এপ্রিল ১৯, ২০২১ ১৫:৫৭ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ । আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ১৯ এপ্রিল সোমবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী– যুগান্তর
  • লকডাউন কোনো স্থায়ী সমাধান নয়--ফাহমিদা- প্রথম আলো
  • ৭ দিনের রিমান্ডে মামুনুল, রমজানে ইবাদতের সুযোগ চান মামুনুল হক- ইত্তেফাক
  • বাগেরহাটে হেফাজত কর্মীদের হামলায় ৫ পুলিশ আহত- সমকাল
  • পটিয়ায় হুইপ পরিবারের অপরাধ সাম্রাজ্য- বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • ডিজিটাল আইনে মামলা, ফেসবুক লাইভে ক্ষমা চাইলেন নূর-মানবজমিন

ভারতের শিরোনাম:

  • দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে প্রায় পৌনে ৩ লাখ, দেড় কোটি ছাড়াল দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা-আনন্দবাজার
  • মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল বন্ধ -আজকাল
  • করোনা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ, বাতিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর -দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

পাঠক/শ্রোতা ! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

প্রথমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত: হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুলের রিমান্ড এবং নতুন করে আরও ১ সপ্তাহ লকডাউনের খবর আজকের প্রায় সব দৈনিকে বিশেষ গুরুত্বসহ পরিবেশিত হয়েছে। প্রথমআলো মামুনুল হক সম্পর্কিত খবরের শিরোনাম করেছে- এমন-

মাওলানা মামুনুল হক রিমান্ডে, ইবাদতের সুযোগ চেয়েছেন

মামুনুলকে ৭ দিনের রিমান্ডে পেল পুলিশ। খবরটিতে লেখা হয়েছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ভাঙচুরের মামলায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। আজ সোমবার বেলা ১১টার পরে মামুনুলকে আদালতে নেওয়া হয়। আদালতের বাইরে কড়া পাহারায় ছিল প্রচুর পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের উপকমিশনার জাফর হোসেন জানান, মামুনুলকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ। পরে আদালত মামুনুলের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। হেফাজতের নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে অন্তত ১৮টি মামলা রয়েছে। ২০২০ সালে মোহাম্মদপুরে একটি ভাঙচুরের মামলায় মামুনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা আছে মতিঝিল থানা, পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে।

আর ইত্তেফাকের একটি খবরের শিরোনাম- রমজানে ইবাদতের সুযোগ চান মামুনুল হক। এখবরে বলা হয়েছে, মামুনুল হকের রিমান্ড শুনানি চলাকালে বিচারক মামুনুলকে বলেন, ‘আপনার কি কিছু বলার আছে?’ জবাবে মামুনুল বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমি প্রতি রমজান মাসে ৬ বার কোরআন শরীফ খতম দেই। রমজান মাস পবিত্র মাস। এই মাসে আমি যেন রোজা, নামাজ ও কোরআন পড়তে পারি তার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আবেদন 

প্রথম আলোর একটি খবরে লেখা হয়েছে,   মামুনুলকে গ্রেপ্তার: বাগেরহাটে পুলিশের ওপর হেফাজতের হামলা।খবরের ভাষ্য- বাগেরহাটের মোল্লাহাটে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হামলায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। হেফাজত নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কর্মী-সমর্থকেরা মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর হেফাজতের কর্মী–সমর্থকেরা পুলিশের ওপর হামলা চালান।  

লকডাউনের সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হল

লকডাউন সম্পর্কিত খবরে দৈনিক ইত্তেফাকের শিরোনাম- আরও এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন, ঈদের আগে শিথিল: কাদের। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে,বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার সারাদেশে আরও এক সপ্তাহ সর্বাত্মক লকডাউন বাড়ানোর সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) নিজ বাসভবন থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলেরও চিন্তা ভাবনা করছে।

তিনি আরও বলেন, ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের জন্য লকডাউন শিথিল হতে পারে। তিনি সবাইকে মানসিকভাবে প্রস্তুত ও ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান। এ সময় সরকার পরিবহন শ্রমিকসহ বেকার-শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

