নাটোরে চলছে বউ মেলা: পিকে হালদারের বান্ধবী রুনাই কিভাবে হন কোটিপতি!
শ্রোতা/পাঠক! ১৭ মার্চ বুধাবরের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:
- নাটোরে চলছে বউ মেলা-ইত্তেফাক
- ঢামেকের আইসিইউতে আগুন, স্থানান্তরের সময় তিন রোগীর মৃত্যু–প্রথম আলো
- বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা-কালের কণ্ঠ
- আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন-তোমাকে অভিবাদন হে মহানায়ক-যুগান্তর
- মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বিচারপতির শোক– মানবজমিন
- যেভাবে পিকে হালদারের বান্ধবী হন রুনাই, বনে যান কোটিপতি!-বাংলাদেশ প্রতিদিন
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:
- ‘আমায় আগে মারত সিপিএম, এখন মারে বিজেপি’, জঙ্গলমহলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা-আনন্দবাজার পত্রিকা
- বিজেপির বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচারে’র অভিযোগ করেন মমতার-সংবাদ প্রতিদিন
- সাদ্দাম , গদ্দাফিও নির্বাচন জিততেন: খোঁচা রাহুল গান্ধীর-আজকাল-আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু’টি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব।
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. বিদায়ী দুদক চেয়ারম্যান কতজনকে দায়মুক্তি দিয়েছেন তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশের হাইকোর্ট। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
২. ইরানের সঙ্গে আমেরিকার ‘পরোক্ষ’ আলোচনা চলছে বলে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান যে দাবি করেছেন তা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে তেহরান। প্রশ্ন হচ্ছে- আমেরিকা মাঝেমধ্যে কেন এমন দাবি করে?
জনাব সিরাজুল ইসলাম আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর
শিশু-কিশোরদের উন্নতির ‘মন্ত্র’ শেখালেন প্রধানমন্ত্রী-যুগান্তর

শিশু-কিশোরদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার পাশাপাশি ন্যায় ও সত্যের পথে চলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি উন্নতির মন্ত্র বলে জানান তিনি। বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন লক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (ভার্চুয়াল) এ আহ্বান জানান তিনি।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, সবসময় যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। সেই সঙ্গে ন্যায় ও সত্যের পথে চলতে হবে। তা হলে জীবনে বড় হতে পারবে। জীবনটাকে উন্নত করতে পারবে। বাবা-মায়ের মুখও উজ্জ্বল হবে।
পড়ালেখা ও নৈতিকচর্চার মাধ্যমে নিজেদের ‘যোগ্য’ হিসেবে গড়ে তোলার জন্যও শিশু-কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা। শিশুদের জীবনকে সুন্দর ও রঙিন করে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ছোট শিশুদের জীবন আরও রঙিন, আরও সুন্দর, আরও সার্থক করে গড়ে তুলতে চাই। সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আমি এটিই চাই— আজকের শিশুরা সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে, জীবনটাকে সুন্দর করবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর স্কুল-কলেজে যেতে না পারায় শিশুরা যে কষ্টে আছে, সেটি উপলব্ধি করার কথাও জানান শেখ হাসিনা। ‘আমি বলব— তোমরা ছোট্ট সোনামনিরা, তোমরা ঘরে বসে পড়াশোনা কর এবং সেই সাথে খেলাধুলাও করবে। আমরা এটাই চাই যে খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা— এগুলো একান্তভাবে অপরিহার্য। তোমরাই তো ভবিষ্যৎ, তোমরাই এ দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’তিনি বলেন, করোনার এই প্রাদুর্ভাব কেটে যাবে। স্কুল আমরা তখনই খুলে দেব। তোমরা স্কুলে যেতে পারবে। সেই সঙ্গে খেলাধুলাও তোমরা করতে পারবে এবং এখনও করতে পার।
বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের পাবলিক প্লাজার বকুলতলা চত্বরে মহিলা ও শিশুবিয়ষক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসার সভাপতিত্বে এই শিশু-কিশোর সমাবেশ হয়।
ব্যারিস্টার মওদুদকে নিয়ে আসিফ নজরুলের আবেগঘন স্ট্যাটাস-যুগান্তর

