বিচার করে ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করা, ধর্ষণের ঘটনা আপস না করা, ধর্ষণের শিকার নারীকে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে না দেওয়া, ধর্ষণের শিকার নারী ও কন্যার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যৌন সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুকে দোষারোপ বন্ধ করা, রাষ্ট্রকে সহিংসতার শিকার নারীকে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে সুরক্ষা দেওয়ার দাবি করা হয়।’

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, হাশেম খান, ডা. সারোয়ার আলী, সৈয়দ আবুল মকসুদ, বেগম মুশতারী শফী, রামেন্দু মজুমদার, সেলিনা হোসেন, মামুনুর রশিদ, জেড আই খান পান্না, সামন্তলাল সেন, আবুল মোমেন, মফিদুল হক, শাহরিয়ার কবীর, ড. মিজানুর রহমান, ড. শাহদীন মালিক, অধ্যাপক এম এম আকাশ, অ্যাডভোকেট এস এম সবুর, মাহবুব জামান, অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম, সঞ্জীব দ্রং ও হাসান আরিফ।

মদ কাণ্ড: ডিজে নেহার খদ্দেরের তালিকায় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীরা!

হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা-কালের কণ্ঠ

ফারজানা জামান নেহা ওরফে ডিজে নেহাকে গ্রেপ্তার: রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে পার্টিতে মদপানের পর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউল্যাবের এক ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় নিহত ওই ছাত্রীর বান্ধবী ফারজানা জামান নেহা ওরফে ডিজে নেহাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়ার পর বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ঘটনার পাঁচ দিন পর গত বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর আজিমপুরের একটি বাসা থেকে নেহাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে নেহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে নিজের অন্ধকার জগৎ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন তিনি।

রবিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রিমান্ডের তৃতীয় দিনে ডিজে নেহার ফোনবুকে পুলিশ ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ডজনখানেক শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীর নাম্বার পেয়েছে। যেগুলো সাংকেতিকভাবে সংরক্ষণ করা। এসব ধনাঢ্যের অনেকের কাছে মদ, তরুণী সরবরাহ করতেন তিনি। কখনো কখনো নেহা নিজেই তাদের সঙ্গ দিয়েছেন। বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে হাতিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা।

তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ডিজে নেহার পছন্দের মোবাইল ফোনে (আইফোন) টার্গেট করা ব্যবসায়ী ও ধনী যুবকদের নম্বর ‘ক্লায়েন্ট-১’, ‘ক্লায়েন্ট-২’, ‘ক্লায়েন্ট-৩’ এমন ধারাবাহিকভাবেই সংরক্ষণ করা আছে। কারো কারো নাম সংক্ষেপে প্রথম বর্ণ দিয়েও সংরক্ষণ করা।

জিজ্ঞাসাবাদে নেহা জানিয়েছেন, গত বছরের মার্চে চট্টগ্রামের এক গাড়ি ব্যবসায়ীর সঙ্গে একটি পার্টিতে তার পরিচয় হয়। এরপর ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে কৌশলে ছয় মাসে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন নেহা। এরই মধ্যে ওই গাড়ি ব্যবসায়ীর এক ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গেও পরিচয় হয় নেহার। সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত নেহা ঢাকার ওই গাড়ি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি হাতিয়েছেন। নেহার ব্যবহৃত এক লাখ ৩৭ হাজার টাকা দামের আইফোন টুয়েলভ প্রো ম্যাক্স ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকেই নেওয়া। এভাবেই আরো অনেক ব্যবসায়ীকে মাদক ও নারী সঙ্গের জালে জড়িয়েছিলেন নেহা। নেহার এসব কাজে সহযোগিতা করতেন তারই চাচাতো ভাই শাফায়াত জামিল বিশাল। বিশাল সার্বক্ষণিক নেহার সঙ্গেই থাকতেন।

২৮ জানুয়ারি উত্তরার ব্যাম্বু স্যুট রেস্টুরেন্টে ইউল্যাব শিক্ষার্থীদের মদপান করাতে নেহা ও তার খুব কাছের বন্ধু আরাফাত পার্টির আয়োজন করেন। মদপানের পর অসুস্থ হয়ে আরাফাতও মারা গেছেন। সেদিন নেহার ফোনেই তার চাচাতো ভাই শাফায়াত জামিল ওরফে বিশাল এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে মদ কিনে নিয়ে যায় ওই রেস্টুরেন্টে।