লকডাউন কোনো স্থায়ী সমাধান নয়-প্রথম আলো

বাংলাদেশের জন্য কোনটা ভালো? সর্বাত্মক লকডাউন নাকি ঢিলেঢালা? অর্থনীতির জন্য কোনটা ভালো? ঢিলেঢালা লকডাউন নাকি কঠোর স্বাস্থ্যবিধি? লকডাউন এক সপ্তাহের নাকি দুই সপ্তাহের? অনেক প্রশ্ন? আসলে অর্থনীতির মানুষেরা কী চান? কী তাঁদের বিশ্লেষণ? নীতিনির্ধারক, অর্থনীতিবিদ, উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী—এ নিয়ে প্রথম আলোর মতামত দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন লকডাউন সম্পর্কে প্রথম আলোতে একটি মতামত দিয়েছেন। সেই মতামত কলামে তিনি বলেছেন,  

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্বল্প আয়ের এবং অনানুষ্ঠানিক খাতের মানুষেরা। তারা একদম বসে যায়। তবে লকডাউন তেমন কড়াকড়ি হয় না। মাঝখান থেকে ছোটরাই ক্ষতিগ্রস্ত  হয়। কারখানা চলছে। সীমিত পরিসরে রেস্তোরাঁ চালু আছে, যদিও বসে খাওয়া যাচ্ছে না। আমার বাসার কাছে দেখলাম, অভিজাত রেস্তোরাঁর সামনে ইফতার পণ্য নিতে কমপক্ষে ৪০টি গাড়ি ভিড় করেছে। কিন্তু রাস্তার পাশে ছোটখাটো রেস্তোরাঁ ও চায়ের দোকানে বন্ধ। রিকশা চলছে না, কিন্তু গাড়ি চলছে। দিন আনে দিন খায় মানুষেরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

আমাদের দেশে বিধিনিষেধ পরিকল্পিতভাবে করা হয় না, যথেষ্ট প্রস্তুতি থাকে না। সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। যেমন প্রথমে বলা হলো ব্যাংক বন্ধ থাকবে, এমনকি অনলাইন ব্যাংকিংও। তাহলে মানুষ কী করে আর্থিক কাজ সারবে? ব্যবসার, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দৈনন্দিন লেনদেন কীভাবে নিষ্পত্তি হবে? সমালোচনার মুখে সীমিত আকারে ব্যাংক খোলা রাখা হলো।গতবারই বোঝা গেছে, লকডাউন আমাদের জন্য কার্যকর নয়। মানুষকে জোর করে ঘরের ভেতরে বসিয়ে রাখা যাবে না। জীবিকার জন্য তাঁরা বেরিয়ে আসবেনই।

সার্বিকভাবে লকডাউন স্থায়ী সমাধান নয়, সম্ভবও নয়। করোনার যাত্রা অনিশ্চিত। কবে আমরা মুক্তি পাব, তা–ও জানি না। বিজ্ঞানীদের কথাবার্তায় বোঝা যাচ্ছে, করোনার সঙ্গে আরও কিছুদিন থাকতে হবে। এটা মেনে নিয়েই জীবনযাত্রার প্রস্তুতি নিতে হবে। সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। পর্যাপ্ত হাসপাতাল শয্যা, আইসিইউ, চিকিৎসক, নার্স ইত্যাদি বাড়াতে হবে। কিন্তু গত এক বছরে কতটা এগোতে পেরেছি? স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামো সমস্যার সমাধান না হলে কখনোই দক্ষতা বাড়বে না।

শুধু লকডাউন দিলেই তো হবে না, স্বাস্থ্যবিধি মানানোতে বেশি জোর দিতে হবে। গরিব মানুষের পাশাপাশি সামর্থ্যবানদের অনেকে রাস্তাঘাটে মাস্ক পরেন না। গরিব মানুষের জন্য বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণ করতে হবে। লকডাউন যদি দিতেই হয়, তাহলে একসঙ্গে পুরো দেশে না দিয়ে শুধু বেশি সংক্রমিত এলাকায় অর্থাৎ হটস্পটগুলোতে দেওয়া যেতে পারে। এতে অর্থনৈতিক ক্ষতি কম হবে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পকারখানা পালা করে খোলা উচিত। কারণ, কারখানা বন্ধ থাকলে শ্রমিকেরা বেতন পান না। অনেক কারখানার মালিকদের বেতন দেওয়ার সামর্থ্যও থাকে না।

