মার্চ ০৭, ২০২১ ১৫:২৬ Asia/Dhaka

প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ৭ মার্চ রোববারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা-প্রথম আলো
  • সতর্কতার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের-করোনার ঝুঁকি কমেনি– মানবজমিন
  • আমদানিতেও কমছে না চালের দাম -কালের কণ্ঠ
  • কারাগারে যেমন আছেন সাহেদ-সাবরিনা -ইত্তেফাক
  • ৩৬ কোটিতে ক্ষতি ১১ কোটি টাকা -যুগান্তর
  • বিক্ষোভে লাখো মিয়ানমারবাসী, গুলি ছুড়ছে পুলিশ -সমকাল
  • ৭ মার্চ পালন নিষিদ্ধ করেছিল বিএনপি: ওবায়দুল কাদের -বাংলাদেশ প্রতিদিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • মনে হচ্ছে ২ মে ভোটের ফল ঘোষণার দিন এসে গেছে-মোদি-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • মোদির ব্রিগেডের আগেই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ মমতার -আজকাল
  • এবার টিকিট অস্বস্তি বিজেপিতে, একাধিক কেন্দ্রে বিক্ষোভ কর্মীদের, সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রতিবাদ-সংবাদ প্রতিদিন

শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। প্রথমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর।

দুনিয়া কাঁপানো মহাকাব্য- এ শিরোনামে দৈনিক ইত্তেফাক লিখেছে,১৯৭১-এর ৭ই মার্চের দুনিয়া কাঁপানো ভাষণ বাঙালি জাতির মহান মুক্তিসনদ! ঐতিহাসিক এই ভাষণ জাতীয় সীমানা অতিক্রম করে আন্তর্জাতিক দিগন্তে বাঙালির গৌরবময় পতাকা মর্যাদার সঙ্গে উড্ডীন রেখেছে। ২০১৭-এর ৩০ অক্টোবর জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কো ’৭১-এর ৭ই মার্চে প্রদত্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণকে (ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ) বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে, যা সমগ্র জাতির জন্য গৌরবের ও আনন্দের। আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চেরও সুবর্ণজয়ন্তী।

দৈনিক সমকালের খবর-ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার রূপকার বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল কিংবা পুনঃপর্যালোচনার দাবি উঠেছে বিভিন্নমহল থেকে। লেখক মুশতাকের মৃত্যুর পর নাগরিক সমাজ থেকে আইনটির ব্যাপক সমালোচনা করা হচ্ছে। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে ২৬ মার্চের মধ্যে আইনটি বাতিলের আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে। ডা. জাফরুল্লাহ নাগরিক সমাজের একজন- তিনিও ঐ সময়সীমার মধ্যে আইনটি বাতিলের জোরালো দাবি জানিয়েছেন। মানবজমিনের খবরে লেখা হয়েছে, সম্পাদক পরিষদ এক বিবৃতিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছে।পরিষদের প্রেসিডেন্ট মাহফুজ আনামের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে সংবাদকর্মী ও মুক্তমত প্রকাশকারী ব্যক্তিরা ক্রমাগতভাবে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এমন আশঙ্কা আমরা আইনটি তৈরির সময়ই করেছিলাম। এ কথা বলা অত্যুক্তি হবে না যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের আশঙ্কার চেয়েও আরো কঠিনভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। একজন মুক্তমনা লেখক মুশতাক আহমেদকে জীবন দিয়ে তা প্রমাণ করে যেতে হলো। 

কারাগারে যেমন আছেন সাহেদ-সাবরিনা-ইত্তেফাক

কিছুদিন আগেই সব স্থানে ছিল তাদের বড় দাপট। করোনা মহামারির আতঙ্কে সাধারণ মানুষের নমুনা পরীক্ষার নামে জালিয়াতি করে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেন তারা। প্রভাবশালীদের নাম ভাঙিয়ে সুশীল সমাজে জায়গা করে নেন। তাদের প্রতারণার মুখোশ ফাঁস হয়ে গেলে স্থান হয় অন্ধকার কারাগারে। করোনাকালীন আলোচিত এই দুই প্রতারক হলেন সাহেদ করিম ও ডা. সাবরিনা চৌধুরী। এদের মধ্যে সাহেদ বন্দি রয়েছেন কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সাধারণ সেলে আর ডা. সাবরিনা চৌধুরী হাজতি হিসেবে বন্দি রয়েছে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে। কারাগারের রজনীগন্ধা সেলে ডিভিশন সুবিধা নিয়ে তিনি হাজতি জীবন পার করছেন।