নেহা পুলিশকে জানিয়েছেন, খদ্দেরদের তালিকা সংরক্ষণ করতেন বিশাল। এ ছাড়া অবৈধ দরদামে সে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মাধুরীর মৃত্যুর পর তার বাবার মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসাবে নিজেই আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন বিশাল। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এ ছাড়া ওই ছাত্রীর ছেলে বন্ধু আরিফ এবং তাদের বাসায় আশ্রয়দাতা তাফসিরও কারাগারে আটক রয়েছেন।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন অর রশিদ বলেছেন, নেহাকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা অনেক তথ্য পেয়েছি। এসব যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি নেহা আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, গত ২৮ জানুয়ারি আমার বন্ধু আরাফাতের নিমন্ত্রণে উত্তরার ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যাই। সেখানে গিয়ে আরো কয়েকজনকে দেখতে পাই। আমি আরাফাত ছাড়া অন্য কাউকে চিনতে পারিনি। সেখানে আমি মদপান করি। তিন পেগ পান করার পর আমার মুখ দিয়ে রক্ত বের হয় এবং বমিও হয়। আমি তখন সেখান থেকে বাসায় চলে যাই। বাসায় যাওয়ার পরও আমার কয়েক দফা বমি হয়। এমন পরিস্থিতিতে আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নেই।

ওই ছাত্রী মারা যাওয়ার ঘটনায় করা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে পুলিশ মামলার চার্জশিট জমা দেবে।

বাবা বেঁচে থাকলে এই আওয়ামী লীগ করতেন না: রেজা কিবরিয়া-বাংলাদেশ প্রতিদিন

সালে আইএমএফের চাকরি ছেড়ে ওয়াশিংটন থেকে দেশে ফেরেন ড. রেজা কিবরিয়া। তাঁর মূল পরিচয় অর্থনীতিবিদ হলেও নির্বাচনের আগের ওই সময়টিতে তিনি গণফোরামে যোগদান করেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া পরে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আলোচনায় আসেন। নির্বাচনের পর গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেন। তবে নানা কারণে সম্প্রতি গণফোরাম থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। এসব বিষয়ের পাশাপাশি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক কয়েকটি প্রসঙ্গে তিনি এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন।আপনার বাবা শাহ এ এম এস কিবরিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। সেদিক থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেই আপনার থাকার কথা। কিন্তু নির্বাচন করলেন ধানের শীষ মার্কা নিয়ে। এ নিয়ে মানুষের জানার কৌতূহল রয়েছে। সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ-

কিবরিয়া : প্রথমত, আমার বাবা যে রাজনীতি করতেন, আর এখনকার আওয়ামী লীগ যে রাজনীতি করছে দুটি এক নয়। আমার মনে হয়, আমার বাবা বেঁচে থাকলেও এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকতেন না। কারণ অনেক কিছু হয়েছে আওয়ামী লীগ যেটি বলে বা বিশ্বাস করে সেখান থেকে তারা সরে এসেছে। তাই বলব, আমি আদর্শ থেকে সরে আসিনি। তবে ওই দলে যেতে চাই না। দ্বিতীয়ত, পারিবারিক রাজনীতির সূত্র ধরে ওই দলে যেতেই হবে—বাংলাদেশের এই কালচার বা স্টাইলের সঙ্গেও অমি একমত নই।

প্রশ্ন : আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্বের কারণ বলবেন?

কিবরিয়া : দলটিকে এখন আমার আদর্শহীন মনে হয়। এককালে সত্যিই আওয়ামী লীগ অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি দল ছিল। এখন আমার অবাক লাগে, দলের ভেতরে যাঁরা আছেন তাঁরা এই দলের দশা দেখে কিছু বলছেন না কেন।

প্রশ্ন : ধানের শীষের জোটের সঙ্গে তো জামায়াত ছিল। এটা কি আপনার আদর্শের সঙ্গে যায়?