প্রধানমন্ত্রীকে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর খোলা চিঠি-মানবজমিন

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

সোমবার  বেলা ১১টার দিকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর খোলা চিঠিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছে দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।

চিঠিতে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, কোভিড- ১৯ রোগীর সাশ্রয়ী ও উন্নত চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন, ওষুধ, মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও সামগ্রী থেকে সব ধরনের শুল্ক, অগ্রিম আয়কর, মূসক প্রভৃতি প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। আইসিইউ পরিচালনার জন্য জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসক ও নার্স প্যারামেডিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। ২০০ জন চিকিৎসক ও ৫০০ জন নার্স টেকনিশিয়ানকে আইসিইউতে দ্রুত অক্সিজেন প্রদান, নন-ইনভেসিব শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়া, শ্বাসতন্ত্রে টিউব মারফত অক্সিজেন সরবরাহ, অন্যান্য নিয়ন্ত্রিত শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য এক মাসের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করা। সব ওষুধের মূল্য এবং রোগ পরীক্ষার পদ্ধতিসমূহের চার্জ সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করে দিতে হবে।

খোলা চিটিতে ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, কারাগারে থাকা সব ব্যক্তিকে দ্রুত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা। খুনের দায়ে এবং দুর্নীতির কারণে দণ্ডিত আসামি ছাড়া অন্য সবাইকে জামিনে মুক্তি দেওয়া। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে প্রতিবছর ২০ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি করা এবং এমবিবিএস পাসের পর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে এক বছর বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপের সুযোগ করে দিতে হবে। অতীতে এ নিয়ম চালু করে দুই সপ্তাহ পর প্রত্যাহার করে ভুল করেছিলেন।

আগামী বাজেটে সব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের নিরাপত্তা বেষ্টনী সংস্কার, গভীর নলকূপ ও বিদ্যুতায়ন ব্যবস্থার উন্নয়ন, মেডিকেল, নার্সিং, ফিজিওথেরাপি ও টেকনিশিয়ানদের জন্য ডরমিটরি, ক্লাসরুম, লাইব্রেরি, ডাইনিং রুম এবং ৫ জন চিকিৎসক ও ১০ জন নার্সিং, ফিজিওথেরাপি ও টেকনিশিয়ান প্রধানদের জন্য ৬০০ থেকে ৭০০ বর্গফুটের বাসস্থান, বহির্বিভাগসহ ৩০ শয্যার হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও অপারেশন থিয়েটার নির্মাণের জন্য ৬ কোটি টাকা এবং অপারেশন থিয়েটার, এক্স-রে আলট্রাসনোলজি, চক্ষু ও বিভিন্ন ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতির জন্য কমপক্ষে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দের ব্যবস্থা নিন।

মা-বাবার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত তারেক শামসুর রেহমান-সমকাল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. তারেক শামসুর রেহমান পিরোজপুরে মা-বাবার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন।

সোমবার সকাল ১০টায় পিরোজপুর শহরের পুরাতন ঈদগাহ মাঠে মরহুমের জানাযা নামাজ শেষে পিরোজপুর পৌর কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে।

ড. তারেক শামসুর রেহমানের ভাই শহিদুর রহমান মিঠু বলেন, ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তানের ইচ্ছায় প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঢাকায় দাফন করা হবে। কিন্তু আমার ভাইয়ের ইচ্ছা ছিল মা-বাবার পাশে তাকে দাফন করা হবে। পরে সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ভাইয়ের লাশ ঢাকা থেকে পিরোজপুরে নিয়ে এসে দাফন করেছি। 

গত ১৭ মার্চ দুপুরে ঢাকার উত্তরার ফ্ল্যাট থেকে তারেক শামসুর রেহমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