কারাসূত্র জানায়, বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত এই দুই প্রতারকের এখন তিন বেলা খাবারের মেনু গুড়, হালুয়া, রুটি, ভাত, ডাল, মাছ, মাংস ও খিচুড়ি। তবে এদের মধ্যে ডা. সাবরিনা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ইচ্ছা করলেই ক্যান্টিনের খাবার গ্রহণ করতে পারছেন। আর কারাগারের নির্ধারিত মেনুর খাবার খেয়ে সাহেদ করিমের শরীরের মুটিয়ে যাওয়া ভাব অনেকটা কমে গেছে।কারা সূত্র জানায়, সাধারণ সেলের একটি কক্ষে সাহেদকে একাই রাখা হয়েছে। যেন অন্য কোনো বন্দির সঙ্গে দেখা বা আলাপ-আলোচনা না করতে পারে, সেজন্য কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। অন্য সাধারণ কয়েদির মতো তার জন্য সকালের নাস্তা গুড়, হালুয়া ও রুটি দেওয়া হয়। স্বাভাবিক নিয়মে দুপুরে মাছ ও রাতে মাংস বরাদ্দ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার তাকে চট্টগ্রামের একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে কারাগারে আনা হয়। আগামী ৮ মার্চ সিলেটের একটি মামলায় তার হাজিরার তারিখ রয়েছে। কারা সেলের মধ্যে একা একাই কখনো গান গেয়ে ওঠেন। কারাসেলের লোহার রড ধরে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন। জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ও কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন ওরফে ডা. সাবরিনা চৌধুরী ২৭তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার হওয়ায় তিনি কাশিমপুর মহিলা কারাগারে ডিভিশন সুবিধা পেয়েছেন। কারাগারের রজনীগন্ধা ডিভিশন সেলের মধ্যে তাকে একাই একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশনের সকল সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। তার কক্ষে একটি ফ্যান রয়েছে। প্রতিদিন একটি দৈনিক পত্রিকা বরাদ্দ। তাছাড়া বিছানা, চাদর, বালিশ ও মশারি রয়েছে।

সতর্কতার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের-করোনার ঝুঁকি কমেনি

শনাক্তের হার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও দেশে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি কমেনি। তাই স্বাস্থ্যবিধিতে অবহেলা করলে যেকোনো সময় পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে। এই অবস্থায় কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। দেশে গত কয়েকদিন ধরে একই হারে করোনা পরীক্ষা হলেও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। বেড়েছে শনাক্তের হার। এ অবস্থায় সংক্রমণ বাড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

সব উন্মুক্ত, স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই-মানবজমিন

শনিবার সকাল ১১টা। রাজধানীর মালিবাগ এলাকা। যাত্রাবাড়ীগামী তুরাগ বাসের সব আসনে যাত্রী ভরা। কয়েকশ’গজ এগিয়ে গেলে বাসটিতে আট-দশজন যাত্রী ওঠে। সেখান থেকে আরেকটু সামনে গেলেই মালিবাগ বাস স্টপেজ। আগেই আসন অতিরিক্ত দশজন যাত্রী দাঁড়িয়ে ছিলেন। এবার স্টপেজ থেকে আরো কমপক্ষে ১০-১২জন যোগ হলো। এবার বাসে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

বাসে ওঠা অধিকাংশ যাত্রীর মুখে নেই মাস্ক। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে বাসে ওঠার আগে স্যানিটাইজার দেয়ার কথা ছিল। সে দৃশ্যও ছিল অনুপস্থিত। আর বাসের ফটকে মাস্ক পরে যাত্রীদের যাতায়াত করার নির্দেশনা থাকলেও তা ছিল না বলেই চলে। এমন দৃশ্য শুধু বাসেই নয়। হাট-বাজার, শপিংমল, সড়ক কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধি। গত বছর জুন মাস থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু চালু করার নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু প্রথম এক মাস সরকারি নির্দেশনা কিছুটা মানলেও পরবর্তীতে সব স্বাভাবিক হয়ে যায়। করোনা নিয়ে মানুষের ভেতর যে আতঙ্ক ছিল তা অনেকটা উধাও হয়ে যায়। এর সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যায় স্বাস্থ্যবিধি। তবে মানুষের এই স্বাভাবিক জীবন-যাপন বড় হুমকির কারণ বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

৩৬ কোটিতে ক্ষতি ১১ কোটি টাকা-যুগান্তর

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে বাজারদরের চেয়ে উচ্চমূল্যে এমএসআর যন্ত্রপাতি, গজ ব্যান্ডেজ কেনা হয়েছে। কোভিডকালে ৯৯ থেকে ২৭৫ শতাংশ বেশি দামে কেনা হয়েছে মাস্ক ও পালস অক্সিমিটার। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত দামের চেয়ে বেশিতে কেনা হয়েছে হাইটেক মেডিকেল সরঞ্জাম।

ঠিকাদারের যোগসাজশে অনিয়মিতভাবে পরিশোধ করা হয়েছে বিপুল অঙ্কের বিল। বাজারে সর্বোচ্চ ৬শ টাকার কম্বল কেনা হয়েছে ২৪শ টাকায়।এভাবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে হাসপাতাল প্রশাসন নানা অনিয়মের মাধ্যমে ব্যয় করেছে ৩৬ কোটি টাকা। বেশি দাম, ক্রয় নীতি লংঘন এবং অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের দুর্নীতির কারণে সরকারের ক্ষতি হয়েছে ১১ কোটি টাকা।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টির আমি খোঁজ নিয়েছি। কেনাকাটায় অনিয়মের কথা বলা হয়েছে।