প্রবীণ আইনজীবী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে শোকাহত আইনের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল। মওদুদ আহমদের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক। সাবেক আইনমন্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন আসিফ নজরুল। আবেগঘন স্ট্যাটাসটি নেটিজনদের দৃষ্টি এড়ায়নি।
আসিফ নজরুল তার স্ট্যাটাসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করেন। আইনজীবী মওদুদের লেখালেখির প্রশংসাও করেন তিনি। আসিফ নজরুলের স্ট্যাটাসটি পাঠকদের উদ্দেশে হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘প্রিয় মওদুদ স্যার,
আপনি আর ফিরবেন না, হয়তো এটা জানতাম। হাসনা আপার (মওদুদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ) ফেসবুক স্ট্যাটাসে স্পষ্ট বলা ছিল সব। পরে আপনার মৃত্যুর সংবাদ পড়ে দেখি ৮২ বছর বেঁচেছিলেন। খুব একটা দুঃখ তাই আমাদের পাওয়ার কথা না।
কিন্তু তবু আমার মন ভার হয়ে আছে। আপনার হাসি, রসবোধ আর পাণ্ডিত্য মিস করব। রাজনৈতিক আর শাসনতান্ত্রিক ইতিহাস নিয়ে আপনার অসাধারণ বইগুলোর কথা মানুষকে বলব। মুক্তিযুদ্ধে আপনার অবদান চিরদিন শ্রদ্ধা করে স্মরণ করব।
জীবনে মাত্র তিন-চারবার দেখা হয়েছে আপনার সঙ্গে। কিন্তু আশ্চর্য এক বেদনা হয়ে আছেন আমার সঙ্গে এখন।
আমার ভালোবাসা নিন। দোয়া করি, আল্লাহ্ যেন আপনাকে ভালো রাখেন।’
প্রবীণ এই আইনজীবীকে নিয়ে আসিফ নজরুলের এই স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়ে গেছে। এরমধ্যে ৫০ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী এতে লাইক দিয়েছেন। ৩ হাজার ১০০ মানুষ এতে মন্তব্য করেছেন। আর শেয়ার দিয়েছেন ৫ শতাধিক ফেসবুক ব্যবহারকারী।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান উপমহাদেশের বিখ্যাত আইনজীবী মওদুদ।
মওদুদ আহমদের একান্ত সহকারী মোমিনুর রহমান সুজন জানান, মওদুদ হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলেন। কয়েক দিন ধরেই তার অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। ফুসফুসে পানি জমে ছিল। যার কারণে ফুসফুসে অক্সিজেন গ্রহণ ক্ষমতা একেবারেই কমে গিয়েছিল। পাশাপাশি তার কিডনি জটিলতাও দেখা দিয়েছিল।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ হ্রাস, বুকে ব্যথা অনুভব করলে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মওদুদকে ঢাকায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় হৃদযন্ত্রে স্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি সিসিইউ থেকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। ২০ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়। এর পর ২১ জানুয়ারি তাকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুর যান। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার স্ত্রী হাসনা জসীমউদদীন ছিলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ১৯৪০ সালের ২৪ মে নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার শ্বশুর পল্লীকবি জসীমউদদীন। স্ত্রী হাসনা জসীমউদদীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও সাবেক এমপি। ব্যারিস্টার মওদুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করে লন্ডনস্থ লিঙ্কন্স ইন থেকে বার অ্যাট ল ডিগ্রি অর্জন করেন।লন্ডনে পড়াশোনা করে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। তিনি ব্র্যান্ড ভিজিটিং প্রফেসর হিসাবে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের আপ্যায়ন সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলাফত রব্বানীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশক্তির নেতা ছিলেন। ভাষা আন্দোলনের মিছিলে যোগ দিয়ে পুলিশি নির্যাতনের পর ঠাঁই হয়েছিল কারাগারে।
১৯৭১-এ ইয়াহিয়া খান আহূত গোলটেবিল বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ। পেশাজীবী হিসাবে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর আইনজীবী, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মানবাধিকার আইনজীবী হিসাবে নানা ভূমিকায় নিজেকে রেখেছিলেন রাজনীতির কক্ষপথেই।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৭-৭৯ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তাকে উপপ্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮৫ সালের নির্বাচনে মওদুদ আহমদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
এক বছর পর ১৯৮৬ সালে তাকে আবার উপপ্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৮৯ সালে তাকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং এর পর তাকে উপরাষ্ট্রপতি করা হয়।
জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১ সালে মওদুদ আহমদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পাঁচবার মওদুদ আহমদ নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচিত হন।
নাটোরে চলছে বউ মেলা-ইত্তেফাক