পটিয়ায় হুইপ পরিবারের অপরাধ সাম্রাজ্য-বাংলাদেশ প্রতিদিন

পুত্র ভাই বোন এমনকি ভাগ্নেও রাজত্ব তৈরি করে বিভিন্ন খাতে করছে চাঁদাবাজি, প্রতিবাদ করলে হামলা-মামলা

ট্টগ্রামের পটিয়াজুড়ে চলছে হুইপ শামসুল হক চৌধুরী পরিবারের অপরাধ সাম্রাজ্য। হুইপের পুরো পরিবার অক্টোপাসের মতো গিলে খাচ্ছে পটিয়া ও তার আশপাশ এলাকাকে। প্রতিটা সেক্টর ভাগ করেই চলে তাদের নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি। অন্ধকার এ রাজ্যের ‘রাজপুত্র’ হিসেবে রয়েছেন হুইপপুত্র নাজমুল হক চৌধুরী শারুন। ‘অঙ্গরাজ্যে’র রাজ্যপাল হিসেবে রয়েছেন হুইপের দুই ভাই নবাব, মহব্বত এবং বোন রেখা। বাদ যাননি ভাগ্নে কিংবা নিকটাত্মীয়রাও। বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনুসন্ধানে হুইপ পরিবারের এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পটিয়ার একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা অভিযোগ করেন, ‘পটিয়ায় হুইপ পরিবারের বাইরে গিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ নেই কারোর। টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে উন্নয়ন কাজে ইট, বালু পাথর সরবরাহ সব কিছুই করেন হুইপ পরিবারের সদস্যরা। বালু মহাল নিয়ন্ত্রণ, শিল্প কারখানায় কাঁচামাল ও শ্রমিক সরবরাহের নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ, কথিত সালিশ বিচারের নামে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ সব কিছুই করছে তারা। তাদের এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বললেই চলে হামলা ও মামলা।’

এবার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে প্রায় পৌনে ৩ লাখ, দেড় কোটি ছাড়াল দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা

ভারতের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই উল্টে পাল্টে দিয়েছে যাবতীয় হিসেব নিকেশ। দেশে দৈনিক আক্রান্ত আড়াই লক্ষ ছাড়িয়ে বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮১০ জন। যা রবিবারের থেকে প্রায় ১২ হাজার বেশি। এক দিনে দেশে আক্রান্তের নিরিখেও এই সংখ্যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। সংক্রমণের সঙ্গে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬১৯ জনের। এক দিনে মৃত্যুর নিরিখে গোটা করোনা পর্বে যা সর্বোচ্চ।

গত ৫ দিন ধরে দু’লক্ষাধিক নতুন সংক্রমণের জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়ে গেল। এ ব্যাপারে বিশ্বে আমেরিকার ঠিক পরই রয়েছে ভারত। মোট মৃত্যুও দেশে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ছাড়িয়েছে।

করোনা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ, বাতিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর-সংবাদ প্রতিদিন

 ভারতে ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে করোনার (Corona Pandemic) দ্বিতীয় ঢেউ। প্রতিদিনই ভাঙছে আক্রান্তের রেকর্ড। এর মধ্যেই চলতি মাসে ভারতে আসার কথা ছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (UK PM Boris Johnson)। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হওয়ায় এবার সফর বাতিলেরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

সোমবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে উভয়পক্ষের সাথ আলাপ আলোচনার পরই বরিস জনসনের সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল বন্ধ-আজকাল

ভয়াবহতার মাত্রা ছাড়াচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি। অন্য রাজ্যের তুলনায় কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি এরাজ্যেও। ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে রাশ টানতে ইতিমধ্যেই স্কুল বন্ধের নির্দেশ জারি করেছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। জানানো হয়েছে মঙ্গলবার থেকে বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল। সেই সঙ্গে সব বেসরকারি স্কুলের কাছেও একই আবেদন জানিয়েছে রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে গরমের ছুটি এগিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’

কোভিড পরিস্থিতির জেরে গত বছর দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। চলতি বছরে কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় ফেব্রুয়ারি মাসে স্কুল খোলা হয়।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।


 

ট্যাগ