আমদানিতেও কমছে না চালের দাম-কালের কণ্ঠ

বাজারে এখন কমবেশি আমদানির চাল মিলছে প্রায় সব দোকানেই। তার পরও দাম কমছে না, উল্টো আরো বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দু-এক টাকা বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। ট্রেডিং করপোরেশনের হিসাবে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এখন চালের দাম বেশি রয়েছে ৪২ শতাংশ পর্যন্ত। রমজান মাস সামনে রেখে চালের বাজার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ভোক্তারা। চালের দাম বাড়লেও সবজিতে এখনো স্বস্তি রয়েছে। যদিও কিছু কিছু সবজির দাম ধীরে ধীরে বাড়ছে। বিক্রেতারা বলছেন, মৌসুম শেষ হওয়ায় সরবরাহ কমে আসছে। তাই কয়েকটি সবজির দাম বাড়তি।

বিক্ষোভে লাখো মিয়ানমারবাসী, গুলি ছুড়ছে পুলিশ-সমকাল

রাতভর নিরাপত্তা রক্ষীদের অভিযান সত্ত্বেও মিয়ানমারের রাজপথে জড়ো হয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে অসংখ্য মানুষ। লাখো জনতার এমন বিক্ষোভ লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে পুলিশ।

রোববার সকাল থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপরই ইয়াঙ্গুনসহ বেশ কিছু এলাকায় কঠোর হতে থাকে নিরাপত্তা রক্ষীরা। ছুড়তে শুরু করে ফাঁকা গুলি, টিয়ার গ্যাস।পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে। নির্বাচিত নেত্রী সু চি ও এনএলডির অধিকাংশ নেতাকে হয় কারাগারে না হয় বাড়িতে বন্দি করে রেখেছে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৭শ’র বেশি মানুষকে।

অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত সেনা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অন্তত ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এক পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন।

এবার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

বিজেপির ঐতিহাসিক ব্রিগেডের মহাসমাবেশ নিয়ে প্রায় সব বাংলা দৈনিকে নানা খবর পরিবেশিত হয়েছে। আনন্দবাজার পত্রিকার একটি খবরের শিরোনাম-ব্রিগেডের মঞ্চে মোদী, উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানালেন মিঠুন, পিঠ চাপড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। খবরটিতে লেখা হয়েছে,ব্রিগেডের মঞ্চে বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। শনিবার দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দেন দীনেশ ত্রিবেদী। রবিবার ব্রিগেডে বিজেপির সভার মুখ্য আকর্ষণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বিগ্রেডের জনতাকে দেখে বললেন আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এতবড় জনসভা দেখিনি। মনে হচ্ছে ২ মে ভোটের ফল ঘোষণার দিন এসে গেছে।

মোদীকে ভিড়ের ‘চমক’ দিতে চায় বিজেপি, ব্রিগেড দেখেই ‘গ্রেড’ ঠিক করবেন শাহ- আনন্দবাজার পত্রিকা

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রিগেডে প্রথম বার নন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেও তিনি এসেছেন কলকাতার এই ময়দানে। কিন্তু ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিলের সঙ্গে ২০২১-এর ৭ মার্চের অনেক ফারাক। তখন বাংলার দুই সাংসদের বিজেপি এখন ১৮। দলবদলের খেলায় ৩ বিধায়কের বিজেপি এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। তখন তৃণমূল থেকে আসা মুকুল রায় শুধু ছিলেন। এখন শুভেন্দু অধিকারী থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে অনেক বড় তালিকা। তাই রবিবার মোদীর ব্রিগেড সমাবেশে নিজেদের অতীতের সঙ্গে তুলনা নয়, ভিড়ের অঙ্কে অন্য দলের ‘নজির’ ভাঙাই লক্ষ্য বিজেপি-র। তবে গেরুয়া শিবির সেটাও মানতে চাইছে না। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রত্যয় ভরা দাবি, ‘‘রবিবারের সমাবেশের এমন চেহারা হবে, অতীতে যার কোনও নজির নেই।’’ মোদীকে চমকে দেওয়াই শুধু নয়, সেই সঙ্গে অমিত শাহকেও খুশি করতে হবে। কারণ, তাঁর নির্দেশেই চলছে নীলবাড়ির লড়াইয়ে যাবতীয় কর্মসূচি। অমিতের থেকে সম্মানজনক ‘গ্রেড’ পেতে হবে রাজ্য নেতৃত্বকে।

মোদির ব্রিগেডের আগেই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ মমতার -আজকাল

মোদির ব্রিগেড সমাবেশ শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আক্রমণ করলেন মমতা। তিনি এক টুইটে বলেছেন, ‘এলপিজি সিলিন্ডারের দাম প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে মানুষকে লুট করছে বিজেপি। সিলিন্ডারের দাম বাড়ায় মহিলার সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। জ্বালানির দাম কমানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রের এই অনীহা দেখে আমি বিরক্ত। এর প্রতিবাদে আজ শিলিগুড়িতে মহিলাদের নিয়ে  আমার প্রতিবাদ মিছিল। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জিও টুইটে বলেছেন, ‘বাংলার মা–বোনেরা আজ গর্জে উঠেছেন রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৭

  • বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।