বিশালাকৃতির খোলা মাঠজুড়ে নারীদের উপচে পড়া ভিড়। একটি মেলাকে কেন্দ্র করে নারীদের এমন জমায়েত। মেলার নাম ‘বউ মেলা’। ৫২ বছরের পুরনো এই মেলাতে শুধু যে বউ এসেছেন তা নয়। এখানে অংশ নিয়েছেন শ্বাশুড়ী, ননদী, জা-ঝিসহ শিশু-কিশোরীরা। গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মকিমপুরে মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বসেছিল এই ‘বউ মেলা’। মেলায় নারীদের পাশাপাশি বাহারি সব কাঁচের চুরি, রঙিন ফিতা, টিপ, লিপষ্টিক, কানের দুল, ঝিনুকের মালার পসরা সাজিয়ে রেখেছেন পুরুষরাও। মেলায় এসে শ্বাশুড়ী, ননদী, জা-ঝিসহ নারীরা এসব অলঙ্কার কিনতে দামাদামি করছেন। দামে মিলে গেলে কিনছেন অলঙ্কারগুলো। তবে ‘বউ মেলা’য় পুরুষদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ থাকায় দৃষ্টির সীমানাজুড়ে শুধুই নারীদের চোখে পড়বে।
যেভাবে পিকে হালদারের বান্ধবী হন রুনাই, বনে যান কোটিপতি!-বাংলাদেশ প্রতিদিন

শুরুটা অফিস এক্সিকিউটিভ থেকে। ২০১২ সালে জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় এসেছিলেন নাহিদা রুনাই। চট্টগ্রামের খুলশী থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায় সাধারণ পরিবারের মেয়ে তিনি। তার বাবা মফিজুর রহমান চট্টগ্রামে একটি সরকারি দপ্তরে ‘করণিক’ পদে চাকরি করতেন। আর সেই নারী ঢাকায় এসে পাঁচ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। নাহিদা রুনাইয়ের এই ‘আলাদীনের চেরাগ’ হচ্ছেন হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে কানাডা পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার।
চাকরির খোঁজে ঢাকায় এসে নাহিদা রুনাই অফিস এক্সিকিউটিভ হিসেবে যোগদান করেন প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারের প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ফিন্যান্স লিমিটেডে। এর পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা যতই বাড়তে থাকে ততই সম্পদশালী হতে থাকেন নাহিদা।
এক সময় এমডি পিকে হালদারের বান্ধবী হয়ে যান নাহিদা। কপাল খুলে যায় তার। কোটি কোটি টাকা মালিক বনে যান রাতারাতি। নাহিদা রুনাইয়ের প্রায় ২৮ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অনুসন্ধান দল। এছাড়া তার ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৭০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে দুদক। দুদক সূত্র জানায়, পি কে হালদারের অর্থ পাচারের বিষয়গুলো দেখভাল করতেন নাহিদা। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারের ওপর মহলকে ম্যানেজ করতেন তিনি। আর এসব কাজের পুরস্কার হিসেবে নাহিদাকে শূন্য থেকে কোটিপতি বানিয়েছেন পি কে হালদার। এসএমই পলান শাখার অফিস এক্সিকিউটিভ থেকে এক সময় পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠজনদের কাছে ‘বড় আপা’ হিসেবে পরিচিতি পান রুনাই। রিলায়েন্স ফিন্যান্স থেকে নাহিদাকে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে নিয়ে আসেন পি কে হালদার। দ্রুততম সময়ে চারটি পদোন্নতি দিয়ে তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করেন।
পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নাহিদা রুনাই ছাড়াও পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ আরেকজন বান্ধবী ছিলেন অবন্তিকা বড়াল। দুই বান্ধবী নাহিদা রুনাই ও অবন্তিকা বড়ালকে নিয়ে অন্তত ২০-২৫ বার বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন। এই দু’জনের সঙ্গে তিনি পৃথকভাবে ২০ থেকে ২৫ বার সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেছেন। ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে রুনাই ও অবন্তিকার সঙ্গে পি কে হালদারকে আলাদাভাবে সময় কাটাতে দেখা যায়।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, নাহিদা রুনাই আনান কেমিকেল লিমিটেড নামে একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র তৈরি করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ৭০ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় জানুয়ারি মাসে দায়ের করা একটি মামলায় নাহিদাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া নাহিদার বিরুদ্ধে পি কে হালদার সংশ্লিষ্ট আরও ১০ টি মামলার অনুমোদন রয়েছেন। এসব মামলায়ও তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।