কিবরিয়া : জামায়াত কার সঙ্গে যায় বা যায় না সেটি নিয়ে অনেক কিছু বলা যায়। ১৯৯০ সালে একই মঞ্চে এখনকার সরকারি দলের অনেককে দেখেছি। কেউ কেউ জামায়াতের সঙ্গে তখন হ্যান্ডসেইক করেছেন। তখন তো গেছে। তার চেয়ে বড় কথা, সরকারবিরোধী শক্তির মধ্যে বিএনপি অবশ্যই বড় ফ্যাক্টর ছিল। অবশ্য গণফোরামে তখন সদ্য যোগ দিয়েছি। ফলে জানা ছিল না যে তারা ধানের শীষে নির্বাচন করবে। শেষ পর্যন্ত দলের নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত আমাকে মেনে নিতে হয়েছে।

প্রশ্ন : আপনার বাবা প্রয়াত কিবরিয়া সাহেবের বিচারপ্রক্রিয়ার ধীরগতির কারণ জানা আছে?

কিবরিয়া : আওয়ামী লীগের প্রতি এটাও একটা রাগের কারণ। বিএনপির পর আওয়ামী লীগের আরো ১২ বছর কেটে গেল। এতে বোঝা যায়, আওয়ামী লীগ এই বিচার নিয়ে কতটুকু সিনসিয়ার বা সিরিয়াস। এ ঘটনায় পারিবারিকভাবে আমরা খুবই অসন্তুষ্ট। তারা সুষ্ঠু তদন্ত করতে পারেনি বা চায়নি কেন সেটি খুবই রহস্যময় হয়ে আছে।

ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় তাণ্ডবের ‘মূল চক্রী’ দীপ সিধুকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ

লালকেল্লার হিংসার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত দীপ সিধু গ্রেফতার

প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির লালকেল্লার হিংসার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত দীপ সিধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দিল্লি পুলিশের বিশেষ বিভাগের অফিসাররা মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার করেছেন তাঁকে। পঞ্জাবের এই অভিনেতা এবং সমাজকর্মী সমর্থন করেছিলেন কৃষক আন্দোলনকে। যদিও তাঁকে ‘বিজেপির চর’ আখ্যা দেন বিক্ষুব্ধ কৃষকদের একাংশ।

দিল্লি ভায়োলেন্স

প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর মিছিলের দিন বিক্ষোভকারীদের একটি দল পৌঁছে যায় লালকেল্লায়। সেখানে ভাঙচুরের পাশাপাশি পতাকাও ওড়ানো হয়। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন দীপ। তাঁর বিরুদ্ধেই প্রতিবাদী কৃষকদের খেপিয়ে তোলার অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনার পর থেকেই ‘ফেরার’ ছিলেন দীপ। তবে সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিয়ো আপলোড করে আত্মপক্ষ সমর্থনের পাশাপাশি দায় এড়ানোর চেষ্টাও করেছিলেন। ‘ফেরার’ দীপের অবস্থান বা গতিবিধি জানাতে পারলে ১ লক্ষ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল দিল্লি পুলিশ। হিংসার ঘটনার প্রায় দু’সপ্তাহ পর অবশেষে পুলিশের জালে এই গায়ক-অভিনেতা।

প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় তাণ্ডবের গোটা ঘটনায় দীপের ষড়যন্ত্রের ছাপ দেখছেন আন্দোলনরত কৃষক ইউনিয়নের নেতা তথা নাগরিক সমাজের একাংশ।

ফের আগ্রাসনের প্রস্তুতি চিনের! নিয়ন্ত্রণরেখার কাছেই মজুত বিপুল রকেট, মিসাইল-সংবাদ প্রতিদিন

পূর্ব লাদাখে (Ladakh) সীমান্ত সমস্যা নিয়ে চলছে লাগাতার বৈঠক। এখনও পর্যন্ত ন’ দফা বৈঠক হয়েছে। তাতে কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। সেনাসংখ্যা কমানো এবং সেনা অপসারণ করা নিয়ে একমত হতেই পারছে না দুই দেশের সেনাবাহিনী। এই অবস্থায় লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে বিপুল রকেট, মিসাইল মজুত করেছে চিনের (China) পিপলস লিবারেশন আর্মি। তাদের মোটরাইজড ডিভিশন এবং রকেট ডিভিশনের ইউনিটের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। ভারতীয় গুপ্তচরদের কাছে এবং উপগ্রহ মারফত পাওয়া গোপন ছবি সেকথাই বলছে।

ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, সেনা অপসারণ বা ডিসএনগেজমেন্টের কোনও সদিচ্ছাই দেখাচ্ছে না চিন। উলটে তাদের রাইফেল ডিভিশনের অধীনে সেনা সংখ্যা কয়েক হাজার করে বাড়ানো হচ্ছে। পিএলএ প্রতিটি সংঘর্ষ-বিন্দুতে (ফ্রিকশন পয়েন্টে) তাদের সেনাবিন্যাস ঘন ঘন পালটাচ্ছে। ফরোয়ার্ড পোস্টগুলিতে রোটেশনে ডিউটি বদলানো হচ্ছে সেনাদের। উপগ্রহ চিত্র থেকে এও ধরা পড়েছে, তিব্বতের বিভিন্ন এলাকা ও সীমান্তরেখার সেনা ঘাঁটিগুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিপুল উন্নতি ঘটেছে। পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে জিনজিয়াং প্রদেশের হোটান বায়ুসেনা ঘাঁটিও। লালফৌজ সেখানেও ব্যাপক সেনা নিয়োগ করেছে। জমায়েত করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে সামরিক সরঞ্জাম।

দৈনিকটির অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে, মার্চের মধ্যেই ভারতে আসছে ১৭টি রাফায়েল যুদ্ধ বিমান। সীমান্তে সংঘাতের আবহে এমন তথ্য লোকসভায় জানাল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবিকে বিদায় জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন মোদি-দৈনিক আজকাল

গতকাল তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন। তাঁর মার্জিত কথাবার্তা, ভদ্র ব্যবহার নিয়ে আপ্লুত হয়েছিলেন। আজ রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়লেন। তাঁর সঙ্গে পুরনো স্মৃতি–কথা বলতে গিয়ে গলা জড়িয়ে এল প্রধানমন্ত্রী মোদির। তাও আবার সংসদ অধিবেশনে। যাঁকে নিয়ে এত কিছু, তিনি শাসকদলের বা জোটের কেউ নন। বরং রাজ্যসভায় বিরোধী দলের নেতা গুলাম নবি আজাদ। সংসদে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়াই যাঁর প্রধান কাজ। 

রাজ্যসভায় এদিন কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদের বিদায় অনুষ্ঠান। সেই উপলক্ষেই বলতে উঠে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরলেন অতীতের এক স্মৃতি। তখন তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। আর গুলাম নবি আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের। কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়ে জঙ্গি হামলায় আটকে পড়েন গুজরাটের কয়েক জন পর্যটক। 

এই কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী। থেমে একবার জলও খেলেন। তার পর ফের বললেন, ‘আমি কখনও ভুলব না শ্রী আজাদ আর শ্রী প্রণব মুখার্জির প্রচেষ্টা, যখন কাশ্মীরের জঙ্গি হামলায় আটকে পড়েন গুজরাটের কয়েক জন। সেই রাতে গুলাম নবিজি আমায় ফোন করেন। নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানুষ যেমন চিন্তিত হন, তেমন সেই রাতে ছিলেন গুলাম নবিজি।’‌

এই কথা শুনেই টেবিল বাজাতে শুরু করেন সাংসদরা। প্রধানমন্ত্রীর গলাকে ছাপিয়ে গিয়েছে সেই শব্দ। এসবের মাঝেই ফের বলে উঠলেন মোদি। ‘‌ক্ষমতা আসে আর যায়। কিন্তু কীভাবে তা পরিচালনা করতে হয়.‌.‌’‌ গুলাম নবিকে কুর্নিশ জানিয়ে বাকিটা বুঝিয়ে দিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করলেন, ‘ওই সময়টা সত্যিই খুব আবেগপ্রবণ ছিল আমার কাছে।’‌

১৫ জানুয়ারি রাজ্যসভায় মেয়াদ শেষ হচ্ছে গুলাম নবি আজাদের। তাঁকে ‘‌প্রকৃত বন্ধু ‌সম্বোধন করে মোদির বার্তা, ‘আমি আপনাকে অবসর নিতে দেব না। আপনার পরামর্শ সব সময় নিতে থাকব। আমার দরজাও আপনার জন্য খোলা থাকবে।’‌ 

এই ভাষণের পরেই কানাঘুষো শুরু রাজনৈতিক মহলে। তবে কি এবার কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি–তে যোগ দেবেন আজাদ? কারণ শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে বহু দিন ধরেই বিরাগভাজন তিনি। গত বছর সোনিয়াকে চিঠি লিখেও রোষে পড়েছিলেন। এবার কি তবে পুরনো দলই ছাড়ছেন তিনি? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।#  

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।