মঙ্গলবার পি কে হালদারের আলোচিত এই বান্ধবী নাহিদা রুনাইকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি পি কে হালদারের আরেক বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেফতার করা হয়। এ দুজনের জবানবন্দিতে অর্থ আত্মসাতের এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত গত বছরের জানুয়ারিতে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক। সেই মামলার তদন্তে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের তথ্য পেয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা। মামলা দায়েরের আগেই পি কে হালদার পালিয়ে কানাডা চলে যান। পালিয়ে যাওয়ার আগে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তিনি।
ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
‘আমায় আগে মারত সিপিএম, এখন মারে বিজেপি’, জঙ্গলমহলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা-আনন্দবাজার পত্রিকা

আজ গোপীবল্লভপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সারা দেশে যখন হতাশার চিহ্ন আমি কিন্তু ঝাড়গ্রামর জন্য যতটা পেরেছি ততটা করেছি।”মমতা বললেন, বিজেপির পরিকল্পনা আছে রেলকে দিয়ে স্টেশনে স্টেশনে বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে এসে তাঁদের চারিদিকে ঢুকিয়ে দেবে। তারপর আপনার ভোটটা নষ্ট করে দেবে। আমার একটা পা নয়। লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষের পা নিয়ে আমি জিতব। নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনের সময় মাইক লাগিয়ে বড় বড় কথা বলে। দুটো বাংলায় বলে, কেমন আছেন? তারপরেই মিথ্যে বলতে শুরু করেন। মমতা আরও বলেন,আর কিছু কিছু গদ্দার। যাঁরা শুধু টাকাকে ভালবাসে, লোভী। সে গুলো বিজেপিতে গিয়ে ঢুকেছে। লুঠেরা, দাঙ্গাবাজ। সংবাদ প্রতিদিনের খবরে লেখা হয়েছে,বিহারের লোক টিকা পেল না কেন?’ ঝাড়গ্রাম থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচারে’র অভিযোগ করেন মমতার।
সাদ্দাম , গদ্দাফিও নির্বাচন জিততেন: খোঁচা রাহুল গান্ধীর-আজকাল

বিভিন্ন বিদেশি এনজিও, প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে, নরেন্দ্র মোদির আমলে দেশে গণতন্ত্র নড়বড়ে হয়েছে। ভারতে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে। এবার এই নিয়েই সরব হলেন রাহুল গান্ধী। তিনি মোদিকে একহাত নিয়েই খোঁচা দিলেন, ইরাকের স্বেচ্ছাচারী শাসক সাদ্দাম হুসেন, লিবিয়ার গদ্দাফিও ভোটে জিততেন। তাই ভোটে জেতা মানেই গণতন্ত্র রক্ষা করা নয়।
প্রকাশ্যে ভয়ঙ্কর তথ্য, বিশ্বের ৩০ টি সবচেয়ে দূষিত শহরের ২২ টি ভারতে-আজকাল
বায়ুদূষণ থেকে মুক্তি তো দূর অস্ত। ভারতে তা বেড়েই চলেছে। একটি রিপোর্টে সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে, বিশ্বের সবথেকে দূষিত ৩০ টি শহরের মধ্যে ২২ টি ভারতেরই। মঙ্গলবার বিশ্বে বায়ুদূষণ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে IQAir নামে সুইজারল্যান্ডের একটি সংস্থা। ‘ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট ২০২০’ শীর্ষক রিপোর্টে ভারতে বায়ুদূষণের ভয়াবহ ছবি ফুটে উঠেছে। ১০৬ টি দেশের উপর সমীক্ষা চালিয়ে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ৩০ টি শহরের মধ্যে দিল্লি সহ ২২ টি ভারতের।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।